দিনলিপি - চাইলেই সুস্থ থাকা যায় না || লাজুক খ্যাঁকের জন্য ১০% এর জন্য
আজ - ৩১শে ভাদ্র | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | বুধবার | শরৎকাল |
আমি মোহাম্মদ সুমন আছি বাংলাদেশের ভোলা জেলা থেকে। আমি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম।
আলহামদুলিল্লাহ! প্রতিদিনের মত ফজরের নামাজ আদায় করতে পেরেছি। শরীর কিছুটা ক্লান্ত ছিল তাই বাসায় এসে পুনরায় ঘুমিয়ে পড়লাম। এরপর আমার প্রিয়তমা স্ত্রী ডাকে আমি ঘুম থেকে জাগ্রত হই সকাল সাড়ে আটটার সময়। আমার স্ত্রী প্রতিদিনের মত নাস্তা তৈরি করেছেন শুধুমাত্র ছোট বোন নাস্তা খেয়েছে। আজকে আমাদের নাস্তার আয়োজন ছিলো - নুডলস, বিস্কুট এবং খাঁটি গরুর দুধ চা। আমি, আমার মা এবং স্ত্রী এখন অবধি নাস্তা করিনি। আমি দ্রুত দাঁত ব্রাশ করে রুমে এসে একত্রে বসে পরলাম নাস্তা করবো বলে।
গত কয়েকদিন ধরে আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো নেই আমার তাই আজকে বাজারে যাইনি। পুকুর থেকে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিলাম, যদিও আমি নিজে ঝাঁকিজাল দিয়ে মাছ ধরতে পারি নাই। মাছ ধরার জন্য আমার নানা আমাকে সাহায্য করলেন। মাছ ধরার পরে আমার প্রিয়তমা স্ত্রী ব্যস্ত হয়ে পড়লেন সেগুলো নিয়ে।
আমার মন অনেকটা খারাপ। চারিদিকে অধিকাংশ লোকজন অনেকেই অসুস্থ! আশেপাশে যেখানেই দেখছি কেউ জ্বর, কেউ ঠান্ডা এবং কেউ বা কাশির সমস্যায় ভুগছেন আবার কারো বা শরীর ব্যথা। যাইহোক, আমার বাসায় আমার মা গতকাল থেকে অসুস্থতায় ভুগছেন পূর্বের সমস্যার পাশাপাশি নতুন করে তার এই সিজনাল রোগের সম্মুখীন হতে হয়েছে। মায়ের অসুস্থতার কারণে মনের মধ্যে কেমনএকটা শান্তি নেই! পরিবারের যদি কেউ অসুস্থ থাকে তখন একেবারে মাথা কাজ করে না। মানুষ চাইলেই সুস্থ থাকতে পারে না, সুস্থতা উপরওয়ালার দেয়া এক বড় নিয়ামত। যখন আমি নামাজ আদায় করি এবং মোনাজাতে অবশ্যই প্রতিটি মানুষের জন্য দোয়া করে থাকি। যাইহোক, উপরওয়ালা সবাইকে সুস্থতা দান করুক।
আসরের নামাজ আদায় করার পর আমি আমাদের এরিয়ার রাস্তায় কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করছিলাম। ভালো লাগে হাঁটাহাঁটি করতে - মাইন্ডও ফ্রেশ থাকে এবং মনের মধ্যে উৎফুল্ল কাজ করে। মসজিদে থেকে আসরের নামাজের শব্দ শুনতে পেয়ে আমি বাসা থেকে বের হলাম মসজিদের উদ্দেশ্যে এবং নামাজ আদায় করলাম।
চারিদিকে অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছে! এবং মাগরিবের নামাজের ওয়াক্ত চলছে, আমি নামাজ আদায় করি। যেহেতু অনেকক্ষণ বাহিরে ছিলাম তাই বাহিরে আর দেরি করলাম না সরাসরি বাসায় চলে এলাম। বাসায় প্রবেশ করার সাথে সাথে নাকের মধ্যে ঘ্রাণ পেলাম! বাহ, বিরিয়ানির আয়োজন হয়েছে। ছোট বোন অনেক দিন ধরে বায়না করছিল বাসায় বিরিয়ানি রান্না করার জন্য এবং আজকে আমার প্রিয়তমা স্ত্রী নিজ দায়িত্বে সন্ধ্যায় বাসায় গরুর গোস্ত দিয়ে বিরিয়ানি রান্না করেছেন।
আমার প্রিয়তমা স্ত্রী প্রথমবারের মতো এই রেসিপিটি তৈরি করেছেন তবে আমার আফসোস আমি বাসায় ছিলাম না বলে সম্পূর্ণ এই রেসিপি সম্পর্কে পোস্ট সাজাতে পারিনি। আলহামদুলিল্লাহ খাবার খুব ভালো হয়েছে! বিরিয়ানি অনেক দিন ধরে খাওয়া হয় না।
অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকে অনেক আগেই বাসার সকলে একত্রিত হয়ে তারপর বিরিয়ানি খেলাম। বাসায় তৈরি খাবারের স্বাদই আলাদা! হয়তো দোকানের মতো তেমন স্বাদ পাওয়া যায় না তবে পরিবেশ এবং স্বাস্থ্যের কথা ভেবে বাসায় তৈরি যেকোনো খাবার আমাদের সকলেরই খাওয়া উচিত।
যাইহোক, খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পর রুমের মধ্যে পায়চারি করছিলাম। এরপর সকলের খাওয়া শেষ হওয়ার পর সবাই ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন, আমি কিছুক্ষণ steemit.com ব্রাউজ করে তারপর বিছানায় শুয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
ধন্যবাদ সবাইকে
এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন! নিজের মতো করে লিখার চেষ্টা করলাম! জানিনা কতটা ভালো করে লিখতে পেরেছি? তবে যদি কোন প্রকার ভুলত্রুটি আমার পোস্টে পেয়ে থাকেন দয়া করে মন্তব্য করবেন।
আপনার দিনের গল্প পড়ে আমি কিছুটা মর্মাহত।মানুষের আর্থিক অবস্থা সবসময় একরকম থাকে না।আশাকরি ঠিক হয়ে যাবে। আর আপনার মায়ের সুস্থতা কামনা করছি। আল্লাহর কাছে দোয়া করি যেন আপনার মা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যান। আপনার পরিবারে সুখ বয়ে আসুক।আপনার সুখ দুঃখের গল্প শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে স্বাগতম ভাইজান ❤️ আর্থিক অবস্থা পরিবর্তন ঘটবে আশাকরি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে মন্তব্য করার জন্য 🙂
অনেক সুন্দর ভাবে দিনটির গল্পঃ আপনি উপস্থাপন করেছেন।আসলে সুখ কখনো টাকা দিয়ে কেনা যায় না। সুখ আল্লাহর নেয়ামত যেটা থাকতে পারে একটি কুরে ঘরেও।
নামাজ অবশ্যই আমাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে জুরুরী ফরয।
শুভ কামনা রইলো ভাই।
আপনার কাছ থেকে সুন্দর মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো ভাই।
আপনি ঠিক বলছেন! টাকা দিয়ে সুখ কখনো কেনাও সম্ভব নয়।
আমার বাড়িতেও কয়েকজন ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত। সুস্থ্যতা সৃষ্টিকর্তার অনেক বড় একটি নিয়ামত। খুব ভালো লিখেছেন ভাই। আশাকরি আপনার পরিবারের সদস্যরা দ্রুত সুস্থ্য হয়ে যাবে।
আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো ভাই 🙂 হ্যাঁ, অধিকাংশ মানুষ জ্বর, ঠান্ডায় আক্রান্ত ভাই।
হুম ভাই।।
🙂🙂