জেনারেল রাইটিং || রাখি বন্ধন অসাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে
ছবিটি আমার বাংলা ব্লগ থেকে সংগ্রহীত
হাই বন্ধুরা!
হাই
বন্ধুরা!জয় হোক মানবতার, জয় হোক মানব ধর্মের। অসচেতন মানুষগুলো সচেতন হোক, মানুষকে সম্মান করতে শিখুক, সম্মান করতে শিখুক জাতিকে। সজাগ দৃষ্টিভঙ্গি ফিরে আসুক সকল মানুষের মধ্যে। ভালবাসতে শিখুক একে অন্যকে। আমরা ইতিহাস পড়ে জেনেছি, ধর্মচর্চা করে জেনেছি মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব, তাই মানুষের দ্বারা ভালো কিছু হওয়া সম্ভব মানুষের দ্বারাই খারাপ কিছু হওয়া সম্ভব। তবে যে মানুষ সজাগ সচেতন এবং মানুষকে সম্মান করতে জানে তাদের দ্বারা কখনো খারাপ কিছু হয় না। যেখানে রয়েছে সততা সেখানেই রয়েছে সম্মান আত্ম মর্যাদা। একটা সময় আমরা ভারত বর্ষ বলে গৌরব করতাম। কারণ ভারতবর্ষটা এতটাই বড়, বিশ্বের যে কোন প্রান্তের মানুষ ভারত বর্ষ বলতে সমগ্র বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তান বার্মা রাষ্ট্রগুলোকে বুঝাতো। সমগ্র দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করে বলা যায় ভারত মাতার সন্তান বাংলাদেশ পাকিস্তান। আবার অন্যভাবে বলা যায় একই মায়ের সন্তান বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তান। হয়তো আজ আলাদা আলাদা রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে তবে আমি ছোট থেকে ইতিহাস পড়ে লেখাপড়া শিখে এই পর্যন্ত নিউজ মিডিয়ার মাধ্যমে যথেষ্ট ভারতের অবদান দেখেছি। আর সেই সমস্ত অবদানগুলো বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য। আমি খেয়াল করে দেখেছি সর্বদা ভারত বাংলাদেশকে নিজ মায়ের ছোট সন্তানের মত আগলিয়ে রেখেছে এবং সহায়তা প্রদান করে গেছে।
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগ হওয়ার পর বাংলাদেশ থেকে অনেক হিন্দু ধর্মের মানুষ ভারতে চলে গেছেন আবার ভারত থেকে অনেক মুসলিম বাংলাদেশে অবস্থান করেছেন। এরপর থেকে দুই রাষ্ট্রের মধ্যে যখন সুন্দর সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে তখন এই দেশ থেকে ওই দেশে ওই দেশ থেকে এদেশে মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে আসা-যাওয়া করেছে এবং সহযোগিতা পেয়েছেন। একটা কথা আছে একের লাঠি দশের বোঝা। বাংলাদেশ যখন পাকিস্তানের সাথে নয় মাস মুক্তিযুদ্ধ করেছিল তখন ভারত বাংলাদেশকে সহায়তা করেছিল, সাপোর্ট করেছিল, সহযোগিতা করেছিল। আর এই সমস্ত বিভিন্ন সহযোগিতার মধ্য দিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হয় বাংলাদেশ। তাই আমি মনে করি আজ দুই দেশের মধ্যে যদি দ্বন্দ্ব-বিবাদ সৃষ্টি হয় এতে দুই দেশের ক্ষতি। কিছু উশৃংখল খারাপ শ্রেণীর মানুষ রয়েছে যারা সর্বদা চায় প্রতিহিংসা। একটা কথা আছে নিজের ক্ষতি পরের লাথি আরো সহজ করে বলতে গেলে বোঝাই নিজের পায়ে নিজের কুড়াল মারা। আমরা কখনো কাউকে অপমান করবো না এটা মানবতার ধর্ম। আজকে নিজেকে বড় ভেবে অন্যকে ছোট করা সেটা মূর্খের পরিচয়। মিডিয়াতে দেখতে পারলাম অনেক মানুষ জাতীয় পতাকা নিয়ে বেশ বোকার পরিচয় দিচ্ছে। অপমান করছে রাষ্ট্রকে। এগুলো করে হয়তো বড় আকারে ক্ষতি করতে পারবে না তবে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে দুই দেশের সুন্দর সাহায্যপূর্ণ সম্পর্ক নষ্ট করবে যেটা সর্বদা অকল্যাণ বয়ে আনবে। তাই এ সমস্ত বোকামি থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখতে হবে, কিভাবে একে অপরের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলা যায় সেই চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। যে সমস্ত মানুষগুলো আজকে মূর্খের পরিচয় দিচ্ছে তাদেরকে সজাগ করতে হবে এবং সঠিক পথে ফিরে আনতে হবে। কারণ কিছু কিছু শ্রেণীর মানুষ চাবে কিভাবে দ্বন্দ্ব ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে লুটপাট করে বড়লোক হওয়া যায় দেশের মধ্যে অরাজকতা সৃষ্টি করে হাতে নেওয়া যায় বিভিন্ন ধন সম্পদ। সব সময় আমাদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক মনোভাবটা দূর করে অসাম্প্রদায়িক মনোভাব আনতে হবে। কারণ ১৯৪৭ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় শুধু মুসলমানরা মুক্তিযুদ্ধ করেনি এখানে সর্বশ্রেণীর সর্বস্তরের সর্ব জাতের মানুষ অবস্থান করেছে এবং দেশটাকে রক্ষা করেছে। এখানে সকল শ্রেণীর মানুষের অধিকার রয়েছে রয়েছে স্বাধীনতা। যে সমস্ত মানুষেরা আজ মুসলিম দাবি করে এই হিন্দুদের উপর বা অন্য ধর্মের মানুষের উপর অত্যাচার করে আমি তাদের কার্যকলাপকে ঘৃণাল দৃষ্টিতে দেখি। কোন ধর্ম কোন জাতিকে ছোট করে দেখতে বলে নাই। সকল ধর্মই শিক্ষা দিয়েছে মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা স্নেহ ভালোবাসা দৃষ্টিতে দেখতে,উদার মনোভাব নিয়ে ভালোবাসা প্রদান করতে।
সবশেষে একটা কথা বলতে চাই, ভারত বাংলাদেশের জন্য বট বৃক্ষের সমতুল্য। হয়তো সে রাষ্ট্রের সহায়তা সহযোগিতা না থাকলেও বাংলাদেশ নিজের গতিতে চলতে পারবে হয়তো সেটা দ্রুত অথবা স্লো, তবে একটা কথা বড় ভাইয়ের সহায়তা সহযোগিতা ছোট ভাইয়ের জন্য পথ চলার অন্যতম সহজ মাধ্যম এবং উন্নতির দিকে এগিয়ে চলার সম্ভাবনা। একটা সময় মানুষ সমাজবদ্ধ হয়েছিল একে অপরের সহযোগিতায় নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য। তাই আমাদের এই সমস্ত সজাগ দৃষ্টিভঙ্গি মনের মধ্যে রেখে ভুল পথ থেকে বের হয়ে আসতে হবে। নিজের দেশকে নিজের দেশের মানুষকে সম্মান করতে হবে ঠিক তেমনি বড় ভাই ভারতকেও নিজ দায়িত্বে সম্মানের দৃষ্টিতে দেখতে হবে শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে দেখতে হবে তাদের জাতীয় পতাকাকে। কোনভাবেই বিভ্রান্তিকর কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়া যাবে না। সবার মাঝে সজাগ দৃষ্টি ফিরে আসুক ফিরে আসুক উদার মন-মানসিকতা। আজকের এই ভুল পথ থেকে সবাই আগের মতো শান্তি সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গুরুক বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতায় এটাই কামনা করি। পূর্বের মতো বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে ভাই ভাইয়ের সম্পর্ক ফিরে আসুক, ফিরে আসুক সহযোগিতার হাত এটাই কামনা করি।
বিষয় | অসাম্প্রদায়িক মনোভাব |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
লোকেশন | গাংনী-মেহেরপুর |
ব্লগার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সবাই। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভারত এবং বাংলাদেশকে আপনি যেভাবে বড় ভাই এবং ছোট ভাই বলে তুলনা করেছেন তা খুব ভালো লাগলো। আসলে বড় দেশের উচিত সবসময় ছোট দেশের পাশে থাকা এবং ছোট দেশের উচিত বড় দেশকে সেই সম্মান প্রদর্শন করা। এভাবেই দুই দেশের মধ্যে মৈত্রীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমরা কখনোই আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ করতে পারিনা।
হ্যাঁ দাদা, আমি এটাই মনে করি
X-promotion
03-12-24
আপনি একদমই ঠিক বলেছেন। এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে দুই দেশের ক্ষতি হবে। ভালোবাসার মাধ্যমে পরষ্পর বন্ধুর মতো থেকে দুই দেশকে এগিয়ে যেতে হবে। ভালোবাসার বন্ধন আজীবন অটুট থাকুক এই কামনাই করি।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।