বিভিন্ন সময়ের রেনডম ফটোগ্রাফি
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বিভিন্ন সময়ে বাম হাতে ধরে ধারণ করা বিভিন্ন ফটোগ্রাফি।
photos editing by insert app
এখানে আপনারা দেখছেন আমার হাতে একটি ওল। মাটি খনন করে এটা সংরক্ষণ করা হয়েছিল। পুকুর পাড়ের বিভিন্ন স্থানে এজাতীয় সবজি গাছ লাগানো হয়। নির্দিষ্ট একটা সময় পরে এই জাতীয় সবজিগুলো সংরক্ষণ করা হয়।
নাম না জানা একটি গাছ মাটির পাঁচিলে হয়ে থাকে। একদিন হঠাৎ সকালে ব্রাশ করার সময় মনে হলো এই গাছটা ছোট থেকে দেখে আসছি কিন্তু আজ পর্যন্ত এর সাথে পরিচয় লাভ করলাম না। এটা নিজেদেরই ব্যর্থতা। দেয়ালের গায়ে এত সুন্দর করে হয়ে থাকে কিন্তু গাছটা সম্পর্কে জানলাম না এটা খারাপ দেখায়। এরপর যতটা জানতে পেরেছি এটা বেশ উপকারী একটা ঔষধি গাছ।
যদি কখনো কোন ফল খাই, তার বিচি গুলা হাতে নেয়ার পর মনে হয় যদি এগুলো রোপন করে গাছ উৎপাদ করা যায় তাহলে কতই না ভালো হয়। আর ঠিক এভাবে অনেক বীজ হাতে নিয়ে গাছ তৈরি করেছি বেশ। নিজের হাতে ফল থেকে বীজ সংরক্ষণ করে উৎপাদন করা এমন গাছ আমার কাছে রয়েছে। এমনকি এমন জাম্বুরার গাছ আমি আমার ঘরে জানালার পাশে তৈরি করতে পেরেছি।
এখানে আমার হাতে দেখতে পাচ্ছেন পাঙ্গাস মাছের ছোট বাচ্চার খাবার। একটি টিফিনকারিতে করে খাবার নিয়ে যেতাম পুকুরপাড়ে এবং মাছের বাচ্চাদের খাবার দিতাম দীর্ঘক্ষণ ধরে। শীত শেষের দিকে চলে আসে। আবারো এই কার্যক্রম শুরু হবে।
একদিন রাতে,টেবিলে কাজ করছি। হঠাৎ একটি ড্রাগন ফ্লাই হাতে এসে বসে। কিছুটা সময়ের জন্য ড্রাগন ফ্লাইটা আমাকে থামিয়ে দেয়। আমিও এর ফটো ধারণ করতে বেশ আনন্দ বোধ করছিলাম। হঠাৎ এমন একটি কিটপতঙ্গ এসে একদম বাম হাতের তালুতে, ভাবতে অবাক লাগছে।
ভালোভাবে জেনো গান রেকর্ড করতে পারি তাই একটি বয়া ওয়ারলেস মাইক্রোফোন নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটা ভালোভাবে কাজ করত না। এরপরে একটা ওয়্যার যুক্ত মাইক্রোফোন নেওয়া হয়। সবই বাংলা ব্লগকে ভালোবেসে।
বাবুর হাতে সোনার আংটি বেশ দারুন মানায়। ছোট ছোট আঙ্গুলগুলো অনেক ভালো লাগে। ইচ্ছে রয়েছে ইনশাল্লাহ, বাবু বড় হতে হতে তার ভালো লাগার অনেক কিছু করে দেব।
একদিন পুকুর পাড়ের সবজি বাগানে ঝিঙের বীজ রোপন করার মুহূর্তে ধারণ করেছিলাম এই ফটোটা। এরপর অনেক গাছ হল। আমিও সুযোগে সুযোগে যত্ন নিলাম। তারপর অসংখ্য পরিমাণ ঝিঙে হলো। বাড়ি থেকে আমি সহ অন্যান্য সদস্যরা প্রয়োজন হলেই সেই ঝিঙ্গে সংরক্ষণ করে আনতো রান্না করার জন্য।
প্রত্যেক সন্তানের দায়িত্ব, বাইরে যাওয়ার সময় পিতা-মাতাকে প্রশ্ন করা। তাদের প্রয়োজনীয় কোন ঔষধ লাগবে কিনা। কারণ পিতা-মাতা এমন মানুষ। তারা নিজের চিন্তা না করে, নিজ সন্তানের চিন্তা করে। ঔষধ ফুরিয়ে গেলে বলতে চায় না ঔষধ লাগবে, সন্তানদের পকেটের টাকা খরচ হওয়ার ভয়তে। তাই আমি বাইরে কোথাও গেলে মায়ের কাছে আব্বার কাছে প্রশ্ন করি কোন ঔষধ লাগবে কিনা। এটা প্রত্যেক সন্তানের দায়িত্ব। অসুস্থ পিতা-মাতা জেনেও যে সন্তানেরা পিতা-মাতার কাছে জানতে চায় না ঔষধ লাগবে কিনা। আমি মনে করি তারা এক প্রকার কুলাঙ্গার।
প্রিয় মানুষটার কথায় প্রথম কিনে দেওয়া একটা ছাগল। তখন বেশ ছোট ছিল। এখন দুই সন্তানের মা হয়ে গেছে। এখনো আশা করা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই আরো কিছু বাচ্চা হবে। ছাগলটা বেশ চালাক চতুর।
গত বছর পুকুরপাড় থেকে গাজর সংরক্ষণ করার মুহূর্তে ফটক করেছিলাম। এই বছর অনেক গাজর সংরক্ষণ করেছি। গতবারের তুলনায় এবার অনেক হয়েছিল। গাজর সংরক্ষণের ফটোগ্রাফি ব্লগ নিয়ে উপস্থিত হব একদিন।
নিজের উৎপাদিত শাকসবজি খাওয়ার মজা আলাদা। আর যাই হোক নিজে টাটকা শাকসবজি খেতে পারার পাশাপাশি, পরিবারের সবাইকে খাওয়ানোর সুযোগ করে দেওয়া যায়। আর লাউ তো আমার অনেক প্রিয় একটা সবজি। নতুন আলু দিয়ে রান্না করে দেখবেন কতটা সুস্বাদু লাগে।
গতবছরের প্রথম আমটা। টেবিলে এনেই যখন রাখলাম বেশ ভালো লাগছিল দেখতে। কিন্তু খাওয়ার জন্য যখন আমটাকে কাটা হয় দেখলাম ভিতরে নষ্ট। এ যেন মাকাল ফলের মত। বাইরে সব ঠিকঠাক কিন্তু ভিতরে নষ্ট। অনেক মানুষ এর জীবনটাও এমন হয়ে যায়। বাইরে সুস্থ মনে হলেও ভিতরে বিভিন্ন রোগে পরিপূর্ণ।
এ বছর আমি দুই থেকে তিনবার মুলা বীজ বপন করেছিলাম। দেশি জাতের মুলার বীজ প্রথম বপন করেছিলাম। ৩০ থেকে ৪০ দিন পর মুলা খাওয়ার উপযুক্ত হয়েছিল। মূলত এটাই সেই দেশাল মুল। একই জায়গায় পালং শাক টমেটো গাছ ও গাজর ছিল।
বিষয় | রেনডম ফটোগ্রাফি |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
লোকেশন | গাংনী-মেহেরপুর |
ব্লগার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সবাই। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বেশ হরেকরকম রেনডম ফটোগ্রাফি দেখলাম ভাইয়া।প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি তার নিজস্ব দিক দিয়ে সুন্দর। আপনি মাএর ওষুধের খোঁজ নেন এবং তার ওষুধ পত্র কিনে দেন। আবার আপনি জমিতে শাক সবজির চাষাবাদ করেন। আপনি গৃহপালিত পশু লালন পালন করেন। সব মিলিয়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
সুন্দর মন্তব্য দেখে খুশি হলাম
X-promotion
31-01-25
আমার আজকের দেখা পোস্টগুলোর মধ্যে আপনার পোস্ট আমার কাছে বেস্ট মনে হয়েছে। আপনি আপনার বিভিন্ন সময়ের ব্যস্ততার মধ্য থেকে ধারণ করা ফটোগুলো উপস্থাপন করেছেন এই ব্লগে। যেখানে আপনার কৃষি কাজের কিছু মুহূর্তে হাতে ধরা ফটোগ্রাফি রয়েছে। আঙ্কেল আন্টির প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনে আনার সুন্দর কথাগুলো আমাকে মুগ্ধ করেছে। এছাড়াও বাবুর হাতে আংটি আপনার গান কভার করার জন্য মাইক্রোফোন কেনার অনুভূতি। সব মিলে অনেক ভালোলাগার ছিল আপনার আজকের পোস্ট।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ
ভাইয়া আপনি তো দেখছি ইউনিক ভাবে একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। এমন রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো অনেক কিছু জানার সুযোগ করে দেয়। এখানে শুধু শখের ফটোগ্রাফি নয় ব্যস্ততম মুহূর্তের চিত্র তুলে ধরেছেন। অনেক সুন্দর ছিল আপনার গুছিয়ে উপস্থাপন করাটা।
ধন্যবাদ আপনাকে
ফটোগ্রাফি মানেই ভিন্ন ভিন্ন দৃশ্যের আগমন। বেশ কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্রাফী দিয়ে একটি অ্যালবাম সাজিয়েছেন। আজকে আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আশা করছি ভবিষ্যতে আরো অনেক বেশি সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করবেন।
একদম ঠিক বলেছেন
বেশ কিছু নানান ধরনের ছবি নিয়ে আজকে আপনি পোস্ট সাজিয়েছেন। পাঁচিলের উপর যে গাছটি হয় তাকে বলা হয় ফার্ণ। কি অপূর্ব লাগে দেখতে। এছাড়াও আপনার চাষ করার গাজর দেখে অত্যন্ত লোভনীয় লাগলো। বাকি ছবিগুলো খুব ভালো হয়েছে।
আজকে আপনি বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপনার এক একটা ফটোগ্রাফি খুব চমৎকার হয়েছে। সত্যি বলতে আপনি এমনিতেও চমৎকার ফটোগ্রাফি করেন। তবে এটি ঠিক ছোট বাচ্চাদের হাতে আংটি লাগালে ভালো লাগে। যাই হোক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।