পাসপোর্ট অফিসে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। বাংলাদেশে এমন একটি দেশ এখানে যার অনেক বেশি টাকা আছে তার জন্য সব সিস্টেমই সহজ। বিশেষ করে সরকারি অফিসের কাজকর্মগুলো খুবই সহজ লাগে। আর যার কাছে টাকা নেই তার কাছে এই কাজগুলোই খুবই জটিল এবং সময় সাপেক্ষ হয়ে যায়। শুধুমাত্র বাংলাদেশেই মনে হয় টাকার বিনিময়ে সবকিছু হয়। এইতো সেদিন গিয়েছিলাম আমাদের পাসপোর্ট রিনিউ করতে আর ছোট ছেলের নতুন পাসপোর্ট করতে। যেহেতু আমরা একজন লোক ধরে গিয়েছিলাম সেজন্য আমাদের কাজটি খুবই অল্প সময় হয়েছিলো। তখন গিয়ে তাদের এই সিস্টেম দেখলাম। এখানে যারা বাড়তি টাকা দিয়েছে তারাই এই সুবিধাটা পাচ্ছে। আমরা গিয়েছিলাম ছবি তুলতে। বাড়তি টাকা দিয়ে ছবি তুলতেও দেখলাম যে বেশ ভিড়। আর বাইরে ঢোকার সময় বিশাল লাইন তো আছেই। আমি বসে বসে ভাবছিলাম যে এতগুলো টাকা বেশি দেয়ার পরেও অনেক লোকজনের ভিড় এখানে। তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। আর যারা বাইরে লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে আছে তাদের অবস্থা কিরকম। এদের কাজ শেষ হওয়ার পরে হয়তো তাদের ডাকা শুরু করবে।
অফিস খোলার আগেই আমরা গিয়েছিলাম সকাল সাড়ে আটটার দিকে। আমরা আসার পরেও আরো বেশ কিছু লোক অন্য গেট দিয়ে ভেতরে এসেছে। আমাদের মত এই লোক গুলোর মধ্যে যারা আগে এসেছে তাদেরকে আগে ছবি তুলতে দিচ্ছে। আর বাইরের লোকদের তো কখন ডাকবে তার কোন হিসাবই নেই।
আরেকটি বিষয় দেখে খুবই অবাক লাগল যে লোকটা ছবি তুলছে সে তো টাকা নিচ্ছেই তার মধ্যে এই টাকা নেওয়ার সময় কোন চেঞ্জই দেখতে পেলাম না। খুব স্বাভাবিকভাবেই একজনের কাছ থেকে টাকা নিলো। লোকটি হয়তো টাকা কিছুটা কম দিয়েছে কারণ উপর লেভেলের কারো পরিচিত ছিলো। টাকা কম দিলো জন্যই তারা হাসাহাসি করছিল। মনে হচ্ছিল যে এখানে ঘুষ দেওয়াটাই স্বাভাবিক আর না দেওয়াটাই অস্বাভাবিক।
যাইহোক আমাদের তিনজনের পাসপোর্ট রিনিউ করতে আর একজনের পাসপোর্ট করতে ৪৪০০০ টাকা লেগেছে। ঝামেলা ছাড়াই কাজটি মোটামুটি সম্পূর্ণ হয়েছে। এরপরে বাকি রইলো পুলিশ ভেরিফিকেশন। সেখানেও আবার টাকা দিতে হবে। টাকা ছাড়া কোন কাজই যেন হতে চায় না। যাইহোক টাকা দিয়েও সহজে কাজটি করা গিয়েছে তাই অনেক।
সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy

আমি শুনেছি এই পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে নাকি লাইনের পর লাইন দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আর যারা টাকা দিবে তারা কিছুটা হলে একটু অগ্রাধিকার পায় তানা হলে তো ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ।আপনাদের হয়তো দাঁড়িয়ে থাকতে হতো যদি টাকাটা আগে থেকে না দিতেন ।আর সকাল সকাল গেলে কাজগুলো একটু তাড়াতাড়ি সারা যায়। ভালোই হয়েছে ছোটটারও পাসপোর্ট করে ফেললেন।
জ্বী আপু নরমাল নিয়মে করলে এই পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে অনেক সময় লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আমরা বাড়তি টাকা দিয়ে করেছি জন্যই তাড়াতাড়ি করতে পেরেছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
পাসপোর্ট করাটা একটু ঝামেলার কাজ অনেক সময় নিয়ে করতে হয়। যাক আপনি ঝামেলা ছাড়াই কাজটি মোটামুটি সম্পূর্ণ করেছেন জেনে ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে
জি ভাইয়া মোটামুটি কাজ সম্পন্ন করে ফেলেছি। ধন্যবাদ আমার লেখাটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু বাংলাদেশে সবকিছুই টাকার খেলা।টাকা থাকলে এখানে সব ই করা সহজ হয়।যাক আপনাদের পাসপোর্ট রিনিউ আর ছোট ছেলের পাসপোর্ট করে নিয়েছেন ভালো ই করেছেন।ব্লগটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। এই অভিজ্ঞতা আমারও আছে।ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু বাংলাদেশে টাকা থাকলে জীবনযাত্রা অনেক সহজ। কিন্তু যাদের টাকা নেই তাদের কাছেই এই জীবনযাত্রা খুবই কঠিন। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
জানিনা এই সব সিস্টেম কোনদিন পরিবর্তন হবে কিনা। তবে এসব করা কখন উচিত নয়। যার কাজ যখন করা দরকার তার কাজ তখনই হওয়া উচিত। কারণ টাকা দিয়ে কেউ আগে চলে যাচ্ছে আর যাদের একটু আর্থিক সমস্যা আছে তারা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকবে এটা কেমন আইন তা আমার জানা নেই। তবে একটা কথা ঠিক বলেছেন বর্তমান সময়ে কিছু কিছু জায়গা দেখলে মনে হয় ঘুষ নেওয়াটা স্বাভাবিক আর না নেওয়াটাও অস্বাভাবিক।
মনে হয় না এসব সিস্টেম কোনদিন পরিবর্তন হবে। দিন দিন এগুলোই স্বাভাবিক সিস্টেমে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আসলেই আপু আমাদের দেশে ঘুষ এখন স্বাভাবিক একটি বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।বিশেষ করে সরকারি অফিস গুলোতে।এখানে একটি লোক টাকা কম দেওয়ায় হাসাহাসি হচ্ছিল,আর এটা আশ্চর্যের বিষয় আমাদের কাছে মনে হলেও তাদের কাছে এটা খুবই সহজ ভাত মাছ বলা যায়।যারা ঘুষ নিয়ে থাকেন,তাদের কোনো আক্ষেপ থাকেনা।আর যারা টাকা না দিয়ে কাজ করছেন,তাদের অবস্থা তো খুবই বেহাল তাহলে অপেক্ষার প্রহর সহজে শেষ হয়না।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
সরকারি অফিসগুলোতে তো ঘুষ ছাড়া কোন কাজই হয় না। নিয়মিত এরা ঘুষ নিতে নিতে এটাকেই স্বাভাবিক বানিয়ে ফেলেছে। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
আপু পাসপোর্ট অফিসে টাকা বাতাসে উড়ে একদম। টাকা দিলে মরা মানুষও জ্যান্ত এখানে। আমি নিজেও গতবছর রিনিউ করেছি তবে টাকা দেই নি, ঝামেলা করছিল বেশ কিন্তু আমি গলাবাজি একটু বেশি করেছিলাম, তারপর দেখলাম লোকটা একটু নরম হয়ে গেল। হিহিহিহি। কিন্তু আপনাদের অনেক টাকা লেগেছে সত্যিই। ঢাকা থেকে করার জন্য এত লাগলো। নিজের জেলা থেকে করলে এত লাগতো না। আমি যতদূর শুনেছি বাইরের সব জেলাতেই দাদাল নাকি পাসপোর্ট প্রতি আড়াই থেকে তিন হাজার এর বেশি নেয় না।
রংপুর থেকে করাতে চেয়েছিলাম। সবকিছু ঠিক করেছিলাম কিন্তু যাওয়ার সময় পুরনো পাসপোর্টগুলো নিতে ভুলে গিয়েছিলাম জন্য আর করা হয়নি। আর আগে জানলে তো আপনাকে নিয়ে যেতাম গলাবাজি করে আমাদের পাসপোর্ট গুলোরও কম দামে করিয়ে দিতেন।
আমিও নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম আপু আপনার আজকের এই এত সুন্দর পোস্ট এর মধ্য দিয়ে। অবশ্য এই বিষয়ে আমার জানা ছিল না। তবে নতুন ধারণা অর্জন করলাম। হয়তো ভবিষ্যতে কোন কাজে লাগতে পারে অথবা এ বিষয়ে জানা থাকা প্রয়োজন ছিল।
আমার পোস্টটি পড়ে আপনি নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন জেনে ভালো লাগলো আশা করি পরবর্তীতে আপনার কাজে লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
বাংলাদেশে টাকা ছাড়া কিছুই হয়না আপু। আর ঠিক বলেছেন। এরা যেনো এই ঘুষ নেওয়াটাকে স্বাভাবিক বানিয়ে ফেলেছে। টাকাই সব এই দেশে। অথচ স্বাভাবিক ভাবে চললে কত গুলো টাকাই না বেচে যেতো। এরা কারি কারি টাকা বেতন নিবে সাথে ঘুষ।