ছাত্র-ছাত্রীদের ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়াতে নিয়ে যাওয়ার অনুভূতি
আজ - বৃহস্পতিবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা দিতে নিয়ে যাওয়ার অনুভূতি নিয়ে।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
আমাদের 'গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল' থেকে গত ৬ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ভোরে রওনা দিয়েছিলাম ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের উদ্দেশ্যে। আমাদের বিদ্যালয় থেকে কিছু ছাত্র-ছাত্রীকে ক্যাডেটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানোর জন্য সেখানে গিয়েছিলাম। যেহেতু ওই দিন ছিল পরীক্ষার ডেট। আর এই সমস্ত বিষয়ে দায়িত্ব আমার এবং মুস্তাফিজুরের। আমাদের পরিচালক স্যার গাড়ি ঠিক করে দিয়েছিলেন যাওয়ার জন্য। যাইহোক বিদ্যালয় থেকে আমি মুস্তাফিজুর সহ মোট ১০ জন ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আমরা সেখানে সকাল সাতটার পরে পৌঁছে গিয়েছিলাম। যেহেতু পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ৯ টায়। আমরা অনেক আগেই পৌঁছে গিয়েছিলাম তাই আমাদের জন্যই বেশ ভালো হয়েছিল। একদিকে সিট খোজা অন্যদিকে ছাত্রছাত্রী মন-মানসিকতা স্থির হয়েছিল। গাড়ি থেকে নেমেই সাইনবোর্ড ও লোকেশন ফটোগ্রাফি করলাম এবং কলেজের প্রধান গেট ফটোগ্রাফি করলাম স্মৃতি ধরে রাখার জন্য। এরপর রাস্তার এপাশ-ওপাশ কয়েকটি ফটো করে রাখলাম। গেটের মধ্য থেকে দুইজন আর্মি বের হয়ে আসলো এবং আমাদের পরিচয় জানতে চাইলো। আমরা আমাদের এবং বিদ্যালয়ের পরিচয় জানালাম। উনারা বললেন সাড়ে সাতটার সময় আপনাদের ভিতরে গাড়িসহ প্রবেশ করতে দেয়া হবে। তাই আপনারা গাড়ির মধ্যে বসে থাকুন বাইরে প্রচন্ড ঠান্ডা এবং কিছুক্ষণের মধ্যে অনেক ভিড় হয়ে যেতে পারে। আমরা ওনাদের কথা মত কিছু ফটোগ্রাফি করে গাড়ির মধ্যে বসে থাকলাম।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
হঠাৎ মাথায় বুদ্ধি হল গাড়ির মধ্যে বসে থেকে লাভ কি এখানেই তো সিট নম্বর লিস্ট করে দেওয়া রয়েছে সেগুলো দেখে আসি। পাশাপাশি নির্দেশনা গুলো দেখে নিলাম। আমাদের ছাত্রছাত্রীর ইনডেক্স নম্বর মিলিয়ে সিট এবং রুম ঠিক করে নিলাম। এরপর আমরা গাড়ির মধ্যে নীরবে বসে থাকলাম ইতোমধ্যে আশেপাশে অনেক গাড়ি এসে জমা হতে থাকলো।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
সকালটি ছিল ঘন কুয়াশায় ঢাকা। সামান্য কয়েক মিটার চোখে দেখা গেলেও তারপরে আর দেখা যাচ্ছিল না কুয়াশার কারণে। ছাত্র-ছাত্রীদের রিসিভ করে নিল এক আর্মি অফিসার। তারপরে আমাদের বলল আপনাদের জন্য নির্ধারিত স্থান ঠিক করা রয়েছে আপনারা এই পাশ দিয়ে সেখানে চলে যান। আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের হলে যাওয়ার জন্য তাদের হাতে ছেড়ে দিয়ে চলে গেলাম নির্দেশ মতো স্থানের দিকে। মাওয়ার শুরুতেই প্রথমে একটা ছোট্ট ব্রিজ। সেখানে আমি এবং জান্নাতুল ম্যাডাম কিছু ফটোগ্রাফি ও সেলফি উঠানোর চেষ্টা করলাম। বুঝতে পারলাম ক্যাডেট কলেজের গ্রাউন্ড এর মধ্য দিয়ে একটি খাল বয়ে গেছে। যার জন্য এত সুন্দর করে ব্রিজ তৈরি করে রাখা হয়েছে ক্রস করার উদ্দেশ্যে।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
কিছুটা পথ অতিক্রম করে দেখতে পারলাম একদম ফিল্টের মাঝখানে আমাদের জন্য বড় জায়গা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে যেখানে বিভিন্ন স্থান থেকে আগত শিক্ষক মন্ডলী ও অভিভাবকেরা বসতে পারবেন। প্রথমে জান্নাতুল ম্যাডাম তো সেখানে যাইতে চেয়েছিল না কারণ এতটাই ঠান্ডা আর কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল। তাতে আবার আমাদের জন্য তৈরি করা জায়গাটা মাঠের মাঝখানে ঝিরিঝিরি বাতাস বইছিল তখন। এদিকে আমাদের সাথে আসা অন্যান্য ম্যাডাম শিক্ষক ও অভিভাবকেরা যে যার মত এদিক ওদিক চলে গেল। এরপর আমি আর জান্নাতুল ম্যাডাম মন স্থির করলাম আমরা দুজন চলেন ওখানেই যাব।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
অতঃপর আমরা দুজন পায়ে হেঁটে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে গেলাম যেখানে হাজারেরও ঊর্ধ্বে মানুষের বসার ব্যবস্থা রয়েছে তবে সেখানে মাত্র ৫০ থেকে একশজন মানুষ উপস্থিত ছিল। আমরা চারিদিকে ঘুরে ঘুরে দেখার চেষ্টা করলাম কিন্তু কুয়াশার কারণে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। আমাদের সম্মুখে যে অনেকগুলো বিল্ডিং ছিল সেটাও দেখা যাচ্ছিল না। শুধু আমাদের বসার জন্য যে স্থান তৈরি করা হয়েছে তার পাশ দিয়ে সুন্দর একটি দৌড় প্রতিযোগিতার দাগ টানা রয়েছে সেটাই বুঝতে পারছিলাম। প্রথমে আমরা দুজন ভেবেছিলাম হয়তো খুব কম সংখ্যক মানুষ এখানে উপস্থিত হবে যেহেতু প্রচন্ড ঠান্ডা ছিল। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে শত শত মানুষ এসে উপস্থিত হতে থাকলো। বিস্তারিত সামনের পোস্টে জানতে পারবেন।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
💌আমার পরিচয়💌
আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)। বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। মড়কা বাজার, গাংনী,মেহেরপুর এ গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল নামক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সহকারি শিক্ষক । ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও সৌর প্যানেল নিয়ে রিসার্চ করতে পছন্দ করি। প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা। দীর্ঘদিনের আমি পাঙ্গাস মাছ চাষী এবং বিরহের কবিতা লেখতে খুবই ভালোবাসি। |
---|
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৬ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকবেন সবাই। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি পরিক্ষা নেয়ে যাওয়ার অনুভূতি পড়ে অনেক ভালো লাগল। আপনারা পরিক্ষার আগে পৌঁছেতে পেরেছেন জেনে অনেক ভালো লাগল। তার পর আগে থেকে সিট নম্বর খুঁজে রাখা ছাত্রছাত্রের জন্য অনেক উপকার। আর্মি ঠিক বলেছে বাইরে ঘুরলে কুয়াশা তাই গাড়ির মধ্যে থাকতে।আর কুয়াশা যাইহোক পরিক্ষার সময় লোকজন হবে এটাই স্বাভাবিক। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
এ তো দেখছি অনেক বিশাল আয়োজন।যাক আপনার অনুভূতি গুলো প্রকাশের পাশাপাশি জান্নাতুল ম্যাডামের সাথে ফটোগ্রাফি গুলো খুব চমৎকার হয়েছে। ভালো লাগলো আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
খুব শীঘ্রই আগামী পর্ব আপনাদের মাঝে তুলে ধরব ভাই।
ঠিক আছে ভাই আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম, ধন্যবাদ ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য।
ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি পরীক্ষায় নিয়ে যাওয়ার অনুভূতি পোস্ট পড়ে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনারা তো দেখছি বেশ ভালই ঘোরাঘুরি করেছেন। আগে থেকে ছাত্রছাত্রীদের সিট নাম্বার খুঁজে রেখেছেন দেখে তাদের অনেক উপকারই হল তাহলে। যদিও কুয়াশা পড়েছিল সকালে কিন্তু আপনি এবং জান্নাতুল ম্যাডাম বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি এবং বেশ ভালোই মুহূর্ত অতিবাহিত করলেন। সেই সাথে খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি এবং সেলফিও তুলেছেন দুইজনে। এত সুন্দর মুহূর্তের পোস্ট পড়ে বেশ ভালোই লাগলো।
উনি আমার খুবই প্রিয় একজন ম্যাডাম। মন ভালো মন খারাপের মুহূর্তে উনি অনেক পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি পরীক্ষায় নিয়ে যাওয়ার খুব সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আগে ছাত্রছাত্রী ভর্তির পরীক্ষা সিরিয়াল খুঁজে নেওয়ার কারণে হয়তো আপনাদের আরো ভালো হলো। আর জান্নাতুল ম্যাডামকে নিয়ে খুব সুন্দর মুহূর্ত ঘুরাঘুরির ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। যদিও কুয়াশার কারণে সবার একটু কষ্ট হয়েছে। তারপরও আপনি খুব সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
সামনে পোস্টিতে আরো অনেক কিছু তুলে ধরব ভাই আশা করি পোস্টটি পড়বেন
আপনি তো দেখছি ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে যাবার খুবই ভালো একটি অনুভূতি পোস্ট শেয়ার করলেন আমাদের সকলের মাঝে। আমার কাছে পড়তে কিন্তু ভীষণ ভালো লেগেছে এই পোস্ট। আপনি এবং জান্নাতুল ম্যাডাম দেখছি বেশ ভালই সময় কাটিয়েছেন এবং ঘোরাঘুরি করলেন। শীতের সময় সকালবেলায় এরকম মুহূর্ত কাটানোর মজাটাই কিন্তু অন্যরকম হয়ে থাকে।
নতুন একটা এক্সপেরিয়েন্স হয়েছিল আমাদের।