সমাজে মনুষ্যত্ব
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।আজ আমি আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় মনুষ্যত্বের গুরুত্ব আলোচনা করবো।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
সত্যিকারের মনুষ্যত্ব বলতে বোঝায় এমন একটি মানবিক গুণ যা মানবসমাজে ন্যায়, সততা, দয়া, সহমর্মিতা এবং নৈতিকতার ভিত্তিতে গড়ে ওঠে।এটি শুধু ব্যক্তি বিশেষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং এটি সমষ্টিগতভাবে একটি সমাজের মানসিকতা ও মূল্যবোধের প্রতিফলন। আমাদের সমাজব্যবস্থায় সত্যিকারের মনুষ্যত্ব প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যের দুঃখ-কষ্ট বোঝার ক্ষমতা এবং তাদের পাশে দাঁড়ানোর মানসিকতা মনুষ্যত্বের অন্যতম প্রধান দিক।একটি সুশৃঙ্খল সমাজ গড়তে এটি অপরিহার্য।ব্যক্তিগত বা সামাজিক পর্যায়ে ন্যায়বিচারের উপস্থিতি নিশ্চিত করে যে কেউ অন্যায়ের শিকার হবে না এবং প্রত্যেকের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে।প্রতারণা বা মিথ্যাচার থেকে মুক্ত থেকে সত্যনিষ্ঠ হওয়া মানবিক গুণাবলির গুরুত্বপূর্ণ অংশ।অন্যের প্রতি সদয় হওয়া এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করার মানসিকতা আমাদের সমাজকে আরও মানবিক করে তোলে।
বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী অনেক সমাজে মনুষ্যত্বের বিভিন্ন দিক প্রচলিত থাকলেও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে।অর্থনৈতিক, লিঙ্গভিত্তিক, ধর্মীয়, এবং সামাজিক বৈষম্য আমাদের মনুষ্যত্বকে আঘাত করছে।ব্যক্তিগত লাভের জন্য অন্যের ক্ষতি করা বা সমাজের প্রতি উদাসীন থাকা মনুষ্যত্ববিরোধী আচরণ।সমাজে সহিংসতা ও ঘৃণার কারণে মনুষ্যত্ব হারিয়ে যাচ্ছে।
সঠিক নৈতিক শিক্ষা একটি সমাজে মনুষ্যত্ব প্রতিষ্ঠার প্রধান হাতিয়ার।মানবাধিকার, সমতা, এবং নৈতিক শিক্ষা প্রাথমিক পর্যায় থেকে শেখানো উচিত।ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, এবং সামাজিক বিভিন্নতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল আচরণ গড়ে তোলা প্রয়োজন।ধনী-গরিব, শিক্ষিত-অশিক্ষিত সবাইকে একীভূত করে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠন।ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং দুর্নীতির প্রতি জিরো টলারেন্স থাকা উচিত।পরিবার থেকে শুরু করে প্রতিটি পর্যায়ে দয়া, ভালোবাসা এবং সহমর্মিতা শিখানো প্রয়োজন।
মনুষ্যত্ব মানুষকে আভ্যন্তরীণ শান্তি ও সুখ এনে দেয়।একটি মানবিক সমাজ শান্তিপূর্ণ ও সহানুভূতিপূর্ণ হয়ে ওঠে।মনুষ্যত্বই প্রতিটি ব্যক্তির অধিকার রক্ষার ভিত্তি।সত্যিকারের মনুষ্যত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হলে আমাদের নিজেদের মানসিকতা ও আচরণে পরিবর্তন আনতে হবে।এটি ব্যক্তিগত ও সামাজিক দায়িত্ববোধের একটি ফলাফল।যখন সমাজে প্রতিটি মানুষ মানবিক গুণাবলির চর্চা করবে, তখনই সত্যিকারের মনুষ্যত্ব প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 4.600066515398095 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.
সমাজে মনুষ্যত্ব নিয়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার কথাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো।সত্যিকারের মনুষত্ব অর্জন করতে হলে নিজেদের মানসিকতা ও আচরণের পরিবর্তন আনতে হবে এটা একদম ঠিক কথা বলেছেন দিদি।ধনী গরিব বলে কথা নয় সবার মধ্যে যদি দয়া ভালোবাসা সহমর্মিতা থাকে তাহলে সত্যিকারের মনুষ্যত্ব প্রতিষ্ঠা সম্ভব।বেশ দারুন লিখেছেন দিদি ধন্যবাদ পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
একেবারে যথার্থ বলেছেন বৌদি। তবে সমস্যা হচ্ছে,বেশিরভাগ মানুষের মন-মানসিকতা দিনদিন একেবারে পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাইতো সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ সহ বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা লেগেই থাকে। আর আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষের মন-মানসিকতা তো একেবারেই বাজে। আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ একেবারে অন্ধকার। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সমাজে মনুষ্যত্ব নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন দিদি।কথা সবটাই সঠিক।সত্যিকারের মনুষ্যত্ব অর্জন করতে হলে আমাদের নিজেদের মানসিকতা ও আচরনের পরিবর্তন ভীষণ জরুরী।একে অন্যের প্রতি সহানুভূতির মানসিকতা তৈরি করতে হবে।তবেই সমাজে মনুষ্যত্ব প্রতিষ্ঠা পাবে।
মনুষ্যত্ব ব্যাপার টা এখন যেন বইয়ের পাতায় ভালো লাগে। মানুষের আর কোথায় এগুলো খুজে পাওয়া যায় আপু। একটা মানুষ যখন মানুষের ধর্ম গোএ জাতি নিয়ে বিভেদ সৃষ্টি করে তখনই তো মনুষ্যত্বের মৃত্যু ঘটে যায়। চমৎকার লিখেছেন আপনি। বেশ ভালো লাগল।
বরাবরের মতোই সুন্দর ও গুছিয়ে বলেছেন আপনি। আপনি আচরি ধর্ম -
সংসারে বর্তমানে শিক্ষাই বিপন্ন। তার ফলে আমরা তলিয়ে যাচ্ছি। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।