ছুটির দিনে বাবার সাথে বাচ্চাদের কাটানো দিনটি
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভালো আছি।
আমার মনে হয় প্রতিটি বাচ্চাই তাদের বাবার সাথে সময় কাটাতে খুবই পছন্দ করে।আর মেয়েদের বাবার প্রতি আরও বেশি টান থাকে।মা থেকে বাবাকেই বেশি পছন্দ করে। কিন্তু প্রবলেম হচ্ছে বাচ্চারা তার বাবাকে কাছে খুবই কম পায়। অনেক মিস করে তারা তাদের বাবাকে।কারণ সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় একবার দেখে তাদের বাবাকে, আবার স্কুল থেকে ফিরে এসে ভাত খাওয়া শেষ হতে না হতেই তাদের বাবার রেস্টুরেন্টে যাওয়ার টাইম হয়ে যায়।আর রাতে যখন ফিরে এগারোটা বারোটার দিকে তখন তারা ঘুমিয়ে থাকে।তবে শনি ও রবিবার বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ থাকে তখন একটু বাবাকে কাছে পায়। কিন্তু তারপরও প্রবলেম রয়েছে শনি ও রবিবারে তাদেরকে মসজিদে যেতে হয় আরবি লেসনের জন্য। তিন ঘন্টার জন্য তারা মসজিদে থাকে।আবার বাসায় ফিরে দুপুরে খাওয়ার পর তার বাবার রেস্টুরেন্টে যাওয়ার টাইম হয়ে যায়।তাহলে শুধু তারা বাবাকে কাছে পাচ্ছে যখন তাদের স্কুল হলিডে হয় এবং যেদিন তার বাবার অফ ডে থাকে, অর্থাৎ যেদিন রেস্টুরেন্টে যেতে হয় না।যেদিন অফ ডে থাকে সেদিন স্কুল থেকে এসে সারাদিন তারা বাবাকে কাছে পায়।তাই তারা এই দিনটির অপেক্ষায় থাকে কবে তার বাবার অফডে আসবে।
বাবার অফ ডে এলেই বিকাল বেলায় বাবার সাথে যেতে হবে রেস্টুরেন্টে।সেখান থেকে তাদের পছন্দের খাবার নিয়ে আসে বাসায়। অবশ্য তারা রেস্টুরেন্টে খেতে পছন্দ করে না।বাসায় পরিবারের সকলে মিলে খেতে খুব ভালোবাসে।আমিও রেস্টুরেন্ট থেকে বাসায় খেতে খুবই ভালোবাসি।আমাদের বাসায় আশপাশে বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে।গাড়িতে গেলে মাত্র দুই তিন মিনিট সময় লাগে।ছুটির দিনে আমরা সাধারণত কোন খাবার অর্ডার করি না।তার বাবা তাদেরকে নিয়ে তাদের পছন্দের মত খাবারগুলো নিয়ে আসে।যেহেতু রেস্টুরেন্টগুলো অনেক কাছে তাই শুধু শুধু ডেলিভারি চার্জ দিয়ে কোন লাভ নেই।আর বাচ্চারাও বাইরে গিয়ে একটু বাবার সাথে ঘুরে এলো। গতকাল তার বাবার অফ ডে ছিল তাই দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছে তারা।বিকালবেলায় বেরিয়েছিল তার বাবার সাথে। এখনকার বিকেলবেলা মানে রাত, কারণ সন্ধ্যা হয় 4:20 মিনিটে। বাবার সাথে বের হয়ে প্রথমেই তারা একটি টয় শপে যায়।সেখান থেকে তাদের পছন্দের কিছু খেলনা কিনে এরপর যায় রেস্টুরেন্টে।রেস্টুরেন্ট থেকে তাদের দুজনের পছন্দের দুই রকমের খাবার নিয়ে বাসায় ফিরে।একটি ছিল পিজ্জা, অন্যটি ছিল ডোনার কাবাব।বাচ্চাদের মত আমিও এই খাবার দুটি খুবই পছন্দ করি।
ডোনার কাবাব।
ডোনার কাবাব কিন্তু অনেক টেস্টি।কাবাবের নিচে আবার রুটিও থাকে। আর সাথে থাকে স্যালাদ ও সস।সসগুলো খেতে তেমন স্বাদ লাগেনা। কিন্তু স্যালাদ গুলো খেতে খুবই পছন্দ করি।বাংলাদেশে থাকতে এই ডোনার কাবাবগুলো কখনো দেখিনি।জানিনা এখন পাওয়া যায় কি না? এই কাবাব গুলো সাধারণত শীপের মাংশ দিয়ে তৈরি করে।আর এই মাংসগুলো একটি মেশিনের মধ্যে দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে কেটে বের করে।আগে থেকেই প্রসেস করে রাখে। কেউ অর্ডার দিলে তখন কেটে বের করে দেয়।যাইহোক অনেক আনন্দের ছিল তাদের বাবার সাথে কাটানো দিনটি।
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[](https://steemitwallet.com/~witnesses
আপনার বর্ণনা অনুযায়ী আপনার বাচ্চারা খুবই কম সময় পায় বাবার সঙ্গে সময় কাটানোর।আসলেই ছুটির দিনে এক অন্যরকম আনন্দ কাজ করে সকলের মনে।তবে সপ্তাহে দুইদিন ছুটি থাকে জেনে ভালো লাগলো, আশা করি দারুণ সময় পার করেছে দুজনে মিলে।বড় বড় লঙ্কাগুলি খেতে ঝাল লাগে না?
আপু এটি কাঁচা মরিচ নয়, নামটি ভুলে গিয়েছি।স্বাদে একটু টকটক, খেতে দারুন স্বাদের।
বুঝলাম, অনেক ধন্যবাদ আপু।
না ওইগুলোকে চিলি পেপার বলে। Chilli pepper. রাজস্থানী গুজরাটি বা সাউথ ইন্ডিয়াতে তুমি গেলে দেখবে ওরা সবাই মিরচি ভাজি বা ভরওয়া মিরচি খায়। সেগুলো আসলে এরকমই ক্যাপসিকাম এর মতন অনেকটা তবে লম্বা লম্বা বড় বড় ফোলাফোলা লঙ্কার মত হয়। এর আচারও হয়।
আচ্ছা দিদি,চায়নারাও খুব খায় দেখেছি ভিডিওতে এগুলো।
এই অভ্যাসটা বেশ ভালো রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার নিয়ে এসে পরিবারের সবাই একসাথে খাওয়া যে বিষয়টি। ছুটির দিনে বাবার সাথে পুরো সময়টা উপভোগ করার চেষ্টা করে আর তাইতো নিজেদের সব ইচ্ছে গুলোই পূরণ করার চেষ্টা করে যাই হোক বিষয়টা তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আমারও মনে পড়ে যায় ছেলেবেলায় ছুটির দিনে বাবার সঙ্গে কাটানো সময় গুলো। সেই সময় বাবা একটা দিন বাড়ি থাকলে যেন মনে আলাদাই আনন্দ হতো। অপেক্ষা করে থাকতাম কবে রবিবার আসবে। আর শীতকাল এলেই বাবার সঙ্গে ঘোরা। এখানে আপনার পোস্ট পড়ে আমিও নস্টালজিক হয়ে গেলাম। দুর্দান্ত একটি পোস্ট শেয়ার করলেন বাচ্চাদের নিয়ে।
বাচ্চাদের বাবা তো আসলে বাড়িতে থাকে না তারা সেভাবে বাবার সাথে সময় কাটাতেও পারে না । এটা আপনার বাড়ির বাচ্চা বলে তা নয় এটা সব বাড়ি গিয়ে একই গল্প। আর মায়েদেরকে অপছন্দ হবে নাই বা কেন বলুন মায়েরা ভুল করলে বকা দেয় সব আবদার রাখে না কোন কাজে না বলে। সর্বোপরি মায়েরা মারে। অতএব মায়ের থেকে বাবার এত বেশি প্রিয় হবেই।
আপনি বাচ্চাদের তার বাবার সাথে কোয়ালিটি টাইম দেখে ভালো লাগলো। সবাই মিলে এভাবেই ভালো থাকুন।
আপু তুর্কিশ ডোনার কাবাব এখন বাংলাদেশেও পাওয়া যায়। যাইহোক রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার বাসায় এনে আপনার মেয়েরা বেশ মজা করে খেয়েছে তাহলে। ছুটির দিনে বাবার সাথে সবমিলিয়ে তারা দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছে,এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। যাইহোক আপনার পরিবারের জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইলো আপু।