অসামাজিকতা নাকি ভদ্রতা
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
মাঝেমধ্যে আমরা অনেক কিছু হিসাব করতে গুলিয়ে ফেলি। আর যে হিসাবটাতে একটু বেশি গুলিয়ে যাই বলে আমার মনে হয়। সেটা হলো অসামাজিকতা এবং ভদ্রতা। আসলে এই দুটো ব্যাপার একেবারেই আলাদা। যেটা আমরা ভদ্রতা করে করি, সেটাকে কিন্তু আবার অনেকে অসামাজিকতা বলেই ট্যাগ দিয়ে দেয়।
অসামাজিকতা ব্যাপারটা হলো আসলে সামাজিকতার গণ্ডিতে না পরা। ওটায় ধরুন অনেক মানুষ রয়েছে, যারা মানুষ পছন্দ করে না কিংবা মানুষের সাথে আসলে একেবারেই কথা বলে না। অর্থাৎ এমন একটা আচরণ করে। যেটার ক্ষেত্রে বোঝা যায় যে, সে আসলে একটা সমাজের জন্য পারফেক্ট নয় কিংবা সে সেই সমাজে থাকতে চায় না কিংবা সেই সমাজকে সে পছন্দ করে না। অর্থাৎ বলতে গেলে প্রায় এরকম কিছুই।
কিন্তু ভদ্রতা ব্যাপারটি একেবারে আলাদা। অর্থাৎ আমরা আসলে ভদ্রতা অনেক জায়গায় করি একেবারেই নিজেদের মনের ব্যাপার থেকে। যেমন ধরুন কোনো একটা জায়গায় হয়তো যেটা আমার বলা উচিত নয়। সেটা আমি বলছি না আমার ভদ্রতার খাতিরে। কিন্তু অনেকে দেখবেন আপনার ওই ভদ্রতাকে অসামাজিকতার ট্যাগ দিয়ে দেয়। অন্তত আমার সাথে এমনটা অনেক হয়েছে। অর্থাৎ অনেক জায়গায় এমন হয়েছে। যেখানে আমাকে কিছু চাইতে বলা হয়েছে। কিন্তু আমি আমার ভদ্রতার জন্য সেই জিনিস তার কাছে চাইনি।
আর সেই না চাওয়াকে। অর্থাৎ আমার ঐ ভদ্রতাকে আমার চারপাশের মানুষ ট্যাগ দিয়েছে যে আমি অসামাজিক আমি সামাজিকভাবে চলতে পারি না। আমি সমাজের আর ১০ জনের মতো নই এবং তাই আমি একজন অসামাজিক ব্যক্তি। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় যে, কারো কাছে কোনো কিছু হুট করে চেয়ে ফেলাই ভদ্রতা হতে পারে না। কিন্তু এটা আসলে সকলকে বোঝানো অনেক মুশকিল। কারণ যে আপনার দোষ দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাকে আসলে আপনি কোনো কিছুই বুঝিয়ে কুল পাবেন না।
কারণ সে আসলে মনে মনে বুঝিয়ে নিয়েছে নিজেকে যে। আপনি যাই করুন না কেনো আপনার দোষ সে দিবে এবং যখন মানুষ আসলে এই ধরনের সময় এ চলে আসে। তখন আসলে আপনি যাই করুন না কেনো, আপনার দোষ দিবেই। আসলে আমি আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আমার একটি পরিস্থিতির কথাই আপনাদের সাথে তুলে ধরেছি। অর্থাৎ আমার অনেক ভদ্রতাকে আমার চারপাশের অনেক মানুষ অসামাজিক, বেয়াদবি ইত্যাদি ট্যাগ দিয়ে দেয়। এই মনের কষ্টগুলো কিংবা পরিবেশের এই অসামঞ্জস্যতা আসলে মেনে নিতেও কষ্ট হয়।