বাঙালির লুপ্তপ্রায় গুণগুলো।। //১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে বাঙালির লুপ্তপ্রায় গুণ নিয়ে আমার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কিছু কথা ভাগ করে নিলাম।
সময়ানুবর্তিতা জীবনের একটা শ্রেষ্ঠ গুণ।জীবনে লক্ষ্যে পৌঁছাতে যে যে বিশেষ মানবিক গুণ গুলো থাকা আবশ্যক তার মধ্যে এই গুণ অধিক গুরুত্বপূর্ণ।সময় পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান বিষয়।সময়কে আমরা নিজের করতে পারি না তবে তার উপযুক্ত ব্যবহার করে আমরা নিজেদের চিন্তা দর্শন ও পরিকল্পনা কে অনেক বেশি উন্নত পরিপূর্ণ ও পরিপক্ব করতে সক্ষম হয়।এই পৃথিবীতে কেউ মেধাহীন নয়।প্রত্যেকেই জিনিয়াস।কিন্তু বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে প্রত্যেকটা মানুষ সেরা।কিন্তু আমরা যদি আগে থেকেই ক্ষেত্র গুলো সীমাবদ্ধ করে দিয়ে তা সবার উপর চাপিয়ে দেই এবং সেটা কেই মেধা যাচাইয়ের মানদন্ড মনে করি তাহলে এর থেকে বড় ভুল আর হতে পারে না।কিন্তু দুর্ভাগ্যের ব্যাপার ,এটাই বাস্তবতা আমাদের দেশে মেধা যাচাইয়ের।
এই প্রসঙ্গে সর্বকালের সেরা পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন একটা সুন্দর কথা বলেছিলেন,
"কোনো মাছ এর গাছে আরোহণ করার দক্ষতার ওপর নির্ভর করে যদি তার মেধা যাচাই করা হয় ,তার থেকে বড় বোকামি আর কিছুই হতে পারে না।"
কিন্তু আমাদের বর্তমান সিস্টেম পুরোপুরি এইভাবেই চলছে।শচীন টেন্ডুলকার কে যদি একজন গায়ক হিসেবে তার মেধার যাচাই করা হয় তাহলে নিঃসন্দেহে তিনি খুবই দুর্বল মেধার মানুষ কিন্তু একজন ক্রিকেটার হিসেবে বিবেচনা করলে তিনি বিতর্কহীন ভাবে ব্যাটিং জিনিয়াস, সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান।
যাই হোক আমাদের নিজেদের সেরা টা দেওয়ার জন্য আমাদের সঠিক ময়দান কোনটা সেটা আগে খুঁজে বের করতে হবে।তারপর প্রয়োজন অর্ধবস্যায় নিয়মানুবর্তিতা ও সময়ানুবর্তিতা।কিন্তু আমরা বাঙালিরা সময়ের ব্যাপারে খুব উদাসীন।কোনো কাজ করার নির্দিষ্ট সময় সকাল ১০ টা হলে সেটা শুরু করতে করতে আমাদের সাড়ে দশটা বেজে যায়।কোথায় ও পৌঁছানোর কথা বিকেল পাঁচটায় হলে আমরা বাঙালিরা পৌঁছাই সন্ধ্যা ৬ টায়।
আমরা জাতি হিসেবে দিনদিন পিছিয়ে পড়ছি।একসময় এই বাঙালি জাতি সারা ভারতবর্ষ কে পথ দেখতো, কিন্তু আজ এই জাতির অবস্থান কোথায়?তার জন্য আমরা বাঙালিরাই দায়ী।এখনো সময় আছে আমাদের জ্বলে উঠতে হবে।নিজেদের সেরাটা দিতে হবে।তাহলেই বাঙালির সুদিন ফিরে আসবে।
দিদি আপনি অনেক সুন্দরভাবে সময়ের মূল্যায়ন আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আসলে সময়ের মূল্যায়ন না দিতে পারলে কোন কাজে ভালোভাবে সফলতা করা যাবে না। আমাদের বাঙ্গালীদের একটা স্বভাব আছে কোন কাজ তাড়াতাড়ি করতে চায়না ।কোন কাজ দশটায় হলে পৌছাতে পৌঁছাতে আমরা সাড়ে দশটা বাজিয়ে দি। আসলে আমাদেরকে জেনে উঠতে হবে।
একদম ঠিক বলেছেন দিদি।কথায় বলে বাঙালি জাতি সবথেকে আরামপ্রিয় ও অলস।আর সময় সম্পর্কে এতটাই উদাসীন যার ফলস্বরূপ এই বর্তমান যুগের দরিদ্র অধিকাংশ বাঙালি।অনেক সুন্দর লিখেছেন কথাগুলো, ভালো লাগলো পড়ে।ধন্যবাদ আপনাকে, ভালো থাকবেন।
দিদি পোষ্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ৷দিদি ঠিক বলেছেন আমাদের প্রতিটি মানুষের চিন্তা বুদ্ধি মেধা সবই আছে ৷কিন্তু একেক জন একে বিষয়ে মেধা খাটানো উচিত ৷আমরা যেটা পারব সেটার প্রতি মনযোগ দেওয়াই উচিত ৷বলতে গেলে একটি ছুরিকে যদি ফেলে রাখা হয় ৷তাহলে ছুরিটি জং ধরবে আর যদি ছুরি কে কাজে ব্যবহার করি তাহলে হবে ধারালো৷ঠিক আমাদের মেধাটাও তাই ৷আমরা কাজে লাগাতে পারি না ৷
দিদি আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো, আর এই পোস্টটির মধ্যে আপনি একদম বাস্তব কথাগুলো লিখেছেন। আসলে আমরা বাঙালি জাতি হিসেবে অলস এবং আমরা আরামপ্রিয়। ঠিকভাবে কাজ করতে চায় না। একদিন কাজ করলে, আরামে খেতে চাই সাত দিন, এভাবে আমরা নিজেদেরকে পিরিয়ে নিচ্ছি।
এই কথা গুলোর সঙ্গে দিদি, আমি সহমত পোষণ করছি । কারণ সময়ের সঙ্গে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মূলমন্ত্র ছোট বেলা থেকেই যদি পরিবারের মাধ্যমে সঠিক ভাবে দেওয়া যায় , তাহলে অনেক কিছুই সম্ভব হয় ।অর্ধবস্যায়, নিয়মানুবর্তিতা ও সময়ানুবর্তিতা এই ব্যাপার গুলো একটি আরেকটির পরিপূরক ভূমিকা পালন করে । ভালো লেগেছে কথা গুলো ।
জি আপু আপনি ঠিকই বলেছেন আমরা বাঙালি জাতি দিন দিন বিভিন্ন দিক থেকে দারুন ভাবে পিছিয়ে যাচ্ছি। যেটা আমাদের জন্য সম্পূর্ণরূপে অকল্যাণকর। তাই আমাদের উচিত এ বিষয়ে সচেতন হওয়া এবং আমাদের সৃজনশীলতাকে আরো বেশি বিকাশিত করে নিজেদের সেরাটা সকলের নিকট উপস্থাপন করা। দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে ধরেছেন দিদি। আসলে আমাদের মেধা যাচাইয়ের সিস্টেমটা একদম একতরফা হয়ে গেছে। বিভিন্ন দেশ আছে শুধুমাত্র কারিগরি শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করেছে, যে যেটা করতে ভালোবাসে সেটাই করতে দেয়া হচ্ছে কিন্তু আমাদের এই দেশে সেই সিস্টেম নেই। সুন্দর একটি উদাহরণ দিয়েছেন, ভালো লাগলো আপনার পোষ্টটি পড়ে।
খুবই সুন্দর একটি লেখা। বিষয়টা খুবই সুন্দর। সত্যি আমাদের দেশে সেভাবে কেরিয়ার কাউন্সেলিং হয় না ।এটা খুব দরকার।
দিদি আপনার ফটোগ্রাফের এই লেখাটি আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে ড্রিম ব্রিক ওয়ার্ক হার্ড। জীবনে স্বপ্ন বড় না হলে কাজ করা যায় না তাই আমাদের অনেক নিয়ম নিয়মানুবর্তিতার সাথে কাজ করতে হবে।