ফুটবল খেলা উপভোগ ও কিছু ছোট ভাইদের জন্য ফটোগ্রাফি
কভার ফটো
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ এর সকল বন্ধুদের শুভেচ্ছা। আশা করছি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সকলে বেশ ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আপনাদের অনেক অনেক দোয়া ও আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও বেশ ভালো আছি। আমরা যেন সব সময় সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকি সে কারণে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি চমৎকার লাইফ স্টাইল ব্লগ লেখার জন্য উপস্থিত হয়েছি। বিকেলে ফুটবল খেলা উপভোগ ও ছোট ভাইদের জন্য কিছু চমৎকার ফটোগ্রাফি। সমস্ত পোস্ট উপভোগ করার জন্য আপনারা সকলে আমন্ত্রিত।
০৪-০৭-২০২৪ . পুরো দিন ঝমঝম করে বৃষ্টি হচ্ছিল। সারাদিন বাসায় বসে থাকতে থাকতে বেশ বোরিং ফিল হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও মনের ভেতরে বাহিরে যাবার বেশ আকাঙ্ক্ষা। তবে বিকেল বেলা হঠাৎ করেই সোনালী রোদ যেন পুরো পৃথিবীকে আলোকিত করেছিল এবং বেশ চমৎকার একটি দিন এসেছিল।
তাই আমি দেরি না করে গোসল করে দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম বিকেল পাঁচটায়। খাবার খাওয়ার পর আমি আমাদের প্রাইমারি স্কুল মাঠে গিয়ে ফুটবল খেলা উপভোগ করতে গিয়েছিলাম। কারণ আমাদের স্কুল মাঠে প্রতিদিন ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এবং আমি ফুটবল খেলা অনেক বেশি পছন্দ করি। যদিও আমি ফুটবল খেলতে পারি না তবে ফুটবল খেলা আমাকে বেশ আনন্দিত করে।
ফুটবল খেলা দেখতে গিয়ে আমার চোখের সামনে ভেসে ছিল আমার ছোট কিছু ভাই ব্রাদার। যারা তাদের মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলছিল কিন্তু ছবির ফোকাস ও ছবির কালার খুব একটা ভালো আসছিল না। তাই আমাকে তারা আহবান করেছিল আমার ফোন দিয়ে আমি যেন তাদেরকে কিছু ফটোগ্রাফি করে দেই।
এবার আমি আমার ছোট ভাইদের ফটোগ্রাফি শুরু করি। প্রথম ফটোগ্রাফিতে আমার ছোট ভাই স্বাধীন। সে আমাকে অনেক বেশি সম্মান করে এবং আমি মাঝে মাঝেই তার সাথে খেলাধুলা করি। আমি ঢাকায় যাওয়ার পূর্বে একসাথে আমরা খেলাধুলা করতাম এবং বেশ ভালো একটি সময় অতিক্রম হতো। আমি প্রথমে আমার ছোট ভাইকে একটি ফটোগ্রাফি করে দিয়েছিলাম এবং সে অনেক বেশি খুশি হয়েছিল। পরবর্তীতে আমি সর্বমোট ২০ টি ক্লিক করি এবং আমি তাকে সর্বমোট দশটি সেরা ফটোগ্রাফির উপহার দিয়েছিলাম এবং সে অনেক বেশি খুশি হয়েছিল।
এবার হঠাৎ করেই আমার ছোট ভাতিজা আবিল তাকে একটি ফটোগ্রাফি করে দেওয়ার জন্য বলেছিল। আবিল দেখতে এমনিতেই অনেক বেশি কিউট এবং তার হাসি মাখা মুখ আমাকে সত্যিই সব সময় আনন্দিত করে। আমি আমার মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে আবিলের একটি ফটোগ্রাফি করেছিলাম এবং ফটোগ্রাফিটি দেখার পর সেখানে থাকা সকলেই উচ্চস্বরে হেসেছিল এবং আমিও বেশ আনন্দিত হয়েছিলাম।
আমার ফটোগ্রাফির চমৎকার স্কিল দেখে পাশে থাকা আরও দুই ছোট ভাই বেশ অনুপ্রাণিত হয়েছিল এবং আমার কাছে ফটোগ্রাফি করে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিল। যদিও আমি মাঝে মাঝে ফটোগ্রাফি করি এবং আমি কোন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার না তবে তারপরেও তাদের ইচ্ছা আমার কাছ থেকে তারা ফটোগ্রাফি করবে।
সুতরাং আমার ছোট ভাই দুইটার আমি চমৎকার দুইটা ফটোগ্রাফি করে দিয়েছিলাম এবং তারা ফটোগ্রাফি দুইটা পেয়ে অনেক বেশি খুশি হয়েছিল। এবং তারা আমাকে অবগত করেছিল আমার হাতের করা ফটোগ্রাফিতে তাদের সর্বোচ্চ ভিউ হয়েছিল এবং এর জন্য তারা অনেক বেশি খুশি ছিল।
এরপর আরো অনেকে আমার কাছে ফটোগ্রাফির জন্য এসেছিল এবং আমি তাদেরকেও তাদের নিজেদের মোবাইল দিয়ে আবার নিজ হাতে ফটোগ্রাফি করে দিয়েছিলাম।
ইতিপূর্বেই ফুটবল খেলার অর্ধেক সময় অতিক্রম হয়ে গিয়েছে এবং আমি প্রায় অর্ধেক খেলা মিস করেছি। এরপর ফুটবল খেলার হাফ অঃশের পরে আমি খেলা দেখতে শুরু করি এবং আমি বেশি চমৎকার খেলা উপভোগ করেছিলাম।
খেলা উপভোগ করতে আমাদের প্রায় ছয়টা বেজে ৪৫ মিনিট সময় অতিক্রম হয়ে গিয়েছিল এবং প্রায় সন্ধ্যা হতে আর মাত্র ১৫ মিনিট বাকি ছিল। তবে দুর্ভাগ্যবশত চমৎকার এই ফুটবল খেলায় আমাদের গ্রাম ২ - ১ গোলে পরাজিত হয়েছিল। তবে তারপরেও আমি বেশ খুশি ছিলাম কারণ পরবর্তী অর্ধেক ৪৫ মিনিট আমি বেশ উপভোগ করেছিলাম।
আর এই ছিল বিকেলে ফুটবল খেলা দেখার অনুভূতি ও ছোট ভাইদের জন্য কিছু ফটোগ্রাফির পোস্ট। আমি আশাবাদী পুরো পোস্ট আপনারা উপভোগ করেছেন। পড়ার জন্য ধন্যবাদ
VOTE @bangla.witness as witness
OR
|250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি
আমি মোহাম্মদ আকাশ সরদার
। জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি ব্লগিং করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। যদিও আর্ট আমার অনেক বেশি পছন্দ তবে আর্টওয়ার্ক কাজের জন্য আমার হাত একদম বাজে। ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি আমার সব থেকে প্রিয় বিষয়। নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ এবং নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে বেশ ভালো লাগে। অসহায় মানুষদেরকে সাহায্য করতে পারলে মনের ভেতরে আনন্দ আসে। সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে মানুষের সেবা করতে চাই এবং সকলের প্রিয় ব্যক্তি হয়ে এই সমাজে বসবাস করতে চাই।
https://x.com/steemforfuture/status/1813535951714689074?t=mrUVYXeVd98ZkYVJHEnsTQ&s=19
বিকেল মুহূর্তে এমন খেলার মাঠে উপস্থিত হওয়ার মধ্যে বেশ আনন্দ রয়েছে রয়েছে ভালোলাগা। পাশাপাশি যদি নিজের পরিচিত সাথে চলা ছেলেরা থাকে তাহলে আরো বেশি ভালো লাগা থাকে। যাইহোক বিকেল মুহূর্তে আপনি পাঁচটার দিকে খাওয়া-দাওয়া সেরে সেখানে চলে গেছেন এবং একত্রে উপস্থিত হয়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো।