পাবনা বেড়া`তে লম্বা ছয় দিনের ট্যুর
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ এর সকল বন্ধুদের শুভেচ্ছা। আশা করছি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সকলে বেশ ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও বেশ ভাল আছি। আমরা যেন সর্বদা সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকতে পারি সেই কারণে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি।
গত রবিবার থেকে আজকে পর্যন্ত মোট ছয় দিনের একটা লম্বা টুর দিয়েছিলাম। এমনিতেই আমার ভ্রমণ করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। তাই আমি আজকে পাবনা বেড়াতে গিয়েছিলাম এবং এই টপিকের উপর একটি ব্লগ লিখতে চাই। আশা করছি আপনারা সকলেই উপভোগ করবেন এবং আপনাদের বেশ ভালো লাগবে।
ভ্রমণ করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে এখন আমি অবসর সময় অতিক্রম করছে এবং ব্লগিং করার পাশাপাশি আমি এখন বাড়িতে হালকা কাজ করছি। তবে যেহেতু এখন প্রায় শীত শেষের দিকে এমন সময় বাড়িতে একা একাই বসে থাকতে হচ্ছে।
তাই আমি আমার অবসর সময় গুলোকে কাটিয়ে উঠতে চাইছিলাম এবং পরিবারকে সাথে নিয়ে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলাম। ভ্রমণের জন্য আমি আমার নানী শাশুড়িদের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য প্ল্যান করি এবং আমি আমার ওয়াইফ কে বিষয়টি জানিয়েছিলাম।
বিষয়টি আমার ওয়াইফ জানতে পেরে অনেক বেশি খুশি হয়েছিল। কারণ পাবনা [বেড়াতে ] ভ্রমণের জন্য সে অনেক বেশি আনন্দিত ছিল। তাই আমি এবং আমার ওয়াইফ দুজনে মিলে পাবনা ভ্রমণের জন্য বের হয়েছিলাম এবং আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল রবিবার দুপুর একটাই।
আমি আমাদের উপজেলা শহর থেকে একটি সিএনজি নিয়ে পাবনার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। তবে পাবনাতে পৌঁছাতে আমার প্রায় বিকেল অতিক্রম হয়ে গিয়েছিল। কারণ সিএনজিগুলোতে যাত্রী কম ছিল এবং সিএনজি পূর্ন করে আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল।
উপজেলা শহর থেকে আমরা পাবনা জেলার ভিতরে প্রবেশ করি। পাবনা জেলা থেকে আমরা পাবনা টার্মিনাল এবং টার্মিনাল থেকে যাত্রা শুরু হয়েছিল বেড়ার উদ্দেশ্যে। যাইহোক অবশেষে আমরা আমাদের যাত্রার একটা সমাপ্তি করতে সক্ষম হয়েছিলাম।
সন্ধ্যা আহবার পূর্বে আমরা বেড়া বাজারে পৌঁছে গিয়েছিলাম এবং সেখান থেকে আমাদেরকে অটো রিক্সা নিয়ে আত্মীয়দের বাড়িতে বেড়াতে যেতে হয়েছিল। বাজার থেকে সঠিক পরিচয় দিয়েছিলাম এবং রিক্সাওয়াল ঠিকানা অনুযায়ী আমাকে খুব ভালোভাবে সেখানে পৌঁছে দিয়েছিল।
সেখানে পৌঁছানোর পর আমার আত্মীয়-স্বজনরা অনেক বেশি খুশি হয়েছিল এবং কারণ এই প্রথম আমরা তাদের বাসায় বেড়াতে গিয়েছি। সেখানে আমরা নাস্তা করলাম এবং রাত্রে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম।
আমার আত্মীয়দের ভেতরে একজন গরুর বেপারী ছিলেন। স্থানীয় সেখানে বাজার বসে এবং সেখানে বিশাল গরুর হাট। আমি আমার আত্মীয়র সাথে গরুর হাটে ভ্রমণে গিয়েছিলাম এবং সেখানে গিয়ে আমি বেশ যথারীতি আশ্চর্য হয়েছিলাম।
বেড়ার অদূরে যে এত চমৎকার একটি গরুর হাট এবং এতগুলো গরু আমি জীবনে প্রথম দেখলাম। আমি সেখানে গিয়ে গরুর হাট ভ্রমণ করলাম এবং দেশ ভালো লেগেছিল আমার।
কয়েকদিন পর আমি সেখানকার একটি ছোট নদী অঞ্চলে গিয়েছিলাম। নদীয়া দুই পাশে রাস্তা এবং মাঝখানে নদী। সত্যই নদী আমাকে বেশ মুগ্ধ করেছিল এবং নদীর পরিষ্কার পানি আমি বেশ ভালোভাবে উপভোগ করেছিলাম।
এরপর আমি বিকেলে ছোট ভাইয়ের সাথে নদীর উপরে নির্মিত একটি লোহার ব্রিজ ভ্রমণে গিয়েছিলাম। বিকেল বেলা কুয়াশাচ্ছিছন্ন এবং আমি লোহার ব্রিজের উপরে একটি নিজের সেলফি তুলেছিলাম এবং আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছিল।
আমি সেখানে ছয় দিন ছিলাম এবং আমি মোট পাঁচ দিন সেখানে নদীতে গোসল করি। নদীতে গোসলের অভিজ্ঞতা আমাকে বেশ আনন্দ দিয়েছিল। কারণ পত্র অঞ্চলের প্রায় মেয়ে এবং ছেলে সকল মানুষ নদীতে গোসল করে। নদীর চমৎকার সাদা পানি এবং চমৎকার ঢেউ আমাকে সত্যি অনেক বেশি আনন্দিত করেছিল। যদিও নদীর পানি অত্যন্ত ঠান্ডা ছিল তবে তারপরেও সকলে সেখানে গোসল করেছিল এবং আমিও বেশ আনন্দ পেয়েছিলাম।
সবকিছু মিলিয়ে প্রায় ৬ দিন ভ্রমণ করেছিলাম এবং ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমার কাছে বেশ চমৎকার ছিল। এই প্রথম জীবনের ফার্স্ট টাইম আমি বেড়া ভ্রমণ করি।
সত্যিই প্রাকৃতিক পরিবেশ, মানুষের চলাচলের দৃষ্টিভঙ্গি, শহরের চমৎকার স্থির পরিবেশ এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাকে বেশ মুগ্ধ করেছিল। হয়তো এ কারণেই জীবনের কোথাও প্রথম বেড়াতে যাওয়ার স্থানটি আমি প্রায় এক সপ্তাহ উপভোগ করতে সক্ষম হয়েছি। অবশেষে আমি আমার ভ্রমণের গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে বেশ আনন্দিত। অসংখ্য ধন্যবাদ মূল্যবান সময় দিয়ে আমার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা উপভোগ করার জন্য। আজকের মত বিদায় বলছি ! তবে এখানেই শেষ নয় ! দেখা হচ্ছে খুব শীঘ্রই !! এ পর্যন্ত সকলে সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য :
বেড়া- একটি স্থানের নাম
VOTE @bangla.witness as witness
OR
|250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি
আমি মোহাম্মদ আকাশ সরদার
। জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি ব্লগিং করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। যদিও আর্ট আমার অনেক বেশি পছন্দ তবে আর্টওয়ার্ক কাজের জন্য আমার হাত একদম বাজে। ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি আমার সব থেকে প্রিয় বিষয়। নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ এবং নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে বেশ ভালো লাগে। অসহায় মানুষদেরকে সাহায্য করতে পারলে মনের ভেতরে আনন্দ আসে। সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে মানুষের সেবা করতে চাই এবং সকলের প্রিয় ব্যক্তি হয়ে এই সমাজে বসবাস করতে চাই।
https://x.com/steemforfuture/status/1885629020760678423?t=JADNCJPN1tNaJwOQcxJGyw&s=19
অনেক বড় যাত্রা। আপনি ভ্রমণ করেছেন সিএনজিতে। এজন্য আপনাদের কাঙ্খিত স্থানে পৌঁছাতে অনেকটা সময় লেগে যায়। তবে সময় লাগুক আর যায় লাগুক ভাইয়া আপনি কিন্তু ফটোগ্রাফি করেছেন তাই আমাদের অনেক কিছু দেখার সুযোগ হয়েছে। এমন ভ্রমণজাতীয় ব্লগগুলো আমি সব সময় পছন্দ করি।