নাটক রিভিউ : ডিয়ার বস
আসসালামু আলাইকুম। শুভ সকাল এবং বর্ষাকালের শুভেচ্ছা। আশা করছি সকলে বেশ ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও বেশ ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের কাছে আমি আজকে একটি চমৎকার নাটক রিভিউ করতে চাই। নাটক দেখতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। তাই আমি মাঝে মাঝে নাটক দেখি এবং আমার সেই বিনোদনমূলক মুহূর্তগুলো আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে চাই। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, আমি আজকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে একটি নাটক রিভিউ নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। নাটকের নাম ডিয়ার বস
নাটক টি একটি শিক্ষনীয় গল্প দিয়ে লেখা রয়েছে। সকলেই উপভোগ করুন আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
|
---|
নাটকের নাম | ডিয়ার বস |
---|---|
প্রডিউসার | আফরিনা রহমান |
অভিনয়ে | মুশফিক আর ফারহান, সামির খান মাহি, ফারিন খান আরো অনেকে |
সময় | ৪২ মিনিট |
ভাষা | বাংলা |
চ্যানেল | বিন্দু ভিশন |
|
---|
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট
নাটকটির শুরুতেই আমরা একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে ফারহানকে সিইও হিসেবে যোগদান করতে দেখি। নতুন বস ফ্যাক্টরিতে যোগদান করার জন্য সকলেই ব্যস্ত রয়েছে অফিসের কাগজপত্র এবং ফাইল ঠিক করার উদ্দেশ্যে। তবে এই বিষয়ে তানিশা নামক প্রধান চরিত্র অভিনেত্রী একদম অবহেলিত। কারণ সে চোখ দিয়ে গুলি করেই তার বসকে কাবু করবে এটা তার ধারণা ও প্রত্যাশা ছিল।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট
যখন ফারহান নতুন অফিসের যোগদান করে এবং সকলকে গাইডলাইন দিচ্ছিল তখন তানিশা কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনছিল। অবশেষে ওই মিটিং এর ভেতরেই তানিশাকে অপমানিত হতে হয়েছিল এবং তানিশা বিষয়টির জন্য বেশ লজ্জিত ছিল।
তানিশা অতি চালাক একজন অফিস কর্মচারী ছিলেন। অফিসে নতুন বস আসার সাথে সাথেই তার সাথে খুনসুটি শুরু করে দিয়েছিল এবং নতুন বসের মন জয় করার চেষ্টা করেছিল।
তানিশা একদিন ইচ্ছে করেই অফিসের কাজ শেষ না করে এবং গাড়ি নষ্ট হয়ে গিয়েছে এমন অজুহাতে অফিসের ভেতরে বসে ছিল। ফারহান সমস্ত কাজ শেষ করে যখন বাসায় ফিরছিলেন তখন তানিশাকে দেখে এবং তানিশা তার সমস্যার কথা জানিয়েছিল। অবশেষে তানিশা ও ফারহানের মাঝে একটি চমৎকার সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট
ফারহান ও তানিশা এখন প্রেম করছে। তারা এখন দুপুরে একসাথে লাঞ্চ করে এবং ছুটির দিনে বাহিরে ঘুরতে যাই। মাঝে মাঝে একসাথে বসে কফি খায় এবং তারা দুজনে আড্ডা দেয়। বেশ ভালো রোমান্টিক সময় অতিক্রম করে তারা অফিসের ভেতরে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট
একদিন তানিশা অফিসে প্রায় তিন ঘন্টা লেট করে আসে। লেট করে আসার পর তার বান্ধবীকে জানাই আমি এখন আর অফিসে দেরি করে আসলে কোন সমস্যা নাই। কারন আমি আমার অফিসের বসকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছি। আমি এখন যা ইচ্ছা তাই করতে পারি। আমি কিন্তু তার প্রেমে পড়িনি¿ অফিসের বস আমার প্রেমে পড়েছে। এমনও নানা কথা বলেছিল এবং ফারহান সমস্ত কথাগুলো দরজার ওপাশ থেকে শুনছিল এবং বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারছিল।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট
এরপর ফারহান একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছে গিয়েছিল। ফারহানের পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে একজনকে নিযুক্ত করা হয়েছিল । মেয়েটির নাম ছিল ফারিন। ফারিনকে অফিসের সমস্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এবং সমস্ত ক্ষমতা তার হাতে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরে তানিশা অত্যন্ত রাগান্বিত হয়েছিল।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট
ইতিপূর্বেই ফারিন ও ফারহানের মাঝে একটি চমৎকার সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। তানিশার সাথে যেরকম আচরণ করেছিল অফিসের ভিতরে ঠিক তার পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর সাথে একই রকমের আচরণ করেছিল। বিষয়টি দেখে তানিশা অত্যন্ত রাগান্বিত হয়েছিল এবং বাসায় গিয়ে একা একা এ সকল বিষয়গুলো চিন্তা করছিল।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট
একদিন রাতে তানিশা ফারহানের বাসায় গিয়েছিল এবং বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছিল। কিন্তু ফারহান তানিশার কোন কথাই কান দেয়নি। এবং সমস্ত কথা শোনার পর ফারহান তানিশাকে অপমান করে বাসা থেকে বের করে দিয়েছিল।
তানিশা বাসায় ফিরে অনেক কান্না শুরু করেছিল এবং সে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট
এক পর্যায়ে তানিশা বিষ পান করে নিজেকে শেষ করে দেবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। অবশেষে তার পরিবার তাকে মেডিকেলে নিয়ে গিয়েছিল এবং অবশেষে মোটামুটি একটা সুস্থ হয়েছিল। এমন সময় ফারহান বুঝতে পেরেছিল তানিশা সত্যি সত্যি তাকে পছন্দ করে এবং তাকে ভালোবাসি কথাটি বলে দিয়েছিল ।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট
তাহলে এখন প্রশ্ন? আসলে ফারিন কে ছিল? ফারিন ছিলেন ফারহানের কাজিন। তানিশাকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য ফারহান এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যাইহোক অবশেষে এখানে নাটকটি মোটামুটি একটি ভালো পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। এবং আমরা এখানেই নাটকের শেষ দেখি।
|
---|
নাটকটি দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। কারণ আমাদের সমাজে এমন মানুষ রয়েছে যারা শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য অন্যের অন্তর ভাঙতে বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করে না। তাই এই নাটকটি যদি কেউ দেখে তাহলে নাটকটি একটি শিক্ষামূলক নাটক এবং এটি আমাদের বাস্তব জীবনকে পরিবর্তন করতে পারে।
ভুল করলে যে আমাদেরকে পরে পস্তাতে হয় সেই নাটকটি আমরা নাটকের প্রধান অভিনেত্রী তানিশার চরিত্রে দেখেছি। সুতরাং অবশ্যই আমাদের নাটকটি থেকে একটি ভালো শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত।
|
---|
১০/৮
|
---|
VOTE @bangla.witness as witness
OR
|250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি
আমি মোহাম্মদ আকাশ সরদার
। জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি ব্লগিং করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। যদিও আর্ট আমার অনেক বেশি পছন্দ তবে আর্টওয়ার্ক কাজের জন্য আমার হাত একদম বাজে। ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি আমার সব থেকে প্রিয় বিষয়। নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ এবং নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে বেশ ভালো লাগে। অসহায় মানুষদেরকে সাহায্য করতে পারলে মনের ভেতরে আনন্দ আসে। সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে মানুষের সেবা করতে চাই এবং সকলের প্রিয় ব্যক্তি হয়ে এই সমাজে বসবাস করতে চাই।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://x.com/steemforfuture/status/1808338050512216219?t=n368oQhbZUQ5A2Ll_WKjGw&s=19
বেশ কয়েকদিন আগেই আমি ডিয়ার বস নাটকটা দেখেছিলাম। নায়ক কিন্তু নায়িকাকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছিল। কিন্তু নায়িকা তো প্রথমে তার সাথে প্রতারণা করেছিল। কিন্তু ফারহানের কাজিন ওই নাটকগুলো করার কারণে নায়িকাও নিজের ভুল বুঝতে পারে। আর এটাও বুঝতে পেরেছিল সে ফারহানকে কতটা ভালোবাসে। শেষে তো সে আবার সুইসাইট করার চেষ্টা করেছিল। আর সবশেষে তারাও নায়িকা কে সবকিছু খুলে বলেছিল। অনেক ভালোই লেগেছে আমার কাছে সব মিলিয়ে নাটকটা।
ঠিক বলেছেন ভাই। যদিও প্রথমদিকে নায়িকা অভিনয় করেছিল তবে পরবর্তীতে সত্যি সত্যি ফারহানকে ভালোবেসে ফেলেছিল। নাটকটি বেশ ভাল ছিল। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
মুশফিক আর ফারহানের নাটক আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার শেয়ার করা নাটকটি আমি দেখেছি। খুবই সুন্দর একটি নাটক এটা। তবে লাস্টে যখন তাদের মিলন হয় এই দৃশ্য টি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।আপনি খুবই সুন্দর ভাবে নাটকটির রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।