টাকা দিয়ে মোটিভেশন শোনা কতোটা কার্যকরী?
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমরা অনেক বড় বড় মোটিভেশনাল স্পিকারদের চিনি। যারা সময়-অসময়ে দারুন দারুন সব মোটিভেশন আমাদের সাথে শেয়ার করেন এবং সেসব পর্যন্ত ঠিক আছে। অর্থাৎ আমরা ইউটিউবে কিংবা সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক সময় অনেক মোটিভেশন স্পিকার দেখি। যারা সত্যিই অনেক ভালো কথা বলেন।
মোটিভেশন এর ব্যাপারটি হলো, মোটিভেশন এর মাধ্যমে আমরা আমাদের মনের ক্ষুদাকে মেটাতে পারি। অর্থাৎ ধরুন, আমরা কিভাবে আমাদের জীবনটা পরিচালিত করবো কিংবা জীবনের কোন স্টেজে আমাদের কি করা উচিত। সেটা আমরা অনেক সময় নিজেরা বুঝতে পারি না।তবে যারা মোটিভেশনাল স্পিকার রয়েছেন। আমরা তাদের কথা শুনে আমাদের জীবনের একটা লক্ষ্য আমরা সেট করতে পারি কিংবা আমাদের জীবনকে আমরা কিভাবে পরিচালিত করতে পারি, তার একটা উদাহরণ আমরা উনাদের কাছ থেকে পেতে পারি।
কিন্তু আমি যে ব্যাপারটার একেবারেই বিপক্ষে সেটা হচ্ছে টাকা দিয়ে মোটিভেশন শোনা। কারণ ওই যে, যে টাকাটা আমরা খরচ করছি। সেটা ইনকাম করতে আমাদের কিংবা আমাদের পরিবারের মানুষদের কিন্তু যথেষ্ট কষ্ট হয়েছে। আর মোটিভেশনাল এর মানে কি? অর্থাৎ আমাদের চিন্তাশক্তিটাকে আরও একটু মোটিভেট করা। আরও একটু বেশি করে বুঝানো। এখন আমার কথা হলো,আমার যদি জীবনের উন্নতির দরকার হয়। তবে আমি সেটা অন্যকে টাকা দিয়ে শিখবো না। আমার উন্নতির দরকার হলে, আমি সেটা নিজেকে নিজেই বোঝাবো এবং আমরা সত্যি কথা বলতে যখন কোনো খারাপ পরিস্থিতিতে পরি। তখন আমাদের কোনো মোটিভেশন এরই দরকার পরে না।
অর্থাৎ অনেক সময় দেখবেন যে, অনেক পরিবারের ছোট ছোট বাচ্চারাই পরিবারের হাল ধরে ফেলে। তাদেরকে কে মোটিভেট করে? তাদেরকে কেউ মোটিভেট করে না। আমার মতে আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় মোটিভেশনাল স্পিকার হলো, আমাদের দায়িত্ববোধ ও বাস্তবতা । যার কারণে আমরা সময়ের সাথে সাথে সবকিছু নিজে থেকেই শিখে যাই। কারণ, কঠিন বাস্তবতার কাছে এসব মোটিভেশনাল স্পিকার কোনো কাজের নয়।