মাছ বিক্রয় করতে গিয়ে চুয়াডাঙ্গা শহর ভ্রমণ
হাই বন্ধুরা!
কেমন আছেন সবাই? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম চুয়াডাঙ্গা শহরের সৌন্দর্য উপস্থাপন করার জন্য। আশা করব চুয়াডাঙ্গা শহরের এই সুন্দর চিত্রগুলো আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
Infinix Hot 11s
আমরা সবাই কমবেশি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। দেশের যেকোন প্রান্তে ছুটে যেতে মন চায় সুযোগ পেলেই। তবে আমরা বিভিন্ন সময়ে শুধু ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যেই বাসা থেকে বের হয় না। কখনো সেজেগুজে বের হয়ে ভ্রমণ করার জন্য। আবার কখনো বের হয়ে প্রয়োজনীয় কাজের জন্য। আর এভাবেই নিজের স্থান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচল হয়ে থাকে বিভিন্ন সময়ে। আর সেই সুযোগে দেশের সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি যদি ফটো ধারণ করা যায়, তাহলে অবশ্যই ভালো লাগে। নিজের ফটো ধারণ করার পাশাপাশি অন্য কেউ দেখানোর সুযোগ এনে দেওয়া যায়। ঠিক তেমনি ছিল আমার আজকের এই। বেশ অনেকবার চুয়াডাঙ্গা শহরে উপস্থিত হয়েছি বিভিন্ন কারণে। কখনো মাছ বিক্রয় করতে, কখনো পরীক্ষা দেওয়ার জন্য, আবার কখনো মাছের বাচ্চা আনতে যশোরে যাওয়ার জন্য। আপনার অনেকে জানেন মেহেরপুর শহরে রেল লাইন নেই। তাই চুয়াডাঙ্গা ক্রস করে বাইরে কোথাও যেতে হলে চুয়াডাঙ্গা শহরের রেল লাইনে উপস্থিত হতে হয়েছে অনেকবার। এছাড়াও চুয়াডাঙ্গা শহর দিয়ে মহেশপুরে জীবননগরে যেতে হয়েছে মাঝ বিক্রয় করতে। আর এই জন্য চুয়াডাঙ্গার শহরটা আমার কাছে বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছিল চলতি পথে। আমিও অনেক উপভোগ করেছি চুয়াডাঙ্গার শহরের সৌন্দর্য। এই শহরটা আমার কাছে বেশ অনেক পরিচিত আর ভালোলাগার।তবে শহরের প্রতিষ্ঠানগুলো সেভাবে আমার দেখা নেই। চুয়াডাঙ্গা শহরের রাস্তার আশেপাশের গাছ ইত্যাদি জিনিসগুলো বেশ আমার কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছে।
চলতি পথের এই চিত্রগুলো বারবার মনে পড়ে যায় এই শহরের সৌন্দর্যের কথা। আমরা তিন বন্ধু মিলেও চলেছি এই শহরে হাতে হাত ধরে। একদম চুয়াডাঙ্গা শহরের রেলস্টেশনের ওই পাশ থেকে এই পাশে দীর্ঘ পথে তিন বন্ধু হাত ধরে চলেছি আর নিজেদের আনন্দ আয়োজনে মুখরিত হয়ে উঠেছি বেশ কিছুটা সময়ের জন্য। যেন এই শহরে উপস্থিত হলে অতীতের বেশ অনেক স্মৃতি বারবার মনে পড়ে। একদিন তো এক্সিডেন্ট করে চুয়াডাঙ্গা শহরে উপস্থিত হয়ে বেশ কিছুক্ষণ অবস্থান করেছিলাম। সেই সমস্ত ঘটনা না হয় পরে একদিন আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। তবে আজকে শুধু দেখাবো চুয়াডাঙ্গা শহরের রাস্তার সৌন্দর্যগুলো। একটা সময় যখন চুয়াডাঙ্গা শহরের রাস্তাগুলো উন্নত হচ্ছিল তখন আমি শুধু বারবার ভাবতাম কবে আমাদের গাংনী শহরটা উন্নত হবে। তবে এখন কিন্তু আমাদের শহরটা চুয়াডাঙ্গা শহরের মত রাস্তাঘাট নির্মাণ শুরু হয়ে গেছে। বিশেষ করে দীর্ঘ সড়ক ব্যবস্থা শুরু হয়েছে চুয়াডাঙ্গা থেকে মেহেরপুর আবার মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়া। এই জন্য বর্তমান আমাদের এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থাটাও বেশ ভালো পর্যায়ে চলেছে।
একটা সময় মাছ বিক্রয়ের জন্য আমরা যখন চুয়াডাঙ্গা শহর ক্রস করতাম তখন রাস্তার ব্যাপক নাজেহাল অবস্থা সম্মুখীন হতে হয়েছে। জায়গায় জায়গায় রাস্তায় এমনভাবে ভাঙ্গা থাকতো মনে হতো গাড়ি উল্টে যাবে। মাছের গাড়ি উল্টে পড়ে যাব। এমন কয়েকবার হয়েছে মাছের গাড়ি উল্টে পড়ে যাওয়ার মত। আর বুঝতে পারছেন যখন মাছ বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে বের হতাম তখন তো মাছের গাড়ির ডামের উপর বসে থাকতাম। কতটা রিস্কের উপর চলাচল করতে হয়েছে এই শহরে। বেশ কয়েকবার ট্রাফিক পুলিশের সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবুও চলাচল করতে হয়েছে এই শহর দিয়ে। সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয় আমার কাছে এই শহরের সুন্দর ব্রিজ এবং নিকটস্থ ফসলের মাঝখান দিয়ে রাস্তাগুলো। চুয়াডাঙ্গা হয়ে সরোজগঞ্জ এরপর ঝিনাইদহ রাস্তা। এই রাস্তাগুলো আমি খুব উপভোগ করেছি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য। রাস্তা যেমন সোজা সাট তেমনি রাস্তার দুইপাশ দিয়েছিল অনেক গাছ আর ফসলের মাঠ। আমি খেয়াল করে দেখেছি জনসংখ্যার দিক থেকে ব্যাপক কম এই এলাকা। অন্যান্য এলাকা লক্ষ্য করা যায় ঘনবসতিপূর্ণ। তবে হাইরোড কে কেন্দ্র করে এই এলাকায় তেমন ঘনবসতি লক্ষ্য করা যায় না। এটা কিন্তু এলাকার জন্য একটা প্লাস পয়েন্ট। যেখানে অতিরিক্ত ঘনবসতি সেখানে আবার অতিরিক্ত ঝামেলা।
তবে আমি মনে করি আমাদের দেশের সৌন্দর্য সব সময় বেশি। অন্যান্য দেশে হয়তো উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। তবে অন্যান্য দেশের সাথে তুলনা করতে গেলে তো আমাদের হবে না। আমাদের দেশ অনুসারে স্থান অনুসারে আমাদের মত করে ভাবতে হবে। দেশে অনেকাংশে উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে। যার জন্য ২০১০ সাল থেকে ২০০০ এই ২৪-২৫ সালে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি। একটা সময় আমি যখন মাছ বিক্রয় করতে অথবা অন্যান্য কারণে উপস্থিত হতাম তখন আমি অনুন্নত রাস্তা দেখেছি। রাস্তার ব্রিজগুলো অতি নরমাল ছিল। এখন কিন্তু সব জায়গায় অত্যাধুনিকভাবে ব্রীজ নির্মাণ হয়েছে। মেহেরপুর মহাসড়কের বেশ কিছু জায়গায় লক্ষ্য করা গেছে এমন সুন্দর ব্রিজ নির্মাণ হয়েছে এছাড়াও চুয়াডাঙ্গাতে লক্ষ্য করেছি। এভাবে যদি দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিকভাবে তৈরি করা হয় তাহলে আমি মনে করি আগে যে রাস্তায় গাড়ি চলাচলের একটা রিস্ক ছিল, সড়ক দুর্ঘটনার ভয় ছিল সেগুলা অনেকটা কমে যাবে। এছাড়া বর্তমান সময়ে যে সমস্ত সড়ক দুর্ঘটনা হয়ে থাকে সেগুলো মানুষের বেপরোয়া চলাচল আর নিয়মের বাইরে চলাচলের জন্য। এর জন্য সড়ক পথের দোষারোপ করে লাভ নেই। আগে সড়ক পথের দোষারোপ চলত রাস্তা ভাঙ্গার জন্য। এখন কিন্তু রাস্তা ভাঙ্গা খারাপ এগুলো অনেকটাই কম বিশেষ করে এই সড়ক পথের। তাই আমি আমার জানামতে যতটা বলতে পারি একটা সময় রাস্তা ভাঙ্গার জন্য চলতে অনেক কষ্ট হয়েছে। এখন কিন্তু এই হাই রোডের সেই কষ্টটা নেই। এজন্য মাছ বিক্রয় করতে যেয়ে এমনিতেই শহর দেখার জন্য এদিকে সেদিকে বেশ গাড়িতে চড়ে ঘোরাঘুরি করেছি। গাড়িওয়ালা ভাই তার প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য এদিকে ওদিকে চলাচল করেছে, এছাড়া আমিও তার সাথে আমার প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা করতে শহরটার বেশ অংশ ঘুরে দেখতে পেরেছিলাম। আর এভাবেই সুন্দর এই শহরটা উপভোগ করেছি অনেকবার।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পোস্ট বিবরণ
বিষয় | চুয়াডাঙ্গা শহর ভ্রমণ |
---|---|
ব্লগার | sumon09 |
ডিভাইস | Infinix Hot 11s-50mp |
লোকেশন | What3words |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন ভ্রমণ বিষয়ক পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকবেন সবাই। সকলের জন্য শুভকামনা রইল,আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X-promotion
21-01-25
প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে নানাভাবে আমাদের ভ্রমণ করা হয়ে যায়। চুয়াডাঙ্গা শহরের রাস্তা দেখতেছি উন্নত মানের। যদিও বা একসময় এই রাস্তাগুলো খারাপ ছিল। তবে খারাপ লাগলো আপনাদের এক সময়ের এক্সিডেন্ট হওয়ার কথাটি শুনে। যাইহোক মাছ বিক্রি করতে যেয়ে চুয়াডাঙ্গা শহর ভ্রমণের অনুভূতি আমাদের মাঝে ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ। সেই সাথে চুয়াডাঙ্গা শহরের রাস্তার চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলিও শেয়ার করেছেন।
হ্যাঁ ভাই এক সময় রাস্তা খারাপের জন্য আমি এক্সিডেন্ট করেছিলাম
কথায় আছে না এক ঢিলে দুই পাখি মারা আপনার তো দেখছি তেমন হয়ে গেল। মাছ বিক্রি করতে গিয়ে মাছ বিক্রি হলো আবার শহরটিও ভ্রমণ হলো।মাছ বিক্রি করতে গিয়ে অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ।
হ্যাঁ, সকালে মাছ বিক্রয় হয়ে গেলে; এটা সেটা কেনার জন্য ঘুরাঘুরি হয়ে যায়।
অনেক অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার চুয়াডাঙ্গা ভ্রমণ পোস্ট দেখে। চুয়াডাঙ্গা শহরটাতে কেমন বেশি আমার যাওয়া হয়নি। আমি বেশিভাগ কুষ্টিয়া শহরটাকে দেখেছি এবং চিনি। তবে নিকটস্থ শহর চুয়াডাঙ্গা সম্পর্কে কিছু ধারণা পেলাম আপনার মাধ্যমে। ভালো লাগলো পোস্টটা দেখে।
আমি দুইটাই চিনি ভালো
আজকে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে চুয়াডাঙ্গার শহর সম্পর্কে আমাদের মাঝে পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। আপনি বিভিন্ন প্রয়োজনে সেই শহর উপস্থিত হয়ে থাকেন। আসলে আমিও মনে করি সুযোগ পেলে দেশের যে কোন জায়গা ঘুরে দেখা প্রয়োজন। কারণ দেশের সৌন্দর্য উপলব্ধি করার মধ্য দিয়ে দেশের প্রতি আরো মায়ার বন্ধন সৃষ্টি করা যায়।
হ্যাঁ প্রায় যাওয়া হয়ে থাকে