ভিডিওগ্রাফিঃ মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের ভেতরের দৃশ্যের ভিডিওগ্রাফি।
🌿আমি তানহা তানজিল তরসা। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @tanha001।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি।
মোবারকগঞ্জ সুগার মিল শুধু একটি কারখানা নয়, বরং শত শত কৃষকের ঘামঝরা পরিশ্রমের ফল যেখানে রূপ নেয় সোনালি গুড়ে। মিলের ভেতরে ঢুকলেই আখের মিষ্টি সুবাসে মন ভরে যায়। বিশাল মাঠজুড়ে সারি সারি আখের স্তূপ, যা পরে মিলের পিষাই মেশিনের মধ্যে ঢোকে, শুরু হয় চিনি তৈরির জটিল প্রক্রিয়া।আখ যখন মেশিনে পিষে ফেলা হয়, তখন এর রস বেরিয়ে বড় বড় পাইপ বেয়ে প্রবাহিত হয় বিশাল কড়াইগুলোর দিকে। ঘন ও সোনালি বর্ণের এই রস ধীরে ধীরে জ্বাল দেওয়া হয়, আর তার সঙ্গে যোগ করা হয় প্রয়োজনীয় পরিশোধন উপকরণ। ক্রমাগত নেড়েচেড়ে ফেনা ছাড়িয়ে একসময় তা পরিণত হয় গাঢ় সুগন্ধী গুড়ে। চুলার আঁচ যত বাড়ে ততই রসের ঘনত্ব বাড়তে থাকে, আর ধীরে ধীরে তা ঘন গুড়ের রূপ নেয়। শ্রমিকেরা লম্বা কাঠের খুন্তি দিয়ে সেটি নাড়াচাড়া করতে থাকেন, যেন কোনো অংশই পুড়ে না যায় বা অতিরিক্ত তরল না থাকে।মিলের প্রাণ হচ্ছে এর বয়লার। বিশাল আকারের এই বয়লারগুলোতে আখের শুকনো ছোবড়া ব্যবহার করা হয় জ্বালানি হিসেবে। বয়লারের উজ্জ্বল লালচে-কমলা আগুন যেন এক বিশাল দৈত্যের ফুসফুসের মতো, যা সারাদিন জ্বলতে থাকে মিলের চাকা সচল রাখতে। উত্তপ্ত ধাতব চুল্লির ভেতর দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা আগুন যখন শক্তি উৎপন্ন করে, তখন মিলের ভেতর এক অদ্ভুত গুঞ্জন বয়ে যায় মেশিনের শব্দ, আগুনের ঝাঁঝালো আওয়াজ আর শ্রমিকদের কর্মব্যস্ততার এক সম্মিলিত সুর তৈরি হয়।এই মিলের প্রতিটি কণা, প্রতিটি আগুনের ফুলকি আর গুড়ের প্রতিটি বিন্দুর সঙ্গে মিশে থাকে কৃষকের পরিশ্রম, কারিগরদের যত্ন, আর শত শত মানুষের রুজির যোগান। তাই মোবারকগঞ্জ সুগার মিল কেবল চিনি বা গুড়ের কারখানা নয়, এটি পরিশ্রম আর মিষ্টতার এক অনন্য প্রতীক।
পোস্টে বিবরণী | ভিডিওগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | রেডমি নোট ১১ |
ক্যামেরা | ৫০মেগাপিক্সেল |
লোকেশন | পাবনা |
