হাসব্যান্ডের থেকে জন্মদিনের গিফট পাওয়ার অনুভূতি
হাই বন্ধুরা! কেমন আছেন সবাই? আশা করি, আপনারা সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ, আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগের সকলকে শুভকামনা জানিয়ে শুরু করছি আজকের একটি নতুন পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি একটি নতুন পোস্ট নিয়ে। আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
গিফট পেতে কার না ভালো লাগে। আমার তো গিফট পেলে খুবই ভালো লাগে। সেটা হোক চকলেট বা অন্য কিছু। গিফট তো গিফটই সেটা যাই হোক না কেন তা অনেক মূল্যবান জিনিস। তবে যে কোন বিশেষ দিনে গিফট পেলে আরো বেশি খুশি লাগে নিজের কাছে। আমার হাজব্যান্ড আমার জন্মদিন উপলক্ষে কেক চকলেট এবং গোলাপ নিয়ে এসেছিল আচ্ছা আমার খুবই ভালো লেগেছে। কেকের উপরে যে হ্যাপি বার্থডে টু হার্ট লিখে নিয়ে আসছে এটা আমার কাছে আরও বেশি ভালো লেগেছে। সে সবসময় টেস্টি ট্রিট থেকে কেক নিয়ে আসে। টেস্টি ট্রিটের কেক আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তাই সে সবসময় টেস্টি ট্রিটের কেক নিয়ে আসে যা আমার খুবই ভালো লাগে।টেস্টি ট্রিটের কেক খেতে আসলেই ভীষণ মজা। জীবনের ছোট ছোট উপহারগুলো যেন মনে হয় অনেক বড়। এখানেই আবার যদি আমার জন্মদিন এর কথা আমার হাসবেন্ড ভুলে যেত তাহলে হয়তো আমার কাছে অনেক দুঃখ লাগতো। কিন্তু সে মনে করে আমার জন্য উপহার নিয়ে এসেছে এগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
শত ব্যস্ততার মাঝে যখন সে গোলাপ নিয়ে আসে তখন তো খুবই ভালো লাগে। সাদা গোলাপ আমি অনেক পছন্দ করি। সেজন্য আমার হাসবেন্ড আমার জন্য সাদা গোলাপ নিয়ে এসেছিল।ফুল মানেই সুন্দর সেটা গাছের ফুল হোক বা মাটিতে পড়ে থাকা ফুল হোক। ফুলের মধ্যে লুকিয়ে থাকে হাজারো সৌন্দর্য। এই সৌন্দর্যের কথা বলতে গেলে শেষ হবেনা। আমার কাছে সাদা এবং লাল গোলাপ দুটিই ভালো লাগে। তবে সাদা গোলাপ টা একটু বেশিই ভালো লাগে। যার কারণে সে আমার জন্য সাদা গোলাপ নিয়ে এসেছিল। অফিস থেকে ফেরার পথে যে কোন উপহারই যেন অনেক বড় কিছু মনে হয়। গোলাপ ফুলের সাথে অনেক গুলা চকলেট নিয়ে এসেছিল। চকলেট খেতেও আমি পছন্দ করি সেজন্য আমার জন্য সে অনেকগুলো চকলেট নিয়ে এসেছিল। এমনিতেও সে আমার জন্য মাঝে মাঝে চকলেট নিয়ে আসে অফিস থেকে ফেরার পথে।
তারপর আমরা কয়েকটি ছবি তুলি। ছবি তোলা হলে আমি কেক কাটে এবং আমি তাকে খাইয়ে দিই আর সেও আমাকে খাইয়ে দেয়। এভাবেও ঘরোয়া ভাবে আমার জন্মদিন পালন করা হলো। আসলে এ ধরনের ছোট ছোট কেয়ারগুলা অনেক বেশি ভালো লাগে। এই কেয়ার গুলোই একটি মেয়ের জীবনে অনেক কিছু। জীবনে সুন্দরভাবে বাস করার জন্য সুন্দর একটা মনের মানুষের প্রয়োজন যা আমার লাইফে আমি পেয়েছি।যাইহোক বেশ ভালোভাবেই আমার জন্মদিন কাটলো।
বিশেষ বিশেষ তথ্য
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল ফোন |
---|---|
ক্যামেরা | realme note50-13mp |
আমার লোকেশন | ঢাকা সাভার |
ফটোগ্রাফার | @sumiya23 |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
আমার ব্লগটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ
আমি মোছাঃ সুমাইয়া, আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা ঢাকা সাভার, বিশ-মাইল। আমি বিবাহিত,একজন কলেজ ছাত্রী। আমার হাজব্যান্ড একজন বেসরকারি চাকুরীজীবী।আমি বর্তমান ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে অধ্যয়নরত রয়েছি। আমার কলেজের নাম বেপজা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা সাভার। আমরা দুই ভাই বোন। আমার @sumiya23 স্টিমিট আইডির নাম।
আজকের টাস্ক সম্পূর্ণ
জন্মদিনে হাজবেন্ডের সাথে চমৎকার সময় কাটিয়েছেন আপু। জন্মদিনে হাজবেন্ডের থেকে ফুল, কেক উপহার পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছেন। আসলে আপু মেয়েরা এখানেই খুশি। সত্যি, যদি আপনার হাজব্যান্ড আপনার জন্মদিনটা ভুলে যেতেন আপনি খুব কষ্ট পেতেন। মেয়েদেরকে খুশি করতে বেশি কিছু লাগে না। এরকম ছোট ছোট উপহার পেলে তারা খুশি হয়। এত ব্যস্ততার মাঝে যে আপনার হাসবেন্ড আপনাকে খুশি করার জন্য এত কিছু নিয়ে এসেছেন জেনে ভালো লাগলো আপু।
গিপ্ট পেতে কম বেশি সকলের ভালো লাগে সেরকম আপনার জন্মদিনের গিপ্ট বরের কাছে পেয়ে ভালো লেগেছে। প্রিয় মানুষের কাছে গিপ্ট পাওয়া এক অন্যরকম অনুভুতি।ভাইয়া দেখছি আপনার পছন্দের টেস্টি ট্রিটের কেক ও আপনার পছন্দের সাদা গোলাপ নিয়ে এসেছে খুবই ভালো একটা সময় পার করেছেন এবং তা আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রিয় মানুষের কাছে থেকে এরকম সারপ্রাইজ গিফট পেতে ভালোই লাগে। ভাইয়া আপনার জন্য খুব সুন্দর একটা কেক এনেছে এবং সেই সাথে গোলাপ ফুল এনেছে। মুহূর্তগুলো আমাদের বাসায় শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো আপু। পরবর্তী দিনগুলো এভাবেই কাটান সেই কামনা করি।
জন্মদিনে গিফট পেতে অনেক ভালো লাগে। আর যদি প্রিয় মানুষ উপহার দেয় তাহলে আনন্দই বেড়ে যায়। আপু আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো।