প্রথম ইফতারের অনুভূতি এবং কিছু ফুড ফটোগ্রাফি
বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।
আলহামদুলিল্লাহ হাজব্যান্ড অসুস্থ থাকা সত্বেও আজকে আমরা পরিবারের সকলে মিলেই রোজা সম্পন্ন করতে পেরেছি।আমার ছোট মেয়েটিও আজকে রোজা রেখেছিল।কষ্ট হয়েছিল বুঝতে পেরেছি, শুধু বারবার জিজ্ঞাসা করছিল আর কয় ঘন্টা বাকি আছে।যাইহোক ধৈর্য সহকারে রোজাটি রাখতে পেরেছে এটিই অনেক বড় ব্যাপার।তবে সারাদিন আমার ওপরে খুব বেশি প্রেসার পড়েছিল আজ।দিনের বেলায় একটি মিনিট বসারও সুযোগ পাইনি।শনি ও রবিবার বাচ্চাদের মসজিদ থাকে।স্কুল থাকে না তাই মসজিদে পাঠাই আরবি লেসনের জন্য। বাচ্চাদেরকে মসজিদে দিয়েই হাজবেন্ডকে নিয়ে চলে যাই ড্রেসিং এর জন্য।এরপর সেখান থেকে আবার যাই শপিংয়ের জন্য।আজকে যেহেতু রোজা তাই টুকটাক অনেক কিছু কেনার বাকি ছিল।শপিং এর সময় হাসব্যান্ড আমার সাথেই ছিল।খুশির ব্যাপার হাসব্যান্ড এখন আগের থেকে অনেকটাই ভালো হয়েছে।এরপর বাসায় ফিরতে ফিরতে প্রায় দুইটা বেজে যায়।এরপর দ্রুত চলে যাই রান্নাঘরে।কারণ তরকারি রান্না করার বাকি ছিল, এছাড়া ইফতার তো আছেই।এখন ইফতারের টাইম খুব তাড়াতাড়ি চলে আসে। কারণ দিন অনেক ছোট, আজ ইফতারের টাইম ছিল ৫:৪৫ মিনিটে।তাই খুব বেশি তাড়াহুড়ো লেগে গিয়েছিল।
রান্না করে দ্রুত লেগে যাই ইফতারি বানানোর কাজে। কাজগুলো সেরে উঠতে পারছিলাম না। এরপর বড় মেয়ে আমার কষ্ট দেখে হেল্প করতে চলে আসে। অনেকগুলো থালাবাসন সে ক্লিন করেছে।এই ক্লিন এর কাজ আজ সে প্রথম করেছে।এর আগে সে কখনো এই কাজ করেনি। রোজা থেকেও সে আমাকে আজ যথেষ্ট সাহায্য করেছে।যাই হোক এখন চলে যাচ্ছি আমার ইফতারের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে।বেশিরভাগই বাসায় তৈরি করেছি, আর কিছু শপ থেকে কিনে এনেছি বাচ্চাদের জন্য।
ভেজিটেবল খিচুড়ি। রোজার সময় এই ভেজিটেবল খিঁচুড়িটা সবসময় করে থাকি। অনেক টেস্টি হয় এই খিঁচুড়ি।
আজওয়া খেজুর সহ কয়েক প্রকারের খেজুর রয়েছে এখানে।
আলুর চপ।
বেগুনের চপ, যদিও বেশি সুন্দর হয়নি।
এগ (egg devil)ডেভিল।
ফ্রোজেন নাগেট কিনে এনেছিলাম, শুধু তেলে ভেজে নিয়েছি।
এই আইটেমটিও কেনা, খুবই মজার।
নিমকি।
চিংড়ি দিয়ে তৈরি , দারুণ খেতে।এটিও কেনা।
ছোলা আর কাঁচা ছোলা মাখানো। কাঁচা ছোলা আমার হাসবেন্ডের অনেক পছন্দের।
পিঁয়াজু, আরো বানিয়েছে আলু দিয়ে মজার খাবার। এটি আমার ছোট মেয়ের খুবই পছন্দের।
কিছু ফ্রুটস।
জিলাপি।
রসমালাই, এটি আমার বড় ভাসুর গতকাল এনেছিল।
যেহেতু আজকে প্রথম রোজা ছিল তাই চেষ্টা করেছি একটু আইটেম বাড়ানোর। কিন্তু এতো কিছু খাওয়া তো সম্ভব নয়, অর্ধেকের বেশি আইটেম পরে রয়েছে।
আজ তাহলে এতটুকুই, আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 15 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[

আপনার প্রথম ইফতারের অভিজ্ঞতা পড়ে মনটা ছুঁয়ে গেল।আলহামদুলিল্লাহ, এত ব্যস্ততার মাঝেও পুরো পরিবার একসাথে ইফতার করতে পেরেছেন, এটাই সবচেয়ে বড় আনন্দের বিষয়। আপনার ছোট্ট মেয়েটার ধৈর্য ধরে রোজা রাখা, বড় মেয়ের সাহায্যের হাত বাড়ানো এসব সত্যিই প্রশংসার যোগ্য! রমজান শুধু আত্মশুদ্ধির সময় নয়, পারিবারিক ভালোবাসা ও একে অপরের পাশে থাকার এক সুন্দর উপলক্ষও বটে।ইফতারের মেনু তো দারুণ ছিল।আল্লাহ আপনার পরিবারের সবাইকে সুস্থ ও ভালো রাখুন। রমজানের দিনগুলো আরও শান্তি, আনন্দ ও বরকতময় হোক!
আবারো ভাইয়ার পরিপূর্ণ সুস্থতা কামনা করছি আপু।পুরো পরিবারে রোজা রেখেছিলেন এটা তো বেশ খুশির সংবাদ আপু। তার থেকেও ভালো লাগলো ভাইয়া আগের থেকে এখন অনেকটা ভালো হয়েছে এটা শুনে। যাই হোক ইফতারি উপলক্ষে বেশ কয়েক পদের আইটেম একত্র করেছিলেন। আপনার প্রথম ইফতারি করার অনুভূতিমূলক পোস্টটি এবং ফুড ফটোগ্রাফি গুলি দেখে খুবই ভালো লাগলো।
আপনার প্রথম ইফতার বেশ ভালোই কেটেছে আপু। আশা করছি এভাবে আপনার রমজান মাসের প্রতিটি ইফতার কাটবে।আর প্রথম ইফতার করার আনন্দই অন্যরকম হয়। পরিবারের সকলের সাথে ইফতার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে।
আপনার ছোট মেয়ে ধৈর্য ধরে রোজাটা রেখেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। এখন থেকে একটু একটু করে অভ্যাস হলে বড় হলে আর কষ্ট হবে না বেশি। প্রথম রোজাটা খুব সুন্দর ভাবে সম্পূর্ণ করেছেন তাহলে। আমাদের এখনো ইফতারের সময় হয়নি। যাই হোক আপনার প্রথম ইফতারের অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অনেক আইটেম ছিল দেখছি। সবাই মিলে ইফতারের সময়টা ভালোভাবে কাটিয়েছেন নিশ্চয়ই। মুহূর্তগুলো এবং ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি আজকে খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে আপনার প্রথম রোজার অনুভূতিটা শেয়ার করেছেন। আপনার ছোট মেয়ের রোজা রাখার কথা শুনে খুব ভালো লাগলো। ইফতারের আয়োজন দেখছি বেশ ভালোই ছিল। আর ফুট ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে এতটা সুন্দর করে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
ভাইয়া এখন অনেকটা ই সুস্থ হয়েছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো আপু।আপনি বাইরের কাজ সেরে এসে রান্না ও ইফতার রেডি করলেন।কিছু কেনা আইটেম আর বাকিগুলো নিজে তৈরি করে সবাই একসাথে ইফতার করলেন জেনে ভালো লাগলো। অনেক আইটেম ইফতার না তৈরি করলে ভালো লাগে না।কিন্তু খাওয়া হয় সামান্য ই।সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করেছেন এজন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
প্রথম রোজা উপলক্ষে বেশ ভালোই আয়োজন করেছেন দেখছি। আর আপনার ছোট মেয়েও রোজা রেখেছে শুনে খুব ভালো লাগছে। আসলে ছোট বাচ্চারা রোজা রাখে তাদের মনের খুশিতে। আর তারা কষ্ট হলেও একটা রোজা রাখার চেষ্টা করে। যাই হোক প্রথম রোজা আর ইফতার উপলক্ষে আমরাও আজ অনেক কিছু তৈরি করেছি। যেগুলোর বেশিরভাগ অংশই রয়ে গিয়েছে। আসলে তৈরি করতেই ভালো লাগে। কিন্তু খাওয়ার সময় আর খাওয়াই হয়ে ওঠে না।
কেনা আইটেম এবং আপনার তৈরি করা আইটেম গুলো দিয়ে দারুণভাবে ইফতার সম্পন্ন করেছেন আপু। আপনার ছোট মেয়ে রোজা রেখেছে এবং বড় মেয়ে রোজা রেখেও আপনার কাজে হেল্প করেছে, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। তাছাড়া আমাদের ভাইয়া অনেকটা সুস্থ হয়ে গিয়েছে, এটা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত খুশির খবর। যাইহোক বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি দেখে। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন সবসময়।
রমজান মাসে মুসলমানদের কাছে সবচাইতে পছন্দের মূহূর্ত ইফতারের সময় টা। ইফতারের খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ করেছেন আপু। খুবই সুন্দর লাগল আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।