লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী কিছু স্থান (রানীর বাড়ি)পরিদর্শন, সাথে কিছু ফটোগ্রাফি, পর্বঃ ১১
আসসালামুআলাইকুম ,
সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী কিছু স্থানের ১১ তম পর্ব নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম।গত পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম London Madame Tussauds এর ২য় পর্ব যেখানে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সেলিব্রেটিদের মোমের মূর্তি রাখা আছে।আজকে Madame Tussauds এর পর্বগুলো শেয়ার না করে Buckingham palace, যেখানে রানীর বাসস্থান সেই জায়গার কিছু অংশ শেয়ার করবো। কারণ আপনারা সকলেই হয়তো জেনে গিয়েছেন গতকাল রানী এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চিরকালের জন্য বিদায় নিয়েছেন। তাই এই স্থানটি আগে আপনাদের মাঝে নিয়ে এলাম। আর Madame Tussauds এর পরবর্তী পর্বগুলো অন্য যেকোনো সময় আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। যাই হোক কথা না বাড়িয়ে চলুন চলে যাই তাহলে মূল পর্বে।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
গতকাল বিকাল বেলায় যখন ঘরের কাজ করছিলাম তখন আমার বড় মেয়ে হঠাৎ করে খবর দিয়েছে রানী মারা গিয়েছে। প্রথম প্রথম আমার বিশ্বাসই হচ্ছিল না,এরপর সাথে সাথে টিভি অন করে দেখি রানীর মৃত্যুর খবর লাইভ দেখাচ্ছে।সত্যি খুবই খারাপ লাগছিল ওই মুহূর্তে। সত্যিই ভাবলে অবাক লাগে কি সিস্টেম? রানী মারা যাওয়ার সাথে সাথে তার ছেলেকে রাজা বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ এই পদ কখনো খালি রাখা যাবে না। পিন্স হয়ে গেল রাজা, আর রাজার ছেলে হয়ে গেল প্রিন্স। রাজা হওয়ার সাথে সাথে এই দেশের অনেক কিছুতেই পরিবর্তন আসছে, যেমন ক্যাশ, স্ট্যাম্প, পাসপোর্ট এবং নানা ধরনের আরো অনেক পরিবর্তন। কারণ এগুলোতে রানীর ফটো আছে, এখন রানীর ফটো চেঞ্জ করে রাজার ফটো আনা হবে।আপনারা অনেকেই হয়ত জানেন গত বছর রানীর হাজব্যান্ড মারা যান, তারপর থেকেই রানীর বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। দীর্ঘ 70 বছর তিনি রানীর আসনে ছিলেন। এই তো কয়েক মাস আগে তার 70 বছর রাজত্বকাল এর জন্য খুব ধুম ধামের সাথে প্লাটিনাম জুবিলী পালিত হয়। রানীর আগে তার বাবা ছিলেন রাজা কিন্তু হঠাৎ করে তার বাবার আকস্মিক মৃত্যু হওয়ার কারণে তিনি মাত্র ২৬ বছর বয়সে রানী হওয়ার মর্যাদা লাভ করেন।
রাজপরিবারের নিয়ম হচ্ছে তাদের মধ্য থেকেই রাজা-রানী নির্বাচিত হবে, শুধু রক্তের সম্পর্ক যাদের সাথে রয়েছে তারাই রাজা রানী হতে পারবে।ছেলের বউ কখনো রানী হতে পারবেনা,আবার মেয়ের হাজবেন্ড কখনো রাজা হতে পারবে না। রানী মারা যাওয়ার পর তাঁর ছেলে হয়ে গেলেন রাজা, এরপর থেকে আর রানী দেখার ভাগ্য আমাদের হবে না। কারণ, এরপর সিরিয়ালে আছে রাজার দুই ছেলে। এর মধ্যে বড় ছেলে হবে পরবর্তি রাজা, বড় ছেলের প্রথম সন্তানও ছেলে। তাই সিরিয়ালে শুধু রাজাই আসবে। হয়তো অদূর ভবিষ্যতে কোনো একদিন আবারও রানী আসবে।
যাই হোক কথা না বাড়িয়ে রানীর বাড়ি এবং তার আশপাশের পরিবেশ গুলো দেখে নেয়া যাক।
রানীর বাড়ির সামনে বিভিন্ন ধরনের মূর্তির কারুকার্য করে রাখা আছে দেখতে পাচ্ছেন।
রানীর বাড়ির সামনের মেইন গেট।
গার্ড দাঁড়িয়ে আছে।গার্ডের একটি সিস্টেম আছে কোন নড়াচড়া করতে পারবেনা।দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, একারনে প্রতি 10 মিনিট পরপর সামনে দিয়ে একটু হাঁটা হাঁটি করে আবার দাঁড়িয়ে যায়। আমরাও কয়েকবার দেখে ফেললাম তারা হাঁটাহাঁটি করা।অনেক কষ্ট করে এই ফটোগ্রাফিটি নিয়েছি।
রানীর বাড়ি।
রানী মারা যাওয়াতে অনেক দুঃখ পেয়েছি। তিনি অনেক বছর রানী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। যেহেতু এর পরবর্তীতে রাজা আসলেন তাই অনেক কিছুর পরিবর্তন হবে। হয়তো ভবিষ্যতে আবারো কোনো রানী আসতে পারে। গেটের গার্ড নিজ দায়িত্বে দাঁড়িয়ে আছে এবং তিনি নিজের দায়িত্ব পালন করছে। আপু আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে রানী এলিজাবেথ এর বাড়ি দেখতে পেলাম। আপু আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
তোমাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
ইংলেন্ডের রানী মারা গিয়েছে তাই দুঃখ প্রকাশ করছি।আপনার পোস্টের মাধ্যমে রানীর বাড়ি দেখা সহ অনেক কিছু জানতে পেরেছি। আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে আপনার খারাপ লাগছে আর কবে রানী দেখবেন যেহেতু রানীর ছেলে রাজা হয়েছে এবং তার পরবর্তী জেনারেশনও ছেলে। আপনার ছবিগুলো দেখে ভাল লেগেছে। লন্ডনের এই রেড শার্ট আর ব্ল্যাক পাজামা সাথে লম্বা টুপি বিভিন্ন মুভিতে দেখেছি। এদের দেখতে কারটুনের মত দেখালেও বেপারটা ইউনিক। ধন্যবাদ আপু।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য।
আমি প্রায় আপনার পোস্টগুলো দেখে থাকি, তবে আজকে এই পোস্ট দেখতে পেরে খুব খুশি হলাম। আপনি শুধু রানির বাড়ি নয়, পাশাপাশি বিস্তারিত বর্ণনা উপস্থাপন করেছেন। তাই বলবে একই সাথে রানির বাড়ি দেখার সৌভাগ্য হল।গার্ডের নীরবে দাঁড়িয়ে থাকার দৃশ্য দেখতে পারলাম এবং জানতে পারলাম। আর ভিডিও গুলো দিয়ে খুব ভালো করেছেন,নতুন একটি ধারণা লাভ করতে পারলাম আপনার এই পোস্ট এর মধ্য দিয়ে। ধন্যবাদ আপু।
আমারও জেনে অনেক ভালো লাগলো আমার পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।
ইংল্যান্ডের রানী মারা গেছে এই খবরটা শুনেছিলাম বেশ খারাপ লাগলো। কিন্তু রানীর সম্পর্কে এতটা বেশি কিছু জানা ছিল না। আপনার কাছ থেকে কিছুটা জানতে পারলাম। বিশেষ করে রানী মারা যাওয়ার সাথে সাথে রানীর ছেলে রাজা হয়ে গেল এটা শুনে অবাক লাগলো। তাদের বংশ-পরম্পরা অনুযায়ী রাজা রানীর ছেলেরা এবং মেয়েরাই আবার পরবর্তীতে রাজা রানী হয়ে থাকে। আর বাড়ির সামনের দিকে অনেক সুন্দর সুন্দর মূর্তি দেখতে পাচ্ছি। আর একটা বিষয় অবাক লাগলো গেটের সিকিউরিটি গার্ডের কথাটা। বাড়িটাও দেখছি ভীষণ সুন্দর। যদি আপনি অনেক কষ্ট করে ছবি তুলেছেন।
অনেক ধন্যবাদ আপু আমার পোষ্টটি কষ্ট করে পড়ার জন্য।
আপনার পোস্ট পড়ে ঘরে বসে রানীর বাড়ি ভ্রমণ হয়ে গেল। সুন্দর লিখেছেন। পরের পর্বে আরও এরকম জানা-অজানা স্থানের ছবি দেখতে চাই।
ধন্যবাদ আপনাকে।
রানীর মৃত্যু অনেক দুঃখজনক।যদিও ব্রিটেনের রাজতন্ত্র আর আগের মত নেই।আমি আগে সুইস গার্ড দের দেখে ভাবতাম তাদের মাথাই বুঝি অত লম্বা।পরে জেনেছিলাম ওগুলো টুপি। স্নাইপার রা যাতে সহজে মাথার পজিশন আন্দাজ করতে না পারে তাই এই টুপি পড়ে।ধন্যবাদ।আপনার মাধ্যমে ঘরে বসে বাকিংহাম প্যালেস টাও দেখে নিলাম।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
কত নাম শুনেছি এই Buckingham place এর এই প্রথম দেখলাম। গতকাল হ্যাংআউট শেষ করে ফেসবুকে গেছি হঠাৎ দেখি একটি নিউজ দ্বিতীয় রানি এলিজাবেথ মারা গেছে। প্রথমে বিশ্বাস করিনি। পরে দেখি অনেকগুলো চ্যানেল সঙ্গে সঙ্গে নিউজ করল। বিষয়টি কী অদ্ভূত না রানী মারা যাওয়ার একদিন না পেরতেই সবকিছুতে তার অস্থিত্ত্ব মুছে দেওয়া হচ্ছে 😩 হচ্ছে নতুন কারো আগমন। এটাই পৃথিবী। ছবিগুলো দারুণ ছিল আপু।।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া এটাই পৃথিবীর নিয়ম।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী এই চিত্রগুলো দেখে খুব তৃপ্ত হলাম। এত সুন্দর আর্ট দেখে অবাক হতেই হয় । সত্যই বড় বড় গুণী শিল্পী ছিল যারা এত সুন্দর আর্ট গুলো নির্মাণ করেছেন। আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ লন্ডনের এই ঐতিহ্যবাহী নির্মাণগুলো আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
জি আপু রানীর মৃত্যুর খবরটি আমাদের সকলের জন্য অত্যন্ত বেদনা জনক। লন্ডনের রানির বাড়ির খুবই সুন্দর জায়গা ভ্রমণ করেছেন আপনি। রানীর বাড়ির সামনে এবং আশেপাশের সুন্দর জায়গার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। বিভিন্ন ধরনের মূর্তিগুলোর ফটোগ্রাফি দেখে মন ছুয়ে গেল। অসাধারণ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের উপহার দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।