নাটক রিভিউ || হাড় কিপটে || ৭০ তম পর্ব
আজ - সোমবার
হাই! বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি অনেক অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম হাড় কিপটি নাটকের ১০৫ পর্বের মধ্য থেকে ৭০ তম পর্ব রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আমার এই রিভিউ পোস্ট আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে।
নাম | হাড় কিপটে |
---|---|
রচনা | বৃন্দাবন দাস |
পরিচালক | সালাউদ্দিন লাভলু |
অভিনয়ে | আমিরুল হক চৌধুরী, চঞ্চল চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, মোশাররফ করিম, আ খ ম হাসান, শামীম জামান, শাহনাজ খুশি সহ আরো অনেকে। |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | আঞ্চলিক বাংলা |
ধরণ | কমেডি,ড্রামা |
পর্বের সংখ্যা | ১০৫ |
রিভিউ | ৭০ তম পর্ব |
দৈর্ঘ্য | ১৮ মিনিট |
প্ল্যাটফর্ম | ইউটিউব @cdchoicedrama চ্যানেল |
চরিত্রেঃ
- মোশাররফ করিম (গোল্লা)
- আমিরুল হক চৌধুরীর (নজর আলী)
- চঞ্চল চৌধুরী (বহর আলী)
- বৃন্দাবন দাস (ভূপেন) সহ আরো অনেকে
হারাধন কাকার ছেলে ভূপেন বিয়ে করে বউ বাড়িতে নিয়ে এসেছে। এদিকে নজর আলীর ছেলে নহর, এতদিন প্রেম করে রেশমাকে ঘরে তুলতে পারল না। তাই তার মনের মধ্যে আফসোস আর কষ্ট লেগে রয়েছে। মনের কষ্ট নিয়ে রেশমাদের বাড়ির আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছে নহর আলী। রেশমা দেখে ফেলে তার প্রেমিককে। সে বুঝতে পারে নহরের মনের কষ্ট। নাহরকে নিশ্চিত করে দিয়ে বলে তার বাবা তাদের দুজনার বিয়েতে সম্মতি দিয়েছে। চুমকি এসে অনেক সুন্দর ভাবে রেশমার বাবাকে বুঝিয়েছে তাই তার বাবা রাজি। এ কথা শুনে অনেক খুশি হল। রেশমা তাকে একটা শর্ত দিল। নহর দ্রুত বিয়ের ব্যবস্থা করুক এবং তার বাবার বাড়িতে রেশমা তুলতে হবে।
ভূপেন বিয়ে করে এনেছে। এ কথা শোনার পর বহর আলী চিন্তা করে দেখে ভূপেনের বাবার মনের অনুভূতি। ভূপেন কোন কাজ কাম করে না। বাবাকে না জানিয়ে বিয়ে করেছে। না জানি ভূপেনের বাবা হারাধন কত কষ্ট পেয়েছে। ভূপেন কে শাসন করা উদ্দেশ্যে বহর তাদের বাড়ি যায়। উপস্থিত হয়ে হারাধন দত্ত আর শীবানির পক্ষ নিয়ে কথা বলছিল। যখন ভূপেনের নতুন বউ লক্ষ্মী মিষ্টি খাওয়ার কথা বলেছে, তখন ভোরের মন মানসিকতা ভূপেনের বউ এর পক্ষ হয়ে গেছে। ভূপেনের বউ মিলনকে দিয়ে মিষ্টিকে নিয়েছে। সেই মিষ্টি শিবানী হাতে পড়েছে। শিবানী কিছুতেই মিষ্টি বের করছে না। বহর কে খাওয়ানোর জন্য একটা মিষ্টি আনতে বলেছে। কিন্তু কিছুতে শিবাণী মিষ্টির দিচ্ছে না মিলনের হাতে। শিবানী যে কেমন কৃপণ সে কথা বহর ভুপেনের বউ লক্ষ্মীর কাছে খুলে বলল।
লক্ষ্মী বারবার মিলনকে শিবানীর কাছ থেকে মিষ্টি আনতে বলে। লক্ষীর কথা হচ্ছে, তাকে দেখার জন্য যে মানুষ বাড়ীর উপর আসবে তাকে মিষ্টি খাওয়াতে হবে। লক্ষ্মী তার নিজের টাকা দিয়ে মিষ্টি কিনেছে। এটা তার ইচ্ছে মিষ্টি খাওয়ানো। কিন্তু শিবালীর হাতে মিষ্টির হাঁড়ি পড়েছে। শিবানী কিছুতেই কাউকে মিষ্টি খেতে দিচ্ছে না। বহর তার নামে গীবত করা শুরু করেছে লক্ষ্মীর কাছে। শিবানী রেগে ঘর থেকে বের হয়ে আসলো। এরপর বহরের সাথে ঝগড়া শুরু করে দিল। সে বাড়ির উপর এসে শিবানীদের পক্ষ নিয়ে কথা বলছিল। যেই ভুবনের বউ তাকে মিষ্টি খাওয়ার কথা বলেছে, এতে বহর ভূপেনের বউ এর পক্ষ নেয়া শুরু করে দিয়েছে। সামান্য একটা মিষ্টির লোভে সে কিভাবে পক্ষ উল্টিয়ে ফেলে। শিবানী কিছুতেই বহরকে মিষ্টি খেতে দিল না। সে বলে দিল তার ভাইদের বিয়ে দিয়ে হাঁড়ি হাঁড়ি মিষ্টি এনে খাক গিয়ে।
হারাধন দত্তের বাড়ি থেকে অপমান হয়ে বাড়ি ফিরছে বহর। পথের মধ্যে চুমকির সাথে দেখা। চুমকি তার ভাবভঙ্গি বুঝতে পারল। সে বলল তার তো উন্নতি হয়েছে। লোকের বাড়িতে বউ দেখে বেড়াচ্ছে। বহর চাইলে নিজের বাড়ির ভাইয়ের বউ দেখতে পারে। এতে মিষ্টি খাওয়া নিয়ে কেউ ঝামেলা করবে না। বহর আরো রেগে গেল। ভাইদের বিয়ে না দিয়ে তো ফ্রি ফ্রি ভাইদের বউ দেখতে পারছে, তাহলে আপদ কেন বাড়িতে আনবে সে। এভাবেই মন খারাপ নিয়ে বহর বাড়ির দিকে চলে গেল।
নহর গোল্লার কাছে এসে সব কিছু খুলে বলল। কিন্তু গোল্লা যেন উদাসীন। নহর চাচ্ছে বড় ভাইয়ের যেভাবে সহযোগিতা করছে সেভাবে যেন গোল্লা তাকে সহযোগিতা করে। তাহলে খুব সহজে নহর বিয়ে করে ফেলতে পারবে। রেশমার বাবা যেহেতু রাজি হয়েছে এখনই সুযোগ রেশমাকে বিয়ে করে ফেলা। কিন্তু কোন কথাতেই যেন গোল্লা সহযোগিতার অনুভূতি দেখাচ্ছে না। সে কেমন জানি উদাসীনতা দেখাচ্ছে। তার এমন উদাসীন মনোভাব দেখে নহরের খারাপ লাগছে। এরপর গোল্লা তাকে বুঝিয়ে বলে। নিজের মন-মানসিকতা শক্ত হতে হবে। কারণ বিয়েটা তো করবে নহরকে। নহর বুঝতে পারলাম গোল্লার কথা।
হাড় কিপটে নাটকের 70 তম পর্বে আমরা একটা বিষয় দেখে খুবই আনন্দিত হয়েছি। সেটা হচ্ছে লক্ষ্মীর কেনা মিষ্টি বহত কৃপণকে খাওয়ানোর জন্য বলা হয়, কিন্তু শিবানী কৃপণ কিছুতেই দিতে দিল না। মাঝখানে কনফিউশনে থাকতে হয় মিলনকে। অবশেষে দুই কৃপণের মধ্যে সামান্য একটি মিষ্টি খাওয়া নিয়ে ঝগড়া হয়ে গেল। প্রথম দিনেই লক্ষ্মী চিনে ফেলল তার ননদ শিবানীকে। এদিকে ভূপেনের বিয়েতে উৎসাহ বেড়ে গেছে নহরের মনে। তাই সে গোল্লার শরণাপন্ন হয়েছে। আরো জানতে পেরেছে রেশমার বাবা বিয়েতে সম্মতি দিয়েছে। তাই সে দ্রুত বিয়ে করতে চাচ্ছে এই সুযোগে। আরেক দিকে দেখা যায় চুমকি সুযোগে বহরকে বলে ফেলল তার ভাইয়ের সাথে চুমকির বিয়ে হলে দেবরকে অনেক মিষ্টি খাওয়াবে। বিষয়টা এখানে খুবই হাস্যকর ছিল। তবে বলতে পারি অভিনয় কে নাটকটা খুব সুন্দর অভিনয় করেছে। এই পর্বটা যে যে এখনো দেখেননি, আমি মনে করি দেখতে পারে অনেক অনেক আনন্দ পাবেন। যতটা অনুমান করি, এই পর্বটা ছিল এই নাটকের বেস্ট একটি পর্ব। তাই মন ভালো রাখতে এই পর্বটা আপনার আমার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন নাটক রিভিউতে, ততক্ষণ ভালো থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X-promotion
10-02-25
আজকে আপনি হাড় কিপ্টে নাটকের ৮০ তম পর্ব শেয়ার করেছেন।আমি মোশাররফ করিমের হাড় কিপ্টে নাটকটি দেখেছিলাম। কিন্তু এই নাটকটি দেখা হয়নি, তবে নাটকের রিভিউটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আপনি অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
হাড়কিপটে নাটকের 70 তম পর্বের রিভিউ পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে এরকম হাস্যরস বিশিষ্ট নাটকগুলো দেখতে আমি অত্যন্ত পছন্দ করি। একই সাথে মাঝেমধ্যে সময় পেলেই এই নাটকের বেশ কয়েকটি পর্ব দেখি। আর এই নাটকের প্রত্যেকটি পর্ব দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে।
দেখতে দেখতে হাড় কিপটে নাটকের ৭০ টা পর্ব শেষ হয়ে গেল। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এই নাটকের পর্বগুলোর রিভিউ পড়তে। এই নাটকের কাহিনী অনেক সুন্দর। এই পর্বটা ও খুব সুন্দর ছিল। সবাই অনেক সুন্দর অভিনয় করেছে নাটকটির মধ্যে। আশা করি প্রতিটা পর্বের রিভিউ সুন্দর ভাবে শেয়ার করবেন।
হাড় কিপটে নাটকের আজকের পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো। আমি আপনার পোস্টের মাধ্যমে এর আগে অনেক গুলো পর্ব দেখেছি। এই নাটকটি খুবই সুন্দর নাটকের মাঝে সমাজের কিছু বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। যদিও নাটকটি অনেক আগের তবুও নাটকের পর্ব গুলো দেখতে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।