বাগানের জন্য প্রস্তুতি পর্বঃ ৩, সাথে কিছু ফটোগ্রাফি
আসসালামুআলাইকুম ,
সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আবার আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে গেলাম বাগান প্রস্তুতির তৃতীয় পর্ব নিয়ে।গত পর্বে আপনাদেরকে দেখিয়েছিলাম সদ্য গজানো কিছু চারা, ফুল ও ফলের ফটোগিরাফি। নতুন নতুন আরো অনেকগুলো চারা গজিয়েছে সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।এছাড়া যে চারাগুলো একটু বড় হয়েছে সেগুলোকে বাগানে লাগানো হয়েছে।নতুন আরও কিছু ফুলের চারা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো সহ আমার বাগানের ফলের গাছগুলোর কিছু ফটোগ্রাফি এবং বাগানের কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।সর্বমোট ৪৫ টি ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
প্রথমেই এ সপ্তাহে গজানো নতুন চারা দিয়ে শুরু করলাম। এ সপ্তাহে নতুনের মধ্যে রয়েছে তরমুজ, পুঁইশাক, বেগুন এবং করোলা। যদিও করোলা গত সপ্তাহেই উঠে গিয়েছিল তা আপনাদের দেখানো হয়নি। তরমুজ কিন্তু গত বছরেও আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম।একটি তরমুজ গাছ বাঁচাতে পেরেছিলাম এবং ছোট্ট একটি তরমুজও পেয়েছিলাম।
তরমুজের চারা।
পুঁইশাক ও বেগুন।
করোলা।
এগুলো গত সপ্তাহের, বাগানে আলাদাভাবে লাগানো হয়েছে।
এগুলোও নতুন, কিছু শাক।
এটি সেই লেবু গাছ বাংলাদেশ থেকে এনেছিলাম এবং তাকে বাঁচানোর জন্য আমার রান্না ঘরে রেখে দিয়েছিলাম শীতের হাঁত থেকে বাঁচানোর জন্য। সাথে একটি পেয়ারা গাছও আনা হয়েছিল বাংলাদেশ থেকে কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি। আর নিচে যে গাছটি দেখতে পাচ্ছেন এটি এইদেশের লেবু গাছ, গতবছর অনেকগুলো লেবু ধরেছিল।এখনো বেঁচে আছে।
এখন আপডেট দিতে যাচ্ছি আমার বাগানের ফলের গাছগুলোর, যে গুলোর শীতে কোন সমস্যা হয়না, সারাবছরই ভালো থাকে।
উপরের গাছ দুটি আঙ্গুরের, একটি সবুজ আঙ্গুর আর একটি লাল আঙ্গুর।
এটি চেরি গাছ।
এটি আপেল, কত কিউট লাগছে তাইনা? চারটি গাছেই আপেল ধরেছে।
উপরের ফটো দুটি ফিগ ফল, বাংলায় বলে ত্বীন। পবিত্র কুরআনে ত্বীন নামে একটি সুরা আছে। এটি সেই ত্বীন ফল। এটি খুবই পুষ্টিকর এবং এক্সপেন্সিভও বটে।
উপরের গাছ দুটি পেয়ার ফল।
এবার নিয়ে যাচ্ছি আমার বাগানের ফুলের রাজ্যে।গত সপ্তাহে কতগুলো ফুল দেখিয়েছিলাম যেগুলো লাগিয়েছিলাম আমার বাসার সামনের বাগানে।আর এগুলো পিছনের বাগানে লাগিয়েছি।পেছনের বাগানটি অনেক বড়। ফলমূল, শাকসবজি সবকিছুই এই বাগানে।
লাল, গোলাপী জেরানিয়াম।
উপরের ফুল দুটি আপনারা সবাই চিনেছেন তাই না? এটি গাঁদা ফুল। আমি ভেবেছিলাম এই ফুল শুধু বাংলাদেশেই পাওয়া যায়। ইংল্যান্ডে যে এই ফুল পাওয়া যায় তা জানতাম না। হঠাৎ করে হাসবেন্ড নিয়ে এসেছে।
গোলাপে প্রথম কুড়ি এসেছে এবছর।
এবার আমার বাগানের কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আমার বাগান শুধু ফলমূল ও ফুলের জন্যই না, এটি ছোট্ট একটি প্লেগ্রাউন্ড বাচ্চাদের জন্য। নানান ধরনের রাইড আনা হয়েছে তাদের আনন্দের জন্য।
পানি দেয়া হচ্ছে। এই বাগানের পিছনে কিন্তু যথেষ্ট খাটনি রয়েছে। আর সেই কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে আমার হাসবেন্ড। যখনই সময় পায় তখনই কাজে লেগে যায় বাগানকে সুন্দর করার জন্য।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপু ইচ্ছা করছে আপনার বাড়িতে গিয়ে একদিন ঘুরে আসি। আপনার বাড়ি যদি বাংলাদেশে হতো তাহলে আমি অবশ্যই একদিন গিয়ে ঘুরে আসতাম। যেমন ফুলে ফলে ভরে আছে তেমন বাচ্চাদের খুব সুন্দর খেলার জায়গাও রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগিয়েছেন এগুলোর পরিচর্যা করতেও নিশ্চয়ই বেশ কষ্ট হয় আপনার। বাংলাদেশ থেকে নেওয়া লেবু গাছটি বেঁচে আছে শুনে বেশ ভালো লাগলো কিন্তু পেয়ারা গাছের জন্য মন খারাপ হলো। নিশ্চয়ই আপনি গাছের প্রতি বেশ যত্নশীল। যার কারণে সব গাছে ফল ধরে আছে ।এবং নতুন নতুন অনেক গাছ গজাচ্ছে।
বাংলাদেশে পর্যাপ্ত পরিমানে মাটি পানি ও চারা রোপনের সুন্দর পরিবেশ ও আবহাওয়া থাকার শর্তেও আমার মনে হয় এখানে কেউ এত পরিশ্রম করে না। গাছদের প্রতি আপনার এই ভালোবাসা দেখে মুগ্ধ হলাম । অবশ্য ভাইয়াকো ধন্যবাদ দিতে হয় আপনার এই বাগান সুন্দর রাখতে নিয়মিত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আপু অবশ্যই আপনার কাছ থেকে এই বাগানে ভিডিও চাই।
রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর বলেছেন, বাড়ির সামনে একটা সুন্দর বাগান শুধু সৌন্দর্যই প্রকাশ করে না, বরং একটা সুন্দর মনের পরিচয় বহন করে। আপু এমন সুন্দর বাগান বাড়ির সামনে থাকা আমাদের মত দেশে অনেকটা স্বপ্নের মত। কোন একদিন বাজার না গিয়ে আপনার বাগান থেকে ঘুরে আসলেই বোধ হয় সব ফল নিয়ে আসা যাবে। আপেল, আঙ্গুর আর চেরি ফল গুলোর এত মিষ্টি মিষ্টি সব ছবি এই প্রথম আমি দেখলাম। চমৎকার লেগেছে এক কথায় আপু পুরো আয়োজনটা।
আপনার বাগানে এত সুন্দর ফুল ও ফলের ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগল।সত্যি আপনার বাগান যদি বাংলাদেশেে হতো তাহলে হয়তো দেখে আসা যেতে। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে বাগানে একটি প্লেগ্রাউন্ড বাচ্চাদের জন্য রয়েছে দেখে । সত্যি বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাওয়া লেবু গাছ বেঁচে আছে যেনে অনেক ভালো লাগল।আসলে আপনি বাগানের প্রতি অনেক যত্নশীল। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
খুবই সুন্দর ভাবে সাজিয়েছেন তো বাগানটা। আপনার রোপন করা গাছে খুবই সুন্দরভাবে চারা গজিয়েছে চারাগুলো কিছুটা বড় হয়েছে দেখছি। আপনি আপনার বাগানের মোট ৪৫ টা ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনি খুবই যত্ন সহকারে এই বাগানটির পরিচর্যা করছেন দেখে বুঝতে পারছি। অনেক বড় বাগান হওয়ার কারণে বিভিন্ন রকমের খেলার ব্যবস্থা করে রেখেছেন। নানান ধরনের রাইড এনে রেখেছেন তাদের আনন্দ করার জন্য। গত বছরে তরমুজ গাছ রোপন করেছিলেন একটি বাঁচাতে পেরেছিলেন এবং ছোট্ট একটি তরমুজ ও পেয়েছিলেন তাহলে। বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাওয়ার লেবু গাছটি আপনি অনেক যত্নে রেখেছিলেন না মারা যাওয়ার জন্য। আপনার যত্নে লেবু গাছটি আরো বেড়ে উঠেছে। সামনের বাগানটি থেকে পেছনের বাগানটিতে অনেক রকমের ফুল, ফল এবং শাক সবজির গাছ রয়েছে। অনেক বড় বাগান করেছেন সম্পূর্ণটা দেখে এবং পড়ে ভালো লেগেছে।
আপু আপনার বাগান দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম।এতো সুন্দর সতেজ লাগছিলো গাছ গুলো।গত বছর ও আপনি তরমুজ গাছ থেকে ছোট একটি তরমুজ পেয়েছিলেন তা আর দেখার সৌভাগ্য হয়নি।তবে এবার এতো এতো ফল আর ফুল গাছ দেখে আমার খুব ভালো লাগলো। যাক ভাইয়া যখন গাছের পরিচর্যা করে আপনার কিছুটা খাটুনি কমলো।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু শেয়ার করে দেখার সুযোগ করে দেবার জন্য। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপু আপনার বাগান দেখে তো আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এত সুন্দর বাগান দেখে ইচ্ছে করছে আপনার বাগানে গিয়ে একটু ঘুরে আসি। দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনারা দুজনে বাগানের জন্য খুব পরিশ্রম করেন তাই জন্য গাছগুলো এত সুন্দর ফুল ফলে ভরে আছে। বাংলাদেশ থেকে নেওয়া লেবু গাছটি বেঁচে আছে জেনে খুব ভালো লাগলো। তবে আপু আপনাদের ওখানে পেয়ারা গাছে পাতাগুলো আমার কাছে অন্যরকম লাগলো। বাংলাদেশের পেয়ারা গাছের পাতার মতো না অন্যরকম পাতা। আপনার বাগানটা যেমন সুন্দর ফল, ফুল,ও সবজি দিয়ে ভরা তেমনি বাগানে খুব সুন্দর বাচ্চাদের জন্য খেলার ব্যবস্থা করেছেন। এত সুন্দর বাগান দেখতে কার না ভালো লাগে। আপনার বাগানটা দেখি সত্যি খুব ভালো লাগছে আপু। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর করে আপনার বাগানের পুরো আপডেটটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপু এটা পেঁয়ারা গাছ না, এটা পিয়ার গাছ। পেঁয়ারার মত অনেক বিচি এর থাকেনা, আপেলের মত কয়েকটি বিচি থাকে। খেতে অনেক মজার।অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আপু আপনার এত সুন্দর বাগান দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। বাড়িতে এত সুন্দর বাগান থাকলে সময় কাটানোর জন্য অন্য কোনো বিনোদনের প্রয়োজন হয়না। আপনার বাগানে যেমন বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ রয়েছে তার পাশাপাশি ফুলের গাছও রয়েছে। এছাড়া বাচ্চাদের খেলার জন্য বিভিন্ন রাইডের ব্যবস্থা করা হয়েছে দেখে আরও বেশি ভালো লেগেছে। আপনার বাগানের এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
বাসার সামনে এত বড় বাগান আসলে বিদেশ বলেই সম্ভব। আমাদের মত ঢাকায় যারা থাকে তাদের পক্ষে সম্ভব না। আপনার বাগানে দেখছি সব ধরনের ফল এবং ফুলের গাছ লাগিয়েছেন। বিশেষ করে আঙ্গুল গুলো বড় হলে দেখতে খুব ভালো লাগবে। তাছাড়া আপেল গাছ গুলো খুব চমৎকার হয়েছে। ফুলগুলো দেখে মনটা ভালো হয়ে গেল। এমন বাগানে বিকেল বেলায় গিয়ে বসে থাকতে বেশ ভালো লাগবে। মনে হচ্ছে যে গিয়ে ঘুরে আসি। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
এত সুন্দর বাগান আর প্রকৃতি। আমার তো মনে হচেছ আমি স্বপ্ন দেখছি। তাই একবার নিজের গায়ে চিমটি কেটে দেখলাম। পরে দেখলাম না এটা আমাদের প্রিয় আপুর সখের বাগান। আজ আপনি আপনার বাগানের মোট ৪৫টি ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার করা প্রতিটি ফটোগ্রাফি যেন মন ছুঁয়ে গেল। বিশেষ করে আপনার ফুল বাগানের প্রতিটি ফুল তো অসাধারন। আর বাচ্চাদের প্রকৃতির সাথে খেলাধুলা কো অসাধারন আপু। তাই তো ভাবছি এত সুন্দর একটি বাগানের মালিক যিনি তার মনটা না জানি কতটা সুন্দর।