অনেক বড় একটি টেনশনের দিন ছিল আজ
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভালো আছি।
এমনিতেই শরীর এখনো পুরোপুরি ঠিক হয়নি, কাঁশি, গলা বসা, আর কানে ব্যথা কমছেই না।এরপর আরও একটি বড় টেনশনের দিন ছিল আজ। আমার মত আমার মায়েরও গলব্লাডারে স্টোন ছিল। তবে বেশি দিনের ছিল না, মাত্র ৩/৪ মাস আগে ধরা পড়েছিল। ধরা পড়ার পর ডক্টর বলেছিল এখন অপারেশন করতে পারবে অথবা কয়েক মাস পরেও করতে পারবে।যেহেতু তখন বেশ ভালোই ঠান্ডা ছিল, এছাড়া আমার বোনেদের বাচ্চাকাচ্চাদের ফাইনাল পরীক্ষা ছিল তাই সবাই ডিসিশন নিয়েছিল বাঁচ্চাদের ফাইনাল পরীক্ষার পরই অপারেশনের ডেট ফাইনাল করবে। এরপর আম্মা অপারেশনের উদ্দ্যেশে ঢাকায় আমার বোন তাওহীদার বাসায় চলে যায়। সেখানে যাওয়ার পর সবকিছু টেস্ট করার পর হার্টের সামান্য একটু প্রবলেম দেখা দেয় এ কারণে অপারেশন ডেট টা একটু পিছিয়ে যায়। এরপর সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এই বৃহস্পতিবার অপারেশন করানোর কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ডাক্তারের প্রবলেম হয়ে যায় তাই বৃহস্পতিবারে না করে আজ শুক্রবার অপারেশন করে ফেলে।
আজ বাংলাদেশ সময় সকাল আটটার সময় অপারেশন করানোর কথা ছিল, কিন্তু সকালবেলা অপারেশন না করে দুপুরে জুম্মার নামাজের পর অপারেশন টি সেরে ফেলে ডক্টর। এদিকে টেনশনে তো অবস্থা খারাপ আমার।বারবার ফোন ও মেসেজ দিয়ে আপডেট নিচ্ছিলাম অবস্থা জানার জন্য।এরপর আমার বোন ফোন করে বলল অপারেশন সাকসেসফুল সব কিছুই ঠিক আছে। আমি ছাড়া আমার সকল ভাই বোন সেখানেই ছিল। এরপর ওটি থেকে বের করে ঘুমের ওষুধ দিয়ে রেখেছিল।এরপর আবার আরেক যন্ত্রণা। জ্ঞান ফিরেছিল না, প্রায় 5 ঘন্টা পর জ্ঞান ফিরেছে। তাহলে চিন্তা করে দেখুন সকলের অবস্থা কেমন হয়েছিল।বারবার ফোন দিয়ে শুনছিলাম জ্ঞান ফিরেছে নাকি? অবশেষে ফোনে জানতে পারলাম জ্ঞান ফিরেছে। কিন্তু অক্সিজেন লেভেল কম ছিল তাই অক্সিজেন দিয়ে রেখেছিল। সবশেষে ফোন দিয়ে মায়ের সাথে কথা বলে তারপর মনে শান্তি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আশা করছি আগামীকাল শনিবার ঘরে ফিরতে পারবে।
আমার বোনেরা বলল স্টোন গুলো নাকি অনেক নরম ছিল, আর অনেক ছোট সাইজের।নরমালি স্টোনগুলো শক্ত হয়ে থাকে।জানিনা এত আর্লি স্টেজে অপারেশন করা ঠিক হয়েছে কিনা।বাংলাদেশে র সিস্টেম ধরা পড়ার সাথে সাথেই অপারেশন করিয়ে ফেলে।এই দেশে হলে কোন দিনও এত তাড়াতাড়ি করতো না।বেশি সিরিয়াস না হলে তারা অপারেশন করে না।আমার অবস্থা দেখুন কত বছর হয়ে গিয়েছে কিন্তু এখনও পাত্তাই দিচ্ছে না।এর আগে হসপিটালে এমার্জেন্সিতে গিয়েছিলাম তখন তারা বলল দ্রুত লেটার পাঠিয়ে অপারেশনের ডেট জানিয়ে দিবে।এরপর তাদের কোন সারা শব্দ না পেয়ে কিছু দিন আগে হসপিটালে ফোন দিয়েছিলাম।তখন তারা আমাকে জানালো আমি ওয়েটিং লিস্টে রয়েছি।কিন্তু কবে ডেট দেওয়া হবে তারা তা জানেনা।তাই এখন শুধু অপেক্ষা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। যাইহোক আল্লাহর অশেষ রহমতে অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছে।এখন শুধু একটিই চাওয়া আমার মা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ঘরে যেতে পারে।
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন। পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[

এই সমস্যাটা আমার আম্মুরও ছিল আপু। পরবর্তীতে অপারেশন করে নিয়েছিল।অনেক স্টোন পেয়েছিল আর ছোট বড় মিলিয়ে ছিল।আমরা তখন ছোট ছিলাম।আপনার আম্মুর অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছে এবং শনিবারের মধ্যে বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন শুনে খুব ভালো লাগছে।আসলে এমন সময়গুলো আসলেই অনেক ভয়ের। দোয়া রইলো আপনাদের সবার জন্য।
দূর থেকে মা-বাবার অসুস্থতার কথা শুনলে অনেকটাই খারাপ লাগে।আপনার আম্মুর গল ব্লাডারের অপারেশন সাকসেসফুল ভাবে হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে যান এমনটাই আশাকরি। সব ভাইবোন মায়ের পাশে থাকলে ও পরিস্থিতির কারনে আপনি অনেকটাই দূরে।আপু দোয়া করি আপনার আম্মুর জন্য। আপনিও দোয়া করেন।সন্তানের দোয়া মা-বাবার জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন খুবই পছন্দ করেন।
আমার মনে হচ্ছে এমন আর্লি স্টেজে অপারেশন করাটা ঠিক হয়নি। কয়েক মাস মেডিসিন খেয়ে দেখলে ভালো হতো। যদি ঠিক হয়ে যেতো, তাহলে তো অপারেশন দরকার হতো না। যাইহোক আন্টির অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছে, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো আপু। আন্টি যাতে খুব শীঘ্রই বাসায় যেতে পারেন, সেই কামনা করছি। আসলে বিদেশে থাকলে পরিবার নিয়ে এমনিতেই টেনশন হয়। আর পরিবারের কেউ যদি সিরিয়াস অসুস্থ হয়,তাহলে তো দুশ্চিন্তার সীমা থাকে না। তাছাড়া আপনিও তো অসুস্থ। সবমিলিয়ে বেশ চাপে ছিলেন আপু। আপনার পুরো পরিবারের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো।