স্বরচিত অনুভূতিমূলক কবিতা || শীতের পিঠা
আজ - বুধবার
আসসালামু আলাইকুম
কবিতা
শিশির ভেজা সকাল।
গাছি ভাইয়ের রস সংরক্ষণ করতে
ব্যস্ত হয়ে ওঠে বিকাল।
গাছে ওঠেন বিকেলেতে
মেটে ভাড় বাঁধার জন্য।
খেজুর গাছ ছিল বলেই
গ্রাম বাংলা যেন ধন্য।
কুয়াশাচ্ছন্ন সকালেতে
আবার গাছে ওঠে।
ভাড় ভর্তি রস দেখে
মুখে হাসি ফোটে।
সেই রসে মা-বোনেরা
রঙিন স্বপ্ন দেখে।
পিঠা তৈরির আনন্দতে
সকালে ঘুম থেকে উঠে।
খেজুরের রসে বানাতে থাকে
নানান ধরনের পিঠা।
নববধূর হাসি যেন
তার চেয়ে বড় মিঠা।
এভাবেই ব্যস্ত হয়
সোনার বাংলার সকল গাঁ।
নববধূর পিঠা তৈরি দেখে
আনন্দে হাসে মা।
বাড়িতে বাড়িতে রান্নাঘরে
সুবাসের জোয়ার ওঠে।
গাছি ভাইয়ের মুখে দেখি
সুখের হাসি ফুটে।
কেউ বানাই চিতই পিঠা
কেউবা পাটিসাপটা।
পুলি পিঠার জন্য প্রয়োজন হয়
স্টিলের সেই কাপটা।
সন্ধ্যাবেলায় বাজারেতে
মানুষের আনাগোনা।
কেউ খেতে চায় চিকেন ফ্রাই
আমি খুঁজি ডিম ডাল ভুনা।
ভাপা পিঠা পেলেই খুশি
খেজুর পাটালীর জন্য।
বউয়ের হাতে পুলি পিঠা খেয়ে
গাছি ভাই যে ধন্য।
সমাপ্ত
বিশেষ্য মন্তব্য
সত্যি শীতের জনপ্রিয় পিঠা নিয়ে চমৎকার একটা কবিতা লিখেছেন। আসলে ভাইয়া শীতের সময় সবার সকাল সকাল এই পিঠা খাওয়ার জন্য বসে পড়ে।আপনি বেশ ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জেনে শুনেই তো লিখেছি আপু। শীতের সময় মানে আনন্দ।
X-promotion
05-02-25
বাহ কি মজাদার কবিতা পড়লাম।কবিতার প্রতিটি কথা কি মধুর আর রসালো। খেজুরের রস পুড়ো কবিতা জুড়ে মোহ মোহ করছে।কবিতার প্রতিটি লাইন আমাকে মুগ্ধ করেছে।ধন্যবাদ আপনাকে এতো মিষ্টি একটা কবিতা লিখে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
মুগ্ধ করতে পেরেছি জেনে ধন্য হলাম
ঠিক বলেছেন ভাইয়া শীত প্রায় শেষ হতে যাচ্ছে। আমার কাছে খুব খারাপ লাগছে,কারণ শীতের সময়টা মনে হচ্ছে একটু শান্তিতে ঘুমাতে পেরেছিলাম। যাই হোক শীতকে কেন্দ্র করে খুব সুন্দর একটি অনুভূতি মূলক কবিতা লিখেছেন। আপনার কবিতা পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। কবিতার মধ্যে শীতের অনুভূতি খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। কবিতার প্রতিটা লাইন খুব সুন্দর ভাবে মিলিয়ে লিখেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর কবিতা শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ পিঠা খেয়েও শান্তিতে ঘুমানো হয়েছে কিন্তু গরমে হয় না।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি সঠিক বলেছেন খেজুরের রস পেলেই মা-বোনেরা বিভিন্ন ধরনের পিঠা বানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। শীত চলে যাওয়া এবং আপনার বাসায় ভিন্ন রকমের পিঠা বানানো দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে শীত এবং শীতের পিঠা সম্পর্কিত চমৎকার একটি কবিতা লিখেছেন ভাই। কবিতার প্রতিটি লাইনের পরতে পরতে খেজুরের রস, শীতকালীন সৌন্দর্য এবং শীতকালের পিঠাপুলীর কথা গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। পুরো কবিতাটি পড়লাম খুবই ভালো লাগলো ভাই।
খুব সুন্দর প্রশংসা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
কবিতাটি খুব মজার ভাইয়া। বউয়ের হাতের পিঠাকে গাছি ভাই আসলেই ধন্য হয়ে যায়। খেজুরের রস বের করে সেই রস দিয়ে পাটারি তৈরি করে পিঠে খাওয়ার পর কষ্টটা আসলেই সুখ হয়ে যায়। শীতের সময় পিঠে না খেলে ঠিক জমে ওঠে না। খেজুরের গুড়ের পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। পিঠা কে কেন্দ্র করে চমৎকার কবিতা আমাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া।
একদম ঠিক কথা
আপনার কবিতা লাইনগুলো পড়ে তো এখন শীতের পিঠা খেতে ইচ্ছে করছে। খেজুরের রসের তৈরি নানান রকমের পিঠা খাওয়ার মজাটাই আলাদা। যদিও শীতকাল এখন শেষের দিকে। শীতকাল চলে গেলে সেভাবে আর পিঠাপুলিও খাওয়া হয় না। দারুন কবিতা লিখেছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা কবিতা শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করেছি শেষ মুহূর্তে সবকিছু মনে করিয়ে দিতে।
দুর্দান্ত একটি কবিতা লিখেছেন আপনি শীতের পিঠা নিয়ে। শীতকাল আসতে ভিন্ন ধরনের পিঠা পুলি খাওয়া হয়ে থাকে। বাইরে কুয়াশা শিশির ভেজা ঘাস সবকিছু মিলিয়ে শীতকালে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা হবে। সেই অনুভূতি থেকে আপনি দুর্দান্ত একটি কবিতা লিখেছেন কবিতাটি পড়ে ভালো লেগেছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু