নলেন গুড়ের পায়েস তৈরি করার পদ্ধতি।//১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন। সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে নলেন গুড়ের পায়েস রেসিপি তৈরি করে দেখালাম।আশা করি সকলের ভাল লাগবে।
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ এর আর এক পার্বণ হল পৌষ সংক্রান্তি। যা পৌষ পার্বণ নামে পরিচিত। এই পৌষ পার্বণে বাঙালির ঘরে পিঠে হবে না সেটা ভাবাই যায় না। এই উৎসবে প্রতিটি ঘরে ঘরে তৈরি হয় পাটিসাপটা, পুলি পিঠে,গোকুল পিঠে,মালপোয়ার মতো একাধিক সুস্বাদু পদ।আর মিষ্টির প্রতি বাঙালির দুর্বলতা চিরকালের। বাংলার ঘরে ঘরে যেমন পিঠেপুলি হয় তার সাথে কিন্তু জুড়ে যায় নলেন গুড়ের পায়েস ও। বাঙালির রসনায় এমন মিষ্টি স্বাদ আর কোথাও পাওয়া যায় না।
চলুন তাহলে শুরু করা যাক রেসিপিটি।
উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|
১ গোবিন্দভোগ চাল | ২৫০ গ্রাম |
২. দুধ | ৫ প্যাকেট |
৩.গুড় | ৩০০ গ্রাম |
৪. গুঁড়ো দুধ | ১ প্যাকেট |
৫. কাজু | পরিমান মতো |
৬. কিসমিস | পরিমান মতো |
রন্ধন প্রণালী :
প্রথম ধাপ
•প্রথমে ২৫০ গ্রাম মত চাল নিয়ে নিলাম। তারপর ৫ প্যাকেট মত দুধ নিয়ে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ
•তারপর একটা হাড়িতে ঢেলে নিলাম।
তৃতীয় ধাপ
•তারপর দুধ টাকে ভালো করে ফুটিয়ে নিলাম।
চতুর্থ ধাপ
• ভালো করে দুধটা ফোটানোর পর চাল টাকে ভালো করে ধুয়ে দিয়ে দিলাম দুধের মধ্যে।
পঞ্চম ধাপ
• এরপর নতুন গুড় নিয়ে নিলাম। যেহেতু গুড়টা চাকা ছিল, তাই জন্য গুড় টার মধ্যে একটু জল দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিলাম।
ষষ্ঠ ধাপ
• এরপর গুড়টা দুধের মধ্যে ঢেলে দিলাম।
সপ্তম ধাপ
• এরপর আমি আলাদা একটি পাত্রে অল্প দুধ নিয়ে তাতে কিছুটা আমূলের গুঁড়ো দুধ মিশিয়ে নিয়েছিলাম সেটা দুধের মধ্যে ঢেলে দিলাম।
অষ্টম ধাপ
• এরপর চালটা সেদ্ধ হয়ে এলে বাদাম কিসমিস দিয়ে দিলাম।
নবম ধাপ
• এবার আরও কিছুক্ষণ ফুটিয়ে পায়েসটা নামিয়ে দিলাম।
দশম ধাপ
• ব্যস তৈরি হয়ে গেল নলেন গুড়ের পায়েস।
নলেন গুড়ের পায়েস এর সাথে আমার একটি নিজস্বী
ধন্যবাদ
অসাধারণ একটি রেসিপি তৈরী করেছন আপনি। এত সুন্দর করে ধাপে ধাপে পোস্টটা সাজিয়েছেন তার বলার কথা না। এনং সব মিলিয়ে চমৎকার হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে
অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনাকে এত সুন্দর ভাবে প্রশংসার জন্য।
নলেন গুড়ের পায়েস। এতদিন শুধু নামই শুনেছি। এবার দেখতে পেলাম। চমৎকার একটি খাবার। তৈরি করার প্রক্রিয়া টাও অনেক জটিল কিছু নয়। শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।
নলেন গুড়ের পায়েসের অনেক নাম শুনেছি কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার বানানো পায়েসের রঙ দারুণ লাগছে খেতেও নিশ্চই সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ
চমৎকার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
নলেন গুড়ের পায়েস একদিন খেয়ে দেখবেন, দারুন লাগবে।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
নলেন গুড়ের পায়েস আর আমার খুব পছন্দের দিদি।দিদি আপনার পায়েস দেখে খুব লোভ হচ্ছে। পায়েস দেখে মনে হয় খুবই টেস্টি হয়েছে।এই শীতের সময় নলেন গুড়ের পায়েস হলে আর কি চাই। দিদি আমি আসছি পায়েস খেতে।
দিদি আমারও গুড়ের পায়েস খুব পছন্দের। দিদি আপনি যদি সত্যি কখনো পায়েস খেতে আসেন তাহলে হয়তো আমার থেকে খুশি আর কেউ হবেনা।সেইদিন শুধু পায়েস না আপনার যা যা পছন্দ আমি সেদিন সবই রান্না করে খাওয়াবো। সত্যি আপনার এই মন্তব্যটি পড়ে খুব খুশি হলাম।
দিদি আমি আজকে আপনার পোস্ট পড়ে কিছুটা গেস করতে পেরেছিলাম যে হয়তো আপনার জন্মদিন হতে পারে,বাট শিওর ছিলাম না। এখন জানতে পারলাম যে আজকে আপনার জন্মদিন। দিদি আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জন্মদিনের।সবসময় অনেক খুশি থাকো।আপনার সব ইচ্ছা পূরণ হোক।
নলেন গুড়ের পায়েস
খেতে লাগে ভীষণ মজা
পায়েস দেখে ইচ্ছে করে
চলে যাই সোজা
খুব সুন্দর হয়েছে আপু
নলেন গুড়ের পায়েস
মজা করে খেয়েও আর
করো সবাই আয়েস
♥♥
দিদি কি সুন্দর করে পায়েস নিয়ে কবিতা লিখে দিলেন বেশ ভালো লাগলো কবিতাটা। অনেক সুন্দর করে কবিতা লেখেন আপনি। কখনও কলকাতায় আসলে বলবেন দিদি। আপনার নেমন্তন্ন রইল।
ধন্যবাদ দিদি
♥♥
নলের পায়েস মনে হয় অনেক মনে হয় মজা।আপনি অনেক মজা করে রান্না করেছেন,ছবির কালার দেখে বুঝা যাচ্ছে। অনেক ইয়াম্মি, 😋😋😋
হ্যাঁ নলেন গুড়ের পায়েস খেতেও দারুন হয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
দিদি খুবই সুস্বাদু একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। পায়েস আমারও খুব পছন্দের তার মধ্যে আবার গুড় দিয়ে পায়েস, সেটাতো আরো অসাধারণ ব্যাপার। আপনার আজকের রেসিপিটা দেখতে খুবই অসাধারণ লাগছে, খেতেও নিশ্চয় অনেক সুস্বাদু হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ দাদা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল।অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।
এই ননেল গুড়ের নাম অনেক শুনেছি। এই গুড় দিয়ে তৈরি পিঠা বা মিষ্টান্ন নাকী খুবই সুস্বাদু হয়। পায়েস আমার বেশ পছন্দের খাবার। ননেল গুড় দিয়ে পায়েসের রেসিপি টা দারুণ হয়েছে দিদি। দেখেই তো আমার খেতে ইচ্ছা করছে। এবং খুবই সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে রেসিপি টা শেয়ার করেছেন।
এত সুন্দর করে প্রশংসা করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। কখনো কলকাতায় আসেন তো বলবেন আপনার নেমন্তন্ন রইল😊।
দিদি,পায়েশ আমার খুব পছন্দের।মিষ্টি জাতীয় খাবারগুলো আমি একটু কমই খাই,তবে আমার কাছে পায়েশ খুব ভালো লাগে৷ খুব টেস্টি আর মুখে লেগে থাকার মত হয় বলে খুব মজা লাগে। আপনার এই পায়েশ তো দেখতে একদম টেস্টি মনে হচ্ছে। খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন আপনি।
হ্যাঁ দিদি পায়েস আমারও খুব পছন্দের। খেতেও দারুণ হয়েছিল।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।