#childhood-memory : শৈশবের পাখি শিকার
আসসালামু আলাইকুম। শুভ সকাল আমার বাংলা ব্লগ। আশা করছি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সকলেই বেশ ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও বেশ ভালো আছি। আমরা যেন সবসময়ই সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকতে পারি সে কারণে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার শৈশবের স্মৃতি সম্পর্কে লিখতে চাই। আমি মাঝে মাঝেই আমার শৈশবে হারিয়ে যাই এবং শৈশবের স্মৃতিগুলো যখন মনে আসে তখন আমি অনেক বেশি আনন্দ পাই। আর আমার সেই অনুভূতি এবং স্মৃতিময় দিনগুলো আপনাদের সাথে ভাগ করে নিতে চাই।
ঠিক এরই ধারাবাহিকতায় আমি আজকে আপনাদের মাঝে আমার চমৎকার একটি শৈশবের স্মৃতি শেয়ার করতে চাই। আর সেই শৈশবের স্মৃতির মধ্যে অন্যতম হলো শৈশবে পাখি শিকার করা।
শৈশবকালে আমার যে স্মৃতিগুলো রয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল পাখি শিকার করা। পাখি শিকার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগতো। বিশেষ করে আমার বড় চাচা ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করত এবং বক শিকার করত। তার শিকারের এক্সপেরিয়েন্স আমাকে বেশ আনন্দিত করেছিল এবং প্রতিনিয়ত ছোটবেলা থেকেই পাখি ধরার প্রতি তীব্র একটা বাসনা আমার মনের ভেতরে কাজ করতো।
তাই আমি দিনের প্রায় অর্ধেকটা সময় খরচ করতাম পাখি শিকার করার কাজে। বিশেষ করে শীতকালে যখন প্রচুর পরিমাণে শীত পড়তো এবং অতিথি পাখির আগমন হতো তখন আমি সেই পাখিগুলোকে ধরার জন্য উঠেপড়ে লাগতাম।
যেকোনোভাবে আমাকে পাখি শিকার করতে হবে আর এটাই আমার প্রথম টার্গেট। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে শীতের সকালে আমি হাতে সুতা নিয়ে বের হয়ে যেতাম। সুতা দিয়ে ফাঁদ তৈরি করতাম এবং সেই ফাঁদ পেতে রাখতাম কোন মাঠে কিংবা খেজুর গাছের ডালে। খেজুর গাছে যখন পাখি এসে বসতো তখন ওই ফাঁদ যদি টান দেওয়া হতো তাহলে খুব ভালোভাবে সেখান থেকে পাখি শিকার করা সম্ভব হতো। পাখির পায়ে অথবা গলায় যখন আমার সুতা গিট লেগে যেত তখন খুব সহজেই আমি পাখি শিকার করতে পারতাম।
শীতকালে যখন খেজুরের রস আসে এবং সাথে সাথে অতিথি পাখির আগমন ঘটে। খেজুর গাছের সাথে সুতা দিয়ে ফাঁদ তৈরি করার পর অপেক্ষা করতাম এবং যখন পাখি উড়ে এসে বসতো তখন পাখি শিকার করতাম।
আমার এখনো বেশ ভালোভাবে মনে রয়েছে। আমি প্রথমে পাখি শিকার করার জন্য সুতা ব্যবহার করেছি। এরপর যখন আমি আরো একটু বড় হয়েছিলাম তখন আমি এই ধরণ পরিবর্তন করেছিলাম। যদিও আমি শীতকালে সুতা দিয়ে পাখি শিকার করতাম তবে গ্রীষ্মকালে পাখি খুবই কম দেখা যেত। এবং খেজুরের গাছের রস না থাকার কারণে সুতা দিয়ে পাখি শিকার অত্যন্ত দুঃসাধ্য করে একটি বিষয় হয়ে যেত।
তাই আমি যখন বিশ্বকাল আসতো তখন মাটি দিয়ে গুলি তৈরি করতাম এবং রাবার (ভল টিউব) ব্যবহার করে এবং তার সাথে কাঠ সংযুক্ত করে বিশেষ একটি যন্ত্র তৈরি করতাম।
এবার মাটি দিয়ে গুলি তৈরি করতাম এবং সেগুলোকে রোদ্রে শুকিয়ে শক্ত করে নিতাম। যখন সেগুলো শক্ত হয়ে যেত তখন সেগুলোকে আগুনে পুড়িয়ে একদম লাল এর মত তৈরি করতাম এবং সেগুলো দিয়ে খুব ভালো গুলি তৈরি করা যেত।
তাছাড়াও আমার এখনো বেশ ভালোভাবে মনে রয়েছে। যেখানে নতুন পুকুর খনন করা হতো সেই স্থানগুলো আমার বেশ প্রিয় ছিল।
কারন নতুন পুকুর খনন করার পর সেখানে মাছরাঙ্গা বাসা বাধতো। মাছ টাকাগুলো পুকুরের পাশে খনন করত এবং সন্ধ্যায় আমরা সেখানে যেতাম। সন্ধ্যায় মাছরাঙ্গা ধরতাম এবং সেই পুকুরের পাশে গর্তে হাত দিয়ে মাছরাঙ্গা ধরতাম।
মূলত শৈশবের স্মৃতিগুলো সব সময় মধুময় হয়ে থাকে। যদিও শৈশবে ফিরে যাওয়া সম্ভব না তবে তারপরেও শৈশবে স্মৃতিগুলো সত্যিই আমাদেরকে আনন্দ দেয়। শৈশবের এই স্মৃতিময় মুহূর্তগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে বেশ ভালো লাগছে। আমি আশাবাদী শৈশবে আপনারও অনেক মধুময় স্মৃতি রয়েছে। চাইলে আপনিও আপনার শৈশবের স্মৃতি গুলো আমাদের সাথে ভাগ করে নিতে পারেন। ধন্যবাদ মূল্যবান সময় দিয়ে আজকের ব্লগ উপভোগ করার জন্য। আপনার দিনটি শুভ হোক।
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
|250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি
আমি মোহাম্মদ আকাশ সরদার
। জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি ব্লগিং করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। যদিও আর্ট আমার অনেক বেশি পছন্দ তবে আর্টওয়ার্ক কাজের জন্য আমার হাত একদম বাজে। ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি আমার সব থেকে প্রিয় বিষয়। নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ এবং নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে বেশ ভালো লাগে। অসহায় মানুষদেরকে সাহায্য করতে পারলে মনের ভেতরে আনন্দ আসে। সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে মানুষের সেবা করতে চাই এবং সকলের প্রিয় ব্যক্তি হয়ে এই সমাজে বসবাস করতে চাই।
https://x.com/steemforfuture/status/1888061885062562011?t=_w6a2CwIDjvSrrNO_HH4CQ&s=19
আমার ৪ টি টাক্স
বাহ ভাইয়া আপনি তো দেখছি বেশ ভালোই পাখি শিকার কারী। যদিও এই বিষয়ে আমার কোন রকম কোন অভিজ্ঞতা নেই। পাখি স্বীকার তো কখনোই করিনি। আর কখনো দেখাও হয়নি। আপনি আপনার বড় চাচার কাছ থেকে উৎসাহ পেয়ে পাখি শিকার করতেন এবং সেই প্রসেসটাও বলে দিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। তবে গুলি তৈরি করতেন নিজেরাই এটা শুনে বেশ হাসছিলাম।