দীঘায় যাওয়ার কিছু মুহুর্ত ।।পর্ব -৩
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।গত পর্বে আমি দীঘায় পৌঁছানোর পর কিছু মুহূর্ত এবং সেই দিন বিকেল বেলায় দীঘার বিচের কিছু ছবি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছিলাম ।আজকে দীঘায় যাওয়ার দ্বিতীয় দিন কি কি করলাম সেগুলো আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
দীঘায় যাওয়ার দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার আমাদের সমুদ্রে স্নান করার কথা ছিল ।বেশ অনেক বছর পর আবার সমুদ্র দেখে মন অনেকটাই ভালো হয়ে গিয়ে ছিল ।ছোটবেলা থেকেই আমি প্রত্যেক বছর পুরী যেতাম ।বিগত তিন চার বছর আর পুরী যাওয়া হচ্ছে না। তাই তিন চার বছর পর দীঘায় এই সমুদ্র দেখতে পেয়ে মনটা খুব ভালো হয়ে উঠেছিল। দীঘার বিচ পুরীর মতো না হলেও খুব সুন্দর। অনেক পর্যটক এখানে ঘুরতে আসে এবং খুব আনন্দ করে। আমরাও সবাই সমুদ্র দেখতে পেয়ে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলাম না ।সবাই মিলে একসাথে ফটো তুললাম। স্নান করলাম ।অনেকটা সময় দিঘার বিচে সময় কাটিয়ে দুপুর বেলা আবার হোটেলে এসে হোটেলের সুইমিং পুলে স্নান করলাম। দারুন মজা হয়েছিল সেই দিনটা।
এরপর দুপুর বেলা খাওয়া-দাওয়া করে আমরা বিকেলবেলায় দীঘার সাইড সিন গুলো ঘুরতে বেরিয়েছিলাম । প্রথমেই আমরা দীঘার একটি মন্দিরে গিয়েছিলাম যেটা অমৃতকুমার মন্দির হিসেবে পরিচিত সেখানে খুব জাগ্রত একটি শিবের মন্দির ছিল। সেখানে আমরা পূজো দিলাম ।কিছুটা সময় ওখানে থাকলাম।
এরপরে আমরা তালসারি বিচে গিয়েছিলাম। তালসারি বিচ ভীষণ সুন্দর ।উদয়পুর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে ওড়িশার বালাসোর জেলায় অবস্থিত এই তালসারি সৈকত। তালসারির সমুদ্রতীরে একসময় সারি সারি তালগাছ ছিল। এখনো আছে অনেক তাল আর নারকেল গাছ। সম্ভবত সারি সারি তালগাছের কারণেই একসময় সৈকতের নাম হয় তালসারি। বাংলায় ‘তাল’ কথাটির আরেকটি অর্থ ‘ছন্দ’। তালসারি সৈকতের অদূরে সুবর্ণরেখা নদী মিশেছে বঙ্গোপসাগরে।সৈকত বরাবর তৈরি হয়েছে ব্যাকওয়াটার চ্যানেল। জোয়ারে ব্যাকওয়াটার টইটম্বুর। ভাঁটায় জল নেমে যায়। তখন কর্দমাক্ত পথেই সৈকতে পৌঁছানো যায়। মানে যেখানে সমুদ্রের জলে টোটালি ভরা থাকে সেখান দিয়েই আবার হাঁটা যায়। এই ভাবে ওই কর্দমাক্ত মাটিতে হেঁটে যেতে খুবই ভালো লাগে। তালসারির শান্ত পরিবেশে সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের রং, রুপ অপরুপ।
আমাদের বেরোতে যেহেতু একটু দেরী হয়ে গেছিল তাই তাড়াতাড়ি সমস্ত জায়গা ঘুরেছিলাম। এরপর আমরা উদয়পুর বিচ এবং সাগর ঢেউ বলে একটা জায়গাতে গিয়েছিলাম ।সেই জায়গাগুলো খুবই সুন্দর ।এর পরের পর্বে আপনাদের সাথে সেগুলো ভাগ করে নেবো।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

বাহ দিদি খুব সুন্দর একটি জায়গায় ঘুরাঘুরির করতে গিয়েছেন। ঘুরাঘুরি করতে আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে আর সেই ঘুরাঘুরি যদি সমুদ্রের পাড়ে হয় তাহলে তো মন একদম ফুরফুরে হয়ে যায়। দীঘার সমুদ্র সৈকত দেখে আমার ইচ্ছে করছে এখনি সেখানে চলে যাই। দিদি আপনাকে সেখানে অনেক কিউট লাগছে। এরপর আপনারা আবার তালসারি বিচেও ঘুরতে গিয়েছেন আর সেখানের দৃশ্য দেখতে আরও বেশি সুন্দর। আমিও ভাবছিলাম প্রতিটা জায়গার পিছনে একটা করে রহস্য লুকিয়ে থাকে। সেখানে সারি সারি তাল গাছ ছিল বলে তালসারি নাম হয়েছে। আমার কাছে এই তালসারি নাম অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ দিদি দীঘায় কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
দীঘায় গিয়ে যে আপনারা দারুণ মজা করেছেন তা আপনাদের ছবি দেখলেই বোঝা যায়।সমুদ্রের জলরাশি দেখলেই মন জুড়িয়ে যায়।অমৃতকুমার মন্দিরটি খুবই সুন্দর।সূর্যাস্তের রংটি যেন হলুদ আভা ছড়াচ্ছে সমুদ্রের বুকে।আপনাদের ছবিগুলো ও ভালো ছিল দিদি,ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদি আপনি আপনার পরিবারের সবাই খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ছবি দেখেই বুঝতে পারছি। সমুদ্র সৈকতে গেলে মন এমনিতেও ভাল হয়ে যায়। আপনারা আবার তালসারি বীচেও ঘুরতে গিয়ে খুব আনন্দ করলেন।নামটি বেশ ভাল লাগলো।অমৃতকুমার মন্দিরটি খুব ভাল লাগলো।সেখানে আবার একটি শিবের জাগ্রত মন্দির ও ছিল। অনেক ভাল লাগলো দিদি।শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপু ছবিগুলো দেখে আমারও সমুদ্রে ঘুরে আসতে মন চাচ্ছে। সমুদ্র আমার অনেক পছন্দের জায়গা। আর এমন বাহিনী নিয়ে যাওয়া যায় তাহলে তো কথাই নেই। সবাই মিলে অনেক মজা করেছেন ছবি দেখেই মনে হচ্ছে। তাল সারির কারনে জায়গার নাম তালসারি ব্যাপারটা বেশ মজার।যাই হোক পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম। ভালো লাগলো। ধন্যবাদ
দিদি তিন চার বছর পর দীঘার সমুদ্র দেখে তোমার বেশ ভালো লেগেছিল জেনে আমারও বেশ ভালো লাগো এবং সাথে আফসোসও লাগলো। অনেকদিন হয়ে গেছে দীঘার সমুদ্র দেখার সুযোগ পায় না । দীঘায় গিয়ে সাইট সিন করতেও বেশ ভালো লাগে। এর আগের বার দীঘা ভ্রমণ করতে গিয়ে আমিও অমৃতকুমার মন্দির ও তালসারি বিচে গেছিলাম। খুবই সুন্দর লেগেছিল জায়গা দুটি।