অত্যাচারের দিন শেষ
আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে অত্যাচারের দিন শেষ সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।
এই পৃথিবীতে এক সময় মানুষ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হত। কেননা এই সমস্যার প্রধান কারণ হলো মানুষ নিজেই। তখন তো সময় মানুষ অন্য মানুষকে সবসময় বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করত। আসলে সমাজে যারা উঁচু শ্রেণীর লোক ছিল তারা সব সময় নিচু শ্রেণীর লোকদের উপর বিভিন্নভাবে অত্যাচার করত। এই অত্যাচারের পরিমাণ এতটাই বেশি ছিল যে এই অত্যাচারের ফলে বিভিন্ন মানুষ আত্মহত্যা করতো অথবা সেই বসবাসের স্থান ছেড়ে চিরদিনের জন্য চলে যেত। আসলে মানুষের তখন জ্ঞান বুদ্ধি অনেক কম ছিল। এছাড়াও তখন কিন্তু মানুষকে অন্যান্য মানুষেরা কখনো সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতো না। আসলে মাঝের এই সময়টাতে মানুষ সব থেকে বেশি অত্যাচারিত হতো এবং তারা সমাজে কখনো ভালোভাবে বসবাস করতে পারত না।
কিন্তু মানুষ যখন আস্তে আস্তে শিক্ষা অর্জন করতে শুরু করলে তখন মানুষের জ্ঞান এবং বিবেক বুদ্ধি সব বাড়তে শুরু করল। আসলে একজন জ্ঞানী মানুষ কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করে চলে না। তারা সবসময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করে এবং কেউ যদি সমাজে অন্যান্য লোকেদের উপর অত্যাচার করে তাহলে তাদেরকে তারা সব সময় প্রতিবাদ করে এবং পরবর্তীতে তারা যাতে তাদের আর কোন অত্যাচার না করতে পারে সেই ব্যবস্থা করে। আসলে মানুষ যত শিক্ষিত হয় ততই মানুষ কিন্তু অন্যান্য মানুষকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে এবং এই শিক্ষার ফলে মানুষের মনোবল আরো অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও রাজা-মহারাজাদের সময় তারা কিন্তু তার রাজ্যের প্রজার উপর বিভিন্নভাবে অত্যাচার করত এবং তাদের কাছ থেকে সর্বস্ব কেড়ে নিত।
কেননা তখনকার প্রজারা এসব রাজাদের বিরুদ্ধে কখনো প্রতিবাদ গড়ে তুলতে পারতো না। এছাড়াও তারা কখনো একে অন্যেরা মিলেমিশে একসাথে দলবদ্ধ হয়ে গিয়ে সেসব অত্যাচারী মানুষদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলবে সেই বুদ্ধিও তাদের ছিল না। কিন্তু যতদিন গেছে ততই মানুষ শিক্ষিত হয়েছে এবং মানুষের বিবেক বুদ্ধি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এর ফলে সমাজের সেই রাজা প্রজাদের যুগ এখন শেষ হয়ে গেছে। আসলে মানুষ কিন্তু এখন অনেকটা স্বাধীনভাবে বসবাস করে এবং কেউ যদি সে সব মানুষদের কখনো অত্যাচার করতে আসে তখন তারা সেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলার মত সৎ সাহস রাখে সবসময়। তাইতো এখন মানুষ যত শিক্ষিত হচ্ছে ততই মানুষের চিন্তাশক্তি অনেক অংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তারা সমাজটাকে একটা নতুন সমাজে পরিণত করতে চেষ্টা করছে।
তারা যেভাবে সমাজ গঠনের জন্য কাজ করছে এর ফলে কিন্তু সমাজ অবশ্যই একটা ভালো দিকে চলে যাবে এবং সমাজের প্রত্যেকে সব সময় একে অন্যের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে একে অন্যকে সাহায্য করবে এবং কেউ কাউকে বিপদে ছেড়ে আসবে না। আসলে আমরা যদি সবাই এক জায়গায় একই মন মানসিকতা নিয়ে বসবাস করতে পারি তাহলে সমাজের যারা অত্যাচারিত লোক তারা কিন্তু সব সময় আমাদের দেখে ভয় পাবে এবং আমাদের থেকে দূরে থাকার জন্য চেষ্টা করবে। আর এর ফলে আমরা এমন একটা সমাজ গঠন করবো যেখানে আমাদের সবাই যদি কোন কাজে একমত হয় তাহলে সেই কাজটি আমরা সম্পন্ন করব এবং সবাই মিলেমিশে একে অন্যকে সাহায্য করে সামনের দিকে এগিয়ে চলার চেষ্টা করব। আর এভাবে আমাদের সমাজ থেকে এই অত্যাচারীর লোকগুলো দিন দিন কমে যাবে।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
আসলে অত্যাচারের দিন কখনো শেষ হয় না তবে কোনো অত্যাচারীর অত্যাচার প্রতিহত করতে পারলে শান্তির দেখা মেলে। আর এ শান্তির দেখা পেতে হলে অবশ্যই সজাগ সচেতনতা বাড়িয়ে তুলতে হবে শিক্ষা লাভের মধ্য দিয়ে। যাইহোক আপনার লেখা পড়ে কিন্তু বেশ অবগত হলাম এবং ভালো লাগলো।
বেশ ভালো লিখেছেন আপনি সমাজে উঁচু শ্রেণির লোকের কাছে থেকে সব সময় অত্যাচারিত নিপিড়ীত হয়েছে নিম্ন শ্রেণির মানুষেরা।ভালো লাগলো পোস্ট টি পড়ে।ধন্যবাদ বাস্তব কিছু ঘটনা লিখে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।