ফুড ফোটোগ্রাফি
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে আমার কিছু প্রিয় খাবারের ছবি ভাগ করে নিচ্ছি।আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
আমি আজকে একদম অন্যরকম একটি পোস্ট করতে যাচ্ছি ।সেটা হল ফুড ফটোগ্রাফি। এর আগে আমি কখনো ফুড ফটোগ্রাফি পোস্ট করিনি। এই প্রথমবার ফুড ফটোগ্রাফি পোস্ট করার একটাই কারণ হঠাৎ করেই আজকে গ্যালারি ঘাটছিলাম। ঘাটতে ঘাটতে শুধু দেখছি যে খাবারের ছবি আর নিজের ছবি ছাড়া সেরকম কোনো ছবি খুব একটা বেশি নেই ।তো এত খাবারের ছবি দেখে ভাবলাম যে আপনাদের সাথেও সেই খাবারের ছবিগুলো ভাগ করে নিই। তাই আজকে এই ফটোগ্রাফি পোস্ট ।
নতুন নতুন খাবার খেতে বা নতুন নতুন খাবার টেস্ট করতে সকলের খুব ভালো লাগে ।আর বাঙালি হচ্ছে খুবই খাদ্য রসিক। আমাদের বাঙ্গালীদের বইমেলা বা শিল্প মেলা বা অন্যান্য মেলার থেকে খাবার স্টলে সবচেয়ে বেশি ভিড় থাকে। সত্যি বলতে শীতকালে যেসকল মেলাগুলো হয় সব মেলাগুলোর থেকে খাদ্য মেলাতে লোকে ভিড় বেশি জমায় ।তাই জন্য দিন যত দিন যাচ্ছে কলকাতার নানান জায়গায় এই খাদ্য মেলার গুরুত্ব তত বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাহলে আজকে সেই নতুন নতুন খাবার যা আমার কাছে এক কথায় খুবই ভালো লেগেছে। সেই ছবিগুলি আপনি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি। আশা করি আপনাদের সকলের খুব ভালো লাগবে ।
চেলো কাবাব
এই খাবারটি আমার ভীষণ প্রিয় ।এটি পার্ক স্ট্রিটের পিটার ক্যাট রেস্টুরেন্টের খুব জনপ্রিয় একটি খাবার ।আর এই খাবারটির জন্যই বলা যেতে পারে রেস্টুরেন্টটির খুব নাম ।
মোমো
মোমো সম্পর্কে কি আর বলবো!আমি ভীষণ মোমো প্রিয় কারণ যখনই কোথাও ঘুরতে যায় তখনই চটজলদি কোনো খাবারের কথা মাথায় আসলে মোমোর কথাই মনে পড়ে 🤭।
বেকড ফিস
নিউ টাউন কফি হাউসের খুব প্রিয় একটি খাবার আমার। আর খুব হেলদিও এই খাবারটি। এই খাবারটির দামও খুব রিজেনেবল আর ভীষণ টেস্টি ।
চিকেন তান্দুরি
অনেকেরই চিকেন খুব প্রিয়। আমি কোনো রেস্টুরেন্টে গেলে খুব একটা মটন খাই না। তাই সব সময় চিকেন আইটেমই বেশি খাই। আর চিকেন খাই বলেই রেস্টুরেন্টে সবার প্রথম স্টার্টার হিসেবে যদি কোনো খাবার অর্ডার করি। তাহলে এই চিকেন তন্দুরিই বেশিরভাগ খাই।
তন্দুরি পমফ্রেট
আর্সেলানের বিরিয়ানি ভীষণ নামকরা যখনই আমি আর্সেলানে যাই ।তখনই আমি ওখানেরই বিরিয়ানি খাওয়ার জন্যই যাই। কিন্তু এই রেস্টুরেন্টে গেলে পমফ্রেট তন্দুরি মাস্ট ট্রাই করতেই হবে ।কারণ দারুণভাবে অনেকটা সময় নিয়ে এই খাবারটি বানায় । আমার খুব পছন্দের একটি খাবার বলা যেতে পারে।
চিকেন বার্গার
আমি খুব একটা বার্গার প্রিয় নই। বার্গার একেবারেই আমি পুরো খেতে পারি না, আর খুব ভারীও লাগে। একদিন হঠাৎ করেই একটি ক্যাফেতে গিয়ে মনে হলো যে বার্গার অর্ডার করি। বার্গারটি খাওয়ার পর আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। খাবারটির ডেকোরেশনও যেমন সুন্দর ছিল খেতেও টেস্টি ছিল।
চিকেন করিয়েন্ডার স্যুপ
বেশিরভাগ সময়ই আমি চিকেন manchow সুপ বা কর্ন স্যুপই অর্ডার করি ।কিন্তু একদিন হঠাৎ করেই মনে হল অন্য কোন স্যুপ ট্রাই করি সেখান থেকেই এই করিয়েন্ডার স্যুপ নেওয়া ।আর এই করিয়েন্ডার স্যুপ খাবার পর খুবই ভালো লেগেছিল । ভীষণ সুস্বাদু খেতে হয়।
ডিভাইস | redmi note9 |
---|---|
লোকেশন | (কলকাতা ) |
ক্রেডিট | @swagata21 |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমার কাছে স্ট্রিটফুড খুব ভালো লাগে, আগে নিয়মিত ফুড রিভিউ পোষ্ট শেয়ার করতাম কিন্তু এখন আর অতোটা সুযোগ পাই না। এই জন্য কোলকাতা গিয়ে যতটা সম্ভব স্ট্রিটফুড খাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। আমার কাছে প্রথম খাবারের দৃশ্যটা বেশী আকর্ষণীয় লেগেছে।
দিদি বেশকিছু মজার মজার খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। জিভে জল এসে গেলো। 😋চেলো কাবাব নামটা অন্য রকম। আপনার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।আপনি সব ফটোগ্রাফির নীচে বিবরন তুলে ধরেছেন, এজন্য আরো বেশি ভালো লাগলো। ধন্যবাদ দিদি আপনাকে সুন্দর এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
দারুণ কিছু খাবারের ফোটোগ্রাফি পোষ্ট করেছেন দিদি খুব লোভনীয় প্রতিটি খাবার। নতুনত্ব কিছু খাবারের আইটেম ও দেখলাম। চেলো কাবাব,চিকেন করিয়েন্ডার স্যুপ, মোমো, চিকেন বার্গার সবকটি ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর হয়েছে দিদি।
আপু আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর এবং সুস্বাদু খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার এই সুস্বাদু খাবারগুলোর ফটোগ্রাফি দেখে জিভে জল চলে আসতেছে।চিকেন বার্গার খাবারের ফটোগ্রাফি টা আমার কাছে সবচাইতে বেশি ভালো লেগেছে। কারণ এটা আমার খুবই প্রিয় একটি খাবার। দারুন একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাঙালি নাম মাত্রই ভোজন রসিক। বাঙালিরা অনেক পেটুক হয়ে থাকে খাবার খেতে সব সময় অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করে।
নতুন নতুন খাবার খেতে এবং খাবারের স্বাদ নিতে আমার খুবই ভালো লাগে।।
আপনার মাধ্যমে আজকে বেশ কিছু খাবারের আইডিয়া পেলাম। এবং খাবার গুলো খুবই লোভনীয় ছিল দেখেই জিভে জল চলে আসছে। ্
ফুড ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে একটি বিষয় অন্তর্নিহিত। সেটা হল পছন্দের খাবার গুলো একত্রিতভাবে দেখতে পেলাম। দিদি দারুন কিছু খাবার উপভোগ করেছিলেন যেগুলো আমাদের সাথে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে শেয়ার করলেন অনেক ভালো লাগলো।
একটি নতুন টাইপের পোস্ট হয়েছে।ফুড নিয়ে সাধারণত রিভিউ রেসিপি ও জেনারেল পোস্ট করতে দেখা যায়।সেই ক্ষেত্রে এই ফুড ফটোগ্রাফি একটা দারুন বৈচিত্র্য এনেছে।অনেক সুন্দর হয়েছে পোস্ট টি।❤️
💗💖
একদম আমার মনের মত একটি পোস্ট করেছেন। এই ধরনের পোস্ট পড়তে আমার কাছে সবসময়ই দারুন ভালো লাগে। আর যে খাবারের ছবিগুলো দিয়েছেন সেগুলো তো দেখে মনে হচ্ছে এখনই একবার খেতে পারলে ভালো হতো। বিশেষ করে প্রথম খাবারটা (চেলো কাবাব) আমার এখনই খেতে ইচ্ছা করছে। কিন্তু ইচ্ছে করলেই তো আর উপায় নেই। কারণ আমাদের এখানে এই নামের কোন কাবাব আমি এখন পর্যন্ত দেখিনি। দিদি পুরো প্ল্যাটারের নাম ছিল চেলো কাবাব নাকি ওখানকার কোন একটি কাবাব এর নাম ছিল চেলো কাবাব? এটা জানতে ইচ্ছা করছে।
হ্যা দাদা পুরো প্ল্যাটারের নামই চেলো কাবাব।
একদম ঠিক বলেছেন দিদি বাঙালিরা খাদ্য রসিক আর নিত্য নতুন খাবারের টেস্ট কে না পেতে চায়।তবে এটা অবাক লাগলো একটা বার্গার আপনি পুরো খেতে পারেন না। তবে একটি উপায় আছে একটি বার্গার নিয়ে অর্ধেক দাদাকে দিয়ে দিবেন আর অর্ধেক আপনি খাবেন তাহলে কিন্তু সমস্যাটা সমাধান হয়ে যাবে দিদি হাহাহা। অনেক চমৎকার কিছু ফুড ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন খুব ভালো লাগলো এবং লোভও হচ্ছিলো দেখে। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।
দিদি ভাই, এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে সত্যিই ব্যতিক্রম রকমের পোস্ট ছিল। তবে খাবার গুলোর ছবি দেখছিলাম , আর মনে মনে খাওয়ার বাসনা জাগ্রত হচ্ছিল।
শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।