বামুন্দি বাজার থেকে কেনাকাটার অনুভূতি

in আমার বাংলা ব্লগyesterday


আসসালামু আলাইকুম




হাই বন্ধুরা!

কেমন আছেন সবাই? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আবার আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম বামুন্দি বাজার থেকে কেনাকাটার সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য। আশা করব এই পোস্ট করে আপনারা বেশ অনেক কিছু জানতে পারবেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।


IMG_20241108_152843_955.jpg

photography device:
Infinix Hot 11s

বামুন্দি বাজার


ফটোগ্রাফি সমূহ:


আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগার অন্যতম নিকটস্থ বাজার বামুন্দি বাজার। বেশ অনেক বছর থেকে এই বাজারে আমার চলাচল। নিকটস্থ অন্যান্য বাজারগুলোতে তেমন বেশি একটা বাজার করা হয় না। কোন কিছু প্রয়োজন হলে চলে আসা হয় এই বাজারে। মোটরসাইকেল কেনার পর থেকে আরও সহজ হয়ে গেছে এই বাজারে চলাচল করা। তাই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কিনতে ইজিলি উপস্থিত হতে পারি এ বাজারে। এই বাজারে প্রয়োজনীয় সবকিছু জিনিস আমি খুব সহজেই খুঁজে পায় এবং কিনতে পারি। তাই শীতের শুরুতেই সবজি বাগানটা প্রস্তুত করে বাজারের দিকে গিয়েছিলাম শীতের সবজি গাছ কিনতে হবে সবজির বীজ কিনতে হবে আর বাজার করার উদ্দেশ্যে। বামুন্দি বাজারে উপস্থিত হয়ে লক্ষ্য করে দেখতে পারলাম সবজি গাছ বিক্রয়ের স্থানটা সবজি গাছে পরিপূর্ণ। বিক্রেতারা বিক্রয় করছেন আর আমাদের মত কাস্টমাররা কেনার জন্য গাছ যাচাই বাছাই করছেন। আমিও এগিয়ে গেলাম টমেটো গাছের চারা কেনার জন্য। দেখলাম বেশ তরতাজা সুন্দর সুন্দর টমেটো গাছের চারা, বেগুন গাছের চারা, ঝাল গাছের চারা সহ আরো অন্যান্য গাছের চারা। ১০০ টাকা দিয়ে ৭০ পিস টমেটো গাছের চারা কিনে ফেললাম। হাইব্রিড আর দেশি দুই রকমের গাছ ছিল।

IMG_20241108_152821_023.jpg

IMG_20241108_152902_691.jpg


শীতের সময় শিশির পড়ে ঘাস ভিজে থাকে, পুকুরপাড়ে চলতে বেশ পা স্লিপ হয়ে যায়। তাই আরেকটু এগিয়ে বিশাল বড় খোলামেলা স্যান্ডেলের বাজার। সেখানে এগিয়ে গেলাম। সেখানে আমার সবচেয়ে প্রিয় জ্যাম স্যান্ডেল পাওয়া যায়। আমি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ওই জাতীয় স্যান্ডেল গুলো বেশি ব্যবহার করে আসছি পুকুরে চলাচলের সুবিধার্থে। অনেক রকমের ভিন্ন ভিন্ন স্যান্ডেল ব্যবহার করেও এই জাম ৪২ স্যান্ডেলের মত সুবিধা পায়নি। তাই নিজের নিরাপত্তা সবার আগে। পুকুরপাড়ে আঁকাবাঁকা পথ রয়েছে পাঁচ স্লিপ করে পড়ে গেলে বিপদ হতে পারে। এই জন্য সবজি গাছ কেনার পাশাপাশি একজোড়া জাম ৪২ স্যান্ডেল নিয়ে নিলাম ১০০ টাকা দিয়ে।

IMG_20241108_152906_940.jpg

IMG_20241108_152909_372.jpg

IMG_20241108_153405_061.jpg

IMG_20241108_153402_557.jpg


এরপর সোজাসুজি চলে আসলাম দ্বিতীয় সবজি বাজারে। আসলে বামুন্দি বাজারে দুইটা সবজি বাজার রয়েছে। দুই সবজি বাজারের মাঝখানে রয়েছে একটি সরিষার তেল ভাঙ্গানো মেলঘর। তাই সবজি বাজারটা দুই ভাগে বিভক্ত। প্রথম বাজারটার চেয়ে বেশি জমজমাট হয়ে থাকে দ্বিতীয় বাজারটা। সেখানে উপস্থিত হয়ে আমার প্রিয় শসা কিনলাম। এছাড়া প্রয়োজনীয় অন্যান্য সবজি। এরপর লক্ষ্য করে দেখতে পারলাম খুব নিকটে একজন ব্যক্তি ডালা ভর্তি করে দেশি কমলালেবু বিক্রয় করছেন। সেখান থেকে ১০০ টাকা দিয়ে এক কেজি কমলালেবু কিনে সবজির বীজ ভান্ডারের দিকে চলে আসলাম।

IMG_20241108_160411_413.jpg

IMG_20241108_160409_839.jpg

IMG_20241108_160405_686.jpg

IMG_20241108_160705_393.jpg


সবজির বীজ ভান্ডার আর নিত্য প্রয়োজনীয় চাল ডালের আরত গুলো পাশাপাশি অবস্থিত। প্রথমে সবজির বীজ ভান্ডার থেকে গাজর মুলা পালন লাল শাক করলা লাউ সহ বিভিন্ন রকমের বীজ কিনে নিলাম। আমি দীর্ঘ বছর ধরে এই আঙ্কেলের কাছ থেকে সবজির বীজ নিয়ে থাকি। অন্যান্য ব্যক্তিদের কাছে নিয়ে টান কিন্তু বীজ ভালো-মন্দ দুই রকমের থাকতো। তবে এই আঙ্কেলের সাথে পরিচয় লাভ করার পর থেকে প্রতিনিয়ত বীজ নেওয়া হয় তাই ভালো পেয়ে থাকি। কিনে এনে নির্দিষ্ট জায়গায় বপন করলে অবশ্যই গাছ বের হবে। এরপর বীজ নেওয়া হলে ছুলার দোকান থেকে ছোলা কেনা হল।

IMG_20241108_163738_654.jpg

IMG_20241108_163744_691.jpg

IMG_20241108_164957_912.jpg


আর এভাবেই বাজার করে বাসায় ফিরতে বেশ রাত হয়ে গেল। দেখলাম গাছের চারা গুলো যদি রাতে লাগায় তাহলে গাছগুলো সতেজ থাকবে এবং শিকড় গুলো এদিক সেদিকে জায়গা করে নিতে পারবে রাতের মধ্যে। কিন্তু দিনের বেলায় যদি গাছ লাগাই সূর্যের আলোয় গাছগুলো মরে যেতে পারে। তাই আর অলসতা না করে রাতে মাঠে চলে গেলাম। এরপর গাছগুলো লাগিয়ে দেওয়া হল। তারপর সকাল ভোরে উঠে পুকুরপাড়ে আবার চলে যায়। সবজি বাগানে প্রবেশ করে নতুন লাগানো সবজি গাছ পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিলাম। একই স্থানে আগে ঝালের চারা লাগিয়েছিলাম। একই সাথে ঝালের চারা আর টমেটোর গাছগুলো সেচ দেয়া হয়ে গেল। জেনে খুশি হবেন যে আলহামদুলিল্লাহ, টমেটো গাছগুলোতে এখন টমেটো ধরা শুরু হয়ে গেছে। পরবর্তী কোন ব্লগে অবশ্যই চেষ্টা করব টমেটো গাছের টমেটো ধরা ফটো দেখানোর।

IMG_20241108_183218_619.jpg

IMG_20241109_072504_952.jpg


পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif

পোস্ট বিবরণ


ব্লগারsumon09
ডিভাইসInfinix Hot 11s
লোকেশনবামুন্দি বাজার
ক্যামেরা50mp
দেশবাংলাদেশ


পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন ভ্রমণ বিষয়ক পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকবেন সবাই। সকলের জন্য শুভকামনা রইল,আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkLbdtHEKTgRBCYd7pi9pJd6nDf4ZPaJpEx3WAqvFVny2ozAtrhFXaDMnAMUAqtLhNESRQveVFZ7XHcED6WEQD48QkCkVTAvNg6.png



6VvuHGsoU2QBt9MXeXNdDuyd4Bmd63j7zJymDTWgdcJjnzpQii6mQVp5A4gDGCDR68W9RxwfgYXDkuSdrT6M7Y7xaaSUX484gjnbdCNf4usUnqiHpgSG4y2v9nUyHY.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 yesterday 

শীতকালীন সবজির গাছ রোপন করার জন্য পুকুর পাড়ে দেখতেছি দারুন প্লট তৈরি করেছেন। সেই সাথে বাজারে স্যান্ডেল কেনা সবজির গাছ কেনা এবং বাজার করার অনুভূতিগুলি খুবই গুছিয়ে এবং ফটোগ্রাফির মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন। পুরো পোস্ট জুড়ে সুন্দর একটা সময় উপভোগ করলাম। ধন্যবাদ ভাই আপনার অনুভূতি শেয়ার করার জন্যে।

 yesterday 

আপনি তো দেখছি শীতকালীন সবজির সবগুলো কিনে নিয়েছেন। তবে শীতকালীন সবজিগুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার সবজিগুলো ভালোভাবে বড় হলে একদিন দাওয়াত খেতে যাব। তবে আইটেমে থাকবে সব ধরনের শীতকালীন সবজি।

 yesterday 
 yesterday 

বামুন্দি বাজার থেকে কেনাকাটার অনুভূতি শেয়ার করেছেন। আমার জানা মতে আপনি একজন প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ যদি আমি ভুল বলে না থাকি। আপনি বামুন্দি বাজার থেকে বাজার করে ফিরতে ফিরতে আপনার রাত হয়ে গিয়েছিল। আপনি রাতের মধ্যে চারা গুলো রোপণ করেছেন। এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 yesterday 

23-01-25

Screenshot_20250123-130126.jpg

Screenshot_20250123-130026.jpg

Coin Marketplace

STEEM 0.22
TRX 0.26
JST 0.039
BTC 105049.80
ETH 3382.72
SBD 4.63