ব্রাইটন সমদ্র সৈকতে সকলে মিলে ছোটখাট একটি পিকনিক।।পর্ব : ৪
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।
এই কয়েকদিন আমাদের এখানে ওয়েদার খুবই খারাপ। ঠান্ডা মনে হচ্ছে যাচ্ছেই না। মাঝে দুই তিন দিন ওয়েদার বেশ ভালোই ছিল, ১৪-১৫ ডিগ্রী ছিল তাপমাত্রা। কিন্তু এখন আবার ৬ থেকে ৭ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে, কারণ বৃষ্টি ও সাথে প্রচন্ড বাতাস হচ্ছে। এই খারাপ ওয়েদারে বাসা থেকে বের হতেই মন চায় না, কিন্তু না বের হয়ে উপায় নেই। বাচ্চাদেরকে স্কুল থেকে আনা নেওয়া করতে হয়। তবে আনন্দের বিষয় হচ্ছে আগামীকাল থেকে তাদের দুই সপ্তাহের জন্য স্কুল বন্ধ হতে যাচ্ছে স্টার হলিডে উপলক্ষ্যে। রোজার মধ্যে ভোর সাতটার সময় ঘুম থেকে ওঠা খুবই কষ্টকর একটি ব্যাপার। চোখ খুলতে খুব কষ্ট হয়। যাইহোক এবার চলে যাচ্ছি মূল পর্বে।গত পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম ব্রাইটন সমুদ্র সৈকতে সকলে মিলে পিকনিকের ৩য় পর্ব ।আজকে তার চতুর্থ পর্ব নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম।
আসলে ওই দিন আমাদের অনেক দেরি হয়ে যায় কারণ আমরা বেলা দুইটার সময় ব্রাইটন সমুদ্র সৈকতে পৌঁছাই। পরে সেখান থেকে খাওয়া দাওয়া করে ঘোরাফেরা করে ব্রাইটন প্যালেস পেয়ারে যাই। ব্রাইটন প্যালেস পেয়ারে কিছুক্ষণ বাচ্চারা উপভোগ করার পর আমরা সেখান থেকে বের হয়ে যাই। তখন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যায়। সন্ধ্যার কিছুটা সময় আগে চারিপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশ খুবই চমৎকার লাগছিল। সকলে মিলে দারুণ উপভোগ করছিলাম তখন।
কত চমৎকার লাগছে তাই না, সূর্য ডোবার সময়?
হাজবেন্ডের খালাতো বোন।
এরপর একটু বিরতি। বিরতি মিনিং করলাম ছোটখাটো খাওয়া-দাওয়া। বাচ্চারা ঠান্ডার মধ্যেই পছন্দ করে বসলো আইসক্রিম। আর আমরা বড়রা নিলাম কফি। ঠান্ডার মধ্যে সকলে মিলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কফি খেতে বেশ ভালোই লাগছিল। এরপর খাওয়া দাওয়া শেষে সকলে মিলে ব্রাইটন সমুদ্র সৈকতকে বিদায় দিলাম। এরপর চলে গেলাম তার পাশে খুবই চমৎকার একটি ক্যাসেল দেখতে। আগামী পর্বে ওই ক্যাসেলের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
দেখুন রাস্তার এক সাইডে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে লোকটি গান করছে।
আজ তাহলে এতটুকুই, আগামী পর্বে আমাদের এনজয় করা আরও কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[

আমি বেশ কিছু ভিডিও তে দেখেছি এইভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে গান গাইতে। বেশ ঠান্ডা পড়ছে আপনাদের ওখানে। সাথে আবার বাতাস এবং বৃষ্টি অবস্থা একেবারে শোচনীয়। ব্রাইটন সমুদ্র সৈকতে শেষ বিকেলে সূর্যাস্ত টা বেশ দারুণ লাগছে। এককথায় চমৎকার। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল আপু। সবমিলিয়ে পুরো পরিবার বেশ দারুণ উপভোগ করলেন সময় টা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে আপু।
আপু একমাত্র আপনার জন্য আমরা লন্ডনের বিভিন্ন জায়গার ফটোগ্রাফি দেখে থাকি ৷ বিগত দিন গুলো তেও তাই দেখেছি ৷ বাচ্চাদের ছুটির সুবাদে পরিবার মিলে ব্রাইটন সমদ্র সৈকতে সকলে মিলে পিকনিক আয়োজন ৷ সত্যি বলতে আমরা ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে মন ভালো হয়ে যায় ৷ সূর্য ডোবার ফটোগ্রাফি টি দেখার মতো ছিল ৷ যা হোক পরের পর্বে আরো ভালো কিছ দেখতে পাবো এমনটাই প্রতার্শা ব্যাক্ত করছি ৷
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
রোজার সময় সকাল ১০ টার আগে ঘুম থেকে উঠতে খুবই কষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু প্রয়োজন হলে তো কিছুই করার নেই। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। প্রতিটি ফটোগ্রাফি জাস্ট অসাধারণ হয়েছে আপু। বিশেষ করে সূর্য ডোবার দৃশ্যটা এককথায় দুর্দান্ত লেগেছে। ব্রাইটন প্যালেস পেয়ার দারুণ জায়গা এবং আপনারা নিঃসন্দেহে চমৎকার সময় কাটিয়েছেন সেখানে। পরবর্তী পর্বে তাহলে ক্যাসেলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পাবো। সেই অপেক্ষায় রইলাম আপু।