লাকি ব্যাম্বো গাছের ফটোগ্রাফি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে লাকি ব্যাম্বো গাছের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। ব্যাম্বো কিন্তু বাঁশ গাছ না। এগুলোর অরজিনাল নাম ড্রেসেনা। অনেকেই লাকি ব্যাম্বো নামেই চিনে। এই গাছগুলো বিভিন্ন রকম ভাবে ডিজাইন করে তৈরি করা হয়। আবার সিঙ্গেলও থাকে এই গাছগুলো। সাধারণত পানিতে ভিজিয়ে রাখলে অনেকদিন বাঁচে। কিন্তু মাঝেমধ্যে পানি পরিষ্কার করে দিতে হয়। পানির উপরে কালো কালো জমলেই বুঝতে হবে পানিতে ভাইরাস জন্মেছে তখন পানি পরিবর্তন করে দিতে হয়।
আবার অনেকেই কাঁচের গ্লাসে বা কাঁচের টবে সাদা পাথর রেখে তার মধ্যে অল্প পানি দিয়ে এই গাছ লাগায়। এভাবেও গাছগুলো অনেকদিন বাঁচে। মাটিতে যখন লাগানো হয় তখন পানি দেয়ার ক্ষেত্রে খুবই সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। বেশি পানি দিলে গাছগুলো মরে যায় আমি বেশ কয়েকবার এই গাছগুলো কিনেছি। কিন্তু গাছগুলো বাঁচাতে পারিনি। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় গাছগুলো মরে যায়। পাতাগুলো হলদেটে হয়ে যায়। এজন্য আমার হাসবেন্ড এই গাছ আর কিনতেই দিতে চায় না। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় এই গাছগুলো ঘরের ভিতরে রাখলে খুব সুন্দর লাগে দেখতে। আজকে লাকি ব্যাম্বো গাছের বিভিন্ন ডিজাইনের ফটোগ্রাফি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। বেশিরভাগ ফটোগ্রাফিগুলো আমি বৃক্ষ মেলা থেকে করেছিলাম। বাকি কিছু ফটোগ্রাফি অন্য জায়গা থেকে করেছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
এই গাছটির সাইজ দেখেছেন। বিশাল বড় সাইজের গাছটি। একটির সঙ্গে আরেকটি গাছ মুড়িয়ে মুড়িয়ে বানানো হয়েছে। এই গাছগুলোর অনেক বেশি দাম। এক একটি গাছ পাঁচ ছ হাজার টাকা করে নেয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আরও বেশি। আমার মনে হয় না এই গাছগুলো বাসায় নিয়ে আসলে বেশিদিন বাঁচবে।
এই গাছটি পাশাপাশি করে একটি সঙ্গে আরেকটি লাগানো। ছোট থেকে বড় সাইজ করে লাগিয়েছে। যার কারণে খুবই সুন্দর লাগছিল দেখতে।
এই গাছটিকে তিনটি গাছ পাশাপাশি করে তারপরে মুড়িয়ে মুড়িয়ে গোল করে লাগিয়েছে। যার কারণে দেখতে খুবই ভালো লাগছে। আমারও মন চাইছিলো একটি গাছ কিনে নিয়ে যাই। কিন্তু দাম দেখে আর কেনার ইচ্ছা হলো না। কারণ বাসায় আনার পর যদি মরে যায়।
এই গাছগুলোর ফটোগ্রাফি বাসার পাশের একটি দোকান থেকে করেছিলাম। সেখানে এই গাছগুলি বিক্রি করছে। কিন্তু সাইজে খুবই ছোট ছোট ছিল। গাছগুলো বৃক্ষমেলার গাছগুলোর মত অত বড় বড় সাইজ ছিল না। কিন্তু এই গাছগুলোর অনেক বেশি দাম ছিল। এক একটি ৮০০ থেকে ১.৫ হাজার টাকা করে।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
ইউটিউব এ ভিডিওর মাধ্যমে আগে এই গাছগুলো দেখেছিলাম। গতবছর বৃক্ষ মেলাতে ভ্রমণ করতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের গাছ দেখেছি।কয়েকটি ডিজাইনের লাকি ব্যাম্বো গাও দেখছিলাম।আপনার ফটোগ্রাফি ও বর্ণনা খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আমিও বৃক্ষ মেলায় গিয়ে এই গাছের ফটোগ্রাফি গুলো করেছি। বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন করা এই গাছগুলো। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
এই গাছ দিয়ে এতো সুন্দর ডেকোরেশন করা যায় সেদিন আমি বৃক্ষমেলায় না গেলে বুঝতান ই না।আর এই গুলোর দান এতো ভাবা যায়। তবে এগুলো ঘরে রাখলে অনেক বেশি সুন্দর লাগে। অনেক সুন্দর হয়েছে ফটোগ্রাফি গুলো ধন্যবাদ আপনাকে।
বৃক্ষ মেলায় এইরকম গাছ গুলো আরো বেশি দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের। দেখতে আসলেই খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
একটি গাছের দাম পাঁচ হাজার টাকা বা তার চেয়েও অধিক ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে গাছটি আসলেই অনেক সুন্দর। সত্যি বলতে আমি আজকে প্রথম দেখলাম, আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে নতুন কিছু দেখতে পেয়ে বেশ ভালো লাগলো।
এগুলো বানাতে মনে হয় অনেক বেশি কষ্ট করতে হয়। এজন্য গাছগুলোর দাম এত বেশি।
লাকি ব্যাম্বো সম্পর্কে আমার তেমন ধারণা ছিল না, যাইহোক আপনার পোস্ট পড়ে মোটামুটি ধারণা পেলাম। গাছগুলো কিন্তু সত্যিই সুন্দর, আর সুন্দর করে লাগানো হয়েছে বিধায় বেশ আকর্ষণীয় দেখাচ্ছে। তবে বাসায় আনলে আমার মনে হয় এই গাছগুলো টিকবে না। এতো দামী গাছ যদি বাসায় আনার পর না টিকে তখন সত্যিই খারাপ লাগতো।
আমার পোস্টটি পড়ে এই গাছের সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। আমারও মনে হয় গাছগুলো বাসায় আনলে টিকবে না। সেজন্য আর কেনা হয় না। ধন্যবাদ আপনাকে।
লাকি ব্যাম্বো গাছ দেখতে অসাধারণ লাগছে আপু। এই প্রথম আমি গাছ গুলো দেখলাম। গাছগুলো দেখে ইচ্ছে করছে এখনই কিনে নিতে। ধন্যবাদ আপনাকে ব্যাম্বো গাছের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
এই গাছগুলো ইদানিং খুব দেখা যায়। কোন এক সময় দেখবেন আপনারও চোখে পড়ে গিয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
এই ধরনের গাছগুলো সাধারণত বাড়ি বা বাগানের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ব্যবহার করা হয়। লাকি ব্যাম্বু বা ড্রেসেনা গাছটা তো বেশ চমৎকার। এবং এটা সম্পর্কে আপনার পোস্ট থেকে বিস্তারিত জেনে একটু অবাক হলাম। এগুলো রোপন করে টিকিয়ে রাখা বেশ কঠিন। পাশাপাশি অন্য গাছগুলো চমৎকার ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
আমি বেশ কয়েকবার এই গাছ কিনেছি। কিন্তু প্রতিবারই গাছগুলো মারা যায়। এজন্য এখন আর কেনার আগ্রহ পাই না। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার শেয়ার করা প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি একটি থেকে একটি অসাধারণ হয়েছে । এরকম ফটোগ্রাফি আমি কখনো দেখিনি। আপনার কাছ থেকে এই প্রথম এরকম সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।
গাছগুলোই দেখতে এত চমৎকার যে ফটোগ্রাফিতে আরো বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করার জন্য।
লাকি ব্যাম্বো গাছের এত সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখে আমি তো অনেক বেশি মুগ্ধ হয়েছি। এই গাছগুলো আমার অনেক বেশি পছন্দের। এই গাছগুলো মুড়িয়ে মুড়িয়ে বানানো হয়, যা আমার কাছে দেখতে অনেক ভালো লাগে। বৃক্ষ মেলা থেকে করা এই গাছটার ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। অনেক বেশি সুন্দর ছিল বিভিন্ন আকৃতির এই গাছটির ফটোগ্রাফি।
মুড়িয়ে বিভিন্ন ডিজাইন করা হয় জন্য গাছগুলো দেখতে আরো বেশি আকর্ষণীয় লাগে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
এমন গাছ আগে কখনো দেখেনি। মজার ব্যাপার হলো গাছগুলো বানানো হয়! লাকি ব্যাম্বু গাছের দামটাও বেশি। তবে বাড়িতে সংরক্ষণ করা তাহলে টাফ! মারা গেলে সব টাকা জলাঞ্জলি যাবে।
এজন্যই এত টাকা দিয়ে এই গাছগুলো কিনে রিস্ক নেই না। শুধু গাছগুলোই বাঁচাতে পারি না আর ডিজাইন করা গুলো তো আরো বেশি মুশকিল হবে। ধন্যবাদ আপনাকে।