ভয়াবহ অবস্থায় এখন বাংলাদেশ, সারাদেশের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভালো আছি।
Facebook থেকে নেয়া হয়েছে ফটোটি।
বাংলাদেশে বেশ কিছুদিন ধরে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলছে।facebook ও টিভির নিউজ খুললেই শুধু শোনা যায় হতাহত ও নিহতর খবর।আর আজকে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা। facebook এ দেখলাম প্রায় ৪১ জনের মত নিহত হয়েছে।ঢাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।পুলিশের সাথে ছাত্রদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলেছে সারাদিন।সবচেয়ে বেশি কষ্ট লাগছে অল্প বয়সী ছেলেগুলো নিহত হচ্ছে। এছাড়া সাধারণ জনগণও কিছু নিহত হয়েছে।আর আজকে ঘটেছে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা। সারা দেশে করেইন্টারনেট সহ মোবাইল সিম ও নাকি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্রথম আলোর মত leading পোর্টাল নিউজ পর্যন্ত শাটডাউন করে দেওয়া হয়েছে।
আজকে সকালেও বাংলাদেশে মোবাইলে ভিডিও কলে সবার সাথে কথা হয়েছে।কিন্তু বিকাল ৫ টা থেকে আর কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছিল না।সারা বাংলাদেশে কারও সাথে কেও যোগাযোগ করতে পারছেনা।ইন্টারনেট ছাড়া আমার একটি মিনিটও কাটানো সম্ভব হয় না, খুব অশান্তি লাগে। আর এখন সবার অবস্থা তাহলে কেমন তা খুব উপলব্ধি করতে পারছি।নিশ্চয়ই আমার মত তারাও খুব ছটফট করছে।জানিনা কখন সবকিছু আবার স্বাভাবিক হবে?কখন ইন্টারনেট ও সিম গুলো আবার চালু করে দিবে? পুরো বাংলাদেশ এখন অচল হয়ে পড়ে রয়েছে। স্কুল, কলেজ, ব্যাংক অফিস, আদালত সবকিছুই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
যদিও সকাল থেকে ইন্টারনেটের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। মোবাইল টাওয়ার বন্ধ ছিল, শুধুমাত্র ওয়াইফাই কাজ করতো, কিন্তু এখন সবকিছুই বন্ধ রয়েছে।ইন্টারনেটের এই খারাপ অবস্থার কারণে আজকে আমাদের কমিউনিটিতে হ্যাংআউট বন্ধ রাখা হয়েছিল।কারণ কেউই হ্যাংআউটে ঢুকতে পারছিল না।যদি সব কিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে আগামীকাল হ্যাংআউটের অনুষ্ঠানটি হবে।সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগছে আমাদের ডিসকর্ড একেবারেই মৃত হয়ে পড়ে আছে।কেউই ঢুকতে পারছে না সেখানে। এছাড়া আমাদের মডারেশন প্যানেল ও একেবারে ফাঁকা।যেখানে প্রতিনিয়ত মেসেজের ছড়াছড়ি, আজ সেখানে একেবারেই ফাঁকা।কারও কোন সাড়াশব্দ নেই।এগুলো দেখে আসলেই খুব খারাপ লাগছে।
শুনলাম সরকার নাকি এখন সমঝোতা করতে চাচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে। কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা এখন আর তা চায় না, তারা তাদের মৃত ভাই ও বোনদের হত্যার বিচার চায়।আমার কথা হচ্ছে কেন সরকার এই ডিসিশনটা আগে নিল না? কেন এতগুলো মানুষের প্রাণ গেল? ফেসবুকে ঢুকলেই এখন শুধু মৃত্যু ও হতাহতের খবর।বাংলাদেশের সকল ছাত্র-ছাত্রী একযোগে আন্দোলনে নেমেছে।এখন শুনেছি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা ও নাকি এতে যোগ দিয়েছে।জানিনা এই পরিস্থিতি কবে শান্ত হবে? জানিনা আরো কত প্রাণ যাবে?
দূর থেকে নিজের দেশের এমন ভয়াবহ অবস্থা দেখলে আসলেই খুব কষ্ট হয়।বারবার বাংলাদেশে কল দেয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু কোন সাড়া শব্দ পাচ্ছি না কারোর। আসলে এমন পরিস্থিতিতে যদি নিজের আপনজনের সাথে কথা বলতে না পারা যায় তখন আরো বেশি টেনশন হয়। যাইহোক এখন কি আর করা? দোয়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই। দোয়া করি যেন খুব শীঘ্রই দেশের পরিস্থিতি আবার আগের মত হয়ে যায়।
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[](https://steemitwallet.com/~witnesses
খুবই খারাপ লাগছে আসলে এই খবর গুলো দেখলেই। কত ছাত্র নিহত হলো। সরকার প্রথম অবস্থায় এই দাবি মানলে আজ এই দিন আসতো না। বহু মানুষের পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন কাজের তাগিদে বাইরে থেকে ইন্টারনেট ব্যবস্থা বন্ধ রাখায় তাদের মনটাও শুধু সেখানেই পড়ে আছে, কি হচ্ছে না হচ্ছে আমরা কেও জানতে পারছি না আর। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে শান্তি নেমে আসুক এটাই সবার চাওয়া এখন।