ছোট গল্প: জাদুকরী শহরের রহস্য
🌿আমি তানহা তানজিল তরসা। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @tanha001।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি ছোট গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি।আমি বরাবরি লেখালেখি করতে অনেক পছন্দ করি ঠিক তেমনি পড়তে অনেক ভালোবাসি।আমার বাংলা ব্লগে অনেক সদস্যরা অনেক সুন্দর সুন্দর ছোট গল্প লিখে পোস্ট করে থাকেন। তাদের লেখা পোস্টগুলো আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগে। আশা করি আমার লেখা পোষ্টও আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।চলুন তাহলে শুরু করে যাক।
রাতের আকাশে চাঁদটা ঝলমল করছে, আর নিচে এক আশ্চর্য শহর নীরব নগরী সোনালি আলোয় ভাসছে। শহরটা একেবারে সাধারণ নয়, কারণ এখানকার মানুষদের চোখের তারায় এক অদ্ভুত ঝলক থাকে। শোনা যায় এই শহরে সবাই জন্ম থেকেই কিছু না কিছু জাদু জানে।শহরের এক কোণে এক কিশোরী থাকে অভিরা। ওর বয়স পনেরো, কিন্তু আজও একটুও জাদু করতে পারে না। ছোটবেলা থেকে সবাই বলত, "ও তো জাদুশূন্য" মা-বাবাও হতাশ কারণ নীরব নগরীতে জাদুহীন মানুষ থাকাটা অভিশাপের মতো। অভিরা অবশ্য এসব নিয়ে মাথা ঘামাত না, ওর ভালো লাগত পুরোনো বই পড়তে আর শহরের রহস্যময় গলিগুলো ঘুরে দেখতে।একদিন অভিরা শহরের পুরোনো লাইব্রেরিতে একটা বই পায়"আলোক ও অন্ধকারের সঙ্গীত"বইটা খুলতেই পৃষ্ঠাগুলো আলো ছড়াতে থাকে, আর হঠাৎ ওর চারপাশ বদলে যায়। ও নিজেকে দেখে এক বিশাল আঙিনায়, যেখানে বাতাসে শব্দ ভাসছে কখনও মিষ্টি গান, কখনও গম্ভীর আওয়াজ।তুমি এখানে কেন এসেছ?অভিরা ঘুরে দেখে এক রহস্যময় বৃদ্ধ দাঁড়িয়ে আছেন, হাতে রূপার ছড়ি।আমি জানি না বইটা খুলতেই এখানে চলে এলাম।বৃদ্ধ হেসে বললেন, তুমি কি জানো, এই শহরের সবচেয়ে বড় গোপন রহস্য কী?অভিরা মাথা নাড়ে।এই শহরের জাদু শব্দে বাঁধা। যার হৃদয় সবচেয়ে বিশুদ্ধ, সেই পারে সত্যিকারের জাদু সৃষ্টি করতে।
অভিরা হতভম্ব হয়ে বলে, কিন্তু আমি তো কিছুই পারি না।বৃদ্ধ মৃদু হাসলেন, তোমার ভেতরেই লুকিয়ে আছে এক মহাশক্তি। কেবল সঠিক শব্দগুলো উচ্চারণ করলেই তুমি পাবে। অভিরা চোখ বন্ধ করল, বুকের ভেতর এক অদ্ভুত অনুভূতি কাজ করল। তারপর আস্তে আস্তে বলল "আলো জাগুক, নীরবতা ভাঙুক"চারপাশ আলোয় ভরে গেল, বাতাসে সুর বাজতে থাকল। সেই মুহূর্তে অভিরা বুঝতে পারল ওই ছিল সত্যিকারের জাদু। ও শুধু নিজের শক্তি খুঁজে পায়নি, বরং নীরব নগরীর হারিয়ে যাওয়া আলোও ফিরিয়ে এনেছে।শহরের মানুষ তখন বিস্ময়ে দেখল তার "জাদুশূন্য"মেয়েটিই আসলে সবচেয়ে শক্তিশালী।
গল্পের মূলভাব:
প্রত্যেক মানুষের ভেতরেই এক অনন্য শক্তি লুকিয়ে থাকে, যা সঠিক সময় ও বিশ্বাসের মাধ্যমে জাগ্রত হয়। সমাজ যাকে দুর্বল বা অযোগ্য ভাবে, সেই কখনো কখনো সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখলে এবং সঠিক পথ খুঁজে পেলে, যে কেউ নিজের ভিতরে লুকিয়ে থাকা ক্ষমতাকে আবিষ্কার করতে পারে।
পোস্টের বিষয় | ছোট গল্প |
---|---|
পোস্টকারী | তানহা তানজিল তরসা |
ডিভাইস | রেডমি নোট ১১ |
লোকেশন | পাবনা |

গল্পটা একদমই ভিন্ন ধরনের। জাদুর রাজ্যের যে মেয়ে সবচেয়ে জাদু-শূন্য ছিল সেই মেয়েই সবচেয়ে বেশি ক্ষমতার অধিকারী, এটা বোঝানো হয়েছে। গল্পের মূলভাবটা পড়ে আসলে এই বিষয়টাই বুঝতে পারলাম। যারা একটা সময় কিছুই জানেনা তারা হয়তো বা পরিস্থিতি এবং সুযোগের সন্ধানে অনেক বড় কিছু করে ফেলতে পারে। দারুন লিখেছেন আপু ভালো লাগলো পড়ে।
আমার লেখা ছোটগল্পটি ভালো লাগার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু ভালো থাকবেন।
এরকম গল্পগুলো আরও চাই আপু।গল্প পড়তে ভীষণ ভালো লাগে।
আপনার গল্পটি সত্যিই চমৎকার! নীরব নগরীর রহস্য, অভিরার আত্ম-অনুসন্ধান এবং শব্দের জাদু—সবকিছু মিলিয়ে দারুণ মনোমুগ্ধকর লেগেছে। বিশেষ করে, "আলো জাগুক, নীরবতা ভাঙুক" অংশটি একদম হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।আরও এমন গল্পের অপেক্ষায় রইলাম আপু।
আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।