জেনারেল রাইটিং || ডিপ্রেশন || পঞ্চম পোস্ট
হাই বন্ধুরা!
হাই
বন্ধুরা!আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। প্রথমে বলে রাখি,
মানুষ ভুলের উর্ধ্বে নয়, ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আজকে আমি আবার আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম ডিপ্রেশন নিয়ে পঞ্চম পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আশা করব এই পোস্ট আপনার মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং বেশ কিছু জানার সুযোগ পাবেন।আলোচনার বিষয়: ডিপ্রেশন |
---|
ইতোমধ্যে আমি একটি পোস্টে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি ডিপ্রেশন এবং ডায়াবেটিস এই দুইটা বিষয় নিয়ে আলোচনা। ঠিক তেমনি ভাবে আজকে আমি ডিপ্রেশন এবং রাগ এই দুইটা বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে কিছু বিস্তারিত আলোচনা শেয়ার করব। কারন আমার অনেক সময় লক্ষ্য করে থাকি অনেক মানুষের প্রচণ্ড পরিমাণ রাগ থাকে এবং সে রাগের বসে অনেক খারাপ কিছু করে ফেলে। ঠিক তেমনি ডিপ্রেশন আলা মানুষের আমিও খেয়াল করে দেখেছি যে অতিরিক্ত হতাশার কারণে সে হতাশাগ্রস্থ হয়ে খারাপ কিছু করে। ঠিক তাই আমরা বলতে পারি ডায়াবেটিক যেমন মানুষকে তিলে তিলে পচিয়ে জীবন শেষ করে ঠিক তেমনি ডিপ্রেশন মানুষের মানসিকভাবে ক্ষত করতে থাকে। একদিকে আমরা যেমন লক্ষ্য করি অতিরিক্ত রাগের বশে মানুষ এক নিমিষেক ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে কোন কিছু, ঠিক তেমনি অতিরিক্ত ডিপ্রেশন এর ফলে মানুষ মেজাজ দেখিয়ে খারাপ কিছু করে ফেলে। কিন্তু এখানে অতিরিক্ত রাগ আর অতিরিক্ত ডিপ্রেশন এর ফল হয়তো একই রকমের খারাপ কিছু তবে এই দুইটার মধ্যে অবশ্যই পার্থক্য রয়েছে।
মনে করেন কোন একজন ব্যক্তি অতিরিক্ত রাগের বসে খারাপ কিছু একটা করেছে বা ক্ষতিকারক কিছু একটা করেছে ঠিক তেমনিভাবে কোন একজন ব্যক্তি ডিপ্রেশনের ফলে খারাপ কিছু করে ফেলেছে। কিন্তু আমরা ডিপ্রেশন সম্পর্কে অবগত থাকি না, যার জন্য মনে করি রাগের বশে হয়তো এই কাজটা করেছে কিন্তু পক্ষান্তরে সঠিকভাবে তদন্ত করলে দেখা যায় যে না ডিপ্রেশনের বসে খারাপ কিছু করা বা ক্ষতি করেছে। আর রাগের বসে ক্ষতি করার মধ্যে পার্থক্য ব্যাপক। কিছু শ্রেণীর মানুষ রয়েছে যাদের প্রচন্ড রাগ থাকে আর সামান্য কোন কিছুতেই রাগ দেখিয়ে ক্ষতির কাজ করে ফেলে। এই বিষয়টা আমরা কখনোই মানসিক রোগ হিসেবে নির্ণয় করব না। কারণ এটা একজন মানুষের ইগো। তবে পক্ষান্তরে যে মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ডিপ্রেশনে ভোগে সেই মানুষ যদি হঠাৎ কোনো কিছু একটা করে বসে সেখানে কিন্তু বিশেষ কোনো কারণ পাওয়া না গেলেও অনেক কারণ থাকে। আর তার বড় একটা কারণ হতাশা যাকে আমরা ডিপ্রেশন বলে চিহ্নিত করি। এজন্য অনেকে বলে, কেন এ কাজটা করল সে? কারণে খুঁজে পাওয়া যায় না কিন্তু তার পিছনে অনেক কারণ থেকে থাকে। তাই উদাহরণ স্বরূপ আমি একটা প্রমাণ আপনাদের মাঝে তুলে ধরব এই ডিপ্রেশনের।
গত পর্বে আমি আপনাদের মাঝে বলেছিলাম প্রিয় এক ব্যক্তির ডিপ্রেশনের ফলে ডাক্তারের কাছে যাওয়া এবং ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার বিষয়। ঠিক সেই ব্যক্তির এমন একদিন অতিরিক্ত হতাশার কারণে নিজেই নিজের ক্ষতি করতে গিয়েছিল। আমি ঠিক সেই মুহূর্তে তার পাশে উপস্থিত হয়ে তার ক্ষতির কারণটা সলভ হয়। সে কেন জানি বাবা-মায়ের উপর রাগ করে এবং হতাশ হয়ে হঠাৎ টয়লেটের দরজা বন্ধ করে দিয়ে দীর্ঘক্ষন টয়লেটের মধ্যে অবস্থান করে। অনেকেই বিষয়টা লক্ষ্য করেনি। আবার অনেকে ভেবেছিল ভেতরে বাথরুম রয়েছে তাই একটু দেরি হচ্ছে। যাই হোক যখন এক ঘন্টা পার হয়ে যায় তখন তার মা তাকে বারবার ডাকতে থাকে। সে কোন সারা শব্দ দেয় না। তখন তার মা মনে করছিল সে কি ভেতরে গিয়ে ঘুমাচ্ছে নাকি। কিন্তু এটা বুঝতে চাইনি তারা স্বামী স্ত্রী ঝগড়া করেছিল তাই সন্তানের উপর প্রভাব পড়েছে। এদিকে সন্তানের ভেতরের ডিপ্রেশন বাসা বেধেছে ব্যাপক আকারে। এরপর আমি যখন উপস্থিত হই আমার সেই গেস্টের বাসায়। তখন সে মানুষটাকে ডাকতে থাকি। এরপর সে বের হয়ে আসে নিরবে। কেন মনে হল অবলা একটা প্রাণী নীরবে বের হয়ে আসছে। এরপর আমি তার কাছে জানতে চাইলাম কি হয়েছে। তখন সে নিরবে নির্জনে একা কান্না শুরু করল।
এরপর বিস্তারিত আমাকে বলল। দেখলাম সামান্য একটা বিষয়। কি যেন একটা জিনিস নিয়ে বাবা মায়ের মধ্যে একটা কথা কাটাকাটি হয়েছে। এরপর তার বাবা চলে গেছে তার কর্মস্থলে। এদিকে তার মা রান্না ঘরে কাজ করছে। কিন্তু প্রিয় ব্যক্তির ভেতরে দীর্ঘদিনের হতাশা এমন ভাবে বাসা বেধেছে সামান্য একটা কিছু খারাপ লাগলে সেখান থেকে অতিরিক্ত হতাশায় পরিণত হয় আর ডিপ্রেশন তাকে কুরে কুরে খায়। আসে টয়লেটের মধ্যে দরজা বন্ধ করে নিজের গলা দুই হাত দিয়ে এমন ভাবে হাচড়িয়েছিল, গলার চারিপাশে শুধু রক্তের চিহ্ন। মনে হচ্ছিল কোন ব্যক্তি তাকে গলা ধরে টানাটানি করেছে বা হাসড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু সে নিজেই তার দুহাত দিয়ে গলায় টিপেছে হাসড়িয়েছে আত্মহত্যার জন্য, এই মুহূর্তে যদি নিজের গলার ওড়নাটা পেচিয়ে টয়লেটের মধ্যে আত্মহত্যা করত তাহলে এর জন্য কে দায়ী হতো? আমাদের সমাজের জ্ঞানীগুণী মানুষেরা ভাবতো নিশ্চয়ই তার কোথাও প্রেম রয়েছে, প্রেমের ছ্যাকা খেয়েছে, অথবা অবৈধ কোন কাজ করে মানুষের মাঝে মুখ দেখাতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু বিষয়টা তার কোন কিছুই নয়। তার মনের মধ্যে রয়েছে হতাশা, কঠিন হতাশা। ভালোলাগার মুহূর্তগুলো পার হয়ে গেছে অনেক স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে কিন্তু আশা পূরণ হয়নি। পক্ষান্তরে শুধু দেখে গেছে পিতা মাতার ঝোই ঝগড়া। আর এই সমস্ত কারণেই তার আজ ডিপ্রেশনের কঠিন অবস্থা। আর এই ডিপ্রেশন এর জন্যই তার যে কোন মুহূর্তে সুইসাইড করার অনুভূতি জাগ্রত হয়। তাই আমাদের চেষ্টা করতে হবে এই সমস্ত মানুষগুলোকে চিহ্নিত করে বেঁচে থাকার সুযোগ করে দেওয়া।
বিষয় | ডিপ্রেশন |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
Photo editing app | picsart app |
লোকেশন | গাংনী-মেহেরপুর |
ব্লগার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সবাই। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
অতিরিক্ত রাগের বসে অনেকেই খারাপ কিছু করে বসে। আর সেই কাজ করার পর সব সময় আফসোস করে। আসলে ডিপ্রেশনটা সত্যি অনেক ভয়ঙ্কর। আর অনেক সময় অনেক বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
হ্যাঁ রাগ আর ডিপ্রেশন দুইটা একই রকম হলেও বিপরীত
ডিপ্রেশন খুবই খারাপ একটি রোগ।তবে এটি নিরাময় সম্ভব অবশ্যই।আর এই রোগটি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার পর আগের অস্থিরতার জন্য মনের মধ্যে শুধু অদ্ভুত হাসি থাকে ।রাগ অনেক ভয়ঙ্কর।এটি ডিপ্রেশন এর একটি দিক,ভালো লাগলো পোস্টটি ধন্যবাদ ।
বিষয় দুইটা বুঝতে পেরেছেন জেনে খুশি হলাম।