শুরু হয়ে গেল রমাদান, সাথে কিছু অনুভূতি
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভালো আছি।
দেখা গিয়েছে পবিত্র রমাদান মাসের চাঁদ।চলে এলো রহমত, বরকত ও মাগফেরাতের মাস। শনিবার থেকে ব্রিটেন, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্য সহ বিভিন্ন দেশে শুরু হতে যাচ্ছে পবিত্র রমাদান।এই মাসে মুসলিমরা ভোর থেকে সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত রোজা রেখে থাকে।এটি ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম একটি।এই মাসে ধৈর্য, দানশীলতা ও সমাজ কল্যাণের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়।এই মাসে ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ আল কুরআন হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর উপর নাযিল হয়।এ মাসে মুসলমানরা সংযম ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে বিশ্বাসকে দৃঢ় করার চেষ্টা করেন, পাপ থেকে বিরত থাকেন, বেশি বেশি প্রার্থনা ও দান খয়রাত করেন এবং আল্লাহর নৈকত লাভের জন্য বিশেষ এবাদতে মগ্ন থাকেন।সবাইকে জানাচ্ছি পবিত্র মাহে রামাদানের অগ্রিম শুভেচ্ছা।
আমার ফ্যামিলিতে এবারের রমাদান একটু ভিন্ন। কারণ আপনারা অনেকেই আমার পোস্ট এর মাধ্যমে জেনেছেন কয়েকদিন আগে আমার হাজবেন্ডের অপারেশন হয়েছে।অপারেশন কিন্তু নরমাল ছিল না, অনেক বড় ধরনের একটি অপারেশন ছিল।আলহামদুলিল্লাহ এখন মোটামুটি ভালই রয়েছে। তবে প্রবলেম হচ্ছে প্রতিদিন ড্রেসিং এর জন্য হসপিটালে যেতে হচ্ছে।প্রায় দুই সপ্তাহ এভাবে প্রতিদিন যেতে হবে।বেশি নড়াচড়া করা যাবে না, খুব সাবধানে থাকতে হচ্ছে।এদিকে আমি একা পড়ে গিয়েছি বিপদে। কারণ ঘর সামলানো, বাচ্চাদের স্কুলে আনা নেওয়া, এছাড়া দরকারি জিনিসপত্র কেনাকাটা নিজেকেই করতে হচ্ছে।বেশি কেনাকাটা করতে হতো না, যদি রোজা না হতো। কারণ রোজার জন্য একটু বেশি বেশি কিনতে হচ্ছে।মাংস, চাল ,ডাল, তেল এগুলো আগে থেকেই কেনা ছিল। কিন্তু আরো বাড়তি যেগুলো দরকারি জিনিসপত্র ইফতারের জন্য লাগে সেগুলো কেনার জন্য আগামীকাল আবার বের হতে হবে।আসলে বাড়ির কর্তা যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে এর চাপ বাড়ির কর্তির উপরে গিয়ে পড়ে।কি আর করা? এটিই মেনে নিতে হবে, এটি আল্লাহর একটি পরীক্ষা।
প্রতিবছর আমার ইফতার বানাতে হতো না কারণ হাজব্যান্ড রেস্টুরেন্ট থেকে ইফতার পাঠাতো।শুধুমাত্র যেদিন হাজবেন্ডের অফ ডে থাকতো সেদিন শুধু আমি তাকে বানিয়ে খাওয়াতাম।এখন যেহেতু রেস্টুরেন্টে যেতে পারছে না তাই তাকে এখন আমাকেই বানিয়ে খাওয়াতে হবে।যাইহোক অনেক চাপের মধ্যে রয়েছি। নিজের পোস্টটি করতে টাইম পাচ্ছি না।এরপর আবার শুরু হতে যাচ্ছে রোজা, তাহলে চিন্তা করুন আমার অবস্থা তাহলে হবে কেমন? প্রতিদিন হাজব্যান্ডকে হসপিটালে নেওয়া ড্রেসিং এর জন্য, এরপর এসে রান্না বান্না, বড় বাচ্চাকে স্কুল থেকে আনা, এরপর ইফতারের আয়োজন, ইফতার করে কিছুক্ষণ পরে আবার তারাবি নামাজ।এতবড় বিপদে এর আগে কখনও পড়িনি, এত দায়িত্ব কখনো নিতে হয়নি।যাইহোক তারপরও চেষ্টা করে যাচ্ছি সবকিছু ম্যানেজ করতে।সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
যাইহোক, বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালে লেগেছে। পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[

একা হাতে সবকিছু করা সত্যিই অনেক কঠিন। একদিকে ভাইয়া অসুস্থ অন্যদিকে বাসার প্রয়োজনীয় সব কাজে একাই করতে হচ্ছে। আসলে এরকম চাপের মধ্যে পড়লে সবকিছু সামলানোটা মুশকিল হয়ে যায়। আপু আপনি এত চাপ সামলাতে গিয়ে যেন নিজে অসুস্থ হয়ে না পড়েন সেদিকে খেয়াল রাখবেন। রমজানের শুভেচ্ছা রইল আপু।
আপনার পরিস্থিতি সত্যিই অনেক চ্যালেঞ্জিং, তবে আপনি যেভাবে সব কিছু সামলাচ্ছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। রমাদান মাসের পবিত্রতা এবং পরিবারের দায়িত্ব, দুইটাই একসাথে পালন করা একটি বড় পরীক্ষা। আল্লাহ আপনাকে সব কষ্টে সহ্যশক্তি দিন এবং আপনার পরিবারকে সুস্থ রাখুন। এই কঠিন সময়ে আপনার প্রচেষ্টা সত্যিই অনুপ্রেরণার। আশা করি, শিগগিরই সবকিছু সহজ হয়ে উঠবে। আমাদের পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য দোয়া রইল।
ভাইয়ার অপারেশন হয়েছে দোয়া করি সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।ঘরের প্রধান ব্যক্তিটি অসুস্থ হলে কাজের চাপ বেড়ে যায়। এর মধ্যে আবার রমজান চলে এলো।কাজের চাপ আরো কিছুটা বৃদ্ধি পেলো।দোয়া করি আল্লাহর রহমত আপনার ও আপনার পরিবারের উপর বর্ষিত হোক,আমিন।
আপনি তো দেখছি সবমিলিয়ে বেশ চাপে আছেন তাহলে। ভাইয়া সুস্থ থাকলে তো কোনো ঝামেলাই হতো না। আশা করি ভাইয়া খুব শীঘ্রই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবে। যাইহোক আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো আপু। ভালো থাকবেন সবসময়।
খুবই ঝামেলার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দেখছি আপু। ভাইয়ার সুস্থ্যতা কামনা করছি। আসলে বাড়ির প্রধান কর্তা অসুস্থ হলে সব কাজ কর্তির উপরেই পরে। রমজানে আগে থেকেই বাজার করে রেখেছেন এটা ভালো করেছেন। আশা করছি রমজান আপনার জীবনে বরকত নিয়ে আসবে।