দুই বন্ধু মিলে বামুন্দি বাজারে মিষ্টি খাওয়ার মুহূর্ত
হাই বন্ধুরা!
কেমন আছেন সবাই? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকের পোস্টে থাকবে, আমাদের দুই বন্ধুর বামুন্দি বাজার ঘোরাঘুরি আর মিষ্টি খাওয়ার অনুভূতি।
Infinix Hot 11s
প্রয়োজন থাকলে অথবা না থাকলেউ আমরা দুই বন্ধু সুযোগ পেলেই উপস্থিত হয়ে যায় বামুন্দী বাজারে। এই বাজারটা আমাদের কাছে অন্যরকম ভালোলাগা পরিণত হয়েছে অনেকদিন আগেই। তাই সুযোগ পেলে চলে যায় মিষ্টি খাওয়া উপলক্ষে অথবা ফাস্টফুড জাতীয় যেকোনো খাবার খাওয়ার উদ্দেশ্যে। এমনই একটা সন্ধ্যায় আমরা দুই বন্ধু বামুন্দি বাজারে এসে উপস্থিত হলাম। এরপর সোজা চলে গেলাম মিষ্টির দোকানগুলো দিকে। নির্দিষ্ট একটা জায়গায় অনেক ধরনের মিষ্টি বিক্রয় হয়। খোলামেলা পরিবেশে অন্যান্য মিষ্টির পাশাপাশি জিলাপি টা বেশ দারুন তৈরি করে তারা। আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে এখানে কয়েক ধরনের জিলাপি পাওয়া যায়। মূলত আমরা দুই বন্ধু সেখানে গরম গরম মোটা রসের জিলাপির বেশি পছন্দ করি। যাওয়ার পথে দেখলাম একজন বিক্রেতাতে তিলেরখাজা বিক্রয় করছেন। কুষ্টিয়ার তিলের খাজা খুবই ভালো লাগে খেতে। তাই দুই বন্ধু কুড়ি টাকার কুড়ি টাকার করে দুই খন্ড তিলের খাজা নিয়ে খেতে খেতে এগিয়ে যেতে থাকলাম।
দুইজন যখন একসাথে চলি তখন মনে হয় এখনো ছোট রয়েছি আমরা। সেই ছোটবেলা থেকে একসাথে হাত ধরে চলাচল। এর মধ্যে বছর বছর একসাথে না দেখতে পাওয়া। দুইজন লেখাপড়ার জন্য চাকরির জন্য দুই দিকে থাকতে হয়েছে এরপর আবারও একসাথে। ভালো লাগে সব কিছুর পরে যখন একসাথে চলি। এভাবে এগিয়ে গেলাম জিলাপির দোকানে। দেখলাম অনেক মানুষের ভিড়। জিলাপির দোকানগুলোতে অন্যান্য মিষ্টি থাকায় মানুষের উপস্থিতি একটু বেশি থাকে। জিলাপির পাশাপাশি সাদা কদ্মাগুলো আমার কাছে অনেক বেশি প্রিয়। ছোটবেলা থেকে যেন ভালোলাগা রয়েছে এই মিষ্টির প্রতি। কিন্তু জিলাপির প্রতি ভালো লাগা সৃষ্টি হয়েছে মাত্র কয়েক বছর। তবে এই বছরে জিলাপির প্রতি আকর্ষণ টা একটু বেশি।
প্রথমে হাফ কেজি গুড়ের রসরসে মোটা জিলাপি নেওয়া হলো। এরপর সেখানে দুই বন্ধু মিলে আরামসে খাওয়া-দাওয়া করলাম। দেখলাম আমাদের মত অনেক মানুষ সেখানে জিলাপি সহ অন্যান্য মিষ্টি খাওয়াই ব্যস্ত। আবার অনেকেই নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্যাকেট ভাবে কিনে ব্যাগের মধ্যে রাখেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত এই সমস্ত মানুষের উপস্থিতি খাওয়া-দাওয়া কেনাকাটার সবকিছুই উপভোগ করতে থাকলাম দুই বন্ধু। এরপর বন্ধু মারুক তার বাচ্চাদের জন্য আরও এক পোয়া আলাদাভাবে জিলাপি নিয়ে নিল। এরপর পাশে থাকা টিউবওয়েল থেকে পানি পান করে ঝাল মুড়ির সন্ধান করতে চলে আসলাম।
একটা সময় বামুন্দি বাজারের বাসস্ট্যান্ডের চারপাশে ঝাল মুড়ি ফুচকা চটপটি সহ বিভিন্ন রকমের খাবার বিক্রয় হতো। কিন্তু এখন যেন আর সে সমস্ত উপস্থিত গাড়িগুলো দেখতে পাওয়া যায় না। রাস্তা সংস্কারের কাজ চলার কারণে হোক আর কোন কারনেই হোক যেন সে সমস্ত বিক্রেতাদের লক্ষ্য করি না। দুই বন্ধু মোটরসাইকেলে এপাশ থেকে ওপাশ বেশ খোঁজাখুঁজি করলাম কিন্তু সুবিধামতো তেমন একটাও দেখলাম না। তাই আমরা চটপটি ও ঝাল মুড়ি খাওয়ার চিন্তা বাদ দিলাম। এরপর নিকটে থাকা একটি রেস্টুরেন্টে উপস্থিত হলাম।
রেস্টুরেন্টে উপস্থিত হয়ে তেমন কোন কিছু খাবো, যেন রুচি হচ্ছিল না। সকালে হলে রেস্টুরেন্টের খিচুড়ি খেতে বেশ ভালো লাগে। আর খিচুড়ি সকালে ছাড়া কোন হোটেল বা রেস্টুরেন্টে পাওয়া যায় না। তখন ভাবলাম যে সমুচা খাওয়া যাক। কিন্তু বেশ কিছু সমুচা আর সিঙ্গারা ছিল সবই বাসি হয়ে গেছে। এরপর দেখলাম সেখানে বেশ গরম গরম পুরি রয়েছে। এরপর সিদ্ধান্ত নিলাম সস দিয়ে পুরি খাওয়া যাক। তাই অর্ডার দিলাম দুইটা দুইটা করে পুরি দিতে। পুরি খেতে বেশ ভালো লাগে। মাঝেমধ্যে এমনিতেই যখন দুইজন বাজারে উপস্থিত হয় তখন এটা সেটা খাওয়ার চিন্তা থাকে মাথায়। তবে কেন জানি চিকেন ফ্রাইটা সব রেস্টুরেন্টে সবসময় থাকে না। আর এদিকে বার্গার তো আমরা দুই বন্ধু কেউ পছন্দ করি না। যাই হোক মোটামুটি বেশ ভালই ছিল পুরি আর সস। এরপর খাওয়া-দাওয়া শেষে বিল দিয়ে আমরা বের হয়ে পড়লাম বাস স্ট্যান্ডের দিকে।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পোস্ট বিবরণ
ব্লগার | sumon09 |
---|---|
ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
লোকেশন | বামুন্দি বাজার |
ক্যামেরা | 50mp |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন ভ্রমণ বিষয়ক পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকবেন সবাই। সকলের জন্য শুভকামনা রইল,আল্লাহ হাফেজ। |
---|
30-01-25
এমন ছোটবেলার বন্ধুর সাথে বড় বয়সেও একসাথে থাকার সুযোগ তো এখন কম মানুষের ই হয়। আপনারা তো সেদিক থেকে বেশ লাকি। দুই বন্ধুতে মিলে বামুন্দি বাজার গিয়ে ভালোই খাওয়া দাওয়া করলেন তবে। এমন গরম গরম রসে ভেজানো মোটা জিলাপি আমারো পছন্দের। আপনার পোষ্ট পড়তে পড়তে লোভ লেগে গেলো। আবার খাজা সবসময় প্যাকেট সাইজ টাই দেখেছি আমি। আসলে যে সেটা এত বড় হয় লম্বায়, আমার আইডিয়া ছিলো না ভাই।
আমরা দুইজন ছোট থেকে এভাবেই চলে আসছি আপু
ছোট থেকে একসাথে দুই বন্ধু বেশি ঘোরাঘুরি করছেন তার সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করেছেন। আজকে আবার একসাথে পুরি খেলেন। দুই বন্ধু মিলে বামুন্দি বাজারে মিষ্টি খাওয়ার খুবই সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। মাঝে মাঝে এভাবে খাওয়া দাওয়া করলে কিন্তু বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ছোট থেকে এভাবেই চলছি
আসলে ভাইয়া বন্ধুত্বের বন্ধনটা বেশ কঠিন জিনিস। যদি প্রকৃতপক্ষে সুন্দর বন্ধুত্ব থাকে তাহলে সে বন্ধনটা আজীবনের জন্য টিকে থাকে। আমি ছোটবেলায় আপনাদের সাথে খেলা করেছি। আজ থেকে কুড়ি বছর আগে আপনাদের দুজনার একসাথে দেখেছি। এখনো আপনাদের সুন্দর মিল মহব্বত দেখছি। আশা করব সারা জীবন আপনাদের এমন সুন্দর সম্পর্ক বজায় থাকবে।
হ্যাঁ থেকে যাবে সব সময়
X-promotion
দুই বন্ধু মিলে বামুন্দি বাজারে মিষ্টি খেয়েছে এটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। এই জায়গাটার মিষ্টি খেতে আসলেই অনেক বেশি ভালো লাগে। যদিও দোকানটা অনেক ছোট তারপরও এখানকার মিষ্টি গুলো অনেক বেশি সুস্বাদু হয়ে থাকে।
একদম ঠিক কথা