গ্রীনরেইন কর্মমুখী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দর্জিবিজ্ঞান ক্লাস অডিটের অনুভূতি
আজ - বুধবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট।
আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি আমাদের স্কুলের আরেকটি শাখা 'গ্রীনরেইন কর্মমুখী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র' এর দর্জিবিজ্ঞান প্রশিক্ষণের বিশেষ বিশেষ অংশের ফটোগ্রাফি নিয়ে। আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল ক্লাসে কেমন প্রশিক্ষণ দেয়া হয় সেগুলো দেখার জন্য এবং কিছু ফটোগ্রাফি করে পরিচালক স্যারের কাছে পাঠানোর জন্য। তাই ভাবলাম শুধু পরিচালক স্যারের কাছে কেন? এক্সট্রা হিসাবে আরো বেশি ফটোগ্রাফি করে রেখে তা আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। আর সেই আশাকে সামনে রেখেই ক্লাসে একটু দীর্ঘ সময় পার করেছিলাম। কিছুটা ক্লাস এর প্রশিক্ষণ স্বচক্ষে দেখে বুঝতে পারলাম এখানে খুব সুন্দর প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে ম্যাডাম। তাই সেই বিষয়ে কিছু আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চাই।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
দর্জিবিজ্ঞান ক্লাসের ফটোগ্রাফি
আমাদের বিদ্যালয়টিতে তিনটি শাখা চালু হয়েছে। তার মধ্যে একটি দর্জীবিজ্ঞান প্রশিক্ষণ। এখানে সুদক্ষ ম্যাডাম দ্বারা মহিলাদের দর্জি প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে। শুনেছিলাম স্পেশাল একটি ক্লাস হবে তবে এই বিষয়ে তো আমার তেমন ধারণা নেই। যাহোক পরিচালক স্যার অডিট করতে বলেছিলেন ক্লাস কেমন নেয় আর ছাত্রীরা ঠিক উপস্থিত হয় কিনা। কিছু ফটোগ্রাফি করে তাকেও দেখাতে বলেছিলেন।
আমি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে উপস্থিত হলাম দেখলাম ম্যাডাম খুব সুন্দর করে বোর্ডে কি কমনি জেনো অংকন করার মধ্য দিয়ে ছাত্রীদের শেখাচ্ছেন। হালকা-পাতলা বুঝতে পারলাম বেশি বুঝতে পারলাম না। তারপরেও তার শেখানোর ধরণ টা দেখে খুব মুগ্ধ হলাম। প্রশিক্ষণ দিয়েছেন উনার নাম রোকসীনা ম্যাডাম। উনি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে মানুষকে এভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন,তবে এই স্কুলে সবেমাত্র এক বছর। তার বিশেষ দক্ষতার গুনে এই স্কুলের নেওয়া হয়েছে জেনেছিলাম।
আমি কিছুটা সময় ধরে ফটোগ্রাফি করেছিলাম আর ক্লাস নেওয়ার ধরণ টা দেখছিলাম। অবশ্য তখন ক্লাসে মাত্র দুইজন ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন,বাকিরা সব পাশের রুমে সিট কাটায় ব্যস্ত ছিল। উনাদের তো অনেক কিছু প্রশিক্ষণ থাকে অত কিছু আমার বোধগম্য নয়। তবে যেই রুমে তারা কাজ করছিল সেখানে আর ফটোগ্রাফি না করে শুধু ক্লাসেই উপস্থিত থাকলাম।
বাইরে থেকে আগত ছাত্রীরা ক্যামেরার সামনে আসতে তেমন একটি ইচ্ছা পোষণ করে নাই। তাই তাদের বাদ দিয়ে এনাদের শুধু ফটোগ্রাফি করলাম আর ক্লাসের বিস্তারিত বিষয়গুলো দেখার চেষ্টা করলাম। হয়তো এই বিষয়ে ধারণা কম, বুঝলাম কম তারপরেও যতক্ষণ ক্লাসে উপস্থিত ছিলাম এতে বুঝতে পারলাম উনি খুব ভালোভাবেই তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। ম্যাডামের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ধরণটা খুবই চমৎকার ছিল। সিটের হিসাব খুব সুন্দর করে বুঝাছিলেন কতটুকু করে কাটতে হবে কিভাবে মাপ দিতে হবে এই সমস্ত বিষয়ে বলছিলেন দেখলাম।
মহিলাদের ক্লাসে বেশিক্ষণ না থাকাটাই বেটার মনে করে কয়েকটা শুধু সেলফি তুলে দ্রুত বের হওয়ার চেষ্টা করলাম কারণ অন্যান্য ছাত্রীদের ক্লাসে উপস্থিত হওয়ার সময় হয়ে আসছিল। যেহেতু উনারা অন্য রুমে কাজ করছিল সে ফাঁকে এ ক্লাসটা আমার দেখা ও ধারণা নেওয়া হলো। আমি অবশ্য পাশের রুমটাতেও গিয়েছিলাম শুধু ফটো উঠাতে পারি নাই যেহেতু উনারা কাজ করছিলেন। তবে আজকে অফিস রুম থেকে কয়েকটা ফটো উঠিয়েছিলাম যে সমস্ত বিষয়ে কাজ করেন। তার একটি ফটো এর পাশাপাশি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম ।
আমি ইতো পূর্বে কয়েকটি দর্জি বিজ্ঞানের ক্লাস সম্পর্কে জেনেছিলাম তবে এভাবে বোর্ডে হাতে-কলমে শেখানোর মত ভাবে কাউকে শেখাতে শুনি নাই। আমার কয়েকটা বোন ও ভাবীরা এই প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিল সরকারি ভাবে সেখানেও এত সুন্দর করে নাকি শেখায়নি শুনেছি, তাই খুবই ভালো লাগলো এই ক্লাসের শেখানোর প্রচেষ্টা দেখে। তবে এটা জেনেও খুশি হবেন যে উনাদের সাথে আমার যথেষ্ট ভালো সম্পর্ক রয়েছেন। তবে নতুন ছাত্রীদের সাথে তেমন মিল নেই, ফলে তাদের কোন ফটো বা কার্যক্রম এখানে তুলে ধরতে পারলাম না।
|
---|
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৫ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্ট, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আপনার গ্রীনরেইন কর্মমুখী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দর্জিবিজ্ঞান ক্লাস অডিট ভাল হয়েছে। আপনার শেয়ার করা ছবিগুলো ভাল এসেছে এবং ছবিগুলোর মাধ্যমে আর আপনার দেয়া তথ্যের মাধ্যমে বুঝা যাচ্ছে স্কুলে ভালই প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।আপনাদের স্কুলের ম্যাডাম খুব এক্টিভ মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ ভাই উনি খুব সুন্দর করে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন।
আপনার বিদ্যালয় ভাল একটি উদ্যোগ নিয়েছে।দেশের ও নিজের উন্নতির জন্য কর্মমুখী শিক্ষা অত্যন্ত প্রয়োজন।আর আপনাদের ম্যাডাম সেই কাজটি সুন্দর ভাবে করছেন। ধন্যবাদ মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
অবহেলিত মহিলাদের জন্য সুব্যবস্থা এটা।
আমি এই ক্লাস সম্পর্কে জানি। গ্রীনরেইন কর্মমুখী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দর্জিবিজ্ঞান ক্লাস আমাদের এদিকেও হয়ে থাকে। আর এখানে আপনার ছবিগুলোর মাধ্যমে স্পষ্ট বুঝতে পারছি যে সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আমি নিজেও মনে করি এটা অনেক ভালো একটি উদ্যোগ। আপনিও এর সাথে মিশে আছেন এটা বেশ ভালো লাগলো।
উনি খুব সুন্দর করে বোঝাচ্ছিলেন মহিলাদের। তবে প্রথম ক্লাস দেখলাম তো তাই ততো একটা বুঝতে পারি নাই
অডিটর হিসেবে দর্জিবিজ্ঞান ক্লাস অডিট করেছেন।। খুবই ভালো লাগলো দেখে সেই সাথে ক্লাস চলাকালীন সময়ের কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।। আসলে হাতে-কলমে কাজ শিখলেই ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল এবং পরনির্ভরশীল হয়ে থাকতে হয় না।। নিজে নিজেই উপার্জনের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব।। শুভ হোক আপনাদের প্রজেক্ট সফল হোক আপনাদের বিদ্যালয়ের কাজ কর্ম গুলো।।
বড় নির্ভরশীলতা দূর করার জন্য অবহেলিত মহিলাদের জন্য এই ব্যবস্থা করেছে শুনেছিলাম, তবে সকল শ্রেণীর মহিলাদের জন্য সুব্যবস্থা রয়েছে।
বাহ দারুন তো এক সাথে দুই কাজ। স্যার কে ছবি ও পাঠালেন আবার এক্সট্রা ছবি দিয়ে আপনার একটি পোস্ট ও হয়ে গেলো। আমার বাবার দর্জির দোকান ছিলো এক সময়। আমিও টুকটাক সেলাই করতে পারতাম।
এ জাতীয় কাজ জেনে রাখা ভালো। তবে ভাবছি বিয়ে করলে বউকে এই প্রশিক্ষণ দিয়ে নিব।
হেহে।।তাইলে তো সেই হবে। আপনার বউ ছোট খাট হাতের কাজ গুলে করে ফেলতে পারবে। মাঝে মাঝে বাইরে থেকেও অর্ডার করতে পারবে।
আপনার বিদ্যালয়ে খুব ভালো একটি উদ্যোগ নিয়েছে। খুব সুন্দর ভাবে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে মনে হলো। এক কাজে আপনার দুই কাজ হয়ে গেল। স্কুলের ম্যাডামরা খুব ভালো ভাবেই প্রশিক্ষন দিচ্ছে। ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। খুবই ভালো লাগলো আপনার সবলিল এই ভাষার মন্তব্য করে ।