দিনলিপি - আনন্দ এবং ভালোবাসাময় একটি দিন || লাজুক খ্যাঁকের জন্য ১০% এর জন্য
আজ - ৩০শে ভাদ্র | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | মঙ্গলবার | শরৎকাল |
আমি মোহাম্মদ সুমন আছি বাংলাদেশের ভোলা জেলা থেকে। আমি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম।
দিনের শুরুটা ভালো হলে সারাটাদিন ভালো কাটে। ফজরের নামাজ দিয়ে শুরু করেছি দিনটি। স্বাস্থ্য কিছুটা বেড়ে গিয়েছে তাই আমি চিন্তা করলাম ফজরের নামাজ পড়ে প্রতিদিন কিছুটা সময় বাড়তি ব্যয় করবো। পূর্বেও অল্প কিছু সময় হাটাহাটি করতাম তবে মনে হচ্ছে, এখন একটু বেশি সময় ব্যয় করা উচিত।
হাঁটাহাঁটি শেষ করে আমি বাসায় চলে এসেছি! আমার স্ত্রী ঘুমিয়ে গিয়েছিল নামাজ পড়ে তাকে ডাকলাম। এবং সে ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিনের ন্যায় আমাদের জন্য নাস্তা হিসেবে রুটি তৈরি করলেন। নাস্তা তৈরি করার পুরোটা সময়ে আমি তার সাথে ছিলাম।
আমি তাকে সবসময় সাপোর্ট দেই কারণ সে যে কজই করুক আনন্দ নিয়ে করুক। রুটি বানানোর সময়ই আমি গরম গরম একটি রুটি খেলাম। যেহেতু আমার মা কিছুটা অসুস্থ তাই উনি একটু বাড়তি ঘুমানোর চেষ্টা করেন। মায়ের ঘুম ভাঙলে আমরা সবাই একত্রে সকালের নাস্তা করবো।
সকাল ৮.৫০ মিনিট, আমরা সবাই একত্রে নাস্তা করলাম। আজকের আয়োজনে গরুর গোশত, রুটি এবং চায়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নাস্তা শেষ করে মায়ের সাথে আলোচনা করলাম তার শরীরের অবস্থা নিয়ে। যেহেতু আমার বাবা নেই তার আমার মায়ের দেখভাল আমাকেই দ্বায়িত্ব নিয়ে করতে হয়।
আমি গত কয়েকদিন ধরে মানসিক ভাবে কিছুটা দুশ্চিন্তায় ছিলাম এবং সেই সময়ে আমার প্রিয়তমা স্ত্রী ও আমার মা আমাকে পরিপূর্ণ সাপোর্ট করছেন যাতে আমি হতাশ না হই। আজকে প্রথম আমি আমার মায়ের চুল আঁচড়িয়ে দিলাম, ইহা সত্যি আমার জীবনের দারুণ অভিজ্ঞতা। আমি মায়ের জন্য কিছু ফল কেনার জন্য বাজারে যাই। বাজার থেকে ফিরে বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে কিছুক্ষণ ফ্যানের বাতাস খাচ্ছিলাম।
যাইহোক, বাহিরে মোটামুটিভাবে ভালো গরম ছিলো, দেরি না করে পুকুরে গোসল করে রেডি হয়ে মসজিদে নামাজ পড়তে গেলাম। নামাজ শেষ করে বাসায় এসে একসাথে আমরা দুপুরের খাবার খেলাম। খাওয়ার মাঝে হাসিঠাট্টা এবং বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলতে বলতে খাবার খাওয়া শেষ করি। এরপর আমি কিছুক্ষণ ইউটিউবে ভিডিও দেখলাম কিভাবে সুন্দর সুন্দর কাজ করা যায় পেপার দিয়ে।
আসরের নামাজ আদায় করে বিকেলে আমি আমার ছোট খালাতো বোন এবং ভাতিজীদের নিয়ে বেশ আনন্দময় সময় পার করলাম। তাদের সাথে দুষ্টামি, হাসি-ঠাট্টা, ফটোগ্রাফি এবং নানা ধরনের বিনোদনমূলক কাজকারবার করে সময়টা আল্লাহর রহমতে ভালো পার করেছি।
আমার ভাতিজী যখন আমাকে সুন্দর মধুর কণ্ঠে বলে চাচ্চু, চাচ্চু তখন আমার খুব ভালো লাগে! হয়তো কোনো কিছুর বিনিময়ে এই ভালো লাগা পাওয়া যাবে না। ছোট থেকেই আমি তাকে সবসময় একটু বাড়তি ভালোবাসি, যদিও তার বয়স এখন ৪ বছর বয়স চলছে।
পরিবারের প্রতিটি মানুষ আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে প্রায়, আমি রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে তারপর নামাজ আদায় করতে মসজিদে গেলাম। মাগরিবের নামাজ পড়ে আমি কিছুক্ষণ মসজিদে তালিমে বসলাম এবং সুন্দর কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল সম্পর্কে জানলাম ইমাম সাহেবের কাছ থেকে। বাসায় এসে আমি হালকা নাস্তা হিসেবে নুডলস খেলাম যা আমার প্রিয়তমা স্ত্রী আয়োজন করে রেখেছিলেন।
সন্ধ্যার পর থেকে আমি পুরোটা সময় ব্যয় করার চেষ্টা করি steemit.com এ। ভালো লাগে এখানে আমার কাজ করতে, আমি চেষ্টা করবো সামনের দিকে আরও বেশি সময় ব্যয় করার। যাইহোক, আজকের সারাদিন আমার অনেক ভালো কেটেছে, আলহামদুলিল্লাহ। সময়মত এশার নামাজ আদায় করেছি। এরপর রাতের খাবার খাই সময় অনুযায়ী! যেহেতু রাত ক্রমশ বাড়ছিল তাই আর দেরি না করে আমি ঘুমিয়ে পড়লাম।
ধন্যবাদ সবাইকে
এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন! নিজের মতো করে লিখার চেষ্টা করলাম! জানিনা কতটা ভালো করে লিখতে পেরেছি? তবে যদি কোন প্রকার ভুলত্রুটি আমার পোস্টে পেয়ে থাকেন দয়া করে মন্তব্য করবেন।
অনেক সুন্দর একটি দিনলিপি উপস্থাপন করেছেন আপনি।দিনটি আপনার শুভ হোক।
এ যেন শুরুতেই চমক দেখিয়েছেন ভাই।বাকিটা জীবন সুন্দর ভাবে কাটুক সেই কামনা করি।শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার জন্য ভালোবাসা ভাই ❤️ আপনার কাছ থেকে মন্তব্য পেয়ে আমি সত্যি আনন্দিত 🙂 ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
মাশাল্লাহ ভাইয়া আপনার দিনটি অনেক সুন্দর কেটেছে দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনার একটা কথা ভালো লেগেছে আপনি বলেছেন পরিবারের প্রত্যেকটি লোক আপনার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আসলে এটা সকলের হওয়া উচিত। সবার আগে আমাদের পরিবারের মানুষকে গুরুত্ব দেয়া উচিত তারপর বাকি সব।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ বোন ❤️ আপনার কাছ থেকে মন্তব্য পেয়ে আমি সত্যি আনন্দিত।
হ্যাঁ, ঠিক বলছেন আপনি! পরিবারের গুরুত্ব আমাদের আগে দেয়া উচিত।
সত্যিই আপনার দিনটি অনেক সুন্দর ছিল। এবং এই রকম দিন আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকে স্বাগতম ভাইজান ❤️ আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে মন্তব্য করার জন্য 🙂