ভ্রমন পোস্টঃ হাজবেন্ডের সাথে মোবারকগঞ্জ সুগার মিলে ঘুরতে যাওয়ার খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত।
🌿আমি তানহা তানজিল তরসা। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @tanha001।
হ্যালো বন্ধুগণ.........
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি।প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি ভ্রমণ পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। মূলত আজ আমি এই পোস্টের মাধ্যমে মোবারকগঞ্জ সুগার মিলে ঘুরতে যাওয়ার খুব সুন্দর একটা মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো।আশাকরি আমার শেয়ার করা ভ্রমণ পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
আমার বাসা থেকে এ মোবারকগঞ্জ সুগার মিলটা বেশি দূরে না,সর্বোচ্চ আমার বাসা থেকে দশ মিনিটের পথ। আমার বাসা থেকে অনেক নিকটে হলেও আমি এই সুগার মিলে খুব কম গেছি।যদিও তেমন একটা যাওয়া হয়নি তাই আপনাদের ভাইয়া বলল শীতের মৌসুম চলে যাচ্ছে অথচ আমরা কোথাও ঘুরতে যেতে পারলাম না এখনো পর্যন্ত। যেহেতু বেশ কিছুদিনের জন্য তার অফিস ছুটি হয়েছে তাই আমি আমার বাবার বাসায় এসেছি ঘুরতে।আর যেহেতু এখনো পর্যন্ত আমরা কোথাও ঘুরতে যেতে পারিনি তাই ভাবলাম বাসার পাশে মোবারকগঞ্জ সুগার মিল থেকে একটু ঘুরে আসি।ওই আর কি যেমন ভাবনা তেমন কাজ। আমরা দুজনে অবশ্য গিয়েছিলাম বাবুকে সাথে নিয়নি কারণ বিকাল টাইমে বের হয়েছিলাম আর যেহেতু ঠান্ডার সময় তাই আর বাবুকে সাথে নিয়ে যায়নি বাসায় রেখে গিয়েছিলাম।বিকালে যখন বাসা থেকে রওনা হলাম, তখন প্রকৃতির সবুজ শোভা এবং গ্রামের শান্ত পরিবেশ মনকে আপ্লুত করেছিল। মোবারকগঞ্জ সুগার মিলে পৌঁছে প্রথমেই চোখে পড়ল বিশালাকার মিল ভবন। সুগার মিলের ভিতরে এই রাস্তা গুলো সম্ভব সুন্দর।রাস্তার চারিপাশে গাছ গাছালির জন্য আরও দৃশ্যটি অনেক সুন্দর লাগছিলো। আরো মিলের ভিতরে ছিল অসংখ্য গাড়ি এবং সেখানে ছিল অনেক আখ সংগ্রহ করা।সেখানে ছিল অসংখ্য শ্রমিক।কর্মীরা সেখানে ব্যস্ততার সাথে কাজ করছিলো, আর বাতাসে ভেসে আসছে মিষ্টি গন্ধ,আখের রস থেকে চিনি উৎপাদনের গন্ধ।
এরপর মিলের ভেতরে ঘুরে দেখলাম চিনির উৎপাদন প্রক্রিয়া। আখ মাড়াই থেকে শুরু করে রিফাইনিং প্রতিটি ধাপই অত্যন্ত আধুনিক এবং সুসংগঠিত। শ্রমিকদের কর্মদক্ষতা দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ হলাম।আমি যখন মিলের ভেতরে এ ঘুরছিলাম তখন আমি আবার অনেক ভয়ও পাচ্ছিলাম। মিলের ভেতরে অনেক শব্দ আর কেন জানি অনেক ভয় লাগছিল।বিশেষ করে আমি যখন উপরে উঠেছিলাম অনেক ভয় পাচ্ছিলাম। কিন্তু সেখানে আমাকে দুইটা আংকেল বলল তুমি ভয় পাচ্ছো কেন মা এখানে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই তুমি পড়বা না। আমি তখন আঙ্কেল দের কে বললাম ঠিক আছে আঙ্কেল আমি আর ভয় পাবো না।এরপর মিলের চারপাশে একটু হাঁটাহাঁটি করলাম এবং অনেক ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি করেছিলাম।মিলের কাছেই রয়েছে একটি ছোট্ট উদ্যান এবং বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা। মিলে অসংখ্য শ্রমিক কাজ করে তাদের জন্যই রয়েছে এ বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা। মিলের ভিতরে যেমন ছোট উদ্যান আছে এ তেমন মিলের ভিতরে ইস্কুলও আছে।মিলের এই স্কুলে অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করছে। উদ্যানটি খুবই সুন্দর যেখানে সময় কাটানো যায়। দূর দূরান্তের ও এলাকার মানুষ এই সুগার মিলে ঘুরতে আসে।মোবারকগঞ্জ সুগার মিলে ভ্রমণ আমার কাছে একটি শিক্ষণীয় এবং আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা ছিল। শুধু চিনির উৎপাদন প্রক্রিয়া নয়, এর মাধ্যমে মানুষের জীবনধারা এবং দেশের অর্থনীতিতে চিনিকলের অবদানও উপলব্ধি করতে পেরেছি। ঝিনাইদহ জেলায় কালীগঞ্জ থানায় এই ঐতিহ্যবাহী স্থানটি ভ্রমণকারিদের জন্য সত্যিই অনেক সুন্দর।সব মিলিয়ে আমরা খুব সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছিলাম।
পোস্টের বিষয় | ভ্রমণ পোস্ট |
---|---|
পোস্টকারী | তানহা তানজিল তরসা |
ডিভাইস | রেডমি নোট ১১ |
লোকেশন | পাবনা |
হাজবেন্ডের সাথে মোবারকগঞ্জ সুগার মিলে ঘুরতে যাওয়ার খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করেছেন আপু। আসলে আরিয়ান ভাই এবং আপনি দুজনেই কিন্তু অনেক ভালো মনের মানুষ। আপনাদের এক সাথে দেখলে অনেক বেশি ভালো লাগে আমার। আপনারা হাজবেন্ড ওয়াইফ দুজনে মিলে মোবারকগঞ্জ সুগার মিলে ঘুরতে গিয়েছিলেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনি আপনার অনুভূতি শেয়ার করেছেন দেখে আরো বেশি ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনার এত সুন্দর মতামত শেয়ার করে পাশে থেকে উৎসাহিত দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
যারা চাকরি করে তাদের জীবনটা হলো বন্দি কারাগারের মতো। কখন অফিসিয়ালি ছুটি দিবে তারপর প্রিয় মানুষগুলোর সাথে ঘোরাঘুরি করার মতো এবং সুন্দর মত সময় উপভোগ করতে পারবে সেই অপেক্ষায় চাতক পাখির মত চেয়ে থাকে। অবশেষে ভাইয়ার ছুটি হওয়ার জন্য সুগার মিলে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছেন পোস্ট পড়েই বোঝা যাচ্ছে। সেই মুহূর্ত থেকে কিছুটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাইয়া ঠিকই বলেছেন আমাদের জীবনটা একদম বন্দী কারাগারের মতোই। আপনার ভাইয়া বেশ কিছুদিনের ছুটি পাওয়ার কারণে একটু ঘুরাঘুরি করতে পারছি। আপনার সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আপু ভাইয়ের সাথে ঘুরতে যাওয়ার দারুণ মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। মাঝে মাঝে এমন করে ঘুরতে ঘুরতে ভীষণ ভালো লাগে। দুজনে একসাথে প্রথম ছবিটা দারুন লাগছে। চিনির উৎপাদন প্রক্রিয়া খুবই সুন্দরভাবে উপভোগ করেছেন। বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
একদম ঠিক কথা বলেছ, মাঝে মাঝে একটু ঘুরাঘুরি করলে মন-মানসিকতা ও শরীর দুটোই ভালো থাকে। আমার শেয়ার করাপ্রথম ফটোগ্রাফিটা তোমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।