নাটক রিভিউ || হাড় কিপটে || ৬৫ তম পর্ব
আজ - সোমবার
হাই! বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি অনেক অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম হাড় কিপটি নাটকের ১০৫ পর্বের মধ্য থেকে ৬৫ তম পর্ব রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আমার এই রিভিউ পোস্ট আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে।
নাম | হাড় কিপটে |
---|---|
রচনা | বৃন্দাবন দাস |
পরিচালক | সালাউদ্দিন লাভলু |
অভিনয়ে | আমিরুল হক চৌধুরী, চঞ্চল চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, মোশাররফ করিম, আ খ ম হাসান, শামীম জামান, শাহনাজ খুশি সহ আরো অনেকে। |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | আঞ্চলিক বাংলা |
ধরণ | কমেডি,ড্রামা |
পর্বের সংখ্যা | ১০৫ |
রিভিউ | ৬৫ তম পর্ব |
দৈর্ঘ্য | ১৮ মিনিট |
প্ল্যাটফর্ম | ইউটিউব @cdchoicedrama চ্যানেল |
চরিত্রেঃ
- মোশাররফ করিম (গোল্লা)
- আমিরুল হক চৌধুরীর (নজর আলী)
- চঞ্চল চৌধুরী (বহর আলী)
- বৃন্দাবন দাস (ভূপেন) সহ আরো অনেকে
নহরের কথা মাথায় রেখে হবু ভাবি চুমকি রেশমার কাছে গেল। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে বুঝতে পারল মিলন রেশমা ও নহরের ভালোবাসার মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি করেছে। একদিকে নহরের কাছে মিথ্যা বলে আরেক দিকে রেশমার বাবার কাছে রেশমার জন্য পাত্রের সম্বন্ধ দেখায়। বিষয়টা রেশমা বুঝতে পারেনা এদিকে নহরও বুঝতে পারেনা। মধ্য হয়ে চুমকি যখন তাদের ভালোবাসার ফাটল জোড়া লাগাতে আসে তখনই বুঝতে পারে মিলন ষড়যন্ত্র করে আজকে তাদের দুইজনের মধ্যে বেশ দ্রুত সৃষ্টি করে দিয়েছেন।
হঠাৎ করে হারাধন দত্তের বাড়িতে দুই কুটুমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মিলন অনেক খোঁজ করে দেখলো রুমের মধ্যে তাদের ব্যাগ পত্র কিছুই নেই। তারা অনুমান করল হারাধন দত্তর হাত দেখার টাকা দেওয়ার ভয়তে তারা গোপন করে চলে গেছে। এতে হারাধন দত্ত অনেক আনন্দিত আবার খুশি হলেন যে তারা বিদায় হয়েছে। আরেকদিকে হারাধন দত্তের ছেলে ভূপেন বাড়িতে আসে না অনেকদিন। শিবানী তার ভাইয়ের জন্য বেশ অস্থিরতা প্রকাশ করছে। কিন্তু বাবা হয়ে হারাধন দত্ত ছেলের জন্য তেমন কোন আফসোস করছে না। হারাধন দত্ত মনে করছে তার ছেলে যদি পুণ্যের কাজ করে তাহলে তার নিজের খাতায় পুণ্যের ভাগ বসবে। তাই পাড়াগাঁয়ের বেয়াদবদের সাথে না থেকে যদি কোন আশ্রমে আশ্রয় নেয় তাতেও ভালো।
চুমকি তার প্রেমিক ফজর আলীর সাথে বিয়ের বিষয় নিয়ে গল্প করছিল। গোল্লা তাদের বিয়ের বিষয়টা বলেছিল বরিশালের সম্পন্ন করতে, এরপর বলেছিল দুলাভাইদের বাড়িতে, এখন বলা শুরু করেছে নিজের বাড়িতেই বিয়ের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এতে ফজর আলী যেন বেশ বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে। তবে গোল্লার কথাতে চুমকি বেশ রাজি রয়েছে। নজর আলী কৃপণের কাছ থেকে গোল্লা একটা ঘর দখল করে ফেলেছে। নজর আলী কৃপণের বড় ছেলের বিয়ে না হয় গোল্লার ঘরে হবে বাসর ঘর সেখানেই হবে। এখানে নজর আলী কৃপণ কোন বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না। ইতোমধ্যে প্রেমিকের ছোট ভাই নহর এসে উপস্থিত। চুমকি নহর ও রেশমার বিষয়টা ক্লিয়ার করে বলল নহরের কাছে। নহর জানতে পারলো মিলন ষড়যন্ত্র করে তাদের ভালোবাসার মাঝখানে ফাটল সৃষ্টি করেছে। নহোর আলী সবকিছু জেনে বলল মিলনকে দেখে নিবে।
এদিকে ফরহাদ দোকান খুলেছে ঠিকই কিন্তু কাস্টমারদের কাছে কোন কিছু বিক্রয় করছে না। কাস্টমাররা তার হাতে চা খাওয়ার জন্য বসে রয়েছে। চা তৈরি না করে কারো সাথে কোন কথা না বলে নক করে বসে রয়েছে। যখন মুকুল ফরহাদের সেই এক হাজার টাকা বের করে দেয় তখনই ফরহাদ মুখ খুলে। কিন্তু এদিকে মিলনের চিটারি ফাঁস হয়ে যায় আর বহর মিলনকে ধরে ফরহাদের দোকানে নিয়ে আসে কিন্তু ততক্ষণে ফরহাদ নিজের টাকা পেয়ে যাওয়াই মিলনকে মাফ করে দেয়। বিষয়টা বহর বুঝতে পারেনা। তাই বহরের কাছে মনে হয় যেন ফরহাদ চিটার মিলন চিটারের সাথে সম্পর্ক তৈরি করে ফেলেছে।
বেশ কিছুদিন ধরে ভাই ভূপেন বাড়িতে না আসায় শিবানীর মনের মধ্যে খুবই কষ্ট লাগে। সে নজর আলী কৃপণের বাড়িতে গেল। নজর আলী কৃপণের স্ত্রী কাছে জানতে চাইলো তার ভাইটা তাদের বাড়িতে আসে কিনা। কিন্তু জানতে পারলো আন্টি অনেকদিন ভূপেন কে দেখেনি। কোথায় যে ভাইটা গেছে তার সন্ধান কেউ বলতে পারেনা। ইতোমধ্যে বহর বাড়িতে এসে উপস্থিত হয়ে পড়ে। বহরের মুখে মিলন চিটার শব্দ শুনে শিবানী লেগে যায়। শিবানী অনুমান করে ফেলে মিলন এর এক টাকা বহর কুড়িয়ে নিয়েছিল। হয়তো সেই টাকাটা বহর দেয়নি বলেই মিলনের সাথে গ্যাঞ্জাম হয়েছে তাই বহর তাকে চিটার বলে গালিগালাজ করছে। অবশেষে লক্ষ্য করা গেল বহর ও শিবানির মধ্যে একপ্রকার ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হল।
আমরা হারকিপটে নাটকের এই পর্বে লক্ষ্য করেছি মিলনের ইত্যাদি কথাবাত্রা অনেক জায়গায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। একটা সময় খেয়াল করেছিলাম গোল্লা এসে দুই কৃপণের বাড়িতে প্যাচ লাগিয়েছে। এখন আমরা লক্ষ্য করছি হারাধন দত্তের বাড়িতে মিলন এসে ফজর নহর এদের ভালোবাসা প্যাচ সৃষ্টি করছেন। অনেকদিন পর ফরহাদ তার ডাকাতি হওয়ার টাকাটা ফিরে পেল। তবে ফরহাদ আর বহরের মধ্যে যেই মিল ছিল সে মিল মহব্বত নষ্ট হয়ে গেল এক নিমিষে। এখানে একটা বিষয় ভালোভাবে লক্ষ্য করা যায় চুমকি আছে তাই রেশমা ও নহরের ভালোবাসা হয়তো আবারো একত্রিত হতে পারে। ভূপেনের দুই মামা চলে যাওয়ায় হারাধন তত্ত্বের মুখে যেন হাসি ফুটে উঠেছে। সব মিলে অনেক ভালো লাগলো এ পর্বের কয়েকটা বিষয়। যেখানে হারাধন দত্তের মুখের হাসি, নহরের মনে নতুন আশার আলো, চুমকি দের বিয়ের সম্ভাবনা। গোল্লার ঘর দখল। হয়তো আগামী পর্বে আমরা আরো নতুন কিছু দেখতে পারবো এবং সুন্দর অভিনয় উপভোগ করব।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন নাটক রিভিউতে, ততক্ষণ ভালো থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X-promotion
অনেক সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। এই নাটকটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আমার কাছে মনে হয় বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় এবং সেরা একটি নাটক এটি। এই নাটকটা যে আমি কতবার দেখেছি তাও বলে বোঝাতে পারবো না।
মন্তব্য দেখে খুশি হলাম
06-01-25
অনেক সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ আপনি আজকে আমাদের সবার মাঝে শেয়ার করে নিয়েছেন। নাটকটার রিভিউ পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। সুন্দর সুন্দর নাটকগুলো আমি অনেক পছন্দ করি। নাটকটা না দেখা হলেও রিভিউটা পড়ে ভালো লেগেছে। এত সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এত মিনিটের একটা নাটক মাত্র দুই থেকে তিন মিনিটের মধ্যেই পড়ে নেওয়া যায়। আমি তো মনে করি দেখার থেকে রিভিউ পড়ে নেওয়াই ভালো। তাহলে নাটকের সম্পূর্ণ কাহিনীটা মাত্র ২ মিনিটেই জেনে নেওয়া যায়। বেশি সময় আর অপচয় করা লাগে না দেখে। আমি তো এখন সব সময় চেষ্টা করি নাটকের রিভিউর মাধ্যমেই কাহিনীটা জেনে নেওয়ার জন্য। আর ঠিক তেমনি এখনো চেষ্টা করলাম। ভালো লাগলো এই রিভিউ টা।
একদম ঠিক বলেছেন
খুব সুন্দর একটি নাটক আজ আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। মোশারফ করিমের অভিনীত প্রত্যেকটি নাটক আমার কাছে দারুন লাগে। এই নাটকটি আমার দেখা হয়নি তবে আগে একটি পর্ব করা হয়েছিল। নাটকটি আমার কাছে বেশ। সুন্দর একটি নাটক খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করে আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
রিভিউ টা পড়ার জন্য ধন্যবাদ
ফরহাদ দোকান খুলেছে কিন্তু তার মধ্যে একটা শয়তানি কাজ করছে। এইজন্যই সে অন্যদের কাছে কিছু বিক্রি করছে না। অন্যদিকে ভুপেনের অনুপস্থিতিতে বেশ শঙ্কিত শিবানী। বেশ দারুণ রিভিউ করেছেন এই এপিসোড টার। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
ফরহাদের বোকামিটা একটু বেশি। ভূপেন বাড়িতে নেই তাই বোনের মনে টান লেগেছে।
ভাই আপনি খুব সুন্দর করে হারকিপটে নাটকের ৬৫ তম পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার নাটক রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো। হাড়কিপটা নাটকের সবাই তাদের অভিনয় খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর করে পুরো নাটকটির রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
রিভিউটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ