বিদ্যালয়ের বিশেষ বিশেষ কাজে আমার অংশগ্রহণ ও তার বর্ণনা
আজ - রবিবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি বিদ্যালয় এর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণের বিশেষ দৃশ্য তুলে ধরার জন্য। আশা করি, যে সমস্ত বিষয়গুলো আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব সেই বিষয়গুলো খুব মনোযোগ সহকারে আপনারা দেখবেন এবং পড়বেন।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
রীতিমতো বার্ষিক পরীক্ষা ভিজিটে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে রিটায়ার্ড পার্সন এবং শিক্ষা অফিস থেকে অনেক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা আমাদের বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে আসেন। ঠিক তার মধ্য থেকে আজ আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি পার্শ্ববর্তী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক এর ভিজিটের দৃশ্য। উনি প্রায় আমাদের বিদ্যালয়ে এসে থাকেন। উনি আমাদের গাংনী থানার বিভিন্ন ইংরেজি শিক্ষকদের পাঁচজনের মধ্যে একজন। যার সু পরিচিত নাম কাদের স্যার। হয়তো আরো ভালো নাম রয়েছে, তবে এই নামে পরিচিত। তবে এই দিকে আমার যেই সেলফি দেখছেন। বার্ষিক পরীক্ষার সহ বিভিন্ন পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের ভাইবা নেওয়ার কাজটা আমাকেই করতে হয়। যেমন ভর্তি পরীক্ষার ভাইবা বিভিন্ন শ্রেণি ছাত্রছাত্রীদের আমাকে দিতে হয়। এখানে প্লে আর ওয়ান এর ছাত্র-ছাত্রীদের মৌখিক আমাকে নিতে হয়েছিল। আর এই দৃশ্য দেখে কাদের স্যার খুবই খুশি হয়েছিলেন। উনি যখন হেড স্যারের কাছে জানতে পারলেন এই সমস্ত কাজগুলো আমি করে থাকি। তখন আমাকে খুবই উৎসাহ প্রদান করছিলেন বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজে সুন্দরভাবে অংশগ্রহণ ও ভূমিকা জন্য। তবে বিদ্যালয় বিভিন্ন কারণে আন্তরিকতায় একটু ব্যাঘাত ঘটে। অনেক কিছু এসে থাকা সত্ত্বেও মনোবল পেরে ওঠে না। কারণ স্বাধীনতার চেয়ে দায়িত্ব বেশি।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
নতুন বছরের বই সংগ্রহ করার জন্য যেতে হয়েছিল গাংনীর চোগাছা নামক গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ওখানে আমি আর বিদ্যালয় এর অ্যাসিস্ট্যান্ট শিক্ষক জাহাঙ্গীর মাস্টার গিয়েছিলাম। দেখেছিলাম আশপাশের অনেক গ্রাম থেকে শিক্ষকরা এসেছেন বই সংগ্রহ করার জন্য। স্কুল মাঠে সবাই সম্মিলিত ভাবে তাদের বিদ্যালয়ের লিস্ট দিচ্ছেন এবং বই নেওয়ার জন্য এদিক ওদিক চলাফেরা করছেন। ওখানে বই বিতরণের বিশেষ কিছু দায়িত্বে আমাদের একজন জামাই ছিলেন। যার মেয়ে আমাদের বিদ্যালয় পড়েন। তাই উনার আন্তরিকতা একটু বেশি ছিল আমাদের প্রতি। আমরা হয়তো সিরিয়ালে অনেক পিছনে ছিলাম। তার মধ্য থেকে উনি চেষ্টা করে খুব দ্রুত আমাদের বই দিয়ে দিলেন। কারণ কিছু কিছু বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা লিস্ট জমা দিয়ে কোথাও চলে গেছে অথবা অন্যান্য বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বই এখনো ঠিক হয়নি। আবার কিছু কিছু বিদ্যালয় এর ছাত্র সংখ্যা বেশি থাকায় বই অনেক দিতে হবে যার জন্য আমাদের সংখ্যা কম থাকায় দ্রুত দিয়ে ফেলতে পেরেছেন সুযোগে। যাই হোক সমস্ত বইগুলো আমরা একবারে কারেকশন করার জন্য গিয়েছিলাম কিন্তু একবারে পারি নাই তিন ধাপে তারা আমাদের বই বিতরণ করেছেন। শুধু আমাদের জন্যই নয় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই তিন ধাপে বই দিয়েছে যেহেতু সব বই সংরক্ষণ করেছিল না। যাই হোক যে বইগুলো পাওয়ার কথা সেগুলো নিয়ে আমরা বস্তা বন্দী করে মোটরসাইকেলে উঠে চলে গেলাম স্কুলের উদ্দেশ্যে। বিদ্যালয় থেকে হেড স্যার বলেছেন একজনকে বই আনতে যাওয়ার কথা আমি লক্ষ্য করে দেখেছিলাম এখানে দুইজনের বই সংরক্ষণ করা অনেক কষ্টের কিন্তু একজন কিভাবে পারে। বিস্তারিত হেড স্যারকে বললাম, তখন তিনি বুঝতে পারলেন। আর এভাবে তিন ধাপে আমরা বই সংরক্ষণ করে ছাত্র-ছাত্রীদের সম্পূর্ণ বই দিতে সক্ষম হয়েছি।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
অনলাইন সংক্রান্ত বিষয়ে সহ বিশেষ বিশেষ দায়িত্ব আমার আর মুস্তাফিজুর এর উপরে। গত তিন মাস পূর্বে প্রথম রোজ দিয়ে এনেছিলাম ছাত্রছাত্রীদের পার্শ্ববর্তী রায়পুর নামক প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। জানুয়ারির ১ তারিখে আবারো ডেট পড়েছিল করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ দিতে নিয়ে যেতে হবে সেখানে। রীতিমতো আমি আর মোস্তাফিজুর তৈরি হলাম ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য। পূর্বের মতো নিয়ম-শৃঙ্খলা মেন্টেন করে সেখানে পৌছালাম। সাধ্যমত নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলার চেষ্টা করেছিলাম নতুন স্থানে। তাই পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে গিয়েছিলাম বিদ্যালয় থেকে। যার যার নির্দিষ্ট কাড হাতে দিয়ে দিয়েছিলাম। আর নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম কিভাবে সিরিয়াল মেনে চলতে হবে সবাইকে। যাই হোক আমরা সেখানে উপস্থিত হওয়া মাত্রই করোনার টিকার ডোজ দিতে সক্ষম হলাম। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্ডলী এরা আমাদের খুবই প্রশংসা করেছিল। কারন আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা সবকিছু নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করছিল দেখে। আমরা তাদের দুই লাইনে সিরিয়াল দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়তে বলেছিলাম আর একে একে রুমের মধ্যে প্রবেশ করতে বলেছিলাম। রুমের মধ্যে আমি তাদের হাত থেকে রেজিস্ট্রেশন কাগজটা নিয়েছিলাম এবং লিখে দিয়েছিলাম। এত সুন্দর সিরিয়াল মেনটেন করা দেখে ডাক্তার মহিলারা তো অবাক। যাইহোক কাজ সম্পন্ন হলো। পূর্বের মতো খুব সুন্দর শৃঙ্খলার সাথে কাজ সম্পন্ন করে আমরা চলে এলাম বিদ্যালয়।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
গত ১৯ তারিখে আমাদের বিদ্যালয়ে নবীনবরণ কাজ সম্পন্ন করেছি। তবে এই নবীন বরণ অনুষ্ঠানে দলীয় নিত্য ছিল যেখানে যৌথভাবে অনেক মেয়েরা ডান্স করেছিল তালে তালে মিলিয়ে। তবে এই বিষয় নিয়ে কথা উঠেছিল কিভাবে এরা পারলো ৬ জন মেয়ে একসাথে নাচতে। আর এই বিষয়গুলোর উত্তর দিতে হয়েছিল অনেকজনের কাছে। কারণ সবকিছুই চর্চা করার বিষয়। নবীন বরণ অনুষ্ঠান করার পূর্বে আমরা প্র্যাকটিস করে নিয়েছিলাম তিন চার দিন ধরে। এই তিন চার দিনের কিছু চর্চা করার ফটোগ্রাফি এখানে তুলে ধরেছে। হল রুমে অনুষ্ঠান পরিচালনার করার দায়িত্ব আমার আর জান্নাতুল ম্যাডামের। বিদ্যালয়ের যে কোন অনুষ্ঠান আমাদের দুজনাকে পরিচালনা করতে হয়। হয়তো ফটোগ্রাফিতে আমার দেখে বুঝতে পারছেন। এদিকে স্কুল মাঠে প্র্যাকটিস করানো হয়েছিল গান ও নৃত্যের। যেখানে অনেক অভিভাবকেরাও অংশগ্রহণ করেছিল দেখার জন্য। দুই তিন দিন প্র্যাকটিস করার মুহূর্তে তারা উপস্থিত ছিল যেহেতু নতুন নতুন অনেক ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করেছিল বিভিন্ন বিষয়ে। ওদিকে জান্নাতুল ম্যাডাম ছাত্র-ছাত্রীদের নাচ শিখাচ্ছেন। যেহেতু আমি নাচতে জানি না শেখাতেও জানিনা তাই ওই মুহূর্তে আমি ক্লাস সিক্সের ক্লাস নিয়েছিলাম। যেহেতু ক্লাস সিক্সের ছাত্র-ছাত্রীরা ক্যাডেট পরীক্ষার্থী। তাই তাদের ক্লাসটা নষ্ট করতে চেয়েছিলাম না। আমাদের সব বিষয়েই মাথা রাখতে হয়। আর এভাবেই প্র্যাকটিস করা হয়েছিল নবীন বরণ অনুষ্ঠানের দিন যেন ছাত্র-ছাত্রীরা ভালোভাবে পারফরম্যান্স করতে পারে। মোটামুটি অনেক সুন্দর নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে দিনটি অতিবাহিত হয়েছে আমাদের।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
💌আমার পরিচয়💌
আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)। বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। মড়কা বাজার, গাংনী,মেহেরপুর এ গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল নামক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সহকারি শিক্ষক । ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও সৌর প্যানেল নিয়ে রিসার্চ করতে পছন্দ করি। প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা। দীর্ঘদিনের আমি পাঙ্গাস মাছ চাষী এবং বিরহের কবিতা লেখতে খুবই ভালোবাসি। |
---|
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৬ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
ভাইয়া আপনি তো এক এক করে অনেক কিছু বর্ণনা করেছেন। আপনার উপর ভালিই দায়িত্ব রয়েছে। আর আপনিও খুব সুন্দর ভাবে দায়িত্ব গুলো পালন করে যাচ্ছেন।পোষ্টটি পড়ে,অনেক ভাল লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ অনেক সময় আছে কিছু কিছু দায়িত্ব নিজের ঘরে তুলে নিতে হয়।