নতুন বাংলাদেশি একটি শপ থেকে নিজের ইচ্ছেমত কিছু কেনাকাটা
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।
কিছুদিন আগে একটি পোস্ট করেছিলাম যেখানে আমরা দাঁতের ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু অনিবার্য কারণবশত আমি আর আমার হাজবেন্ডের অ্যাপয়েন্টমেন্ট টি ঐদিন ক্যান্সেল হয়ে যায়। তাই নতুন করে আরেকটি দিন অ্যাপয়েন্টমেন্ট করেছিলাম। সেই সুবাদে নতুন একটি বাংলাদেশি একটি শপ এর সন্ধান পেলাম।নরমালি এখানে কোন বাংলাদেশি শপ নেই বললেই চলে। শুধুমাত্র পাকিস্তানি ও ইন্ডিয়ান শপগুলো রয়েছে। যদিও আগে দুই একটি ছিল কিন্তু এখন আর নেই। কিন্তু সেদিন হঠাৎ করে চোখে পড়লো বাংলাদেশি একটি শপ।নতুন খোলা হয়েছে এই শপটি।রয়েছে বাংলাদেশি বিভিন্ন ধরনের মাছ, সবজি, মসলাসহ যাবতীয় দ্রব্যাদি যা একটি গ্রোসারীতে থাকে। বেশ বড় আকারের এই গ্রোসারিটি।এছাড়াও রয়েছে সব ধরনের মাংস।সবচেয়ে বড় কথা, যেটি বেশি অবাক লেগেছে এখানে নানান ধরনের বাংলাদেশি পিঠাও রয়েছে।পিঠাগুলো সব ছিল ফ্রোজেন।চলুন তাহলে এক নজরে কিছু কিছু দেখে নেয়া যাক।
নানান ধরনের মাছ ছিল সেখানে।ছোট বড় সব ধরনের মাছ রেখেছে তারা।হাজব্যান্ড আমাকে রেখে তার একটু কাজে গিয়েছিল, আর আমাকে বলেছিল আমার যেগুলো ভালো লাগে সেগুলো ঝুড়িতে রাখতে। আমি কখনো একা একা মাছ কিনি নি।সব সময় হাজব্যান্ড আর আমি দুজনে মিলে মাছ চয়েস করি।কিন্তু সেদিন আমি একা একাই আমার ইচ্ছে মতো মাছগুলো চয়েস করি।কিনেছিলাম শিং মাছ, পাবদা মাছ, রুই মাছ, বোয়াল মাছ, বাইম মাছ, চিংড়ি মাছ, কই মাছ।চোখের সামনে যে মাছগুলো দেখেছিলাম সেগুলোই কিনে নিয়েছিলাম। ঘরে মাছ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল, শুধুমাত্র ইলিশ সহ আরো দুই তিন প্রকারের মাছ ছিল। তাই সেই সুযোগে অনেক রকমের মাছ এখান থেকে কিনে নিলাম।প্রতিটি আইটেমই বেশি বেশি করে কিনে নিয়েছি যেন ঘনঘন না যেতে হয়।অবশ্য শপটি যেহেতু কাছেই রয়েছে তাই আর সেখানে যাওয়া কোন কষ্ট হবে না।নরমালি এভাবে মাছ কেনা হয় না।আমরা সব সময় লন্ডন থেকে মাছ কিনে আনি।আমাদের বাসা থেকে লন্ডন অনেক দূরে, তাই একবার গেলে প্রায় দুই মাসের মাছ, মাংশ একসাথে কিনে নিয়ে আসি। যেহেতু এখানেই শপটি পেয়ে গেলাম তাই আর লন্ডন যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।
সবার আগে চোখে পড়েছিল ডালপুরি। ডালপুরি আমার খুবই পছন্দের। আমার মেয়েরাও খুব পছন্দ করে। তাই সবার আগে ডালপুরি কিনে নিয়েছি।ডালপুরির সাথে পড়োটাও কিনে নিলাম। এছাড়া বাচ্চাদের জন্য কিছু স্নাক্স, নাগেট সহ আরও কিছু কিনে নিলাম।
কিনে নিলাম ভাঁজা পিঠা বা তেল পিঠা। যদিও আমার তেমন ভালো লাগে না, কিন্তু হাজবেন্ড অনেক পছন্দ করে তাই কিনে নিলাম। এসকল পিঠাগুলো ফ্রজেন। শুধুমাত্র বের করে মাইক্রোওভেনে গরম করলেই হয়ে যাবে।
এরপর কিনে নিলাম আমার অতি পছন্দের চিতই পিঠা। পিঠার প্যাকেটের ছবিগুলো দেখতে এত সুন্দর লাগছে যে, না কিনে আর পারলাম না।এর আগে কখনো চিতই পিঠা কেনা হয়নি, জানিনা কেমন হবে খেতে? যাইহোক আরো কিছু পিঠা ছিল সেগুলো আর কেনা হয়নি।এরপর আদা রসুন পেস্ট, কাঁচা মরিচ ধনেপাতা, কিছু ভেজিটেবলস সহ আরো কিছু টুকিটাকি জিনিসপত্র কিনে নিলাম।
এরপর হাজব্যান্ড এলে মানি পে করে আমরা চলে এলাম বাসায়।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 15 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[](https://steemitwallet.com/~witnesses
আমি আপনার পোষ্ট টি পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম, এত দূরে দেশে, আনএক্সপেকটেড ভাবে বাংলাদেশী দোকান পেয়ে, সেখানে এত এত দেশী জিনিসের সমাহার দেখে না জানি কত খুশী হয়ে গিয়েছিলেন। কত দূর থেকে থেকে কষ্ট করে বাজার করতে হতো নইলে! আর প্যাকেটে এত সুন্দর ছবি আর বাংলা লেখা দেখে আমার ই তো ভালো লাগছে!! এছাড়াও, দেশী শিং মাছ তো আমরাই অনেক জায়গায় পাই না! চিতই পিঠা খেয়ে জানাবেন আপু কেমন লেগেছে।
দেশের বাহিরে থেকে দেশের জিনিস যদি হাতের কাছে এমন করে পাওয়া যায় তাহলে তো বেশ ভালোই লাগে।আপনার অনুভূতিগুলো পড়ে তো আমার নিজের কাছেই বেশ ভালো লাগছিল। খুব সুন্দর করে দেশী পণ্য কেনার অনুভূতি শেয়ার করেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপু আপনার খুশি গুলো ভাগ করে নেওয়ার জন্য্।
ওখানে একটা দোকানেই বাংলাদেশী এত এত খাবার পেয়ে গেলেন সেটা তো একদম গুপ্তধন পাওয়ার মতো অবস্থা হয়ে গেল মনে হয়। আর সবকিছু যেহেতু বাংলাদেশের সেই হিসেবে প্রয়োজনের থেকে আনন্দটাই হয়তো বেশি ছিল। বাসার কাছাকাছি যেহেতু হয়েছে তাহলে যে কোন সময় এগুলো শেষ হলেই কিনে নিয়ে আসতে পারবেন। চিতই পিঠাগুলো দেখতে তো দারুন লাগছে। এটা কিভাবে প্রসেসিং করা সেটাই ভাবছি।
বিদেশের মাটিতে নিজেদের দেশীয় জিনিস গুলো দেখলেও ভালো লাগে। নতুন করে একটা বাংলাদেশী শপের সন্ধান পেয়েছেন। তাহলে এখন আর দূরে গিয়ে আপনার কেনাকাটা করতে হবে না। অনেক কিছুই কেনাকাটা করেছেন দেখছি। অনেক ধরনের মাছ কিনেছেন। চিতই পিঠা ভর্তা দিয়ে খেতে ভালোই লাগে। তবে এরকম প্যাকেট করা কেমন হবে খেতে জানি না। সব সময় গরম গরমই খাওয়া হয়েছে পিঠাগুলো।
আপনাদের ওখানে নতুন একটা বাংলাদেশী শপ হয়েছে শুনে অনেক বেশি ভালো লাগলো। আর আপনি তো ওখান থেকে আপনার পছন্দমত অনেক কিছুই কেনাকাটা করে নিয়েছেন। এত রকমের মাছ কেনার বিষয়টা শুনে অনেক ভালো লাগলো। আর অনেক রকমের পিঠাও কিনেছেন দেখছি। নিশ্চয়ই এই পিঠাগুলো অনেক মজা করে খেয়েছেন আপনারা। চিতই পিঠাগুলো দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক মজাদার হবে। এত সুন্দর ভাবে এটি শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো আমার কাছে।
বাইরের দেশে নিজের দেশের মানুষের খাবারের দোকান বেশ ইন্টারেস্টিং ব্যাপার। বাইরের দেশে থেকেও জানো নিজের দেশের সাধ খাবারের গন্ধ মনো রাঙিয়ে দেয়। আপনার পোস্ট পড়ার সময় বেশ ভালো লাগছিল এবং অনুভবে আমিও যেন হারিয়ে গেছিলাম বিদেশের কোন এক জায়গায়। খুব সুন্দর একটা অনুভূতি জাগ্রত হয়েছে আপনার পোস্ট পড়ে। এত সুন্দর কেনাকাটার মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
বাসার কাছাকাছি দূরত্বে বাংলাদেশী শপ পেয়েছেন,এটা জেনে খুব ভালো লাগলো আপু। এখন থেকে মনমতো গ্রোসারি আইটেম কিনতে পারবেন যেকোনো সময়। বাহিরের দেশে বাংলাদেশী জিনিসপত্র পেলে আসলেই খুব ভালো লাগে। তাছাড়া পিঠা গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। সাউথ কোরিয়াতে আমি যে এরিয়াতে থাকতাম,সেই এরিয়াতে বেশ কয়েকটি বাংলাদেশী শপ ছিলো। যাইহোক বিভিন্ন ধরনের মাছ সহ বেশ ভালোই কেনাকাটা করেছেন। এতো চমৎকার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।