প্রিয় মানুষকে ও প্রয়োজনে " না " বলতে শিখুন
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকে স্টিমিট প্লাটফর্মের একটি পোস্ট পড়ছিলাম এবং পোস্টটি পড়ে একটা ব্যাপার আমার মাথায় আসলো। তাই ভাবলাম যে আপনাদের সাথে লেখাটি শেয়ার করে নেই। পোস্টটি অনেকটা এমন ছিলো যে, যে পোস্টটি লিখেছে তার ওয়াইফের একটি ছোট অপারেশন ছিলো এবং অপারেশনের পর ডাক্তার মানা করে দিয়েছিলো যেনো কোনো কিছু না খায় অর্থাৎ পানি ও।
কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই অপারেশন এর পর থেকে যখন মানুষের ধীরে ধীরে সেন্স আসা শুরু করে। তখন প্রথমেই মানুষ যেটা খুঁজে, সেটা হচ্ছে পানি এবং সত্যি কথা বলতে এই দৃশ্যটি আমি নিজেও দেখেছি। কারণ আমার ছোট ভাইয়ের যখন অপারেশনের পর জ্ঞান আসছিলো। তখন সে পাগলের মতোন পানি খুঁজছিলো।
যাইহোক, এখন আমি আমার মূল কথায় আসি। তো সেই পোস্টটি পড়ে দেখলাম যে হাজব্যান্ড তার ওয়াইফ টিকে পানি দিয়েছিলো। কারণ হাজব্যান্ড তো তার ওয়াইফ এর কান্নাকাটি সহ্য করতে পারছিলো না। কিন্তু তিনি মস্ত বড় ভুল করেছেন। কারণ মাঝেমধ্যে এমন পরিস্থিতি যে কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। সেটা আমরা কেউ কল্পনাও করতে পারি না।
আমাদের প্রিয় মানুষ আমাদের কাছে কতোটা প্রিয়। সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু সব সময় যে প্রিয় মানুষের সবকিছুতে রাজি হতে হবে,তা কিন্তু নয়। যেখানে দেখতে পাচ্ছেন যে, প্রিয় মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। সেখানে অবশ্যই কঠোরভাবে ' না ' বলতে শিখুন । তা না হলে এই আহ্লাদ ই একদিন আপনার প্রিয় মানুষটির ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
আমাদের অনেক সময় না চাইতেই যেমন অনেক কিছু করতে হয়, ঠিক এই ব্যাপারটা ও কিন্তু তাই। মানুষ আসলে এই কাজটা সবসময় ভুল করে। কারণ তারা কোনোভাবেই এবং কোনো পরিস্থিতিতেই প্রিয় মানুষদের সাথে কঠোর হয় না। কিন্তু তারা বুঝে না যে, প্রিয় মানুষদের সাথে কোনো কোনো সময় কঠোর হওয়াটাই তাদের জীবনের জন্য অনেক বেশি ভালো। আর যেই জায়গায় কঠোর হতে হবে। সেই জায়গায় যদি আমরা কঠোর না হই। তাহলে দেখা যায় যে, শুধুমাত্র আমাদের জন্যই তাদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে।