নাটক রিভিউঃ ধনী গরিবের লড়াই [পর্ব-২৩ তম ]❤️
আমি তানহা তানজিল তরসা । আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @tanha001।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসি.........
আজ আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আমার নতুন পোস্টে সকল ভাই ও বোনদেরকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানাচ্ছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি নাটক রিভিউ নিয়ে এসেছি। আজ আমি ধনী গরিবের লড়াই নাটকের ২৩ তম পর্ব নিয়ে কথা বলবো।এই নাটকটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। যার কারনে আমি এই নাটকটি প্রতিনিয়ত রিভিউ করার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়েছি। আসলে ঈগল টিম বেশ চমৎকার ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আশা করি আমার শেয়ার করা নাটকের রিভিউ আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। ব্যাক্তিগত ভাবে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে যার কারনে আপনাদের মাঝে রিভিউ টা নিয়ে এসেছি। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
নাটকের প্রথমে দেখা যায় মোড়ল বাড়ির লোক ও নায়কের বাড়ির লোক দুই পক্ষ মুখোমুখি হয়েছে।রতন ও সোহানা দুজন দুজনকে দেখে অবাক হয়ে যায়। এরপর রতন চলে যায় মোড়ল বাড়ির লোকজন নিয়ে আর সোহানাও তার বাড়িতে ফিরে যাই। এদিকে দেখা যায় নায়ক ও সুরুজ দুজন জেলের মধ্যে আটক আছে।তারা দুজন কথা কাটাকাটি করেছে আর সুরুজ নায়ককে বলছে আমি তোদের কাউকে ছাড়বো না। এ কথা শুনে নায়ক সুরুজের গায়ে হাত তুলতে যায়।
এদিকে দেখা যায় সোহানা রতনের কথা ভাবছে আর রতন সোহানার কথা ভাবছে। রতন ভাবে সে সোহানাকে ছাড়া বাঁচবে না। আর এদিকে সোহানা ভাবে মোড়ল বাড়ির লোকের সাথে আমাদের এত গ্যাঞ্জাম আর আমি কিভাবে মোড়ল বাড়ির ছেলেকে ভালোবাসবো। তারা দুজন দুজনের জায়গা থেকে এই সবই ভাবতে থাকে।
এ দিখে দেখা যায় মোড়ল বাড়ির বড় মেয়ে সুলতানা দাঁড়িয়েছিল ঠিক সেই মুহূর্তে সেখানে মাস্টার এসে তাকে বলে আজ নাকি আপনারা রিমা আপার শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন তাদের মারার জন্য। কিন্তু ফিরে আসলেন কেন। তখন মাস্টার বলে গিয়েছিলাম তো মারার জন্য কিন্তু রতনের জন্য হলো না। রতন ওই ফকিন্নি বোনকে দেখে থেমে গেল। এই কথা বলতে বলতে সেখানে সুলতানের মা এসে হাজির হয়। এরপর মাস্টার সেখান থেকে চলে যেতে চাই কিন্তু সুলতানা থাকে বাধা দেই। এরপরও মাস্টার চলে যায় সেখান থেকে। এরপর সুলতানের মা জিজ্ঞাসা করে আজ ফিরে আসলি কেন তোরা। তখন সুলতানা বলে সবতো রতনের দোষ। রতনে তো ফিরে আসলো। রতন মনে হয় রিমার ননদের প্রেমে পড়েছে। এ কথা শুনে সুলতানার মা সুলতানা কে একটা থাপ্পড় দেই। এরপর সুলতানা জিজ্ঞাসা করে তুমি আমাকে মারলে কেন তখন রাগের মাথায় মেরেছি । এরপর সুলতানা সেখান থেকে রাগ করে রুমে চলে যাই।
এরপর দেখা যায় মোড়ল সাহেব তার ছেলের রতনকে ডেকেছে। এরপর মোড়ল তার ছেলেকে প্রশ্ন করে আজ কেন ঐ ফকিন্নিদেরকে নামেরে চলে আসলে। এরপর মোড়লের ছোট ভাই রতন কে বলে তুই কি ওই মেয়েকে চিনস। তখন রতন বলে হ্যাঁ চিনি কিন্তু জানতাম না যে ওটার রিমার ননদ। এ কথা শুনে মোরল অনেক রেগে যাই। তখন মোড়লের ছোট ভাই বলে যা এখন এখান থেকে ভাই এখন রেগে গেছে। এরপর মোড়লের ছোট ভাই মোড়ল কে বলে ভাইজান আপনার মনের মত কাজ সুরুজ ছাড়া কেউ করতে পারবে না। আপনি সুরুজকে জেল থেকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করেন। এরপর মডেল সাহেব বলে বিকালেই ওকে ছাড়াতে যাব। এদিকে দেখা যায় রিমাকে যেখানে আটকে রেখেছে সেখানে চৌকিদারের চৌকি দিচ্ছে। দুপুর টাইমে একজনের ডিউটি শেষ হলে আরেকজন যখন ডিউটি করতে যাচ্ছিল সেই টাইমে মাস্টার তার পিছু নিয়েছিল। এরপর পিছু নিতে নিতে মাস্টার আসল জায়গায় যে পৌছাই এবং সবকিছু দেখে।
এদিকে দেখা যায় সুলতানা পড়ছিল ঠিক সেই মুহূর্ত সেখানে তার দুই ভাবি গিয়ে হাজির হয়।তখন তার ভাবীরা সুলতানা কে প্রশ্ন করে আজ রিমার শ্বশুরবাড়ির লোককে মারতে গিয়েছিলে কিন্তু ফিরে আসলে কেন। তখন সুলতানা বলে রতনের জন্য ফিরে এসেছি। রতন রিমার ননদকে দেখে আমাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে চলে এসেছে।একথা শুনে তার দুইভাবি অনেক রাগ করে এবং ওই ফকিন্নি যদি এই বাড়ির বউ হয়ে আসে তো আমরা কখনোই মেনে নেব না। এদিকে দেখা যায় মাস্টার ও মোড়ল বাড়ির ছোট বউ দাঁড়িয়ে কথা বলছিল ঠিক সেই মুহূর্তে সেখানে সুলতানা এসে হাজির হয়।এরপর সুলতানা বলে তোমাদের সব কথা আমি শুনে ফেলেছি। তোমাদের সাথে আমিও যাব রাতের বেলা রিমা কে উদ্ধার করতে। এ কথা শুনে মাস্টার বলে আপনি রিমা আপাকে উদ্ধার করতে যাবেন তাহলে কেন ওর শ্বশুর বাড়ির লোকের উপর হামলা করতে যান।তখন সুলতানা বলে আমি আমার বোনকে ভালবাসি তবে বোনের জামাই কে না।এরপর রিমার ছোটমা বলে আমি খুব খুশি যে তুই আমাদের পক্ষে এসেছিস। কোন সুলতানা বলে ছোটমা আমি তোমাকে ছোটকাল থেকে অনেক ভালবাসি।
এদিকে দেখা যায় রতন সোহানাকে দেখার জন্য তার বাসার পাশে চলে এসেছে। এরপর সোহানা তাকে বলে আপনি কেন এখানে এসেছেন। এরপর রতন তার হাত চেপে ধরে বলে আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না। ঠিক সেই মুহূর্তে সেখানে নায়কের দুই বন্ধু চলে আসে এবং রতনের গলার চেপে ধরে বলে আমার বোনের হাত ধরার সাহস কে দেছে তোর। এরপর সোহানা রতনের কলার ছাড়তে বলে এবং তার ভাইয়েরা তার কলার ছেড়ে দেই। এরপর সোহানা রতন কে বলে দে আর কখনো আমার সামনে আসবেন না এখান থেকে চলে যান সেখান থেকে চলে যাই। এরপরে দেখে দেখা যায় রিমার জন্য খাবার নিয়ে এসেছে তার বড় ভাবি। তার ভাবি খাবার নিয়ে আসার পর রিমা রিমা বলে ডাকছিল পেছন থেকে রিমা একটা ভারি কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যাই। এরপর নাটকটি শেষে যায়। পরবর্তীতে কি ঘটনা ঘটে তা পরবর্তী পর্বে দেখা যাবে। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
পোস্টের ধরন | নাটক রিভিউ |
---|---|
নাটকের নাম | ধনী গরিবের লড়াই পর্ব ২৩ তম |
পরিচালক | সুলাইমান। |
অভিনয়ে | ইফতি,জান্নাতুল মাওয়া, রাফি ইসলাম সৌরভ, মায়া মিম, জাহাঙ্গীর কবির ও আরও অনেকেই। |
দৈর্ঘ | ১৯ মিনিট ২০ সেকেন্ড |
মুক্তির সময় | ২৮ আগস্ট ২০২৪ খ্রিঃ |
এরপর নাটকটি শেষ হয়ে যায়.............
পোস্টের বিষয় | নাটক রিভিউ |
---|---|
পোস্টকারী | তানহা তানজিল তরসা |
ডিভাইস | রেডমি নোট ১১ |
লোকেশন | পাবনা |
ধনী গরিবের লড়াই এই নাটকটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। প্রায় মাঝেমধ্যে আমি এই নাটকের বেশ কিছু পর্ব দেখেছি। আজকে আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে ২৩ তম পর্ব রিভিউ করে দেখিয়েছেন। অনেক অনেক ভালো লাগলো এ পর্বের রিভিউ পড়ে।
নাটকটি আপনার অনেক পছন্দের জেনে অনেক ভালো লাগলো।
আপু আপনি ধনী গরীবের লড়াই নাটকের আজ ২৩ তম পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনার পোস্টের মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে এই নাটক দেখা হয়। এমনেতে বেশি সময় পাওয়া যায় না তাই আপনাদের রিভিউ পড়েই নাটক দেখা হয়। এই নাটক আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে। আপনি সম্পূর্ণ রিভিউ খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর নাটক রিভিউ দেওয়ার জন্য।
আমার পোষ্টের মাধ্যমে যে আপনি নাটক দেখার সুযোগ পান এটা আমার সার্থকতা। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
আজকে দেখতে দেখতে আপনি আমাদের মাঝে ধনী গরিবের লড়াই নাটকের ২৩ তম পর্ব শেয়ার করলেন। আপনার নাটক রিভিউটি পড়ে মনে হচ্ছিল যেন আমি নাটকটি লাইভ দেখতেছি। আসলে এ রকম নাটক রিভিউ পড়লে আর নাটক দেখার প্রয়োজন হবে না। আসলে সময়ের অভাবে নাটক তেমন দেখা হয় না, কিন্তু সময় পেলেই আমি নাটক দেখি। আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। জ্বি পরবর্তী পর্ব খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
আপনি দেখতে দেখতে ২৩ টি পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন।ঈগল টিমের প্রতি টা নাটক আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। যদিও এই নাটকটি এখনো দেখা হয়নি তবে কিছু অংশ দেখছিলাম খুবই ভালো লেগেছে। সময় করে নাটক টি দেখে নিবো।ধন্যবাদ আপু পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
আমার মত আপনার ও ঈগল টিমের নাটক অনেক ভালো লাগে জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাই।
আপু নাটক যদিও ততটা দেখার সময় পাইনা তবে আজ আপনার নাটকের রিভিউটি দেখে বোঝা যাচ্ছে নাটকটা অনেক সুন্দর। দেখতে দেখতে আপনি অনেকগুলো পর্বই শেয়ার করে ফেলেছেন। আপনি খুব সুন্দর করে নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। সময় পেলে এই নাটকটি আমিও দেখে নিব।
জ্বি আপু নাটকটি খুবই সুন্দর এবং এই নাটকে যারা অভিনয় করেছে তারা তাদের চরিত্র খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছে। সময় করে নাটকটি দেখবেন আশা করি অনেক ভালো লাগবে।
ধনী গরিবের লড়াই এই নাটকটির কয়েকটি পর্ব আমি দেখেছি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। ধনী গরিবের লড়াই নাটকের আজকের পর্ব খুবই সুন্দর ছিলো। আপনি আমাদের মাঝে দুর্দান্ত ভাবে নাটক রিভিউ করেছেন । আপনার নাটক রিভিউ দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধনী গরিবের লড়াই নাটকের বেশ কিছু পর্ব আপনি দেখেছেন জেনে খুশি হলাম ভাই। বাকি পর্বগুলো দেখবেন আশা করি অনেক ভালো লাগবে।
ধনী গরিবের লড়াই নাটকটা অনেক বেশি সুন্দর। আর আমার কাছে এই নাটকটা অনেক সুন্দর লাগে দেখতে। আজ আপনি অনেক সুন্দর করে এই নাটকের ২৩তম পর্বের রিভিউ সবার মাঝে শেয়ার করেছেন। আশা করছি আপনি খুব শীঘ্রই এই নাটকের পরবর্তী পর্বটা সবার মাঝে শেয়ার করবেন।
আপনার কাছে অনেক ভালো লাগে জেনে খুশি হলাম। খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
খুবই সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ করেছেন আপনি। আসলে নাটকের রিভিউ পোস্ট দেখলে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। যে নাটকটি আমি দেখি নাই সে নাটক দেখার সুযোগ হয়। কারণ সব সময় আপনারা সুন্দর নাটকগুলোর রিভিউ করে থাকেন। ধনী গরিবের লড়াই নাটকের ২৩ পর্বের রিভিউ করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার গঠন মূলক মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।