চাঁদনী রাতের ফটোগ্রাফি
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। একটা সময় আমি পোষ্টের শুরুতে লিখতাম "সুমন মানে নতুন কিছু, সুমন মানে ইউনিক পোস্ট"। অনেকদিন পর যেন সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে উপস্থিত হয়েছি উনি একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে। আশা করবো আমার এই পোস্ট আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। চলুন আনন্দ ভাগাভাগি করে নেই।
বেশ কিছুদিন ধরে আমার একমাত্র মেয়ে সামিয়া বেস অসুস্থ। তাই তার গ্যাস দেওয়ার জন্য আমাদের গ্রামের স্কুল পাড়ার ফার্মেসিতে উইন্ডোল প্লাস আনতে গেছিলাম। প্রচন্ড বৃষ্টিপাতের পরে রাতের বেলায় আর তেমন একটা বাইরের বার হয় না। তারপরে দু একদিন বের হয়েছি কিন্তু জোৎস্না লক্ষ্য করি নাই। হবে চার দিন আগে 14 তারিখে রাত সাড়ে সাতটা আটটার সময় যখন গ্রামের রাস্তা দিয়ে স্কুল পাড়ার দিকে একা একা চলছিলাম তখন লক্ষ্য করে দেখলাম পূর্ব দিগন্তে চাঁদ উঠেছে জ্বলন্ত অবস্থায়। চারিপাশে লক্ষ্য করে দেখলাম জোৎস্না আলোয় আলোকিত। কেমন অবস্থায় দ্রুত স্কুল পাড়ায় গেলাম এবং ঔষধ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। একটু সামনে এগিয়ে আসতেই আমাদের গ্রামের সবচেয়ে বড় নারিকেল বাগানটা চোখে বাঁধলো। নারিকেল বাগানের উপর দিয়ে চাঁদ উঠে রয়েছে। ইতোমধ্যে এশার আজান দিল। যখন আজান শুরু হলো তখন আমি নারিকেল বাগান দিক দিয়ে আমাদের মহল্লার মসজিদের পান তাকালাম। তখন আমার হাতে এ মোবাইলটা ছিল। এ মোবাইলটা পরিবারের সবাই ব্যবহার করে থাকে। যেহেতু যৌথ ফ্যামিলি। যার যখন ইচ্ছে ফটো ধারণ করার জন্য এই ভালো মোবাইলটা ব্যবহার করে। যাইহোক আমার মোবাইলে চার্জ না থাকায় এই মোবাইলটা তখন কাছে রেখে ছিলাম যদি কেউ কখন ফোন দেয় তাই আর কি। তখন হঠাৎ মাথায় আসলো এ মোবাইলটা শুনেছি বেশ ভালো ফটো ধারণ হয় আমিও অনেক ফটো ধারণ করেছি কিন্তু রাতে কেমন হয় একটু টেস্ট করে দেখা যাক। কারণ এর খুব গুনো গান শুনেছিলাম। রাতে অনেক সুন্দর ছবি হয়ে থাকে।
মোবাইলের ক্যামেরা অন করে যা দেখতে পারছি না তার চেয়েও যেন বেশি দেখছি ফটো মারার পর। স্বচক্ষে যা দেখতে পারছি না তার চেয়ে স্পষ্ট মোবাইলের ক্যামেরায়। প্রথম ফটো ধারণ করে আমি আশ্চর্য হয়ে গেলাম। কোনদিন এভাবে রাত্রে বিশেষ করে জোৎস্না রাতে ফটো ধারণ করিনি। এ মোবাইল দিয়ে রাতে টস জ্বালিয়ে ফটো ধারণ করেছি। কিন্তু এভাবে টস না জ্বালিয়ে জোৎস্না রাতে এই প্রথম ফটো ধারণ করলাম। একদিকে আমাদের মসজিদের আলো জ্বলছে সেটা বুঝতে পারছি নারিকেল গাছের মাঝখান দিয়ে। পূর্ব দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাচ্ছে ইউনিয়ন কাউন্সিল অফিসের আলো জ্বলছে। এদিকে কয়েকটা ঘরবাড়ির আলো জ্বলছে। তার পাশ দিয়ে এত সুন্দর ফটো যেন মন ছুয়ে গেল। পাশের পুকুরের দিকে অন্ধকারে ফটো মারলাম চোখে কিছুই দেখছি না মোবাইলের ক্যামেরা তো কিছু নাই তারপরেও ফটো হওয়ার পর দেখতে পাচ্ছি অসাধারণ ফটো। সবকিছু স্পষ্ট পরিস্কার ভাবে ফটো ধরা পড়ছে। পাশের রাস্তা পান খিয়াল করলে মনে হচ্ছে দিনের বেলার সূর্যের আলো লেগে গাছের ছায়ায় বুঝা যাচ্ছে। কিন্তু এটা যে জোৎস্না রাত, সেটা ভুল করে মনে হচ্ছে না। এরপর আমি সামনের দিকে আরেকটু এগিয়ে গেলাম।
নারিকেল বাগান টাকে পিছনে রাখলাম অর্থাৎ পূর্ব সাইডে রাখলাম। আমি আমাদের বাড়ির দিকে মুখ রেখে চলতে থাকলাম। এরপর আবার পিছন ফিরে তাকালাম পূর্বদিকে। তারপর নারিকেল বাগানের ফটো ধারণ করার চেষ্টা করলাম। এদিকে মসজিদে যাওয়ার স্টিক লাইট আর রাস্তা। সবদিকে ফটো ধারণ করার চেষ্টা করলাম। বেশ ভালো লাগছিল এত সুন্দর ভাবে ফটো ধারন হতে দেখে। এক পাশে রয়েছে পুকুর আরেকদিকে রয়েছে কলাবাগান। এরপর আমি আমাদের বাড়ির দিকে আরও অগ্রসর হতে থাকলাম এবং পিছন দিকে লক্ষ্য রেখে আবার ফটো ধারণ করলাম। তখনও লক্ষ্য করে দেখলাম হ্যাঁ অনেক সুন্দর ফটো হচ্ছে। কলাবাগানের দিকে ফটো ধারণ করলাম। পুকুরপাড়ের ওপারে মানিক ভাইয়ের দোকান এবং বাড়ি। সেদিকেও ফটো ধারণ করার চেষ্টা করলাম। যতই ফটো ধারণ করি ততই যেন আশ্চর্য হয়ে যায়। এর আগে কোনদিন এভাবে আমি পরীক্ষা করি নাই যে মোবাইল দিয়ে জোৎস্না রাতে এত সুন্দর ফটো হবে। সামনের শীতকাল আসছে। শীতের রাত অনেক বড়। মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে একটু হাটাহাটি করতে যাই ঠান্ডার মধ্যে রাত 9 টা দশটার দিকে। এখন থেকে চেষ্টা করব রাতের এমন সুন্দর সুন্দর ছবি ধারণ করতে। কারণ রাত্রি কালীন মুহূর্তে এত সুন্দর ফটো হয়ে থাকে মোবাইলে এতটা আমার ধারণা ছিল না।
বিষয় | চাঁদনী রাতের ফটোগ্রাফি |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
লোকেশন | গাংনী-মেহেরপুর |
W3w location | Meherpur |
ব্লগার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সবাই। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
ভাইয়া আপনি চাঁদনী রাতের খুব সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। রাতের এত সুন্দর দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। গ্রামীন দৃশ্যগুলো দেখতে সবসময়ই ভালো লাগে। ফটোগ্রাফির পাশাপাশি খুব সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
চাঁদনী রাতের ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই নারকেল বাগানটা আমার অনেক চেনা ভাইয়া। এই নারকেল বাগানের পাশ দিয়ে আমরা স্কুলে যেতাম। ধন্যবাদ ভাইয়া চাঁদনী রাতে ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাহ ভাইয়া আপনি দেখতেছি চাঁদনী রাতে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আসলে ভাইয়া চাঁদনী রাতের তেমন কোন ফটোগ্রাফি আমি করিনি। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। বিশেষ করে চাঁদনী রাতে এতো চমৎকার চমৎকার ফটোগ্রাফি হয় সত্যি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ধৈর্য ধরে চমৎকার ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
নারিকেল বাগানের উপর চাঁদটা কে খুবই সুন্দর লাগছে দেখতে। চাঁদনী রাতের সৌন্দর্য সত্যিই মনমুগ্ধকর। এরকম রাতের আকাশ দেখতে কার না ভালো লাগবে। আপনি চাঁদনী রাতের দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। মনমুগ্ধকর এই ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
খুবই সুন্দর কিছু চাঁদনী রাতের ফটোগ্রাফি করেছেন। আসলে চাঁদনী রাতে দৃশ্যগুলো অনেক বেশি সুন্দর লাগে। রাতের বেলা চাঁদের আলোতে বাইরে হাঁটাহাঁটি করতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। গত কয়েকদিন বাইরে অনেক বেশি চাঁদের আলো যেন মনে হচ্ছে দিনের মতোই আলো। তবে এটা ভেবে খারাপ লাগছে যে এই চাঁদের আলোতে আমি বাইরে গিয়ে হাটাহাটি করতে পারছি না বাবুর জন্য।
গ্রামে যারা থোকে তারাই ভাগ্যবান। এমন সুন্দর সুন্দর দৃশ্য উপলব্দি করতে পারে। আপনার করা আজকের চাঁদনী রাতের ফটোগ্রাফি দেখে কিন্তু আমি মুগ্ধ না হয়ে পারছি না। বেশ সুন্দর হয়েছে আপনার সব ফটোগ্রাফি গুলো।