মাদ্রাসার এতিম বাচ্চারা ও গ্রামের মুসল্লিদের জন্য খাওয়ার আয়োজন 🍲
🌷👰আমি তানহা তানজিল তরসা। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @tanha001।
প্রথম ছবি দেখেই হয়তো আপনারা বুঝতে পেরেছেন আজ আমি কি বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। অনেক দিন ধরে ইচ্ছা ছিলো মাদ্রাসার ছাত্র, এতিম বাচ্চাদের ও গ্রামের কিছু অসহায় মানুষকে খাওয়ানোর। আপনারা সবাই কমবেশি জানেন যে আমি গ্রামে থাকি না। তাই ভাবলাম যখন একবার গ্রামে এসেছি তখন ইচ্ছাটা এবার পূরণ করেই যাবো ইনশাল্লাহ।ইচ্ছাটা অনেক দিন ধরেই পুরন করার চেষ্টা করছিলাম তবে সেটা করে উঠতে পারিনি সময়ের অভাবে।আমার না যেতে পারার কারনে কাজটা থেমে ছিলো।তাই আব্বু ও আম্মু আমাকে বলল তোমরা যখন এসেছো তাহলে এবার আমরা কাজটা সম্পূর্ণ করতে পারি। তবে আল্লাহর অশেষ রহমতে সেই কাজটা আজ সম্পন্ন করতে পেরেছি। প্রায় ২০০ জন মানুষের খাবারের আয়োজন করা হয়েছিলো। আমারা সাদা ভাত, ছাগলের মাংস, মুরগির মাংস আর ঘন করে চর্বি দিয়ে ছোলার ডাল রান্না করা হয়েছিলো আর সাথে ছিলো মুসুরির ডাল।
মূলত খানার আয়োজন করা হয়েছিলো শুক্রবারে। বাড়ির সব সদস্যরা মিলে রান্না করা হিয়েছিলো।আব্বু, আম্মু চাচা,চাচি থেকে শুরু করে ভাই ভাবিদের নিয়ে আমারা অনেক মজা করে রান্নার কাজ পরিচালনা করেছিলাম।আমরা সকলে অনেক আনন্দ করেছিলাম। আমাদের সাথে আমাদের ছোট ছোট বাচ্চা গুলাও অনেক আনন্দ করছিল এটা দেখে আমার সত্যিই অনেক ভালো লাগছিল।
এরপর আপনারা দেখতেই পারছেন এখানে পেঁয়াজ রসুন শুকনা মরিচ এক কথায় রান্নার জন্য যাবতীয় যেসব জিনিসগুলো লাগে এখানে সেইগুলাই কোটা বাছা করা হচ্ছে। এবং যেই যাবতীয় জিনিসগুলা বাটা লাগে সেগুলো ও এখানে তৈরি হচ্ছে। সবাই মিলে কাজ করার মধ্যে একটা মজাই আলাদা।পরিবারের সদস্য গুলো যখন হাতে হাতে কাজগুলো করছিলো তখন দেখতে অসম্ভব ভালো লাগছিল।
এরপর আপনারা দেখতেই পারছেন রান্নার কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। প্রথমে আমরা ২৭ কেজি চাউলের ভাত রান্না করে নিই এবং তার পাশে আরেকটা চুলা তৈরি করে ১৭ কেজি ছাগলের মাংস উঠায় দিই রান্নার জন্য।এরপর আমরা মুরগির মাংস ও ছাগলের চর্বি দিয়ে ছোলার ডাউল ঘন করে রান্না করি এবং সাথে পাতলা করে মসুরির ডাউল রান্না করা হয়। এভাবেই আমরা পর্যায়ক্রমে প্রতিটি পদ আস্তে আস্তে সুন্দর ভাবে রান্না করি।রান্নার সময় সবাই অনেক আনন্দ করেছি এবং খুব সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছি আমরা।আমার ছেলে আইয়ান বাবু তো অনেক খুশি ছিল আর আমাকে সে প্রশ্ন করছিল আম্মু তুমি রান্না করছো।এখন আমি আমার ছেলেকে বলি হ্যাঁ বাবা রান্না করছি। এরপর রান্না করতে করতে মাদ্রাসার ২০ জন বাচ্চা আমাদের বাসায় আসলো কোরআন খতম দেওয়ার জন্য।আমরা তাদের বসার জন্য সুন্দর ব্যবস্থা করে দিলাম এবং তাদের নাস্তার ব্যবস্থাও করা হলো। এরপর তারা কোরআন খতম দেয়ার পর মাগরিবের নামাজ পড়তে মসজিদে চলে গেল।এরপর মাগরিবের নামাজ শেষে আমাদের মাদ্রাসার বড় হুজুররা এবং এতিমখানার বাচ্চারা ও গ্রামের অনেক মুসল্লিরা আমাদের বাসায় আসলো। এরপর ছোটখাটো একটা ওয়াজ মাহফিল হল তারপর এশার আজান দিয়ে দিল তারপর সবাই নামাজ আদায় করতে চলে গেলো মসজিদে।
এরপর সবাই মসজিদ থেকে নামাজ শেষ করে আবার আমাদের বাসায় আসলো। এরপর আমরা তাদের খাবার দেওয়ার আয়োজন শুরু করলাম।আমরা তাদের পর্যায়ক্রমে খাবার দিতে লাগলাম। তবে আমরা মাংসের ক্ষেত্রে বাটি সিস্টেম করেছিলাম যাতে কোন ঝামেলা সৃষ্টি না হয়। আলহামদুলিল্লাহ সবকিছু খুব সুন্দর ভাবেই মিটে গিয়েছিল। কোন খাবারেই শর্ট পড়েনি আল্লাহর অশেষ রহমতে আরো কিছু খাবার বেঁচে গিয়েছিল।আর সেই খাবারগুলো আমরা আশেপাশের মানুষের মাঝে ভাগাভাগি করে দিয়েছিলাম। কাজটি খুব সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি এটাই অনেক। তার জন্য আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া।
পোস্টের বিষয় | লাইফস্টাইল |
---|---|
পোস্টকারী | তানহা তানজিল তরসা |
ডিভাইস | রেডমি নোট ১১ |
লোকেশন | পাবনা |
যেখানে আল্লাহর রহমত থাকে সেখানে খাবার কখনো কম পরে না আপু। আপনি একটি ভালো কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন এটা দেখেও ভালো লাগলো। মানুষদের খাওয়ালে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। অনেক চমৎকার ভাবে এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি আপু আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন, আল্লাহর রহমত যেখানে থাকবে সেখানে খাবারের কখনো কম করবেনা। আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
মানুষকে খাওয়ানো অনেকসবের বিষয়। আর অনেক সময় দেখা যায় এভাবে বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে মানুষ মানুষকে খাওয়ায় থাকে। যাইহোক আপনাদের আয়োজনটা দেখে ভালো লাগলো এবং উদ্দেশ্য যেন পূরণ হয় সে কামনা রইল।
এটা কোন বিষয়কে কেন্দ্র করে খাওয়াইনি আপু আমরা। প্রতিবছরেই চেষ্টা করি এই ছোট্ট আয়োজনটা করার। আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু আপনার আজকের পোস্ট দেখে খুবই ভালো লাগলো। যাই হোক আপনাদের আশা পূরণ হয়েছে ওটা শুনে খুবই ভালো লাগলো। তাছাড়া আপনারা ২০০ জন মানুষকে খাওয়ালেন বিষয়টা কিন্তু আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো। তাছাড়া আপনাদের বাসায় বিশ জন মাদ্রাসা থেকে বাচার এসেছিল কুরআন খতম দেওয়ার জন্য মাশাআল্লাহ। তাছাড়া খুব সুন্দর করে পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো। মাশাআল্লাহ পোষ্ট দেখে ভালো লাগলো।
আপনার সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। জি ইচ্ছাটা পূরণ করতে পেরে আমি নিজেও অনেক খুশি।