ছেলেদের ক্লাস পার্টিতে একদিন
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। এইতো মনে হয় সেদিন ছোট ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করালাম। দেখতে দেখতে এক বছর পার হয়ে গেল। আর সময় কত দ্রুত চলে যায় বোঝাই যায় না। বছর আসতে না আসতে দেখা যায় বছর শেষ হয়ে যায়। এভাবে একদিন দেখা যাবে আমাদের জীবনের সময়ও শেষ হয়ে যাবে। যাই হোক ছেলের স্কুলের শেষ দিনে ক্লাস পার্টির আয়োজন করেছিল স্কুল থেকে। সম্পূর্ণ স্কুলের সব ক্লাসে পার্টির আয়োজন করেছিল তারা। প্রতিটি ক্লাস টিচার এবং স্টুডেন্টরা মিলে খুব সুন্দর ডেকোরেশন করেছিল প্রতিটি রুম। বাচ্চারাও খুব এক্সাইটেড ছিল ক্লাস পার্টির জন্য। এমনিতে সকালবেলায় ঘুম থেকে যখন ডাকি স্কুলে যাওয়ার জন্য তখন কিছুটা বিরক্ত হয়। ঘুম থেকে উঠতে চায় না। কিন্তু সেদিনের সকাল বেলায় একবার ক্লাস পার্টির কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে লাফ দিয়ে উঠে গিয়েছে। তারপরে আর জোর করে ঘুম পাড়াতে পারছিলাম না। বড় ছেলের তো রাতে ঘুমই হয়নি। মাঝ রাতে বেশ কয়েকবার উঠেছে। মোবাইলে সময় দেখেছে সকাল হয়েছে কিনা। আমাকে বলে রেখেছে আমি যখন ফজরের নামাজ পড়তে উঠি তখন যেন ওকে ডেকে উঠাই। ও রেডি হয়ে বসে থাকবে। ক্লাস পার্টি শুরু হবে সকাল ১০ টায়। অত সকালে উঠে রেডি হয়ে বসে থাকবে। তারপরও সকাল সাড়ে ছয়টায় যখন কাজের খালা এসেছে তখন উঠে গিয়েছে, আর ঘুমায়নি। এতটাই এক্সাইটেড ছিল।
এদিন বাচ্চারা সবাই সবার পার্টি ড্রেস পড়ে এসেছিল। মেয়েদের বেশি সুন্দর লাগছিল। মেয়েরা খুব সুন্দর সুন্দর ড্রেস পরে এসেছিল। ছেলেদের তো আর তেমন স্টাইলিশ ড্রেস হয় না। যাইহোক সকালবেলায় আমরা স্কুলে চলে গেলাম। পার্টি শুরু হওয়ার অনেক আগে গিয়েছিলাম। এমনি দিনে বাচ্চাদের ক্লাসে ঢুকতে দেয় না। গেটের কাছ থেকে চলে আসতে হয়। আজকে অবশ্য ক্লাসে ঢুকতে দিয়েছে। আমরা যখন গিয়েছি তখনও ওদের ক্লাসের ডেকোরেশন পুরোপুরি কমপ্লিট হয়নি।
পরে টিচাররা এসে ডেকোরেশন কমপ্লিট করেছে। প্রতি ক্লাসে একটি করে কেক কেটেছে। তাছাড়া আরো বিভিন্ন মজার মজার আয়োজন করেছিল। বাচ্চারা খুবই আনন্দ পেয়েছে। পার্টি শেষে সবার খাবার ব্যবস্থা ছিল। খাবার আয়োজনও বাচ্চাদের পছন্দ মতই করেছে। চিকেন ফ্রাইড, রাইস, ভেজিটেবল, সিজলিং ছিল। স্কুল পার্টি শেষ হওয়ার সময় খাবার দিয়েছিল। তাই আর বাচ্চারা খায়নি। বাসায় এসে বেশ মজা করে খেয়েছিল।
বাচ্চাদের ক্লাসে দিয়ে আমরা ক্যান্টিন এ গিয়ে চিকেন বিরিয়ানি খেলাম। এমনিদিন বৃহস্পতিবার খিচুড়ির আয়োজন করে। আজকে পার্টি ছিলো দেখে চিকেন বিরিয়ানির বানিয়েছিল। ভালোই মজা ছিলো খাবারটি।
বাচ্চাদের আনন্দ দেখে আমাদেরও খুবই ভালো লেগেছিল। এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | I Phone 15 Pro Max |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু, একটা কথা দারুণ বলেছেন ছেলেদের পরের জন্য বেড়াইতে ড্রেস পাওয়া যায় না বাজারে। আমার মেয়ে যখন স্কুলে যেত মানে ছোটবেলায় একদমই তখন এরকম কোন অনুষ্ঠান থাকলে বেশ নিত্য নতুন ফ্রক পড়ে যেত কিন্তু ওর বন্ধুরা সেই প্যান্টের জামা। ছোটদের স্কুলে এই সমস্ত ডেকোরেশন এবং পার্টি খাওয়া দাওয়ার কনসেপ্ট বেশ ভালো লাগে৷ এতে করে বাচ্চারা স্কুলে যেতে আগ্রহী হয়ে ওঠে।
ঠিক বলেছেন আপু এরকম আয়োজন করলে বাচ্চারা খুবই খুশি হয়। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ফাইনাল এক্সামের আগে বাচ্চাদের ক্লাস পার্টি হয়।এতে বাচ্চারা ভীষণ আনন্দে দিনটি কাটায়।বাচ্চাদের সাথে সাথে মায়েরা ও কিন্তু কম আনন্দ করেনা।এটা ঠিক মেয়েদের ড্রেস নানান রকমের সুন্দর হয়।ছেলেদের সাজিয়ে গুজিয়ে নিলেও সাজগোজ করেছে মনে হয়না।আমার ছেলের ক্লাস পার্টি ১৮ তারিখ হয়ে গেলো।সেদিন ছেলে আমাকে ডেকে তুলল।তার মানে ওর চোখে ও ঘুম সেদিন ছিল না।যাক আপনারা,ও চিকেন বিরিয়ানি খেয়েছেন দেখে ভালো লাগলো।
আপনার ছেলেরও ক্লাস পার্টি হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। বাচ্চারা খুব এক্সাইটেড থাকে এই সময়। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।