ছোট মেয়ে বায়না ধরেছে তাকে টকিং বার্ড কিনে দিতে হবে
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভালো আছি।
কিছুদিন ধরে ছোট মেয়ে মাথা খারাপ করে দিচ্ছে তাকে একটি বার্ড কিনে দিতে হবে।আর সেই বার্ড কথা বলবে।আমি তাকে বললাম বার্ড কোথায় পাওয়া যায় তা তো আমি জানিনা। আর কিভাবে কি করতে হয় তাও জানিনা, কারণ এর আগে কখনো এই দেশে বার্ড কেনা হয়নি।আমি তাকে বললাম বার্ডের কষ্ট হবে একা একা এখানে থাকতে। ও বললো তাহলে তার জন্য আরেকটি ফ্রেন্ডও আনবো। দুজন একসাথে থাকবে তখন আর বেশি কষ্ট হবে না।এরপর সে তার স্কুলের ফ্রেন্ড এর কাছ থেকে শুনে এসেছে বার্ড কিনতে পাওয়া যায়, বার্ড শপে গিয়ে বার্ড কিনে আনতে হবে।তখন তাকে বললাম ঠিক আছে ট্রাই করে দেখব, তোমার বার্থডেতে দেওয়ার চেষ্টা করবো।যদিও তার বার্থ ডে অনেক দেরি তারপরও সে রাজি হয়েছে।যেহেতু তাকে কথা দিয়েছি তাই অবশ্যই তাকে বার্ড কিনে দেয়ার চেষ্টা করবো।
বার্ডকে নিয়ে তার কত চিন্তা! সে আমাকে বলছে তাকে আর কষ্ট করে সকালবেলায় বেড থেকে তুলে দিতে হবে না স্কুলের জন্য।😊 বার্ড তাকে তুলে দিবে বেড থেকে।বার্ড এর সাথে সে খেলাধুলা করবে, মোটামুটি তার ফ্রেন্ড হয়ে যাবে বার্ড।এরপর সে বলছে বার্ড কে কথা বলা শিখাবে।আমি আবার বললাম কোন ল্যাঙ্গুয়েজ শেখাবে, বাংলা না ইংলিশ? সে বলল ইংলিশ শিখাবো।আমি বললাম কেন বাংলা শেখাবে না? সে বলে বাংলা অনেক হার্ড, সব কথা বুঝি না ভালোভাবে, ইংলিশ আমার জন্য অনেক ইজি।আমি বললাম ঠিক আছে, তোমার যে ল্যাঙ্গুয়েজ ভালো লাগে সেটাই শিখাবে।তাকে বললাম বার্ড এর যত্ন নিতে হবে।খাওয়া-দাওয়া করাতে হবে, শাওয়ার করাতে হবে, টয়লেট পরিষ্কার করতে হবে।এগুলো কে করবে? সে বলে এ গুলো সব কিছুই সে করবে, শুধু আমাকে টয়লেট ক্লিন করতে হবে।🥹।অনেক চিন্তাভাবনা ও প্লান করে রেখেছে বার্ডের জন্য।জানিনা হঠাৎ করে বার্ডের জন্য কেন এত অস্থির হয়েছে?
আসলে সত্যি কথা বলতে কি বার্ড খাঁচায় ধরে রাখা আমার কাছে খুবই খারাপ লাগে, খুবই কষ্ট লাগে।বাংলাদেশে থাকতে যখন ছোট ছিলাম তখন একটি টিয়া পাখি আমাদের বাসায় পুশতাম ।কিন্তু আমার ভালো লাগত না তাকে বন্দী দেখে।অনেক চেষ্টা করেছিলাম তাকে কথা বলা শিখাতে কিন্তু কথা আর শিখেনি।এরপর প্রায় এক বছর পর, একদিন হঠাৎ করে ভাবলাম পাখিটাকে ছেড়ে দেই। ছেড়ে দিলে হয়তো সে আমাদেরকে ফেলে যাবে না, এখানেই থাকবে।এরপর ছেড়ে দেওয়ার সাথে সাথে সে বিশাল বড় একটি গাছের ডালে দিয়ে বসলো।অনেকক্ষণ গাছের ডালে ছিল, এরপর হঠাৎ করে দেখি আর সেখানে নেই।তারমানে সে চলে গিয়েছে আমাদেরকে ফেলে। খুব খারাপ লেগেছিল তখন তার জন্য।
যাইহোক যেহেতু মেয়েকে বলেছি তাকে কিনে দিব তাই আমি আর আমার হাজব্যান্ড গুগলে গিয়ে সার্চ করে কয়েকটি বার্ড মার্কেটের খোঁজ নিলাম।তাদের ওয়েবসাইট থেকে ইউটিউবে গিয়ে বার্ড সম্পর্কে অনেক ধারণা পেলাম, রংবেরঙের হরেক রকমের বার্ড ছিল সেখানে। আর মজার ব্যাপার হলো এক একটি খাঁচায় দুই তিনটি করে বার্ড তারা রেখে দিয়েছে।সিঙ্গেল বার্ড তারা বিক্রি করে না। সেখানে বার্ডের খাবার সহ, যাবতীয় নানান ধরনের সরঞ্জাম তারা বিক্রি করে।এক নজরে বার্ড এর প্রাইস গুলো আমরা দেখে নিলাম।৭০ থেকে শুরু করে প্রায় ৮০০ থেকে ৯০০ পাউন্ড করে তারা বার্ড বিক্রি করছে।৯০০ পাউন্ড মানে বাংলাদেশী টাকার প্রায় এক লাখের উপরে হবে।তাহলে চিন্তা করুন কেমন প্রাইস বার্ডের।সব কিছুই পছন্দের উপর ডিপেন্ড করে, সুন্দর জিনিসের দাম তো সুন্দরই হবে।কিন্তু প্রবলেম হচ্ছে সেই বার্ড শপগুলো আমাদের বাসা থেকে অনেক দূরে।অনেক সময় প্রয়োজন। আর এদিকে আমার হাজব্যান্ড একটুও সময় পায় না, সব সময় রেস্টুরেন্ট নিয়ে বিজি থাকে। তারপরও দেখা যাক সময় করে একবার সেখান থেকে মেয়ের জন্য বার্ড কিনে আনবো।
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[](https://steemitwallet.com/~witnesses
আপু, অনেক দাম ওই দেশে যে কোন পেট অ্যানিমেলের। কি বলি দুঃখের কথা, আমাকেও দুটো বাডগারিগার মানে বদ্রি পাখি রাখতে হয়েছে। সেই লকডাউনের সময় থেকে আছে। তার একটা ছোট খাঁচা ছিল। কিন্তু পাখিরা বাচ্চা দিতে পারছে না তাই বড় খাঁচা লাগবে। সে মেয়ে তো নাছোড়বান্দা । গতকালই একটা বড় খাঁচা আর ব্রিডিং হাউস কিনে দিলাম। এখন পাখিরাই তাদের ঘর চিনতে পারছে না। কি যে চলছে। মাঝে খুব বেড়ালের শখ চেপেছিল। এখন সেটা নেই। নইলে এমন দুঃখী মুখ করে ঘুরে বেড়াব মনে হবে পৃথিবী সমস্ত দুঃখ ওরই ঘাড়ে পড়েছে। তবে আপনার মেয়ের জন্মদিন তো অনেক পরে। তাই ভুলে গেলেও যেতে পারে। আর সেইটেই সুবিধে আপনাদের জন্য।
আপনারও দেখছি আমার মতো অবস্থা। ৫/৬ মাস আগে ময়না পাখিটার জন্য বড় একটি খাঁচা কিনে এনেছিলাম। কিন্তু পাখি তো নতুন খাঁচা তে কোনোভাবেই যাবে না। সে এখনও ছোট খাঁচা তে থাকে এবং নতুন খাঁচা এমনিতেই পড়ে রয়েছে।
নতুন খাঁচায় ঢুকিয়ে দিয়েছে মেয়ে। পাখিগুলো এক কোণায় বসে আছে তাই নিয়ে মেয়ে বিরাট চিন্তায় পড়েছে। হা হা হা।
পাখি গুলো মনে হচ্ছে বেশ কষ্টে আছে নতুন খাঁচা তে ঢুকে। তবে কয়দিন পর ঠিক হয়ে যাবে।
শিশুদের শৈশব এটা এমন গুরুত্বপূর্ণ যেটা বলে প্রকাশ করার মত নয়। তাই তাদেরকে যতটা সম্ভব ভালো কাজ শেখাতে হবে আপু। পশু পাখির সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলাটাও যথেষ্ট সুন্দর কাজ। একটা বিষয় খেয়াল করুন বাংলা এবং ইংলিশ এর মধ্যে এখন তার কাছে ইংলিশটাই এখন ইজি মনে হচ্ছে। এখন বুঝুন ছোট থেকে যেটাতে বেশি চর্চা করেছে সেটাই তার কাছে ইজি মনে হচ্ছে। তাই বাচ্চাদের এরকম আবদার গুলি আমার মনে হয় পূরণ করাই যথেষ্ট ভালো। আশা করছি আপনার মেয়ে তার বার্থডেতে তার পছন্দের বার্ড পেয়ে যাবে। সব সময় ফ্যামিলি নিয়ে ভালো থাকবেন আপু।
আপনার মেয়ের বায়নাটা কিন্তু দারুণ। আপনার মেয়ে যেহেতু এত সুন্দর একটি বার্ড এর জন্য বায়না করেছে সেহেতু তার মনের ইচ্ছাটা পূরণ করা প্রয়োজন। তবে বার্ড এর দাম এত জানতে পেরে সত্যি অবাক হয়ে গেলাম। আর যাইহোক আপু, আগামীতে সময় পেলে আপনার মেয়ের বায়নাটা পূরণ করবেন।
পাখি খাঁচায় বন্দী করা আমার ও ভালো লাগে না আপু।তারপরেও মেয়ের জন্য আনতে হবে আপনার।কারন কথা দিয়েছেন।আমার ছেলেকে ও এনে দিয়েছিলাম।এক মাস ও যায়নি।খাঁচা সামান্য খোলা রেখেছিল উড়ে চলে গেছে।যাক বাবা আমি হাফ ছেড়ে বেঁচেছি।এটা খুব সত্যি কথা ভালো জিনিসের দাম ভালো তো হবেই।আপনার অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
খাঁচার পাখি রেখে পোষা আমার কাছেও ভালো লাগে না। যেহেতু মেয়ে বায়না করেছে এখন তো কিনে দিতেই হবে। টিয়া পাখির কথা বলায় ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। অনেকদিন ছিল আমাদের সঙ্গে। যাইহোক সময় সুযোগ করে ওকে পাখি কিনে দিয়েন। কিছুদিন কাছে রাখলে শখ মিটে যাবে তখন। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।
যেহেতু আপনার ছোট মেয়ে বায়না ধরেছে, তাহলে তো অবশ্যই টকিং বার্ড কিনে দিতে হবে। আমি ১.৫ বছর ধরে একটা ময়না পাখি পুষতেছি,সে ইতিমধ্যেই ২০/২২টা কথা শিখে ফেলেছে এবং একেবারে স্পষ্ট কথা বলে। এমনকি তাকে খাঁচা থেকে বের করে ছেড়ে দিলেও বাহিরে যেতে চায় না। বারান্দায় ছেড়ে দিয়ে একবার ট্রাই করেছিলাম। পরবর্তীতে ময়না পাখিটা বারান্দা থেকে রুমের ভিতরে চলে আসে। যাইহোক টকিং বার্ড কিনে দিলে,আপনার ছোট মেয়ে সত্যিই খুব খুশি হবে। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।