নাটক রিভিউ || হাড় কিপটে || ৬৬ তম পর্ব
আজ - সোমবার
হাই! বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি অনেক অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম হাড় কিপটি নাটকের ১০৫ পর্বের মধ্য থেকে ৬৬ তম পর্ব রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আমার এই রিভিউ পোস্ট আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে।
নাম | হাড় কিপটে |
---|---|
রচনা | বৃন্দাবন দাস |
পরিচালক | সালাউদ্দিন লাভলু |
অভিনয়ে | আমিরুল হক চৌধুরী, চঞ্চল চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, মোশাররফ করিম, আ খ ম হাসান, শামীম জামান, শাহনাজ খুশি সহ আরো অনেকে। |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | আঞ্চলিক বাংলা |
ধরণ | কমেডি,ড্রামা |
পর্বের সংখ্যা | ১০৫ |
রিভিউ | ৬৬ তম পর্ব |
দৈর্ঘ্য | ১৮ মিনিট |
প্ল্যাটফর্ম | ইউটিউব @cdchoicedrama চ্যানেল |
চরিত্রেঃ
- মোশাররফ করিম (গোল্লা)
- আমিরুল হক চৌধুরীর (নজর আলী)
- চঞ্চল চৌধুরী (বহর আলী)
- বৃন্দাবন দাস (ভূপেন) সহ আরো অনেকে
শিবানীর ভাই ভূপেন বেশ কিছুদিন বাড়িতে আসছে না। ভাইয়ের উপর অতি দরদ সৃষ্টি হওয়ায় শিবানী এসেছে বহরদের বাড়িতে। বহরের দুই ভাইয়ের সাথে ভূপেনের ভালো মিল। বহরের দুই ভাই যদি ভূপেনের সন্ধান দিতে পারতো তাহলে শিবালীর দানে একটু শান্তি হতো। শিবানী এসে বহরের মায়ের সাথে গল্প করছে। এমন মুহূর্তে বহর বাড়িতে আসে, শিবানির খালাতো ভাই মিলনের সাথে একটু গন্ডগোল হওয়ায় বউর জানো শিবানীর সাথে গন্ডগোল লাগিয়ে দিল। এ নিয়ে দুইজনার মধ্যে বেশ তর্কাতর্কি কথা কাটাকাটি। মনের কষ্ট নিয়ে শিবানী বহরদের বাড়ি অর্থাৎ নজর আলী কৃপণের বাড়ি ছাড়লো।
এদিকে নজর আলী কৃপণ আর শিবানির বাবা হারাধন দত্ত পুকুরপাড়ের মাচায় বসে গল্প করছে। তাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় আর মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। এবার তাদের মধ্যে কোন মনোমালিন্য দেখা যায়নি। হারাধন দত্ত খুবই আনন্দে রয়েছেন। বাবার অবাধ্য সন্তান ভূপেন বাড়িতে নাই। দুই কুটুম এসেছিল তারাও বিদায় হয়ে গেছে। এই সুযোগে মনের ফুর্তিতে গান করছে সে। আরো বন্ধুকে একটা পরামর্শ দিল। আসন্ন রোজার সময় দুই বন্ধু ঢাকা শহরে চলে গেলে কেমন হয়। ঢাকা শহরে বড়লোক মানুষেরা ফকিরদের ভিক্ষা বেশি দেয়। তারা যদি একটু হাতপাতে তাহলে অনেক পয়সা কামাতে পারে পাশাপাশি ঢাকা শহর দেখার সুযোগ হবে। কিন্তু কিছুতেই নজর আলী রাজি হতে পারল না নিজের জমি জায়গা দখল হওয়ার ভয়ে। কারণ তার ভাগ্নে গোল্লা একটা ঘর দখল করে ফেলেছে। তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও রাজি হওয়া সম্ভব হলো না।
মিলন নহর আর রেশমার ভালোবাসার মাঝখানে শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বিষয়টা নহর চুমকির মাধ্যমে বুঝতে পারায় মিলনকে অপমান ও মারধর করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের বন্ধু মুকুল বারবার বাধা দিচ্ছে। সেই সুযোগে মিলন আরো বেশ মিথ্যা কথা বলে নহরের কাছে চুমকিকে পচানোর চেষ্টা করল। সে বুঝাতে চাইলো বন্ধু হয়ে কখনো বন্ধুর ক্ষতি করতে রাজি নয় মিলন। বরঞ্চ চুমকি তার কাছে মিথ্যা বলেছে।
হঠাৎ করে গোল্লা মামার বাড়ির দখল করা ঘর তালা দিয়ে কোথায় যেন গেছে। এই সুযোগে বহর চাচ্ছেন যে ঘরের তালা ভেঙ্গে ঘরটা নিজের দখলে রাখতে। তাই বড় ভাইয়ের সহযোগিতা পাওয়ার চেষ্টা করছিল। কিন্তু কিছুতেই বড় ভাই রাজি হচ্ছে না। মধ্যে বড় ভাই আর তার মা আলাপ-আলোচনা করছিল কিভাবে দ্রুত বিয়ের কাজ সেরে ফেলা যায়। তার মা অনেক রাজি রয়েছে দ্রুত বড় ছেলে যেন বিয়ে করে ফেলে। কিন্তু বিষয়টা মোটেও সম্পন্ন করতে পারছে না গোল্লা ছাড়া। এদিকে ফজরের বাবা তো পাঁচ বিঘা জমির শর্ত দিয়ে রেখেছে চুমকির বাবাকে।
শিবানী নজর আলী কৃপণের বাড়ি থেকে মন খারাপ করে বাড়ি ফিরছে। পথের মধ্যে নজর আলী কৃপণের জামাইয়ের সাথে দেখা। সে শ্বশুরবাড়িতে দীর্ঘদিন পরে রয়েছে। শ্বশুরবাড়িতে থাকতে লজ্জা লাগে না। এমন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করে শিবানী। কিন্তু নজর আলী কৃপণের জামাই এক কথায় বুঝিয়ে দেয় সে লোকের শ্বশুরবাড়িতে নাই। নিজের শ্বশুর বাড়িতে রয়েছে। নিজের শ্বশুরবাড়িতে থাকতে কার না ভালো লাগে। না হয় শিবানী বিয়ে করে শ্বশুর বাড়ি যেয়ে দেখুক। কথাটা শুনে শিবানী মনটা আবারো খারাপ হয়ে গেল। মন খারাপ নিয়ে বাড়িতে আসে শিবানী। সেখানেও এসে দেখে দুই মামা আর ভাই বাড়িতে এসে উপস্থিত। শুধু যে তারা বাড়িতে এসেছে তা কিন্তু নয়। সাথে তার ভাই বিয়ে করে বউ এনেছে।
হাড় কিপটে নাটকের বেশ কিছু পর্বের মধ্যে ৬৬ তম পর্বটা অনেক ভালো লাগার। এখানে ২ কৃপণের মধ্যে কোন ঝগড়া নেই। হারাধন দত্ত তো মনের আনন্দে আনন্দিত। তার এই হাসি মাখা মুখটা অনেক পর্ব অতিক্রম করে দেখা গেল। নিখুঁত অভিনয়ের সাথে সে তার আনন্দের কথা বন্ধুর কাছে বলছে। তার দুই কুটুম বাড়ি থেকে চলে গেছে, অবাধ্য ছেলেটাও বাড়ি থেকে বিদায় হয়েছে। এখন তার বেশি খরচ নেই আর। কিন্তু পক্ষান্তরে দেখা গেল লাস্টের দিকে এসে দুই কুটুম বাড়িতে ফিরেছে। তাদের সাথে আবার হারাধনের ছেলে বিয়ে করে বাড়িতে এসেছে। জানিনা পরবর্তীতে তার রিয়াকশন কেমন হয়। তবে শিবানী অবাক হয়েছে। এই পর্বে যেন শিবানীর শুধু মনে কষ্টের দেখা গেল। সেই নজর আলী বাড়ি থেকে নজর আলীর ছেলের সাথে ঝগড়া করে কষ্ট পেতে পেতে বাড়িতে এসে আরও কষ্টের পাহাড় মাথায় উঠে পড়ল। সব মিলে বলতে পারি নিখুত অভিনয় ছিল এখানে শিবানী ও শিবানির বাবার। দুই বন্ধুর ঢাকা শহরে ভিক্ষা করতে যাওয়ার পরামর্শটাও বেশি দারুন ছিল। অনেক সুন্দর অভিনয় পেয়েছি এখানে। সব মিলে বলতে পারি বাংলাদেশের বিখ্যাত নাটক গুলোর মধ্যে অন্যতম নাটক হাড় কিপটে। আর এই হারকিপটে নাটকের সকল পর্বের মধ্যে সেরা একটি পর্ব ছিল এটা।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন নাটক রিভিউতে, ততক্ষণ ভালো থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
13-01-25
ভাইয়া হারকিপটে নাটকের দেখতে দেখতে অনেকগুলো পর্বই আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে ভালো নাটক হলে সবাই দেখতে অনেক পছন্দ করে। এই নাটকটিও হলো সে রকম একটি নাটক সবার মন জয় করেছে। এইৎনাটকটিতে সবাই অসাধারণ অভিনয় করে নাটকটিকে আরো সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছে।
হ্যাঁ এটা কিন্তু ঠিক ছিল
অনেক সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। এই নাটকটা বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় একটা নাটক। এই নাটকটা যে আমি কতবার দেখেছি সেটা আপনাকে বলে বোঝাতে পারবো না।
পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ
ভাইয়া আপনি হাড় কিপটে নাটকের ৬৬ তম পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। এই নাটক এখনও দেখা হয়নি। তবে আপনার রিভিউর মাধ্যমে অনেক গুলো পর্ব পড়া হয়ে গিয়েছে। কিছু কিছু নাটক থাকে যেগুলোর পর্ব হলেও খুব ভালো লাগে। আপনি সম্পূর্ণ রিভিউ খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দেওয়ার জন্য।
দারুন মন্তব্য করেছেন আপনি
আপনি আজকে চমৎকার একটি নাটক রিভিউ করেছেন।আখম হাসানের প্রতিটি নাটক আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার নাটক রিভিউটি পড়ে মনে হচ্ছিল যেন আমি নাটকটি সরাসরি দেখতেছি। আপনি অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে নাটকটি রিভিউ করেছেন। আসলে এ রকম নাটক রিভিউ পড়লে আর নাটক দেখার প্রয়োজন হয় না ধন্যবাদ।
সুযোগ করে দেখবেন ভালো লাগবে।
বাংলাদেশের অনেকগুলো নাটক দেখেছি এর মধ্যে শ্রেষ্ঠ একটা নাটক হলো হাড় কিপটে নাটক। নাটকের এই পর্বটা আমি দেখেছি আসলে প্রত্যেকটা পর্ব খুবই দারুণ। খুবই চমৎকার একটি নাটক আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
একদম মনের কথা বলেছেন
হাড় কিপটে নাটক খুবই সুন্দর। সমাজের কিছু বাস্তব চিত্র নাটকের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে । হাড় কিপটে নাটকের আজকের পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো ভাই । বেশ সুন্দর নাটক রিভিউ করেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আশা করব এই পর্ব টা দেখবেন
খুবই সুন্দর করে আপনি হাড় কিপটে নাটকের ৬৬ তম পর্বের রিভিউ শেয়ার করেছেন। যে পর্বের পুরো কাহিনীটা ছিল অনেক বেশী সুন্দর। এরকম নাটক গুলো যদিও খুব একটা দেখা হয় না কিন্তু রিভিউ পড়ার চেষ্টা করি। আশা করছি এভাবে আপনি প্রতিটা পর্বের রিভিউ সবার মাঝে শেয়ার করে নিবেন।
অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনি।
এরকম নাটকগুলো আমি আগে একটু বেশি দেখে থাকতাম। তবে এখন আর খুব একটা নাটক দেখা হয় না। আমি মুভি দেখতে একটু বেশি ভালোবাসি। আর তাই সময় পেলে মুভি বেশি দেখা হয়। কিন্তু মাঝেমধ্যে আবার নাটকও দেখার জন্য চেষ্টা করি। সুন্দর সুন্দর এবং শিক্ষনীয় নাটকগুলো আমার অনেক বেশি পছন্দের। আপনি যে নাটকের রিভিউ করেছেন, এটা যদিও দেখি নিই। তবে রিভিউটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। অপেক্ষায় থাকলাম পরের পর্বের জন্য।
নাটকটা দেখবেন ভাই