বনসাই গাছের ফটোগ্রাফি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। এই ব্লগে জয়েন হওয়ার পর থেকে ফটোগ্রাফি করার শখ হয়েছে। আগে তেমন একটা ফটোগ্রাফি করা হতো না। কোথাও ঘুরতে গেলে তখন টুকটাক ফটোগ্রাফি করা হতো। তাছাড়া আগে নিজের এবং বাচ্চাদের ফটোগ্রাফি বেশি করা হতো। এই ব্লগে জয়েন হওয়ার পর থেকে নিজের ফটোগ্রাফি আর তেমন একটা করা হয় না। বাইরে গেলে বিভিন্ন ফুল, প্রকৃতি এবং গাছ-গাছালির ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। আজকে আপনাদের সঙ্গে বনসাই গাছের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। এই গাছগুলোর ফোটোগ্রাফি বৃক্ষমেলা থেকে করেছিলাম। বৃক্ষ মেলায় গেলে বিভিন্ন ধরনের বনসাই গাছ দেখা যায়। বনসাই গাছগুলো কে বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে বৃদ্ধির প্রক্রিয়া ব্যাহত করে এরকম আকৃতির তৈরি করা হয়। ছোট পাত্রে সাধারণত এই গাছগুলো তৈরি করা হয়। রোদ নেই কিন্তু আলো বাতাস পাওয়া যায় এরকম জায়গায় মূলত এই গাছগুলো রাখা হয়। বিশেষ করে বাড়ির বারান্দায় বা ঘরের ভিতরে এই গাছগুলো সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য অনেকেই রেখে থাকেন।
এই গাছগুলোর দাম এত বেশি যে সাধারণ মানুষের বাসায় এই গাছগুলো খুব একটা দেখা যায় না। যাদের অনেক বেশি টাকা আছে অথবা টাকার হিসাব নেই তাদের বাড়িতে এরকম বনসাই গাছগুলো দেখা যায়। এগুলো ১৫-২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে উপরে আরো কত বেশি দাম হয় তার কোন ঠিকানা নেই। এত টাকা দিয়ে গাছ কিনে আনার পরে যদি বাসায় ঠিকমতো যত্ন না করা হয় তাহলে আবার এগুলো মারা যায়।
নার্সারিতে খুব একটা বনসাই গাছ দেখা যায় না। আমি যতবার বনসাই গাছ দেখেছি সব সময় বৃক্ষ মেলাতে গিয়েই দেখেছি। বৃক্ষ মেলায় বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় অনেক বনসাই গাছ দেখা যায়। এই গাছগুলো খুব সুন্দর লাগে দেখতে। আমার কাছে বট গাছের বনসাই খুব বেশি ভালো লাগে দেখতে। আজকে যেই বনসাই গাছ গুলো দেখছেন এগুলো একেকটির এত কঠিন কঠিন নাম মনে রাখা সম্ভব নয়। এজন্য নামগুলো শেয়ার করলাম না। যদিও আমার খুব একটা মনেও নেই।
বনসাই গাছগুলোর শিকড় গুলো খুবই মোটা হয় আর উপরের অংশ তুলনামূলকভাবে কম। যার কারণে এই গাছগুলো দেখতে বেশি ভালো লাগে। যেই গাছগুলো বেশি ছোট সেই গাছগুলো বেশি সুন্দর। ছোট গাছগুলোর গোড়া এত মোটা এবং এত ছোট ছোট পাতা থাকে দেখতেই ভালো লাগে। এই গাছগুলো মূলত মাটির অথবা কাঁচের পাত্রে বসানো হয়। একদম নিচের যেই গাছটি দেখছেন এই গাছটি মূলত পেঁচিয়ে পেচিয়ে তৈরি করা হয়েছে। অনেকটা লাকি ব্যাম্বু গাছের মতো। নিচের অংশ দেখতে কলসের মত লাগছিলো।
এই ছিল আমার কিছু বনসাই গাছের ফটোগ্রাফি। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | I phone15 pro max |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এর আগে কোনদিন বনসাই গাছ দেখা হয়নি। আপনি দেখছি আজকে বৃক্ষ মেলা থেকে বেশ কয়েকটি বনসাই গাছের ফটোগ্রাফি ধারণ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি বনসাই গাছের ফটোগ্রাফি দেখে বেশ ভালো লাগলো। আসলে বর্তমান সময়ে বনসাই গাছ আর তেমন একটা দেখতে পাওয়া যায় না। আজকে আমি আপনার মাধ্যমে প্রথম বনসাই গাছ দেখতে পারলাম।
বৃক্ষ মেলায় গেলে বিভিন্ন ধরনের গাছের দেখা পাওয়া যায়। এটা সত্যি বলেছেন আপু বনসাই গাছের দাম এতই বেশি যে, সাধারণ মানুষের বাসায় খুব কম দেখতে পাওয়া যায়। তবে বনসাই গাছ গুলো দেখতে কিন্তু চমৎকার লাগে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট বিস্তারিত ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
আপু আজ আপনার ব্লগের মাধ্যমে বনসাই গাছের ফটোগ্রাফি দেখে বেশ ভালো লাগলো। ঠিকই বলেছেন এই গাছগুলোর দাম এত বেশি জন্যই সাধারণ মানুষের বাসায় সচরাচর দেখা যায় না।
এই ধরনের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। আমি নিজেও কোথাও গেলে বিভিন্ন রকম ফটোগ্রাফি করার জন্য চেষ্টা করি। অনেক সুন্দর গাছের ফটোগ্রাফি আপনি আজকে সবার মাঝে শেয়ার করেছেন। এই গাছগুলো বৃক্ষ মেলা ছাড়া খুব কম জায়গায় দেখা যায়। সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করে অনেক সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। দেখে খুব ভালো লাগলো।
বৃক্ষ মেলা থেকে অনেক দিন আগে আমি এমন নাম না জানা অনেক কাজ দেখেছিলাম। কিন্তু সাংসারিক জীবনে এসে এ সমস্ত মেলাগুলো দেখা হয় না। তবে যাই হোক আপনি কিন্তু আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন বিভিন্ন গাছের ফটোগ্রাফি আর তার বিস্তারিত আলোচনা। আর এরই মধ্য দিয়ে অনেক কিছু জানার সুযোগ হল।
বনসাই গাছ গুলো দেখতে দারুন লাগে। অনেক বয়স হয়, তবে গাছ বড় হয় না। দেখতেই বুঝা বড় কোন বটগাছকে কেউ জাদু দিয়ে ছোট করে রেখেছে,হা হা হা। আপনি প্রথম ফটোগ্রাফিটা দেখতে এমনই বুঝা যায়। ধন্যবাদ।
খুবই সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন৷ আপনার কাছ থেকে এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ যেভাবে আপনি একের পর এক ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন তা খুবই সুন্দর হয়েছে৷ আজকে আপনি যে গাছের ফটোগ্রাফি ব্যবহার করেছেন সেই গাছ আমি আগে কখনো দেখিনি৷ আপনার কাছ থেকে এই প্রথম এরকম একটি গাছ দেখতে পেলাম৷
ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি গাছের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷