নাটক রিভিউ || হাড় কিপটে || ৬২ তম পর্ব
আজ - সোমবার
হাই! বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি অনেক অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম হাড় কিপটি নাটকের ১০৫ পর্বের মধ্য থেকে ৬২ তম পর্ব রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আমার এই রিভিউ পোস্ট আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে।
নাম | হাড় কিপটে |
---|---|
রচনা | বৃন্দাবন দাস |
পরিচালক | সালাউদ্দিন লাভলু |
অভিনয়ে | আমিরুল হক চৌধুরী, চঞ্চল চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, মোশাররফ করিম, আ খ ম হাসান, শামীম জামান, শাহনাজ খুশি সহ আরো অনেকে। |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | আঞ্চলিক বাংলা |
ধরণ | কমেডি,ড্রামা |
পর্বের সংখ্যা | ১০৫ |
রিভিউ | ৬২ তম পর্ব |
দৈর্ঘ্য | ১৮ মিনিট |
প্ল্যাটফর্ম | ইউটিউব @cdchoicedrama চ্যানেল |
চরিত্রেঃ
- মোশাররফ করিম (গোল্লা)
- আমিরুল হক চৌধুরীর (নজর আলী)
- চঞ্চল চৌধুরী (বহর আলী)
- বৃন্দাবন দাস (ভূপেন) সহ আরো অনেকে
নজর আলী কৃপণের ছোট ছেলে বাবার উপর রাগ করে ঘুম দিয়েছিল। আর ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে দেখে সে তার বাবাকে হত্যা করার জন্য একটি দাও নিয়ে চলে এসেছে। এদিকে ঘুমের ঘরে সে গোজরাচ্ছে। পাশে তার বড় ভাই শুয়েছিল,সে তাকে ডেকে তোলে। এরপর বিস্তারিত শেখার ভাইয়ের কাছে জানাই এবং আরও জানাই যে তার ভাই যেন তার গালে দুইটা চড় দেয়। সে কেন এমন স্বপ্ন দেখবে। হাজার হলো তার বাবা তো তাই না। তারপর বড় ভাই তাকে খুব সুন্দর ভাবে সান্তনা দিয়ে মাথা ঠান্ডা করায়। তার ভাই তাকে বুঝ দিতে থাকে। সে আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভূপেনের মতো কোন এক আশ্রমে চলে যাবে। ভাই মনে মনে ভাবতে থাকলো ছোট ভাইয়ের এমন ভুল সিদ্ধান্ত এবং রাগ হয়তো খারাপ স্বপ্ন দেখাচ্ছে।
এদিকে পূর্বের দিন গোল্লা গণ্যমান্য ব্যক্তি হিসেবে ভূপেনের দুই মামাকে বলে রেখেছিল ছোট্ট একটা মিটিং রয়েছে। ভূপেনে দুই মামা এবং নহরের দুলাভাই উপস্থিত হয়েছে হারকিপটে নজর আলীর বাড়িতে। এমন বসে মিটিং করা দেখে নহরের মেসো ভাই বহর রেগে গেল। গোল্লা জমি দখল করার জন্য এসে বসেছে। এই বিষয়টা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না বহর। তাই তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি সৃষ্টি হল এমনকি মারামারির পর্যায়ে চলে আসতে লাগলো। অবশেষে গোল্লার সাথে যখন বহর পারল না সে তখন তার বাবাকে ডাকার জন্য দৌড়ে চলে গেল বাড়ি ছেড়ে।
নজর আলী ত্রিপন বড় ছেলে ফজরের বিয়ে বাবদ ৫ বিঘা জমির লিখে নেওয়ার কথা ধার্য করেছে। এ বিষয়টা নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে কথা কাটাকাটি চলছিল। এমন মুহূর্তে মেজো ছেলে বহর এসে গোল্লার জমি জায়গা ভাগ করে নেওয়ার বিষয়টা জানাতে থাকে। তবে বিষয়টা হারাধনের কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছিল না। এ বিষয়টাকে কেন্দ্র করে আবার দুই বন্ধুর মধ্যে আরও একটু কথা কাটাকাটি সৃষ্টি হয়ে গেল। অতঃপর দেখল বন্ধুর সাথে কথা কাটাকাটি করে লাভ নেই জমি দখল করছে সেটা ঠেকাতে হবে। তখন বাবা ছেলে দৌড়ে বাড়ির দিকে চলে আসে।
এদিকে নজর আলী কৃপণের বড় ছেলে বাবার পক্ষ নিয়ে কোন কিছু বলার সাধ্য নেই, তাই মায়ের কাছে টেনশন করতে থাকলো নিজের বিয়ে নিয়ে। সে বারবার ভাবতে থাকলো এমন মুহূর্তে গুল্লা ভেজাল না পাকালেই পারতো। তার বিয়েটা হয়ে যাক তারপরে না হয় তুমি জায়গা নিয়ে তার বাবার সাথে যা করে করুক। কিন্তু এমন মুহূর্তে গুল্লা কেন ভেজাল পাকাচ্ছে এটাই তার কথা। এদিকে ফজরের মা বুঝালো তার মায়ের সম্পত্তি সে বুঝেনি এতে তোর টেনশন কিসের। যেন অন্যরকম এক ঝামেলার মধ্যে পড়ে যাচ্ছে ফজর। গুল্লার সহযোগিতায় সে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল বিয়ে করার জন্য কিন্তু বিয়ের আগে যদি গোল্লা এমন ঝামেলা করে তাহলে তার বিয়ে হবে কি করে।
দ্বিতীয়বারের মতো আবারও গুল্লা আর বহরের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হয়ে গেল জমি জায়গা নিয়ে। একপর্যায়ে লক্ষ্য করা গেল ঝগড়া বিবাদ এর খারাপ মন নিয়েছে। গায়ে হাত উঠা উঠে সৃষ্টি হবে এমন পর্যায়ে গোল্লা হাতে একটি দাও নিয়েছে কাটাকাটি করার জন্য। গোল্লার এমন আচরণ দেখে ভয়ে পালিয়ে গেল গোল্লার মামা আর মেজ মামাতো ভাই। গোল্লা জানিয়ে দিল এই ঘর সে দখল করে নিয়েছে এই ঘরে কেউ আসলে তাকে কেটে ফেলবে। আর এভাবেই গোল্লা তার মায়ের সম্পত্তির অংশীদারিত্ব নেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে বিষয়টা অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি মনে হয়েছিল ভূপেনের দুই মামার কাছে। তখন গুলাব ওখানে দুই মামাকে খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে বলল অতীত কাহিনী। অতীতের কাহিনী শুনে ভূপেনের দুই মামা বুঝতে পারল।
হার কিপটে নাটকের বেশ কিছু পর্ব অতিক্রম করে এসে আমরা এই পর্যায়ে লক্ষ্য করতে পেরেছি গোল্লা সক্রিয়ভাবে নিজের জমি জায়গা দখল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং চূড়ান্ত একটা পর্যায়ে সৃষ্টি করার সুযোগ এনে ফেলেছে। সে প্রথমত নজর আলী কৃপণ এবং তার ছেলেদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি করেছে প্রেম-ভালোবাসা বিয়ের তফাৎ সৃষ্টি করার মধ্য দিয়ে। প্রথমত শেষ সহযোগিতা পেয়েছে দুই কুলাঙ্গার মামাতো ভাইয়ের প্রেম ভালোবাসার মধ্যে ঢুকে। সে তাদের দুর্বলতা বুঝে ফেলেছে এবং এটা জেনে গেছে কিভাবে মামার কাছ থেকে মায়ের অংশীদারিত্ব বুঝে নেয়া যায়। তাই এ পর্যায়ে এসে খুব সুন্দর অভিনয় আমরা খুঁজে পেয়েছি যেখানে মামা ভাগ্নের দ্বন্দ্ব ফ্যাসাদ সৃষ্টি হওয়ার ঘটনা কে কেন্দ্র করে। তবে বলা যায় এই পর্যন্ত গোল্লা তার লিগাল পয়েন্টে রয়েছে আইনের মধ্য দিয়ে চলার চেষ্টা করছে। অভিনয়টা এভাবে এমন সুন্দর করে সাজানো যেখানে নজর আলী কৃপণের অভিনয় কান্না এ সমস্ত বিষয়গুলো দর্শককে বেশি আনন্দিত করেছে। গোল্লার চতুর বুদ্ধির কথাবার্তা গুলো যেন দর্শকের এমন স্থান নিয়েছে। এছাড়াও বহরের অভিনয় সব সময় কৃপণতা কেন্দ্রিক তাই আরো যেন এক্সট্রা ভালোলাগা সৃষ্টি করে থাকে সবসময় এর জন্য। তবে দর্শক বেশ চিন্তিত থাকবে এই জায়গাতে নজর আলী কৃপণের বড় ছেলের বিয়ের বিষয়টা কি হয় না হয় সেটা দেখার জন্য। তবে সব মিলিয়ে বলতে পারি, নাটকের সুন্দর একটি পর্যায়ে এসে গেছে। এতদিন কিছু অভিনয় আমাদের মাঝে একঘেয়েমিতা এনে দিয়েছিল। এখন কিন্তু নতুন রূপ ধারণ করতে শুরু করেছে অভিনয়ের মাঝে।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন নাটক রিভিউতে, ততক্ষণ ভালো থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
16-12-24
নাটকটা আমার দেখা হয়েছে অনেক সুন্দর একটা নাটক। ভাইয়া আপনি অত্যন্ত সুন্দরভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন নাটকটি পর্ব আকারে।এত সুন্দর নাটকটি আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে রিভিউ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
চেষ্টা করেছি, আশা করব সম্পূর্ণ পর্ব দেখবেন আপনি
হাড় কিপটে নাটকের ৬২ তম পর্ব আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এই পর্বের কাহিনীটা অনেক বেশি সুন্দর ছিল। আর আমার কাছে এই পর্বের কাহিনীটা অনেক ভালো লেগেছে রিভিউর মাধ্যমে পড়ে। আশা করি আপনি এরকম ভাবে সুন্দর করে এই নাটকের প্রতিটা পর্বের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
এ পর্বে আমরা নতুন কিছু দেখতে পেরেছি
দেখতে দেখতে আপনি হাড়কিপটে নাটকের ৬২ তম পর্ব আমাদের মধ্যে শেয়ার করেছেন। হাড় কিপটে নাটকটি খুবই সুন্দর। আমি এই নাটকের অনেকগুলো পর্ব দেখেছি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এত সুন্দর করে নাটক রিভিউ শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।